মুসা নবীর যুগের এক পাগল। মুসা নবী যে রাস্তা দিয়ে তুর পাহাড়ে যায় সেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।
মুসা কই যাও?
আল্লার লগে দেখা করতে যাই।
তোমার আল্লারে একটা কথা জিগাইবা?
কী কথা?
আমি জান্নাতি, না জাহান্নামি?
হ জিগামু।
মুসা নবী তুর পাহাড় থেকে বাড়ি ফিরছে। তখনো সন্ধ্যা নামেনি। সকাল থেকে পাগল রাস্তায় দাঁড়ানো। মুসা নবী আসবে, তার কাছ থেকে সে জানবে তার পরকালীন অবস্থান।
মুসা আল্লারে জিগাইছো?
হ।
আল্লা কী কইছে?
আল্লা কইছে তুমি জাহান্নামি!
তারপর থেকে পাগল আনন্দে নাচতে আরম্ভ করে। সন্ধ্যা থেকে রাত, রাত থেকে সকাল পাগলের আনন্দনাচ শেষ হয় না। সকালে আবার মুসা নবীর সাথে দেখা।
পাগল তুমি তো জাহান্নামি, তো তুমি নাচো ক্যান?
আরে মুসা, আল্লা এতো কোটি কোটি লোকের মাঝে আমার মতো কীট মানুষ রে চিনে এটাই আমার আনন্দ।
মুসা নবীর চোখে জল এসে গেল। মুসা নবী ভাবলেন এতো সুক্ষ্মদর্শী প্রেমিক তো আমিও হতে পারি নাই।
প্রজাপতি,
প্রেম কখনো প্রাপ্তির মানে নির্ধারিত হয় না। প্রেম অন্তরের গোপন গুহায় মিটমিট করে জ্বলতে থাকা এক জোঁনাকি পোকা-- যতনে বাড়ে তার আলো, অযতনে আরো বেড়ে যায়, আরো বেড়ে যায় তার স্রোত, নদী, আলো।
তোমার দেয়া গালি আমার কাছে প্রমিত সুর হয়ে যায় যা শুনে কখনো বিরক্তি আসে না। কী ঝরণাময়া তোমার গালি! ধীরে ধীরে গালির মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
গালি শুনতে আমার ভালো লাগে। কারণ গালির মধ্য দিয়ে মানুষের অপছন্দের জায়গাগুলো সনাক্ত করা যায়। মানুষ যা অপছন্দ করে ছোট্ট সুবিধার কারণে তাই নিয়ে গড়ে তুলে আরেক গালিমি জীবন। তাইতো তাদের গালি গদ্যময়।
আর তোমার গালি ইশ্বরের মতো সংলাপধর্মী।
ইশ্বরকে অন্তরে উপলব্ধি করতে মানুষ কত সাধনা করে। আমিও হয়েছি সাধক, প্রজাপতির সাধক। যদি একবার তোমার উপলব্ধি আমার অন্তরে মন্দিরের ঘণ্টার মতো বেজে ওঠে তাহলে তোমার দেয়া গালির মর্যাদা আংশিক হয়তো রক্ষা করতে পারবো।
মুসা নবীর যুগের সেই প্রেমিক পাগল হয়তো আমি নই, তারপরও পাগলটিকে আমার অনেক ভালো লাগে। আর মানুষের যা ভালো লাগে ধীরে ধীরে মানুষ তাই হয়ে যায়।
নাকি পাগল হয়েই আছি? নতুবা সংসার সীমান্ত গল্পের রজনীকে এতো মনে পড়ে কেন? কেন মনে পড়ে ডাকঘর নাটকের সেই অমৃত সংলাপ-- সুধা তোমাকে ভুলে নি।
প্রজাপতি,
তুমি কী অমলের সুধা হবে? তা হলেও অন্তত মৃত্যুর কিংবদন্তী তৃষ্ণা থাকবে না আমার,
থাকবে না আমার।
মুসা কই যাও?
আল্লার লগে দেখা করতে যাই।
তোমার আল্লারে একটা কথা জিগাইবা?
কী কথা?
আমি জান্নাতি, না জাহান্নামি?
হ জিগামু।
মুসা নবী তুর পাহাড় থেকে বাড়ি ফিরছে। তখনো সন্ধ্যা নামেনি। সকাল থেকে পাগল রাস্তায় দাঁড়ানো। মুসা নবী আসবে, তার কাছ থেকে সে জানবে তার পরকালীন অবস্থান।
মুসা আল্লারে জিগাইছো?
হ।
আল্লা কী কইছে?
আল্লা কইছে তুমি জাহান্নামি!
তারপর থেকে পাগল আনন্দে নাচতে আরম্ভ করে। সন্ধ্যা থেকে রাত, রাত থেকে সকাল পাগলের আনন্দনাচ শেষ হয় না। সকালে আবার মুসা নবীর সাথে দেখা।
পাগল তুমি তো জাহান্নামি, তো তুমি নাচো ক্যান?
আরে মুসা, আল্লা এতো কোটি কোটি লোকের মাঝে আমার মতো কীট মানুষ রে চিনে এটাই আমার আনন্দ।
মুসা নবীর চোখে জল এসে গেল। মুসা নবী ভাবলেন এতো সুক্ষ্মদর্শী প্রেমিক তো আমিও হতে পারি নাই।
প্রজাপতি,
প্রেম কখনো প্রাপ্তির মানে নির্ধারিত হয় না। প্রেম অন্তরের গোপন গুহায় মিটমিট করে জ্বলতে থাকা এক জোঁনাকি পোকা-- যতনে বাড়ে তার আলো, অযতনে আরো বেড়ে যায়, আরো বেড়ে যায় তার স্রোত, নদী, আলো।
তোমার দেয়া গালি আমার কাছে প্রমিত সুর হয়ে যায় যা শুনে কখনো বিরক্তি আসে না। কী ঝরণাময়া তোমার গালি! ধীরে ধীরে গালির মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
গালি শুনতে আমার ভালো লাগে। কারণ গালির মধ্য দিয়ে মানুষের অপছন্দের জায়গাগুলো সনাক্ত করা যায়। মানুষ যা অপছন্দ করে ছোট্ট সুবিধার কারণে তাই নিয়ে গড়ে তুলে আরেক গালিমি জীবন। তাইতো তাদের গালি গদ্যময়।
আর তোমার গালি ইশ্বরের মতো সংলাপধর্মী।
ইশ্বরকে অন্তরে উপলব্ধি করতে মানুষ কত সাধনা করে। আমিও হয়েছি সাধক, প্রজাপতির সাধক। যদি একবার তোমার উপলব্ধি আমার অন্তরে মন্দিরের ঘণ্টার মতো বেজে ওঠে তাহলে তোমার দেয়া গালির মর্যাদা আংশিক হয়তো রক্ষা করতে পারবো।
মুসা নবীর যুগের সেই প্রেমিক পাগল হয়তো আমি নই, তারপরও পাগলটিকে আমার অনেক ভালো লাগে। আর মানুষের যা ভালো লাগে ধীরে ধীরে মানুষ তাই হয়ে যায়।
নাকি পাগল হয়েই আছি? নতুবা সংসার সীমান্ত গল্পের রজনীকে এতো মনে পড়ে কেন? কেন মনে পড়ে ডাকঘর নাটকের সেই অমৃত সংলাপ-- সুধা তোমাকে ভুলে নি।
প্রজাপতি,
তুমি কী অমলের সুধা হবে? তা হলেও অন্তত মৃত্যুর কিংবদন্তী তৃষ্ণা থাকবে না আমার,
থাকবে না আমার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন