রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ভাবনা

মানুষ লিখছে। প্রতিনিয়ত লিখছে (যেহেতু  বলতে পারি না I don't think,  বলতে হয় I don't think so)।

কোথায় লিখছে?

মানুষ তার মনে লিখছে। লিখছে বলেই মানুষ কথা বলতে পারে। অবশ্যই অন্ধের দেখার দৃষ্টি অনুভূতিপরায়ণ, চক্ষুস্নায়ু সমেত মানুষের দৃষ্টি দৃশ্যকরণ+...= অন্য রকম। অন্য রকম + অন্য রকম = ভিন্ন রকম = সাহিত্যের জগৎ।

আমি মনে করি লেখা হল কথা অথবা উন্নত কথা। উন্নত কথা বললে আমার doctrine টি সাহিত্যের ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছে আংশিক জায়গা পেতে পারে।

একটা সময় গ্রিসের প্রতি তিন জন লোকের মাঝে একজন ছিল সাহিত্যিক(ক্রেতা- বিক্রেতাদের মতে)।

কীভাবে?

তারা সংজ্ঞা অনুবাদ করে সাহিত্যের কাঠামো নির্ধারণ করে নাই। ফলে লেখাকে জাতে তোলার কোনো প্রাদেশিক প্রতিযোগিতা ছিল না। অনুভূতির transfer ছিল আসল কথা।

প্রতিষ্ঠান ( অবশ্যই Nature is the great master)  প্রথা চর্চা করে, সাহিত্য না। ফলে প্রতিষ্ঠানের সাথে সাহিত্যের একটি বিরোধ বিদ্যমান। কারণ মানুষ অনেক বড় ধরনের সংক্রমিত প্রাণি। এক বিষয়, এক কথা তার বেশি দিন ভালো লাগে না। ড্রেস বদলের মতো outlook বদল করা তার সহজাত প্রবৃত্তি। যত বিশ্বায়নের মুখোমুখি মানুষ হবে ততই মানুষ বদলে বিশ্বাসী হবে। বদলে যাবে তার কথা মানে সাহিত্য।

আমার বন্ধুর সাথে কথা বলতে ভেতর থেকে ভাব টেনে আনতে হয় না। তাহলে তথায় কথিত সাহিত্য রচনা করতে ভাব ভেতর থেকে টেনে আনার প্রসঙ্গ থাকবে কেন?
হ্যাঁ থাকবে এই জন্য যে, আমাদের সমাজে এখনো জাতিপ্রথা বিদ্যমান, জাতপ্রথা শক্তিশালী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন