সোমবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৫

জনমত

শিকার যুগ। মানুষ তখন শিকার করে দিনযাপন করে। মানুষের চাহিদা একটি দিনের ভেতরে সীমাবদ্ধ থাকে। চাহিদার সীমাবদ্ধতার কারণে হানাহানির পরিমাণও সীমাবদ্ধ। মানুষের মধ্যে জমা করার প্রবণতা দেখা দেয়। কারন কোনোদিন অধিক শিকার মিলে আবার কোনোদিন মিলে না। শিকার না মিললে উপোস থাকতে হয়। উপোস যাতে না থাকতে হয় সেই জন্যই জমা রাখার মানসিকতা তৈরি হয়। জমা রাখার প্রবণতাকে কেন্দ্র করে জন্ম নেয় বন্টন ব্যবস্থা। বন্টন ব্যবস্থাকে ভিত্তি করে গড়ে উঠে শ্রেণীসংগ্রাম। শ্রেণীসংগ্রাম মানুষকে বাধ্য করে সমাজ গঠনে। এক সময় মানুষ হয়ে উঠে পরিপূর্ণ সাংগঠনিক প্রাণি।
আজকের সামাজিক জীব।
জনমত সামাজিকতার প্রধান খুঁটি। এই খুঁটি ভেঙে গেলে সমাজ টিকেনা।
জনমত মানে প্রত্যেক জনগণের আলাদা আলাদা মত এমন না। জনমত মানে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করে এমন মত।
সমাজ ভাঙনের সিনেমা আমরা দেখতে পাই,দেখতে পাই লোক হয়ে উঠছেন ব্যক্তি। লোকের মাঝে যে সংহতি, ঐকতান থাকে আজকাল  ব্যক্তির মাঝে তা ক্রমবর্ধমান হারে হ্রাস পাচ্ছে। ব্যক্তি কেবল নিজের চাহিদা, প্রয়োজন, যোগান নিয়ে ভাবছেন। এক রুমে পাঁচ জন দিনযাপন করে অথচ কত সুন্দরভাবে পাঁচজনই আলাদা-- কাজে, প্রয়োজনে।

লোক {people~ body of persons comprising a community} থেকে উঠে আসা প্রতিনিধি যখন মত নির্ধারণ করে  তখনই তা হয়ে উঠে  পরিপূর্ণ জনমত। যতই মানুষ ব্যক্তি হয়ে উঠে ততই জনমতে ব্যক্তিমতের প্রাধান্য স্পষ্ট থেকে স্পটের দিকে যায়। সামাজিক ভাঙন বৃদ্ধি পায়। সমাজ ভঙ্গুর হলে ব্যক্তি কিংবা লোকের  অস্তিত্ব হুমকির স্রোতে ভাসে। তাইতো সমাজ ভাঙা যায়না, ভেঙে যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন