শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

:::তারানি ::

তারানির ঠোঁটে জল। পাগলা নদীর জল। মাছ খোঁজতে গিয়ে যে জলে মাঝি নিজেকে হারায়। জলের শাসনে লালিত দাম মাছের বেডরুম। সেখানেও জেলেরা অভিযান চালায়। কৌঁসুলি অভিযান। মাছের চোখের জল নদীর জলের সাথে  একাকার। আনন্দ -বেদনার মিশেল জল, এই নদীর জল বড় বেশি কোমল।
গরমের সরব উপস্থাপনায় মর্জিনার মার ব্লাউজ ভিজে চপচপ। মর্জিনা দুই টেহার ফান্টা আইসক্রিমে গলা ভেজায়। ভেজা গামছা দিয়ে বার বার শরীর মুছে মর্জিনার বাফ। গরমের এমন উত্তেজনায় এই পাগলা নদীর জল শান্তির মেঘ বলাকা।
তারাচানের বালুময় মনে তারানির ঠোঁটজল তেমনি  তৃষ্ণামেটানোর সরাব। সূর্যকে মাইনাস করে অন্ধকার যেমন আস্তে আস্তে নদীর জলে নুয়ে পড়ে তেমনি তারাচান নুয়ে পড়ে তারানির হিমানী ঠোঁটে। সম্পূর্ণটাই তারাচানের মেডিটেশনের এলাকা।
ট্রেনের দৌড়ঝাঁপ। সাথে তার বিখ্যাত ঝকঝক শব্দ। তারাচানের চিন্তাগুলোও ঢেউ তোলা ইশারায় জীবনকূলে ভিড় জমায়। চিন্তার বিজ্ঞাপন বিরতিতে তারাচান তারানিকে বলে
     হুন, আজ্জা হাইনজালা নুরাইন ফুন দিছিন। পাচ বছর পরে। কইছিলাম না হে আমারে ফুন দিব
তারানির ঠোঁটে শ্রাবণ মাসের ঈশান কোনের মেঘ। দুখের তাপে মেঘ গলে চোখের জল। শ্যাওলাহীন চোখের জল গড়িয়ে পড়ে শব্দহীন আনজামে। তারানি থেকে জোদা হওয়া চোখের জলে তারাচান লিন্দা নৌকার মতো ডুব দেয়
     কান্দে কেরে, তুমার চখের পানি আমার কৈলজাত গিয়া লাগে, কান্দা থামাও, কইছি কান্দা থামাও

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন