শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

সৃজন

এককালে তুমি মানুষ ছিলে
আজ তুমি নারী
নারী তো সৃজনী,
সৃজন করলে "ভালোবাসি "

কৃষক

ভারতবর্ষের মাটি উর্বর। সচেতন -অচেতন উর্বশী। পাখির ঠোঁট থেকে বীজ মাটিতে পড়ে বৃক্ষ গজায়। তরতাজা তুলতুলে বৃক্ষ। এই ফার্টাইল মৃত্তিকাভূমির এককালীন প্লাটুন আমরা মানুষ। ফলে বংশগতভাবে আমাদের চিন্তাভূমি ক্রিয়াশীল উর্বর।
কিন্তু আমাদেরকে এখনো সনাতনী পদ্ধতিতে চাষ করা হচ্ছে! আর আমরা উৎপাদন করছি থ্রিজির যুগে শিবের গীতকাহিনি।
তাইতো প্রার্থনা প্রয়োজন উপযোগী কৃষকের।
যে কৃষক চিন্তাভূমিতে চাষ করবে সময়প্রাসঙ্গিক বীজ। পৃথিবী জন্ম দিবে সময়ের সন্তান। মানুষ গাইবে মানুষের গান। মানুষের মানদণ্ড হবে মানুষের প্রাণ!! 

রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

জল আর আমি

জলপরিবারে কোনো শ্রেণী বিভাজন নেই। প্রতিটি জলের সাথে প্রত্যেক জলের বাহ্যিক ও আধ্যাত্মিক সম্পর্ক বিদ্যমান। তাইতো নদী যেমন সাগরজীবনকে  পূর্ণ করে, পাশাপাশি পূর্ণ হয়।
জলের উত্তর পুরুষ 'আমি' বয়ে চলেছি জিউসনদী থেকে কৃষ্ণভূমি
তাদের স্রোতধারা ফুরায় না,
ফুরায় কেবল আমি,
আমার আশায় উপচে পড়া তোমার ঢেউ
ফুরাতে ফুরাতে ফতুর হয়ে যাবো
জানবে না কেউ, জানবে না কেউ!  

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

লেখকের কুড়েঘরে

জীবন যদি পূর্ণ লেখকময় না হয় তাহলে আস্ত  লেখা উপহার দেয়া অসম্ভব। উপহার! হ্যাঁ।
কারণ লেখার কোনো বিনিময় মূল্য হয় না। লেখক লেখেন একধরনের সৌন্দর্যচেতনা থেকে। চেতনার মূলে থাকে একান্ত নিজস্ববোধ। জন্মপরিচয়ের বাইরেও লেখক আলাদা পরিচয় খোঁজেন, চেনা-জানা পৃথিবীর বাইরে আলাদা জগতের সন্ধ্যানে থাকেন।
এখানেই জেলে আর লেখকের পার্থক্য!
জেলে জল থেকে মাছ কেড়ে আনেন। উদ্দেশ্য বৈষয়িক। লেখক জীবনের ভেতরে মাছ খোঁজ করেন। উদ্দেশ্য সংকটাপন্ন আমির একটি স্বাতন্ত্র্য আবহ। ইনডিভিজুয়্যাল টেলেন্ট বলতে যা বুঝানো হয় তার সাথে বর্তমান থাকা।
ফলে জেলে যখন মাছ খোঁজতে গিয়ে মাছই পান ;লেখক তখন মাছ খোঁজতে গিয়ে  নিজেকে হারান। একটি বীজ যেমন  দেহকে হারানো পর একটি বৃক্ষশাখা জন্ম দেয় তেমনি লেখক নিজেকে অনেকবার হারানোর পর শংকরময় এলাকার অবসান ঘটনায়। আবিষ্কৃত হয় জাত লেখকসত্তা। যারা আক্ষেপগ্রামের স্থায়ী  বাসিন্দা। যাদের স্বপ্নযাত্রার শুরু আছে শেষ নেই।
সমকালীন সমাজের পতি হওয়া তাদের লক্ষ্য নয়। তাঁরা জানেন অসুস্থ পাত্রে সুস্থতা বেমানান। অসুস্থতা সামাজিক।
যে গাছ সতেজ ফল দেয় বুঝতে হবে সেই গাছ সুস্থ জীবনযাপন করছে। যদি তার ফল গ্রহণ করা হয় তাহলে গ্রহীতার লাভ। গাছের তাতে কোনো আসে-যায় না।
সতেজ জীবনযাপন করাইতো আসল কথা, তাই না?
তাছাড়া তারুণ্য সতেজ সংক্রামকও বটে।
আর সংক্রামিত তারণ্য মরনের মতো দীর্ঘমেয়াদী। 

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

কেমনে তোমারে আমার কই?

ভালোবাসতে জানো!
 ভালোবাসতে এক, দুই কিংবা তিন নয়
সাত জন্ম লাগবে তোমার
ভালোবেসে ফতুর হতে জানি,
মেনে নিতে পারি বেদনা অপার
জোয়ারের প্লাবনে ভেসে উঠা লতা ভাটা চিনে না
ভাটি গাংঙ্গের ছেলে আমি শুন্য শুন্যে খেলা
শুন্যে আইনাল হক আয়নার কারিগর
ছায়ার ছলে দোকানি হওয়া যায় প্রেমিকা নয়
প্রেমিকের প্রেমখাতায় প্রেমিকা কাব্যময়
তুমি বরং ব্যবসা করো, চামড়ার ব্যবসা
হিসাব-নিকাশ ষোল আনা প্রমাণে বিশ্বাস
অর্থ, যশ, সুনাম সবই হবে
উল্টে-পাল্টে দেখবে পৃথিবীর কংকাল
আমি না হয়
কংকাল হবো, তোমার ইচ্ছাতেই জন্মাবো বারবার
ভালোবাসতে জানো!!
ভালোবাসা মানে একের ভেতরে অন্যের একাকার

মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

চলে এসো

মনের শক্তি ঘরের নাম মাইটোকন্ড্রিয়া নয়। আত্মবিশ্বাস!
আত্মহারা আত্মবিশ্বাস মূল্যহীন। একটি ইটের উপর আরেকটি ইটের শ্রদ্ধাশীল আস্থায় গড়ে উঠে মহান ইটসৌধ। নিজের প্রত্যেক কাজে আন্তরিক শ্রদ্ধার পরিপূর্ণতায় গড়ে উঠে নিজবিশ্বাস বা আত্মবিশ্বাস।
আমার আত্মবিশ্বাস আজ বড় আত্মহারা
অবাধ্য আংগুল মেনে চলে না নিয়মের সারগাম
ঘরের ভেতর ঢুকার আগেই বের হয়ে যাই
অহংকার ঘেরা 'আমি' শুন্য আজ
শুন্য মন্দির মোর
ছোটকালে আব্বার লগে হেতে যাইতাম। আল শেষ করে আব্বা হেতে মই দিত। মই দেয়ার পরও যদি বড় চাক্কা থাকতো, আব্বা আমারে কইতো
  "আই ফুত, চাক্কাগুলো হমান করি "
বাফ আমারে হুনাইতো
   "চাক্কা হমান না অইলে চারা মাথা বের করব কেমনে "
আমরা তখন সমস্ত চাক্কা হমান করে চারার সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠার ব্যবস্থা করতাম।
জীবনের এই পর্যায়ে এসে দেখি আত্মবিশ্বাসের হেতেও বড় বড় চাক্কা আছে। যাদের জন্য আজন্ম লালিত স্বপ্নগুলো মাথাচাড়া দিয়ে  উঠতে পারে না।আগাছা চাক্কা।
আমার মাঠে জন্ম হওয়া চাক্কাকে গলা টিপে হত্যা করেছি
কারণ আমার স্বপ্নের সমান সতেজ নয় চাক্কার জীবন
চাক্কার মৃত্যুতে জন্ম হয়েছে শুন্যতার ঘর!
বাতাস হয়ে, আলো হয়ে চলে এসো তুমি
আমার স্বপ্ন
প্যান্ডোরার বাস্কে জ্বলবে তুষের অনল
অক্সিজেন হয়ে সাজাবো আলোর জীবন
চলে  এসো

সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

Feelings Factor

Avarice, lenient flow, despotic manner, repugnance, wish, want is yield from the store of the feelings. So feelings very things of the every though. It considered mother source of every watch and outlook .Feelings nothing but main anthem, factor and factory for the human being as well as aroma of the animal scroll.
So feelings is the lone and sole unit of the mind. And total mind equal to man and animal being.

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

চিন্তাই মানুষ

পরিবেশ, প্রতিবেশ, ঘটনা, লেনদেন প্রভৃতির সাথে  ইন্দ্রিয়ের  মিলন হয় প্রতিনিয়ত। ফলস্বরূপ জন্মগ্রহণ করে চিন্তা। তাই আমার বা আমাদের  চিন্তা বলে কিছু নেই। মোটাদাগে বললে চিন্তা ইন্দ্রিয়ের প্রোডাকশন। আমি কিংবা আমরা চিন্তার ভিন্ন পরিচয়। অর্থাৎ আমি কিংবা আমরা চিন্তার কমপ্লিমেন্ট।
চিন্তার সুস্থ জীবন যাপনের পরিণতি শব্দ। শব্দ অলস থাকতে পারে না। সে এক সময় কাজে পরিণত হয়। কাজের ধারাবাহিক প্রবাহের শ্রুতিমধুর নাম অভ্যাস।গড়ে উঠা অভ্যাসটা যা মানুষটি মূলত তাই।  মানুষের অভ্যাসের দিকে তাকালে e=mc√ খুব বেশি প্রাসংগিক মনে হয়।
তাইতো  মানুষ আর তার চিন্তা আলাদা মনে হয় না। অনেক সময় শোনা যায় মানুষ বদলায়। আসলে মানুষ বলতে চিন্তাকে বোঝানো হয়। আর মানুষ বদলায় বলতে চিন্তা যে বদলায় সেই বিষয়টি স্পষ্ট।
তেমনি সৃজনশীল ব্যক্তি আর তার সৃষ্ট কর্ম আলাদা কিছু নয়। একই ফর্মের ভিন্ন নাম। অসুস্থ বীজ থেকে সুস্থ ফসল আসে না, আসবে না। সুস্থ বীজ থেকে অসুস্থ ফসলের দৃশ্য দুঘর্টনা।
আর মানুষ মানে মনের সাথে (মনু +ষ)।মনু মানে মন। মন ইন্দ্রিয়ের সমষ্টি। তাহলে মনকে আমরা চিন্তার সমষ্টিও বলতে পারি। বাস্তবিক ধারণায়  চিন্তাই গতিশীল নৌকা। জীবন কিংবা মানুষ।

শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

বেচেঁ থাকার ব্যাকরণ

জীবন সরল রেখার মতো সহজ নয়। আবার বক্ররেখার মতো জটিলও নয়। জীবন মানে কাছারি ঘরে হাওয়া খাওয়ার মতো স্বাভাবিকতা। অনেকগুলো রাত একসাথে করলে কান্নার সমান হয়না। তবুও মানুষ কাদে। অনেকগুলো মিছিল একসাথে করলে নদীর স্রোতের মতো হয় না। তবুও মিছিল থেমে থাকে না। মেঘপাখির উড়ে যাওয়া , অতিথি পাখির ডানা ঝাপটিয়ে চলার মতো নয়। তবুও অতিথি পাখি, মেঘপাখি উড়ে চলে, বয়ে চলে।
প্রত্যেকের নিজস্ব মহিমা রয়েছে। প্রতিটি ইচ্ছার পেছনে থাকে আপন তাগাদা। প্রকাশিত ইচ্ছার বাস্তবিক কথা, রূপকথা এক সময় কাজের আয়তন লাভ করে। যে কাজটি শেকড় থেকে শিখরের মহিমা প্রকাশ করে তাই তো প্রকৃত মহিমার দাবি রাখে।
চিন্তার সাথে প্রতিক্ষণ বর্তমান থাকা আসল কথা। ছোট বা বড় চিন্তা বলে কিছু নেই। জীবন যেমন বিকাশমান, জীবনের নৌকা 'চিন্তাও' তেমনি ক্ষণে ক্ষণে বিকশিত। তবে তা লালনের গানের মতো আপনাকে খোঁজার কঠিন ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞাফর্মে বাইন্ডিং হতে হয়।
নিজেকে জানতে জানতে নিজের চারপাশ। তারপর বিশ্বের চলমান আয়োজনের সাথে  নিজের উপস্থিতির বর্তমানকে তুলে ধরায় আমুণ্ডু চেতনা হওয়ার সরলতাকে প্রকাশ করে।
তবে আমাদের চিন্তা এখনো পোশাক পরিধান করতে শিখেনি। পশু যুগের মতো সভ্য থাকতে চায়। অবচেতনমনে প্রাকৃতিক। চেতনাতে সভ্য! মেকআপ সভ্য। চোখ যেমন তার সবচেয়ে কাছেরপ্রিয় পাপড়ির খোঁজ রাখে না। আমরা তেমনি আমাদের প্রতিবেশী সৌন্দর্যে আকর্ষণবোধ করি না।
সৌন্দর্য থাকে উচুঁভিটায়। এই বোধটুকু হাজার বছরের সময়ধারা আমাদেরকে ধার দিয়েছে। তাইতো রাস্তার পাশে দূর্বাফুলের অপরূপ হাতছানিতে আমরা মুগ্ধ নই। এই কারণে হয়তো হুমায়ুন আজাদ স্যার বলেছিলেন /বলেন আমাদের সৌন্দর্যচেতনা অশ্লীল।
প্রকৃতি যেখানে সুন্থ সেখানে আনন্দের লক্ষ্য ও উপলক্ষ প্রবাহিত হয় প্রস্ফুটিত  ধারায়। প্রকৃতি মূলত, বস্তুত আমাদের অস্তিত্বের শেকড়, আমাদের শেকওয়া। প্রকৃতিকে চ্যালেঞ্জ করে উপরে উঠা যাবে। তবে নিচে নামার মই থাকবে না।  মহিমাগতি হয়ে পড়বে খুব বেশি ভাসমান।
তাই প্রকৃতির প্রতিটি উপাদানকে সুন্দর বলার সময় শেষ। এখন থেকে বলা উচিৎ সুন্দর দেখায়।।পৃথিবীকে চোখের ভেতরে স্থাপন করা উচিত ;মনের ভেতরে নয়।। কারণ আমাদের মনটা বড় বেশি পতিতা! আবেগের বহুগামীতার প্লাবনে প্লাবিত!!
তারপরও বলি 'মন ' তোমাকে অনেক দূর যেতে হবে রবার্ট ফ্রস্টের কবিতার মতো।
অনেক কিছু বদলাতে হবে পারফিউমের মতো 

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

গল্পগুলো ঝরা পাতার

পৃথিবীতে কঁচিপাতা রাত। আকাশে কোনো রাত নেই। চোঁখে কেবল আলো মাখে তারা। আলোতে বসবাসে তারাদের দুঃখযন্ত্রনা কেমন যেন আনমনে। টিটার রোমান্টিক। ঘুমায় না। ঘুমের সাথে কথা বলে।
অদ্ভুত চাঁপা স্বভাবের। মানুষ ব্যতিত স্বভাবতই সকল পুরুষপ্রানী দেহের প্রতি যত্নশীল। নারীপ্রানীদের আকর্ষন করার জন্য। তখন টিটার তার সম্প্রদায় থেকে ভিন্ন। একটি তারা অন্য তারাকে প্রেম নিবেদন করে। দৌড়াদৌড়ি খেলা খেলে। টিটার প্রেম বিষয়টি এখনো ধারণ করতে পারেনি। সময়ের কোনো এক মাঠে টিটার অদ্ভুত অবাক। তার চোখ সৌন্দর্য শিকার করতে সক্ষম। মনের ধরাধরি খেলায় তার মনও পটু হতে চায়।

বিনীত সৌন্দর্যের তিতলী। টিটারের মনে পুবালি বাতাসের জোয়ার আনে। জোয়ারের গতি বিপরীতমুখী। বিপরীতমুখী মনে ও মানে। তিতলী টিটারের জোয়ারে ভাসে। দুই মন এক মোহনার আকুম-বাকুম। সময়ের পাশে সময় কেটে যায়। মনের কাছে আসা, দেহের কাছে আসা নয়। বয়সী প্রেম এখন দেহপ্রেম চায়। কিন্তু কোনো অজানা বাঁধায় তিতলী, টিটার দূরাদেহে বসবাস।
টিটারঃ তোমার হৃদয়ের স্পর্শে আমি তো পালতোলা মাঝি। তোমার দেহ আমাকে জল বানাতে পারে।
তিতলীঃ হৃদয় তো দেহের মাহাজন। আমার মালিক তোমার কাছে।
টিটারঃ তাহলে বাধা কোথায়?
তিতলীঃ বাধা না আছে আমাদের মনে, না আছে আমাদের দেহে। বাধা কেবলই বৈষয়িক বাস্ত্ববতায়। নাটাই কার হাতে আমাদের জানা নেই। চলো পৃথিবীতে যাই। মানুষ হয়ে জন্মায়। বীজ বপনে আমাদের প্রতিনিধি রেখে আসি। উত্তরপ্রজন্ম যেন তারাদের মাঝে নিজের অস্ত্বিত্বের খোঁজ পায়। আমাদের রহস্য যেন তাদেরই রহস্য।
দিনরাত সখিনা বেগমের প্রার্থনা। মাথার বন্ধু বালিশও তার প্রার্থনায় শরীক হয়। মিষ্টিময় চোখের জলেরও প্রার্থনা যেন একটা ছেলে হয়। গ্রাম এলাকায় ছেলের বড়ই কদর। বংশের চেরাগ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার মানুষ পীরপ্রাণ। পীরবাবার মান্য আল্লার চেয়েও কম নয়। পীরের হাত নবীর হাত,নবীর হাত আল্লার হাত। পীরবাবা যখন মারা যায়, তখন তার মাজার আল্লার দরগা। অসংখ্য আল্লার দরগার মধ্যে খরমপুরের কেল্লা শার মাজার একটি। সখিনা বেগম কেল্লা শার মাজারে এসেছে।
‘বাবা আমার বংশের একটা চেরাগ দাও। তোমার দরবার থেকে বাবা কেউ খালি হাতে ফেরে না। আমাকেও ফিরাইয়ো না।’
বাবা দোয়া কবুল করেছে। ফাল্গুন মাসের ফুলেল রাতে জন্মগ্রহণ করে প্রণাম। সখিনা বেগমের মুখে হাসি, মনে হাসি। প্রণামের নাকটা উঁচিয়ে আছে। অন্য কোন চোখ আকর্ষনের জন্যে।
বাবা স্কুল মাস্টার। স্কুল মাস্টার বুদ্ধিজীবী তৈরি করে। পরে বুদ্ধিজীবী টক-শোজীবী। টক-শোজীবী  কখনো স্কুল মাস্টারের দুঃখময় জীবন নিয়ে মাথা চালাতে ব্যস্ত নয়। জীবনভর টক-শোজীবীগুলো বুদ্ধিজীবী হিশেবে নাম কাটে। আসলেই যারা বুদ্ধিজীবী তাঁরা দুঃখের প্লাবনে ভাসে।
‘বাবারে, আমরা গরীব। টাহা-পয়সা নাই। তবে হুন,আল্লা মাথাডা দিছে। ইডারে কাজে লাগাইতে অইব।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রণাম। সুহিলপুর গ্রাম। গ্রাম হলেও শহরের প্রাচুর্য বিদ্যমান। সে বাম-রাজনীতীর কর্মী। দেশ উদ্ধার করার নেশায় মাতাল। পুঁজিবাদী আগ্রাসন বিভেদ তৈরি করেছে। বিভেদ আর বেঁচে থাকা একসাথে হতে পারে না। প্রণামের গুরু জয়দুল হোসেন। মেধার উর্বর মননে যিনি সঠিক বীজ বপণ করতে জানেন। মৌসুম সনাক্ত করতেও তার ভুল হয় না। পাকা মানুষ।
প্রণাম চেতনাভর কবিতা চাষ করে। নাট্যদল গঠন করে কর্মী তৈরিতে ব্যস্ত। জ্ঞানীগন যখন নিজেকে জানতে ব্যস্ত। প্রণাম তখন নিজেকে জানাতে ব্যস্ত। তবে প্রকাশের ভুমিকায় নয়। সমাজকে উদ্ধারের ভুমিকায়।
হঠাৎ প্রণাম অন্যরকম!
আজ আট অক্টোবর। তারিখটি আট অক্টোবর উনিশশো সাতাশি সালের বিপ্লবী চেতনার তাৎপর্য বহন করে। উনিশশো আটাশ সালের চৌদ্দই জুন আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্মগ্রহণ করেন সময়োপযোগী মুক্তির চেতনা, ছাত্রাবস্তায় যে ঘুরে বেড়িয়েছেন পুরো লাতিন আমেরিকায়। যে কন্ঠ বলতে পারে—
‘জয়ী না হওয়া পর্যন্ত লড়াই করে যাও’
যাকে গুলি করতে মদের সহযোগীতা চেয়েছিল মারিও তেরান; অস্ত্রহাত যার বারবার কৃপণ হয়ে আসে। সেই আনেস্তো গুয়েভারার; আর্জেন্টিনার সম্মানী শব্দে চে’গুয়েভারার বিদায়ী উৎসব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য একাডেমী নাটক মঞ্চস্থ করবে। ছয়টা দশ। নাটক শুরু। শিল্পকলা একাডেমীতে আলোআঁধারি মিতালী। নাটক চলছে। বিপ্লবী কলবে বসে আছে প্রণাম। সে হঠাৎ আনমনে। প্রনামের মনপোকা নুরাইনের আলোর পাশে কিলবিল-তিলবিল। নুরাইন। কুচকুচি কালো। কালো সুন্দর মেয়ে। কৃষ্ণকলি, কৃষ্ণফুলি। বিপ্লবী মনে প্রেমের বাতাসঝড়। শোঁশোঁ শব্দে মনের আস্তানা তুলকালাম।  কবিতার পালা ঘুরে গেছে। নারী সৃষ্টিতে আটকে গেছে কবিমন। বনের ছায়া ঘরে আসল। প্রণাম হারুন স্যারের একটি কবিতা সন্তানের ভক্ত,
‘আজ আর মাছ ধরে কাজ নাই সই
অধর বড়শি করো আমি মাছ হই।’

প্রণাম কল্পনাও করেনি হারুন স্যারেরই রক্তসন্তান তার ছায়ামনে কায়া হয়ে ধরা দিবে। নুরাইন হারুন স্যারের একমাত্র মেয়ে। অস্থির রুচিবোধে তার বেড়ে ওঠা। তার কালো সুন্দর দেহ, অদৃশ্য সুন্দর ব্যক্তিত্বের স্পর্শে কে না আসতে চায়।
কালো শরীরের ইলেকট্রন প্রনামের স্মৃতিকণায় জিকির তোলে। যে জিকিরের স্বর কেবল অঙ্গ থেকে অঙ্গানু অনুধাবন করতে পারে। প্রণামের বুকের ভেতর নদীর জল উথাল-পাতাল। বয়সের বাধা। সমাজের বাধা। লতার মতো আশ্রয় খুঁজেও আশ্রয় পায় না। ধুক করে উঠে চেতনার পাঁজর। বাবা স্কুল মাস্টার। মানসম্মানের ব্যাংকে ডেবিট কার্ড রাখতে হবে।
হায়রে সমাজ...আরে মানসম্মান...
সমাজ এতো ব্যবসায়ী কেন। ছাপানো কাগজের কাছে মনের মানমুল্য উঠে না। শান্তির কলকারখানা মন। আর মনের চাওয়া-পাওয়া সামাজিক নিয়মকানুনে গৃহপালিত। বাজার পদ্ধতি মনের উর্ধে মনটাও মনের কাছে রাখতে দেয় না
‘বাজারে যাচাই করে দেখি নি তো মান
সোনা কিনিলাম নাকি রুপা কিনিলাম।
ভালোবেসেছো বলে ভালোবাসিলাম।’

সময়ের প্রথম মাসিকের পর...
প্রণাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র। তার চেহারায় সাহিত্য। কবিতার সময় নির্ভর কৃষক। টি.এস.সি, মধুর ক্যান্টিন, হাকিম চত্বর, ডাকসু, মল চত্বর তাকে মুখরা রমনীর মতো আকর্ষন করে। লাইব্রেরীতে অধ্যয়নরত ছেলেদের দেখে তার করুনা হয়। সরস জীবন অধ্যয়নে তাদের বিমুখতা, তাদের ব্যর্থতা প্রণামকে ক্লান্ত করে। সময়যাপন করাই আসল কথা। হায় চিলের রসনাই, বিনোদিনীর বাসনায় প্রণাম সময়ঘোড়াকে বেশ দৌড়াচ্ছে। ইদের ছুটিতে বাড়িতে যাবে। কমলাপুর রেলস্টেশনে পুর্বপরিচিত আন্টির সাথে দেখা। দেখা হয় হৃদয় খুড়ে বেদনা জাগানো ভালোবাসার সাথে। সেই নুরাইন। জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস চলছে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে চোখের সাথে চোখের কথোপকথন। অদৃশ্য মনের দৈহিক মিলন। যেখানে দুটি মনের দৃশ্য দুটি মনের কাছে স্পষ্ট। কিলবিল করা অন্য মুখ থেকেও নাই। তবু দেহসুলভ আবেদন অনুপস্থিত। পুরাতন স্মৃতি মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। দুরাগত স্বপ্ন কথা বলতে শুরু করে।
না...আর না... আমরা মানুষ হয়েছি, বীজ পৃথিবীতে রেখে যাবই! কোনো বাধাই আমাদের উদ্দেশ্যসমান গুরুত্ব রাখে না। স্বপ্নে সমান বাস্ত্ববতায় প্রনামের পাশে এসে বসল নুরাইন। সময় হাজার মাইল বেগের দ্রুতযান। ভালোবাসার প্রশিক্ষণ পৃথিবীর সমান সত্যকে চুঁমু দেয়। উদ্দেশ্যগুলো কতকালের মতো জয়তু শব্দের ফানুস উড়ায়।
তারপরও...
সময় কাঠামোর কাছে নীহারিকা হয়ে বেসে পালাল প্রণাম। নুরাইন পৃথিবীর আদিমাতা। তারা জন্মের প্রবীনতর উৎস!

মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

গানের দরগা

হাঁটছি...একা হাঁটছি
সঙ্গে আমার বাতাস প্রহরী।।
রাত হাটেনা দিন আসে না তো তাই
জেগে জেগে পাখিরা গান গায়
তাই।।
আকাশের মেঘ চোখের সীমায়
মনের কোণায় নির্জনতা
সূর্য ওঠার অনেক দেরী
হাটতে থাকি একা হাটি।।

ঘাস ছানাদের কোনো কথা নেই
ভাষা নেই নিয়ন আলোর
দূর আকাশে তারার মিছিল
হাটছে না সরব আলোয়।।

গানের পাড়া

কথা ও সুর :এমরানুর রেজা

নিবু নিবু চাঁদ,               উঠি উঠি রাত
তোমারই মুখখানা,        তোমারই মুখখানা।।

তারা ভরা রাত,               জাগি সারারাত
   মিটিমিটি তোমারই চলা
   তারা হয়ে আকাশে জ্বলা।।

ওগো মিষ্টি রাত,        দখিনা বাতাস
   ছুঁয়ে যাওনা বন্ধু মনে
   আমি আছি গভীরও জলে।।

পতিতা ঘুম

ঘুম,
তুমি আমার প্রিয়া হবে?
ভুলময় আমি আর তুমি ফুলময় ভুল
গন্ধে সারি সারি চলবে দুলদুল
তুমি তো উদ্যানের শিওলি কিংবা রাণী নও
রাত বেড়ে ওঠার সাথে সাথে  বেড়ে ওঠে যাদের হাঁকডাক
অই লাগবো, লাগবো, আই, পঞ্চাশ টেহা
লাগবো, আইনারে, আই
তবে কেন অলস সাজে ঘোরো বাড়ি বাড়ি?
বিশ্বাসের বীজতলা ইঞ্চিটুকু হলে হবে
অঙ্কুর কুসুম কোমলে আকাশের পথধরে
বলো শুধু আমার হবে, একক আমার
পৃথিবীর নাম বদল হবে, তোমার নামে হবে নাম
সুস্থ দামে বিক্রি হবে অসুস্থ বদনাম 

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

জী বন নদী র বৈঠা

ত্যাগ থেকে ভোগের জন্ম। জীবন থেকে যেমন মৃত্যু। ত্যাগই সত্যিকারের ভোগ। পার্থিব ভোগ ত্যাগের ছায়া। আমরা যখন আলোর মাতুম দেখি তখন মূলত ছায়ার সাথে থাকি। প্রদীপ সেই ছায়ার শেকড়। প্রদীপও অন্য কোনো ত্যাগের ফসল। আসলে সৃষ্টির ইতিহাস মানে ত্যাগের ইতিহাস।

Cosmic flow yield only for the great sacrifice. As like the death come from the motion. In a true sense sacrifice is the garden of living. We are man used to watching decorated light .Actually our watch is not that but umbra. Lighter is an acute result of overwhelming debar.
So cosmic history is the real aroma of sacrifice.
::::
হোঁচট খাওয়া মানে পড়ে যাওয়া না। পড়ে যাওয়া কখনো পরাজয়  নয়। প্রকৃত পরাজয় থেকে সুস্থ জয়ের সূচনা।

Stumbling unable to mean falling. Falling is for training not for failure. Fan failure shows always healthy felicity forever .

রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

ফিরে এসো বেহুলা

সাপ খোলস পাল্টায়। নারী খোলস বদলায়। প্লাটানোতে থাকে একধরনের জৈবিক তাড়না। বদলানোতে থাকে বিলাসিতা। জৈবিক ক্ষুধার সীমান্ত সীমা রয়েছে। কিন্তু বিলাসিতার কোনো নিদিষ্ট গন্তব্য কিংবা সীমানা নেই। তাইতো নারীর মনের খোঁজ কোনো দিন কোনো পুরুষ পাইনি,পাওয়ার কথাও না। তারপরও বলি
 ফিরে এসো বেহুলা!
তোমার লখিন্দর জীবিত মৃতপ্রায়, বেহুশে কাতরায়   

শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

:::তারানি ::

তারানির ঠোঁটে জল। পাগলা নদীর জল। মাছ খোঁজতে গিয়ে যে জলে মাঝি নিজেকে হারায়। জলের শাসনে লালিত দাম মাছের বেডরুম। সেখানেও জেলেরা অভিযান চালায়। কৌঁসুলি অভিযান। মাছের চোখের জল নদীর জলের সাথে  একাকার। আনন্দ -বেদনার মিশেল জল, এই নদীর জল বড় বেশি কোমল।
গরমের সরব উপস্থাপনায় মর্জিনার মার ব্লাউজ ভিজে চপচপ। মর্জিনা দুই টেহার ফান্টা আইসক্রিমে গলা ভেজায়। ভেজা গামছা দিয়ে বার বার শরীর মুছে মর্জিনার বাফ। গরমের এমন উত্তেজনায় এই পাগলা নদীর জল শান্তির মেঘ বলাকা।
তারাচানের বালুময় মনে তারানির ঠোঁটজল তেমনি  তৃষ্ণামেটানোর সরাব। সূর্যকে মাইনাস করে অন্ধকার যেমন আস্তে আস্তে নদীর জলে নুয়ে পড়ে তেমনি তারাচান নুয়ে পড়ে তারানির হিমানী ঠোঁটে। সম্পূর্ণটাই তারাচানের মেডিটেশনের এলাকা।
ট্রেনের দৌড়ঝাঁপ। সাথে তার বিখ্যাত ঝকঝক শব্দ। তারাচানের চিন্তাগুলোও ঢেউ তোলা ইশারায় জীবনকূলে ভিড় জমায়। চিন্তার বিজ্ঞাপন বিরতিতে তারাচান তারানিকে বলে
     হুন, আজ্জা হাইনজালা নুরাইন ফুন দিছিন। পাচ বছর পরে। কইছিলাম না হে আমারে ফুন দিব
তারানির ঠোঁটে শ্রাবণ মাসের ঈশান কোনের মেঘ। দুখের তাপে মেঘ গলে চোখের জল। শ্যাওলাহীন চোখের জল গড়িয়ে পড়ে শব্দহীন আনজামে। তারানি থেকে জোদা হওয়া চোখের জলে তারাচান লিন্দা নৌকার মতো ডুব দেয়
     কান্দে কেরে, তুমার চখের পানি আমার কৈলজাত গিয়া লাগে, কান্দা থামাও, কইছি কান্দা থামাও

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

জী ব নী

জীবনী ,
তোমাকে কেন যেন শ্বেত ফসফরাসের মতো মনে হয় ।নিজে জ্বলে আমার অন্ধকার দেহকুঠিরটা  আলোকিত করে তোল ।তোমার দেয়া আলো নিয়ে মারিয়ানা ট্রেঞ্চ থেকে মাউন্ট এভারেস্ট পর্যন্ত চিন্তারশ্মি প্রসারিত করেছি ।

জানো ,
প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠে তুমি যে চিকন হাঁফ ছাড়  -হাওয়া তা আঁচলে বেঁধে আমার কাছে পৃথিবীর দামে বিক্রি করে ।আর আমি তা সেকুলাসের পকেটে রেখে সকাল-সন্ধ্যা অবধি তোমারই ধ্বনি মুখস্থ করি ।

কেমন আছো ,
জানতে প্রবল ইচ্ছে হয় ।কিন্তু ভয়ে আমার অন্তরের হাড়গুলো ঠকঠক করে কেঁপে ওঠে আবার যদি কোনো নিষেধাঙগার রুল জারি করা হয় ।এখন রাত ২:২৭ মিনিট ;তুমি ঘুমাচ্ছ নিশ্চয় , আমি কিন্তু রাতের পোশাক পরিধান করে তোমার পাশে তোমারই তসবি পাঠ করছি ।

বিশ্বাস করো ,
সূর্যের আলো হয়ে প্রতিদিন তোমার তোলা ছবিতে রং মেশাই , আবার রাতের শরীর নিয়ে তোমারই জাগতিক গন্ধভরা বায়ুসমুদ্রে স্নান করি ।

তারপরও কি বলবে আমি তোমার অপরিচিতা !

মেলানকলির কাঁটাতারে বিদ্ধ আমি , যদি তুমি জানতে  -তা হলে তোমার আকাশের দুরন্ত সূর্য এক চিলতে উড়ন্ত আলো ছড়াতো না ,মনে হয় না চাঁদের সোনালি আভা স্বাভাবিক ভাষায় জড়িয়ে ধরতো তোমার চোখের কর্নিয়া ।

তবে তুমি ভাগ্যবতী ,
অনেক জেনেও না-জানার রাজ্যে ডানা ছড়াতে পারো ।

সুখী করে , দুঃখী হওয়ার মন্ত্র পাঠ করি বলেই আজও কিন্তু আমি আমার ভুল বুঝতে পারিনি । তবে তোমার মনের তীর্থআশ্রমে অনুরোধ থাকল  -কখনো যদি তিন হাজার বছর পরপর স্বর্গ থেকে আসা উদম্বরার প্রতিচ্ছবি হিশেবে আমাকে দেখতে পাও,কখনো যদি সাগর খুঁড়তে গিয়ে ডাঙার জোনাকির মতো জলের জেলিফিশের অনুকরণে আমার দেখা মেলে ,তখন কিন্তু  আমাকে হতাশ করো না ।
তোমার হাতের ছোঁয়া পেতে দেহনাথ পাগল ,উন্মাদ হয়ে থাকবে ,তুমি আমাকে শান্ত করো ।
বেশি কিছু না দাও ,শুধু তোমার আঙুলের মৃদু স্পর্শে আমার মরুদেহে ঝরনা এনে দিও ।

অপেক্ষায় থাকলাম প্রাণজ প্রাপ্তির জন্যে ।

ভালো থেকো  -ভালোবাসার শব্দের মতো ;
আর আমি
জল হয়ে আসছি !
ততোক্ষণ ভালো থেকো  -বৃষ্টিমায়ের শিশুর মতো

    ইতি
         তোমারই হরিষে -বিষাদ
                জল

সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

The power of communication

Communication is information
Information is knowledge
Knowledge is power
The another name of power is might
And might is right
So
Communication is money
Communication is power

যুক্তির দৃশ্যমান রূপ শক্তি, শক্তিতে মুক্তি কিংবা স্বাধীন বলে কিছু নেই 

শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

সন্ধ্যার যত কথা



সন্ধ্যা যখন একা
বিকেল জুড়ে অলস পাহাড়
রাতের প্রসব ব্যথা


সন্ধ্যা যখন একা
স্তনপাহাড়ে আড্ডা দিব
বলব অবুঝ কথা