শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

লেখকের কুড়েঘরে

জীবন যদি পূর্ণ লেখকময় না হয় তাহলে আস্ত  লেখা উপহার দেয়া অসম্ভব। উপহার! হ্যাঁ।
কারণ লেখার কোনো বিনিময় মূল্য হয় না। লেখক লেখেন একধরনের সৌন্দর্যচেতনা থেকে। চেতনার মূলে থাকে একান্ত নিজস্ববোধ। জন্মপরিচয়ের বাইরেও লেখক আলাদা পরিচয় খোঁজেন, চেনা-জানা পৃথিবীর বাইরে আলাদা জগতের সন্ধ্যানে থাকেন।
এখানেই জেলে আর লেখকের পার্থক্য!
জেলে জল থেকে মাছ কেড়ে আনেন। উদ্দেশ্য বৈষয়িক। লেখক জীবনের ভেতরে মাছ খোঁজ করেন। উদ্দেশ্য সংকটাপন্ন আমির একটি স্বাতন্ত্র্য আবহ। ইনডিভিজুয়্যাল টেলেন্ট বলতে যা বুঝানো হয় তার সাথে বর্তমান থাকা।
ফলে জেলে যখন মাছ খোঁজতে গিয়ে মাছই পান ;লেখক তখন মাছ খোঁজতে গিয়ে  নিজেকে হারান। একটি বীজ যেমন  দেহকে হারানো পর একটি বৃক্ষশাখা জন্ম দেয় তেমনি লেখক নিজেকে অনেকবার হারানোর পর শংকরময় এলাকার অবসান ঘটনায়। আবিষ্কৃত হয় জাত লেখকসত্তা। যারা আক্ষেপগ্রামের স্থায়ী  বাসিন্দা। যাদের স্বপ্নযাত্রার শুরু আছে শেষ নেই।
সমকালীন সমাজের পতি হওয়া তাদের লক্ষ্য নয়। তাঁরা জানেন অসুস্থ পাত্রে সুস্থতা বেমানান। অসুস্থতা সামাজিক।
যে গাছ সতেজ ফল দেয় বুঝতে হবে সেই গাছ সুস্থ জীবনযাপন করছে। যদি তার ফল গ্রহণ করা হয় তাহলে গ্রহীতার লাভ। গাছের তাতে কোনো আসে-যায় না।
সতেজ জীবনযাপন করাইতো আসল কথা, তাই না?
তাছাড়া তারুণ্য সতেজ সংক্রামকও বটে।
আর সংক্রামিত তারণ্য মরনের মতো দীর্ঘমেয়াদী। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন