বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০১৬

তোমাদের তো অনেক আছে, তাই না?
ঘরের ভেতর ঘর আর একখান টিউলিপ আয়না, তাই না?
ধুমসা দেহের ভেতর তারা আলো খুঁজতে যায় না
দেহাতীত, কালাতীত সময়ঘরে বড়ই কৃপন তাদের বায়না
তাদের কথার, অঙ্গের বাহার দেখে চোখে ঘুম আইনা
তোমরা তো তারাই যারা ছটাং ফটাং ঘেচাং গায়েনা  

বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬

সোমবার, ২০ জুন, ২০১৬

ভার

বেদনার ভার আকাশকে নত করে দেয়
আমাকেও নত করে
আনন্দের ভার আরোও নত করে
আমাকে ও তাকে
নত হতে হতে ভুলে গেছি জন্মের কাল
নত হওয়া এক ফলবান কাজ
অথচ কত মহান শিংধারা মানুষ
তর্কের কম্বলে উষ্ণ করে গতরের তাজিম

বিতৃষ্ণার মতো ছাতার নীচে সাজায় বৃষ্টির সমাহার
শব্দের ভেতর রোজ নেমে আসে আধিপত্যের বাজার
একাধিক, হাজার থেকে হাজার, হাজার থেকে হাজার 

রবিবার, ১৯ জুন, ২০১৬

বকুলডালে তরতাজা ফুল
বৃষ্টি আসে কদমতলায়
অহির ঘরে ঘুমিয়ে থাকে সাবলীল এক নকুল
ব্যাঙের ছাতা খুন
বৃষ্টিমাথায় আম কুড়ানো অনাবিল এক সুখ
কেড়ে নেয় রাতের তারা মনের যত দুঃখ
পৃথিবীকে সামনে রেখে তোমায় দিলাম ভুল
দিনের আকাশ সূর্যহারা পাখিও চিনে কূল 

হ্র

সামাজিক মানুষ আপনাকে সফলতা দিয়ে মূল্যায়ন করবে, আর হৃদয়ের মানুষ আপনাকে  হৃদয় দিয়ে উপলদ্ধি করার চেষ্টা করবে। সামাজিক মানুষ হৃদয়চর্চা করতে জানে না, হৃদয় এক শুদ্ধ পাথরের নাম যেখানে চুম্বনে চুম্বনে আদি ভৌতিক সব গুনা মাফ হয়ে যায়। 

শনিবার, ১৮ জুন, ২০১৬

জ লি মা

মেঘনা নদী আমাদের বাড়ি থেকে খুব দূরে নয়। আমি প্রায় মেঘনা নদীর কিনারায় বসি-- মাছের সংসার দেখি, মালামাল ভর্তি জাহাজ দেখি, লঞ্চের জানালার  ফাঁকে লতাপাতার মতো বেড়ে ওঠা চোখ দেখি, আরও দেখি জলের গভীরে প্রবাহমান চুরাস্রোত।

মেঘনা নদীর মাঝখানে দ্বীপের মতো একটি জায়গা আছে, এলাকাবাসী জায়গাটিকে চর বলে। চরে তরমুজ ভালো হয়। বালি মাটিতে তরমুজ ভালো হয় ছোট্ট কাল থেকে শুনে আসছি। সূর্যের তাপে বালি মাটি ভেতরে ভেতরে দগ্ধ হতে থাকে, লাল দহনের সবটুকু ব্যথা বালি তরমুজের হৃদয়ে ট্রান্সফার করে দেয়, তাইতো তরমুজের হৃদয়ে হৃদয় এতো লাল।
আসলে হৃদয় দহন কেউ দেখে না -- কালিমা পড়া নসিমুন বাবু কিংবা কবুল বলা জলিমা।

জলিমা,
বিগত দিনে কার বুকে মাথা রেখে তুমি শুনালে করবীকুঁড়ির তরল সুর, চিৎকারে চিৎকারে সাজালে রঙিন বাসর?

আমি কিন্তু বালি মাটির তরমুজের মতো ভেতরে ভেতরে লাল হয়ে যাচ্ছি অথচ কত চমৎকার সবুজ আমার চোখে মুখে।

চোখ দেখে মনকে অনুধাবন করা যায় না জলিমা-- মনের মতো মন থাকা চায় 

বুধবার, ১৫ জুন, ২০১৬

রোজা

আমার হাত রোজা রাখে। কারন এই হাত কারো সম্পদ ছিনিয়ে আনে না। আমার চোখ রোজা রাখে। কারন এই চোখ মানুষের কল্যানে ব্যবহার হয় রোজ। আমার পা রোজা রাখে-- এই পা দিয়ে অনিষ্টকারী পদক্ষেপ পড়েনি আজও। কথা রোজা রাখে, জানামতে আজও প্রতিটি শব্দ ব্যবহার করি মানুষের কল্যানে।

যারা কেবল পাকস্থলীর রোজা রাখেন একমাস তাদের জন্য আমার লাল সালাম বারোমাস 

মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০১৬

পা

পাথরের মধ্যে একমাত্র কালো পাথরেরই ক্ষমতা আছে আপনার সাদা ঠোঁটকে নিষ্পাপ করে দিতে 

জলছবি

কিছু কথার খোঁজে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম
কিছু কথার খোঁজে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছি
কিছু কথার খোঁজে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকবো

রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক গালির নাম
কিছু গালির পাশে আজীবন থেকে যাবো 

সোমবার, ১৩ জুন, ২০১৬

চুর

অতীত আমার প্রিয় ঘর। অতীতঘরের চারদিকে শক্তিশালী দালান, দরোজাও শক্তিশালী। অতীতঘর থেকে যখন বের হই তখনই শক্তিশালী তালা দিয়ে দরজা বন্ধ করি যেন চুর না ঢুকতে পারে। তারপর চাবি ফেলে দেই নদীর জলে যেন আমিও না ঢুকতে পারি

চমক

যুক্তিবাদী মানুষ আর কুকুর থেকে দূরে থাকি। কামড় থেকে নিরাপদ থাকা এবং রাখা আমার জীবনের লক্ষ্য। জীবনটা এখনো আমার কাছে একটি সম্পর্ক মনে হয় অথবা জীবন  এক সম্পর্কের নাম হলেই জীবনের প্রতি আমি আস্থা রাখতে পারি।

মানুষ যুক্তি দিয়ে কত কিছু প্রমান করতে চায় অথচ প্রত্যেক যুক্তিবাদী আগেই যুক্তির কাছে প্রমানিত।

আমরা কাপড়ের ময়লা পরিষ্কার করি অথচ সম্পর্কের ময়লা পরিষ্কার করতে নারাজ। কাপড় পরিষ্কার রাখার প্রবনতা সম্পর্কের একটি ফল, ফলকে বড় করে দেখে যারা কথার উপর কথা সাজায় তারাই যুক্তিবাদী, আর সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার জন্য যারা কথা নিয়ে আসে তারাই সম্পর্কবাদী।

সম্পর্কবাদী মানুষের জন্য আমার হৃদয়ে থরেবিথরে জমা থাকে ত্যাগের মহিমা।

মাছ খাবার খায় আবার আদারও খায়, কারন আদারটাও খাবারের মতো দেখায়। বড়শির খবর মাছের জানবার কথা নই। তবুও যুক্তিবাদী মাছের জন্য রয়েছে আমার সমবেদনা। কিছু মাছের  জন্য সমবেদনা প্রকাশ করা ছাড়া আর কিচ্ছু করার থাকে না। 

শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬

চটজলদি

ঠিক এক বছর আগে একটি পুকুরে গিয়েছিলাম। চমৎকার শান্ত পুকুর। গাছগাছালি আর পাখপাখালি পুকুরে নিয়ে আসে দ্যোতনাময় প্রশান্তি। প্রানভরে স্নান করেছিলাম, জলমেখে শরীরে নিয়ে এসেছিলাম চকলেট কালারের গন্ধ।

এক বছর পর আবার গেলাম। ভেবেছিলাম পুকুর হয়তো নদী হয়ে গ্যাছে যেখানে পানিচিল জেলেদের মতো মাছের শিকারি, মাছরাঙা ঠোঁট লাল করে বসে থাকে অভিমানে, মাছেরা খালবিলে বেড়াতে যায় মাঝে মাঝে, শাপলা ফুলের মাথায় বসে কামুক ভ্রমর।

কিন্তু না পুকুর পুকুরেই থেকে গ্যাছে, বরং একটু ছোট হয়ে গ্যাছে আয়তনে।

আমি ভুলে গেছিলাম যিনি মালিক তিনি পুকুরই বানিয়েছেন, মালিক পুকুরই বানাতে পারে, নদী না ....

বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬

জলিমা .......

আমার প্রিয়তমা টেবিলের পাশে, খুবই পাশে জানালা। জানালা দিয়ে নাগরিক দালান কোনো প্রকার কষ্ট ছাড়াই ভালো করে দেখা যায়। মাঝে মাঝে সফেদ আকাশ এসে ধরা দেয় দালানের ঠিক মাথা বরাবর। জানালার প্রতিবেশী কিছু সবুজ মাতৃগাছ। কিছু পাখি এসে সবুজ পাতার আড়ালে লুকায়। লুকিয়ে লুকিয়ে গান করে অজানা কথায়, অচেনা সুরে।

নাগরিক জীবন, স্থির আকাশ, সবুজ ঘরের অবুঝ পাখির কুলে শুয়ে আমি শ্রীমদ্ভগবদগীতা পাঠ করছি--

অবজানন্তি মাং মূঢ়া মানুষীং তনুমাশ্রীতম। পরং ভাবমজানন্তো মম ভূতমহেশ্বরম।।

বিকালের স্নিগ্ধ হাওয়া এসে আমার হৃদয়ে লাগে, শাহবাগের ফুলের দোকান আমার নাকের কাছে এসে মোলায়েম গন্ধ বিলায় -- আমি উত্তাল, আমি বেতাল, আমি মাতাল নগরের বন্য প্রিয় ছবি। তবুও মনে পড়ে কবি বলে একবার ডেকেছিলে তুমি-- সেই তুমি, এই তুমি।

তোমাকে আমি জলিমা বলে ডাকি। জলিমা এক সংসারের নাম, জলিমা প্রিয় কোন ইশান কোনের তারার নাম, জলিমা জলাভূমি-মরুভূমির মাঝখানে আস্তে বয়ে চলা কোনো এক পানসে নদীর নাম। জলিমা আমার মধ্যদিনের ভরা স্বপ্নের রোদেলা দুপুর।

জলিমা,

আমার জানালাটা সব সময় খোলা, রোদ আসে কিন্তু বৃষ্টি কেন যেন আসে না। জানালা দিয়ে যখন তাকাই, যখন দৃষ্টিতে রাস্তা আসে, দেখি তুমি ইশারায় আমাকে ডাকছো , ছায়াধবনি শুনতে পাই '' নীচে নেমে আসো"।

জলিমা,

কতটুকু নীচে নামলে নীচটা ঠিক তোমার মতো দেখায়!?

সোমবার, ৬ জুন, ২০১৬

ণ ন

ণ' বর্নটি অনেকের কাছে গুরুত্বপূর্ন মনে হতে পারে। আমার কাছে তার কোনো গুরুত্ব নেই। আমি ভাই ন'কে নিয়ে বেশ ভালো আছি। আপন অর্থ নিজ আবার আপণ অর্থ দোকান, এতো সব দরজা আর তালা চাবি আমার ভালো লাগে না।

আমি আপনে যাই = দোকানে যাই

আপন কাজে মন দাও = নিজ কাজে মন দাও

কারো কাছে আমার বক্তব্য পরিষ্কার করার জন্য ণ' ব্যবহার করতে হয়নি। তাই সহজিয়া বানান জীবনে আমি সংসার করি 

অর্বাচীন

কত অর্বাচীন আমি-- কত কথা বলে চলি এখানে সেখানে-- দাঁতের ফাঁকে জমে নাতো অপ্রিয় কথা যেন হাজার মাইল বেগে চলছে, চলে কথার বাহন-- না জানা সুরও বিজ্ঞের অভিনয়ে গেয়ে যাই-- হাসির আড়ালে লুকায় লুকায় মাপ তাপ অনেক দিনের জমানো বরফ-- চোখের জলে ঢাকি অজানা অজ্ঞতার সুমেরু পথ-- অভিশাপগুলো বুকে জড়ায়ে একবার মরতে চাই-- বেঁচে থাকা হলো না আমার মরনের সুতীব্র চেষ্টায়  

রবিবার, ৫ জুন, ২০১৬

সুন্দরী

সুন্দরী মোবাইল সার্ভিস ভালো দেয় না। কাজে সুন্দর মোবাইল চান্দের লাহান শুধু মুখ দেখায় না 

ব্যাকরণ

বাংলাদেশ বাংলা ব্যাকরন শেখার আগে ইংরেজি ব্যাকরন শিখে। আমিও শিখেছিলাম। কারন মান্যজন বলতেন চাকরী নামক পরকালে সূর্য যখন ঠিক মাথার উপরে থাকবে তখন ইংলিশ ভাষা ও তার ব্যাকরন ছায়া হিসাবে কাজ করবে।

মান্যজনের কথা মিথ্যা নয়, শতভাগ সত্যি! কিন্তু ইংলিশদের গালি দেয়ার আগে মনে হয় একটু ভাবা যেতে পারে কেমন করে তারা এতো মাননীয় জায়গা অর্জন করে নিলো-- এটা কী শুধুই আমাদের জাতিগত হীনমন্যতা নাকি আলসেমির ফাইনাল রেজাল্ট ....

জ...

মস্তিষ্ককে ঠিক রাখার জন্য চিন্তা করা আবশ্যক। চিন্তাকে আয়নার মতো দেখার জন্য লেখালেখি জরুরী। চিন্তার আখড়া দেহকে ঠিক রাখার জন্য ব্যায়াম প্রয়োজনীয়। যে কন্ঠে কথা বলা হয় তার যত্ন হিসাবে সুররেওয়াজ দরকারী।

সকল কাজ করার জন্য হৃদয়ে প্রেম থাকা ফরজে আইন। একমাত্র প্রেমিকই উপলব্ধি করতে পারে প্রত্যেক কাজ প্রত্যেক কাজের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। 

হাবিব ভাই

আপনি যে কাজ করেন সেই কাজের সার্টিফিকেট আশা করা বোকামি। সার্টিফিকেট দেয়া নেয়া প্রতিষ্ঠানের কাজ। প্রতিষ্ঠান সব সময় তার বানানো ফর্মায় আপনাকে মূল্যায়ন করবে। কখনো আপনার মতো করে প্রতিষ্ঠান চিন্তা করতে পারবে না। এখন আপনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান হতে চান নাকি প্রতিষ্ঠানের পন্য হতে চান বিষয়টি একান্ত আপনার।

আমার পরিচিত এক ভাই এখন ভালো মানের ব্যবসায়ী। তার ব্যবসায়ী হওয়ার কথা ছিল না। কথা ছিল কৃষক হওয়ার। এখন সে কৃষি কাজও দেখাশোনা করে আবার ব্যবসাও করে। কিন্তু তার ব্যবসার শুরুটা খুব মজার। পুঁজি বায়ান্ন টাকা।
মাত্র বায়ান্ন টাকা!  

একদিন বায়ান্ন টাকা দিয়ে গ্রামীণ ফোনের একটি মোবাইল কার্ড কিনে নিয়ে আসে নিজে ব্যবহারের জন্য। পাশের বাড়ির যুবক কার্ড কিনতে যাবে। যেহেতু গ্রাম এলাকা এবং রাত সেহেতু আশেপাশে মোবাইল রিচার্জ কার্ড পাওয়া জটিল। খুবই জটিল।

রাস্তায় লোকটির সাথে ভাইয়ের দেখা।

কিরে কই যাস?

আরে ভাই মোবাইলে টেহা শেষ,  কার্ড কিনতে যাই।

আমার কাছে একটা আছে।

ভাই দেও দেও, তাড়াতাড়ি দেও।

আগে আমারে একটা গোল্ডলিফ ( তখন গোল্ডলিফ পাঁচ টাকা ছিল) সিগারেট খাওয়া।

এই নাও সিগারেট।

পরের দিন ভাই আরও দুইটি মোবাইল কার্ড বেশী আনে।

প্রায়  রাতে লোকটি নিজেই ঘরে খোঁজ করতে আসে মোবাইল কার্ড আছে কিনা।
ভাই বলে আছে তবে দুই টাকা করে লাভ দেয়া লাগবো।

ছেলেটি দুই টাকা লাভ দিয়ে মোবাইল কার্ড কিনে। আস্তে আস্তে ভাই কার্ড কিনে আনার পরিমান বাড়াতে থাকে। একটি থেকে দুইটি, দুইটি থেকে পাঁচটি, পাঁচ থেকে পঞ্চাশ, পঞ্চাশ থেকে পাঁচশ। ক্রেতার পরিমানও বাড়তে থাকে গানিতিক হারে।

এক সময় বাড়িতে বসেই ফ্লেক্সিলোড চালু করে, সিম বিক্রি আরম্ভ করে। সিম বিক্রেতা হিসাবে উপজেলাতে কয়েকবার প্রথমস্থান অর্জন করে।

গ্রামীণ কোম্পানিতে তার স্বনাম ছড়িয়ে পড়ে। কোম্পানির ডিবিশন ম্যানেজার তাকে ফোন দিয়ে তার দোকান পরিদর্শনের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে। আমাকে ভাই ফোন দেই--
ভাই, আমার তো দোকান নাই, এখন কী করবো?

আমি বললাম আপনি যা,  অফিসারের কাছে তাই প্রকাশ করেন। আগে অফিসারকে আসতে দেন।

অফিসার তার দোকান দেখতে আসে।

ভাই, অফিসারকে যথেষ্ট পরিমানে আপ্যায়ন করে।
হাবিব সাহেব, আপনার আপ্যায়নে মুগ্ধ। এখন চলেন আপনার দোকানে যাই।

ভাই বলে, আপনারা যেখানে বসে আছেন এটাই আমার দোকান।

প্রাতিষ্ঠানিক অফিসাররা অবাক হয়ে গেলো। মানুষ দোকান দিয়ে, দোকানে লাইটিং ফাইটিং দিয়েও দুই একশ সিম বিক্রি করতে পারে না,  আর এই ছেলে দোকান ছাড়া হাজার হাজার সিম বিক্রি করে ফেলে।

এখন হাবিব টেলিকম নামে ভাইয়ের একটি দোকান আছে। তার দোকানে কর্মচারী কাজ করে।

কয়েকদিন আগে ফোন দিয়ে বললাম ভাই আমার পাঁচ হাজার টাকা লাগবে। সে আমাকে জানায় ভাই তুই আগে ফোন দিলি না, দুইদিন আগে পাঁচ লক্ষ টাকা এক জায়গায় বিনিয়োগ করেছি।

আমি তাকে বললাম বড় বড় ব্যবসায়ীরা পাঁচ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারে ছোট ভাইদের জন্য পাঁচ হাজার টাকা থাকে না এটাই বাস্তবতা।
সমস্যা নাই আমার কাছেও বায়ান্ন টাকা আছে! 

শুক্রবার, ৩ জুন, ২০১৬

জলিমা ......

প্রতিদিন কোটি কোটি নক্ষত্র জন্মগ্রহন করে আবার কোটি কোটি নক্ষত্র মারা যায়। কোটি নক্ষত্রের মাঝে একটি নক্ষত্র আমার চেনা। একটি নক্ষত্রের সাথে আমার দেখা হয় রোজ বৈঠকে খাবার টেবিলে, ধ্যানে জ্ঞানে চিন্তায়। তাকে আমি হাত দিয়ে স্পর্শ করতে পারি না, তার স্পর্শ অনুভব করি। তার নাম নেই, সে এক উপলব্ধির নাম, আমার সেই প্রিয়তমা উপলব্ধি জলিমা।

জলিমা, 

পৃথিবী থেকে আরেকটি সপ্তাহ চলে গেলো, আরেকটি ধাপ এগিয়ে গেলাম মৃত্যুর পথে। মৃত্যু কোনো সাধারন সমীকরন নয়, মৃত্যু একটি পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান। আজও আমার অগোছালো চুলে তোমার হাতনিড়ানি এগিয়ে আসেনি প্রিয়তমা শিহরনের কোনো আমাজিং এলাকায়। 
কিন্তু আমি তো তোমার অধরা হাতের ছায়াশিহরন অনুভব করি দেহের প্রত্যেক নালায়। উপলব্ধি আর স্পর্শের মাঝে যতটুকু শুন্যতা ততটুকু অস্থিরতা এই হৃদয়কে সহ্য করতে হয় অসীম সীমানার অব্যক্ত সন্ধ্যার কোনো এক নিশ্চুপ অন্ধকারে। 

অন্ধকারের শরীরের ভেতর যদি একখান বাড়ি বানাতে পারতাম তাহলে হয়তো তোমার আধেক নীলিমায় আমার মালিকানা হিসাব কষতে হতো না-- ক্যালকুলাসের সূক্ষ্ম হিসাবের জায়গায়ও আমার অবস্থান মাইনাস বর্গের উপরে থাকতো। 

জলিমা,

অসুস্থতা এক মানসিক পর্যায়। সুস্থতাও মানসিক গাঠনিক প্রিয়তা। প্রত্যেক কিছুর পেছনে কাজ করে মানসিকতা। মানসিকতার হিসাবে কেউ রাজা, কেউ প্রজা, কেউ ভালো, কেউ মন্দ। 

কিন্তু হৃদয়?

হৃদয় এক কালিক স্রোতের নাম যাকে কাবিনে কেনা যায় না, মন্ত্রপাঠপূর্বক যার মালিকানা অর্জন করা যায় না। তোমার বীজগনিত বীজগনিত খেলা বন্ধ করে কবে আসবে আমার মাতাল প্রায় হৃদয়ের উর্বর আঙিনায়। আমি আধেক হৃদয়ানুভূতি নিয়ে বসে আছি, তুমি  আসলেই পূর্নাঙ্গ হবো,পূর্নাঙ্গ হবো জলিমা 

বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০১৬

আমগো নেতা

আমাদের দেশের নেতারা শুধু নেতা। তারা সারাদিন শুধু মানুষ নিয়ে ব্যস্ত। তারা সমস্যা সমাধানের আমির সাব। ছোট কালে শুনতাম শকুন নাকি গরুর মৃত্যুর জন্য প্রার্থনা করে-- কথাটিকে এখনো কথার কথা হিসাবেই জানি। কিন্তু আমগো নেতারা হারাদিন মানুষ সমস্যায় থাকুক এই প্রার্থনা করে-- এটা কিন্তু কথার কথা না, বাস্তব সত্য।  সমস্যা না থাকলে তারা নেতাগিরি দেখাবে কোথায়! তাদেরকে মানুষ সম্মান করবে কেন! তাদের হাউন আইবো কোথা থেকে!!


এই মিয়া আফনে আমগো নেতা ভাই গো নিয়া কী কন? আফনে জানেন হে গো কত ব্যবসা আছে?


আরে ভাই জানি, ভালো করেই জানি। তদবিরের চেয়ে ভালো কোনো ব্যবসা নাই বাংলাদেশে। বিনা পুঁজিতে রুজি। এই তদবিরের ব্যবসা বাংলাদেশে চালু করছে কেডা আফনে জানেন মিয়া?

কেডা চালু করছে?

আমগো নেতা ভাইয়েরা ( চরম ক্রিয়েটিভ)।

এই প্রযুক্তির যুগে তদবিরের ব্যবসা এক্কেবারে চাঙ্গা। হালি ফোনটা পকেট থেইক্কা হুলবো আর কইবো আমারে `চিনবার পাইছো,  আমি ইমুক'। মোবাইলের অপর প্রান্তে যে আছে সে `জ্বি ভাই জ্বি ভাই ' বলতে বলতে একসারা।

আর দেশের যে  কোনো প্রান্তে সাধারন মানুষ যে কোনো  উপায়ে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে যে টাকা উপার্জন করে তার এক অংশ বিনা পরিশ্রমে নেতাগো এ্যাকাউন্টে চলে যায়। নেতারা কষ্ট করে বোথে যায় আর এটিএম কার্ড ইস্যু করে আর ফরফর কইরা টাকা বের হয়ে আসে।

তাগো ব্যবসার কথা কইতে গেলে রাইত শেষ অইয়া যাইবো। তারা ব্যবসার নামে খানকা খোলে বসছে। অর্থনৈতিক লেনদেনের সব হিসাব আল্লার রহমতে তাগো খানকায় সম্পূর্ন হয়।

নেতা ভাইয়েরা যে টুপি পড়ে তার অর্থ কিন্তু ধর্মীয় উদ্দেশ্যের চেয়েও পাবলিক সিন্টিমেট আদায়ের দিকেই দৃষ্টি।

নেতা ভাইগো দেখলেই পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের হোসেন মিয়ার কথা মনে পড়ে, হোসেন মিয়া ময়নাদ্বীপ বানাইতে চেয়েছিল আর নেতারা বানাইতে চায় হাওয়া ভবন। হাওয়া ভবনে হাওয়া কেনাবেচা অই, সাধারন মানুষের ইচ্ছা অনিচ্ছার কোনো মূল্য নেই।

নেতারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে। কারন ক্ষমতার অপব্যবহার না করলে ক্ষমতা যে আছে তা ক্যামনে জনগন বুঝবে। জনগনও ক্ষমতার পূজারী-- সঠিক বেঠিক পরের কথা জনগন নেতা গো কাছ থেকে ক্ষমতার শক্তি প্রার্থনা করে। আর একটি দেশের জনগনের জিন্দাবাদ যে দিকে সেই দিকে জিন্দাবাদ সুবিধাবাদ নেতা তৈরি হবে এটাইতো স্বাভাবিক কথা। 

বুধবার, ১ জুন, ২০১৬

Silent

Want a silent walk blowing along the crowd
Don't ask me why
Unable to cite radically unable
You are living within the candle truth
Between the able listen words you are been
I am very much afar, very much sure
Need a silent crowd beyond the words 

আজকে

নারীন্দা ফুল অনেক আগেই গান্দা হয়ে গ্যাছে
গাঙচিল উড়ে যায় বটের ছায়ায়, মেঘনা নদীর পাড় ধরে পাগলা নদীর পাশে বাইশমৌজা বাজারে
সকাল থেকেই টুপটাপ বৃষ্টি
আসমানী আজ মেলে ধরেছে পেখমী ডানা
ফুল তুলতে মানা, গন্ধ নিতে মানা
ভোর রাতের কিছুক্ষন আগেও তারা অভ্যাসগত কানা
মানুষের পোষাকে বহু প্রানী মার্কেটে হাটে, সদাই করে হলুদগুঁড়া আর মরিচ
আকাশ যদি নুয়ে না পড়ে মানু তাকে আকাশ বলে না, স্পর্শ দিলেই তরলবাতাস হয়ে উঠে আকাশনীলা