মাগরিবের সময়। পবিত্র বাণীতে বলা আছে মাগরিবের সময় পৃথিবী ধবংস হয়ে যাবে। এই সময়টাতে সব পাখি ঘরে আসে, সব নদী-- ফুরায় জীবনের সব লেনদেন। আমি কেবল ঘর থেকে বের হই, জীবনের মানে খুঁইজা লইতে চাই। একা একা হাঁটি, চিন্তা প্রক্রিয়াকে এক করার চেষ্টা করি। মাথায় কেবল একটি গান ঘুরপাক খায় --
আমার এই দুনিয়ার খেলা
মাগরিবেতে ডুবে যাবে গো
ভাবতে ভাবতে চিন্তা বিযুক্ত মনের দেখা পাই। চিন্তা বিযুক্ত মন যে শান্তির এসথেটিক আস্তানা তা শুধু বিশ্বাস নয়, মননে মান্য করি।
মাগরিবের এই সময়টাতে প্রেমতলার রাস্তা দিয়ে হাঁটি। মাগরিবের আযানের সাথে সাথে চমৎকার অন্ধকার এখানে আসতে থাকে। মাগরিবের নামাযের পর অন্ধকারের সুমিষ্ট ঘ্রাণ নাক দিয়ে প্রবেশ করে নিউরনে আলোড়ন তোলে। প্রকৃতির সাংসারিক জীবন খুব কাছ থেকে দেখতে পারি। তাদের জীবন দেখতে দেখতে যাত্রাপুর গ্রামে গিয়ে ওঠি। তখন আমার চেতন ফিরে। তখন আমার বাড়ি ফেরার পালা।
আড়াইসিধা আমার বাড়ি। ভূইঁয়া পাড়া। যাত্রাপুর গ্রাম থেকে ভূইয়া পাড়া আসার পথে একটি মাঠ অতিক্রম করতে হয়। এই মাঠের ফসল মূলত ধান। মাঠটি বছরে দুইবার ধান প্রসব করে । বাড়ি ফেরার সময় এই ফসলি মাঠের একটি নিদিষ্ট আইল ধরে হাঁটতে থাকি। আইলটি আমার মুখস্থ। চোখ বন্ধ করে হাঁটতে পারি।আইলটি পুকুর পাড়ের দিকে চলে গেছে। পুকুর পাড়ের পাশে ছোট্ট খাল। খালটি বাঁশের পুলে পার হতে হয়। খালটির পাশে মাটির একটি টিলা আছে ।
টিলাটির কাছে এলেই আমার প্রস্রাব চাপে। আমি এখানে বেশ আয়েশ করে প্রস্রাব করি।
এক বছর হয়ে গেল প্রেমতলার সেই রাস্তা দিয়ে হাঁটি না। বাড়ির ফেরার পথে মাটির দলায় প্রস্রাব করি না।
টিলাটি আজ ইট দিয়ে পাকা করা হয়েছে। এটি এখন
"নয়া বাবার মাজার "। অনেক দূর থেকে ভক্ত-মুরিদ বাবার মাজার জিয়ারত করার জন্য আসে।দরিদ্র মানুষ চোখের জলে বাবার কাছে প্রার্থনা করে, পুঁজিপতিরা গরু-মহিষ মাজারের সামনের গাছটিতে বেঁধে রেখে বাবার দরবারে মনের মুকসুদ পূর্ণ করার জন্য প্রার্থনা করে।
দশচক্রে ভগবান ভূত। দশের সাথে তাল মেলানোর জন্য আমিও " নয়া বাবার মাজারে " যাই। মাজারের খুশবু আমার নাকে আসেনা। আমার নাকে কেবল প্রস্রাবের গন্ধ আসে, যে প্রস্রাব আমি এক বছর আগে এখানে জমা রেখেছিলাম।
আমার এই দুনিয়ার খেলা
মাগরিবেতে ডুবে যাবে গো
ভাবতে ভাবতে চিন্তা বিযুক্ত মনের দেখা পাই। চিন্তা বিযুক্ত মন যে শান্তির এসথেটিক আস্তানা তা শুধু বিশ্বাস নয়, মননে মান্য করি।
মাগরিবের এই সময়টাতে প্রেমতলার রাস্তা দিয়ে হাঁটি। মাগরিবের আযানের সাথে সাথে চমৎকার অন্ধকার এখানে আসতে থাকে। মাগরিবের নামাযের পর অন্ধকারের সুমিষ্ট ঘ্রাণ নাক দিয়ে প্রবেশ করে নিউরনে আলোড়ন তোলে। প্রকৃতির সাংসারিক জীবন খুব কাছ থেকে দেখতে পারি। তাদের জীবন দেখতে দেখতে যাত্রাপুর গ্রামে গিয়ে ওঠি। তখন আমার চেতন ফিরে। তখন আমার বাড়ি ফেরার পালা।
আড়াইসিধা আমার বাড়ি। ভূইঁয়া পাড়া। যাত্রাপুর গ্রাম থেকে ভূইয়া পাড়া আসার পথে একটি মাঠ অতিক্রম করতে হয়। এই মাঠের ফসল মূলত ধান। মাঠটি বছরে দুইবার ধান প্রসব করে । বাড়ি ফেরার সময় এই ফসলি মাঠের একটি নিদিষ্ট আইল ধরে হাঁটতে থাকি। আইলটি আমার মুখস্থ। চোখ বন্ধ করে হাঁটতে পারি।আইলটি পুকুর পাড়ের দিকে চলে গেছে। পুকুর পাড়ের পাশে ছোট্ট খাল। খালটি বাঁশের পুলে পার হতে হয়। খালটির পাশে মাটির একটি টিলা আছে ।
টিলাটির কাছে এলেই আমার প্রস্রাব চাপে। আমি এখানে বেশ আয়েশ করে প্রস্রাব করি।
এক বছর হয়ে গেল প্রেমতলার সেই রাস্তা দিয়ে হাঁটি না। বাড়ির ফেরার পথে মাটির দলায় প্রস্রাব করি না।
টিলাটি আজ ইট দিয়ে পাকা করা হয়েছে। এটি এখন
"নয়া বাবার মাজার "। অনেক দূর থেকে ভক্ত-মুরিদ বাবার মাজার জিয়ারত করার জন্য আসে।দরিদ্র মানুষ চোখের জলে বাবার কাছে প্রার্থনা করে, পুঁজিপতিরা গরু-মহিষ মাজারের সামনের গাছটিতে বেঁধে রেখে বাবার দরবারে মনের মুকসুদ পূর্ণ করার জন্য প্রার্থনা করে।
দশচক্রে ভগবান ভূত। দশের সাথে তাল মেলানোর জন্য আমিও " নয়া বাবার মাজারে " যাই। মাজারের খুশবু আমার নাকে আসেনা। আমার নাকে কেবল প্রস্রাবের গন্ধ আসে, যে প্রস্রাব আমি এক বছর আগে এখানে জমা রেখেছিলাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন