কলকাতা স্টেশনে নামলাম। চিতপুর স্টেশনকে কলকাতা স্টেশন বলা হয়ে থাকে। এখন ট্যাক্সি করে যেতে হবে হাওড়া স্টেশন।
তখন রাত, তখন অন্ধকার। অন্ধকার এবং রাতের সাথে আমার ভালো পরিচয় থাকলেও কলকাতার ট্যাক্সি চালকদের সাথে আমার তেমন ভালো পরিচয় নেই। তাছাড়া আমার বন্ধুরা আগেই সর্তক করে দিয়েছে কলকাতা খুব নিরাপদ শহর না। আমি কিন্তু ভয় পেতে ভালোবাসি। তাই ভয়টাকে উপভোগ করছি। ভয় আর আমি মিলে ট্যাক্সি চালকের গাছে গেলাম।
যাবেন?
কোথায়?
আড়াই শত টাকায় যতদূর নেয়া যায়( কথাটি শুনেই ট্যাক্সি চালকের মুখে অনবদ্য হাসি)।
বসেন।
আমি ট্যাক্সি চালকের পাশের সিটে বসলাম। বসেই শুরু হলো কথা। রিক্সাচালক আর ট্যাক্সি চালকের সাথে আমি খুব স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলি, তারাও।
কাকু, এই যে কলকাতা শহর, কলকাতা শহরে এতো আলো ঢিসঢিস করছে, অন্ধকার পরাজিত হয়ে মামার বাড়ি চলে গেছে, কার জন্য জানেন?
কার জন্য?
টমাস আলভা এডিসন, আইনস্টাইন, মাইকেল ফ্যারাডে প্রমুখ ব্যক্তিদের জন্য।
আচ্ছা কাকু,
ধরেন, টমাস আলভা এডিসন আমার মতো বয়সী, তখনও তিনি বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিষ্কার করেননি। তিনি কোনো এক অপরিচিত ট্যাক্সিতে উঠলেন। আর ট্যাক্সি চালক তাঁর কাছে যা আছে সব কিছু ছিনতাই করে তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেয়, পরে রাস্তা থেকে একদল মানুষ তাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার নাম করে তাঁর একটি কিডনিসহ আরো গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিক্রি করে দেয়। সুস্থ টমাস আলভা এডিসন প্রায় অসুস্থ হয়ে যায়। তাহলে কি আমরা আজকের এই বৈদ্যুতিক উন্নতি উপভোগ করতে পারতাম? আজকের এই আলোকিত কলকাতা শহর পেতাম?
আমি কি একজন টমাস আলভা এডিশন হতে পারি না!
কাকু মিটমিট করে হাসলেন। হেসে আমাকে বললেন,
কাকু তুমি টমাস আলভা এডিসন কেন, তাঁর চেয়ে অনেক শক্তিশালী হতে পারো, কিন্তু আমি সেই ছিনতাইকারী হতে পারি না!
না কাকু আমি কিন্তু আপনাকে ছিনতাইকারী বলছি না। আমি বলতে চাচ্ছি প্রতিটি মানুষ অনেক বড়, অনেক সম্ভাবনাময়!
বা প রে, তোমার মতো করে যদি কেউ ভাবতো তাহলে আংশিক হলেও তার বাস্তবায়ন দেখতে পেতাম, পৃথিবী অনেক সুন্দর হয়ে যেত।
আমার তখন মনে পড়লো সুফিয়া কামালের কথা যিনি বলেছিলেন পৃথিবীতে ভালো মানুষদের সংখ্যা বেশি কিন্তু তাঁরা বিচ্ছিন্ন, আর খারাপ মানুষদের সংখ্যা কম কিন্তু তারা একত্রিত।
তখন রাত, তখন অন্ধকার। অন্ধকার এবং রাতের সাথে আমার ভালো পরিচয় থাকলেও কলকাতার ট্যাক্সি চালকদের সাথে আমার তেমন ভালো পরিচয় নেই। তাছাড়া আমার বন্ধুরা আগেই সর্তক করে দিয়েছে কলকাতা খুব নিরাপদ শহর না। আমি কিন্তু ভয় পেতে ভালোবাসি। তাই ভয়টাকে উপভোগ করছি। ভয় আর আমি মিলে ট্যাক্সি চালকের গাছে গেলাম।
যাবেন?
কোথায়?
আড়াই শত টাকায় যতদূর নেয়া যায়( কথাটি শুনেই ট্যাক্সি চালকের মুখে অনবদ্য হাসি)।
বসেন।
আমি ট্যাক্সি চালকের পাশের সিটে বসলাম। বসেই শুরু হলো কথা। রিক্সাচালক আর ট্যাক্সি চালকের সাথে আমি খুব স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলি, তারাও।
কাকু, এই যে কলকাতা শহর, কলকাতা শহরে এতো আলো ঢিসঢিস করছে, অন্ধকার পরাজিত হয়ে মামার বাড়ি চলে গেছে, কার জন্য জানেন?
কার জন্য?
টমাস আলভা এডিসন, আইনস্টাইন, মাইকেল ফ্যারাডে প্রমুখ ব্যক্তিদের জন্য।
আচ্ছা কাকু,
ধরেন, টমাস আলভা এডিসন আমার মতো বয়সী, তখনও তিনি বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিষ্কার করেননি। তিনি কোনো এক অপরিচিত ট্যাক্সিতে উঠলেন। আর ট্যাক্সি চালক তাঁর কাছে যা আছে সব কিছু ছিনতাই করে তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেয়, পরে রাস্তা থেকে একদল মানুষ তাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার নাম করে তাঁর একটি কিডনিসহ আরো গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিক্রি করে দেয়। সুস্থ টমাস আলভা এডিসন প্রায় অসুস্থ হয়ে যায়। তাহলে কি আমরা আজকের এই বৈদ্যুতিক উন্নতি উপভোগ করতে পারতাম? আজকের এই আলোকিত কলকাতা শহর পেতাম?
আমি কি একজন টমাস আলভা এডিশন হতে পারি না!
কাকু মিটমিট করে হাসলেন। হেসে আমাকে বললেন,
কাকু তুমি টমাস আলভা এডিসন কেন, তাঁর চেয়ে অনেক শক্তিশালী হতে পারো, কিন্তু আমি সেই ছিনতাইকারী হতে পারি না!
না কাকু আমি কিন্তু আপনাকে ছিনতাইকারী বলছি না। আমি বলতে চাচ্ছি প্রতিটি মানুষ অনেক বড়, অনেক সম্ভাবনাময়!
বা প রে, তোমার মতো করে যদি কেউ ভাবতো তাহলে আংশিক হলেও তার বাস্তবায়ন দেখতে পেতাম, পৃথিবী অনেক সুন্দর হয়ে যেত।
আমার তখন মনে পড়লো সুফিয়া কামালের কথা যিনি বলেছিলেন পৃথিবীতে ভালো মানুষদের সংখ্যা বেশি কিন্তু তাঁরা বিচ্ছিন্ন, আর খারাপ মানুষদের সংখ্যা কম কিন্তু তারা একত্রিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন