বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

জী ব নী

জীবনী ,
তোমাকে কেন যেন শ্বেত ফসফরাসের মতো মনে হয় ।নিজে জ্বলে আমার অন্ধকার দেহকুঠিরটা  আলোকিত করে তোল ।তোমার দেয়া আলো নিয়ে মারিয়ানা ট্রেঞ্চ থেকে মাউন্ট এভারেস্ট পর্যন্ত চিন্তারশ্মি প্রসারিত করেছি ।

জানো ,
প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠে তুমি যে চিকন হাঁফ ছাড়  -হাওয়া তা আঁচলে বেঁধে আমার কাছে পৃথিবীর দামে বিক্রি করে ।আর আমি তা সেকুলাসের পকেটে রেখে সকাল-সন্ধ্যা অবধি তোমারই ধ্বনি মুখস্থ করি ।

কেমন আছো ,
জানতে প্রবল ইচ্ছে হয় ।কিন্তু ভয়ে আমার অন্তরের হাড়গুলো ঠকঠক করে কেঁপে ওঠে আবার যদি কোনো নিষেধাঙগার রুল জারি করা হয় ।এখন রাত ২:২৭ মিনিট ;তুমি ঘুমাচ্ছ নিশ্চয় , আমি কিন্তু রাতের পোশাক পরিধান করে তোমার পাশে তোমারই তসবি পাঠ করছি ।

বিশ্বাস করো ,
সূর্যের আলো হয়ে প্রতিদিন তোমার তোলা ছবিতে রং মেশাই , আবার রাতের শরীর নিয়ে তোমারই জাগতিক গন্ধভরা বায়ুসমুদ্রে স্নান করি ।

তারপরও কি বলবে আমি তোমার অপরিচিতা !

মেলানকলির কাঁটাতারে বিদ্ধ আমি , যদি তুমি জানতে  -তা হলে তোমার আকাশের দুরন্ত সূর্য এক চিলতে উড়ন্ত আলো ছড়াতো না ,মনে হয় না চাঁদের সোনালি আভা স্বাভাবিক ভাষায় জড়িয়ে ধরতো তোমার চোখের কর্নিয়া ।

তবে তুমি ভাগ্যবতী ,
অনেক জেনেও না-জানার রাজ্যে ডানা ছড়াতে পারো ।

সুখী করে , দুঃখী হওয়ার মন্ত্র পাঠ করি বলেই আজও কিন্তু আমি আমার ভুল বুঝতে পারিনি । তবে তোমার মনের তীর্থআশ্রমে অনুরোধ থাকল  -কখনো যদি তিন হাজার বছর পরপর স্বর্গ থেকে আসা উদম্বরার প্রতিচ্ছবি হিশেবে আমাকে দেখতে পাও,কখনো যদি সাগর খুঁড়তে গিয়ে ডাঙার জোনাকির মতো জলের জেলিফিশের অনুকরণে আমার দেখা মেলে ,তখন কিন্তু  আমাকে হতাশ করো না ।
তোমার হাতের ছোঁয়া পেতে দেহনাথ পাগল ,উন্মাদ হয়ে থাকবে ,তুমি আমাকে শান্ত করো ।
বেশি কিছু না দাও ,শুধু তোমার আঙুলের মৃদু স্পর্শে আমার মরুদেহে ঝরনা এনে দিও ।

অপেক্ষায় থাকলাম প্রাণজ প্রাপ্তির জন্যে ।

ভালো থেকো  -ভালোবাসার শব্দের মতো ;
আর আমি
জল হয়ে আসছি !
ততোক্ষণ ভালো থেকো  -বৃষ্টিমায়ের শিশুর মতো

    ইতি
         তোমারই হরিষে -বিষাদ
                জল

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন