থাকি জিয়া হলে। জিয়া হলে থাকি বলে আপনারা ভাববেন না এখানে জিয়া সৈনিকদের বাড়িঘর। বাংলাদেশ তো। তাই পুরাই উল্টা। জিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সৈনিকের একচেটিয়া আস্তানা। মজা পাবেন একটি কথা শুনলে-- আমাদের হলের যিনি প্রভোস্ট তার নামও জিয়া।
আমার রুমের পাশেই মহাসড়ক। মহাসড়কে চব্বিশ ঘন্টা গাড়ি চলে! আর আমাদের মাথার ভেতর চলতে থাকে পু পা বে বো। গরুর নতুন শিং ওঠলে যেমন সবারে গুতা দিতে চায় তেমনি বাংলাদেশী ড্রাইভাররা সারাজীবন শিংধারী নতুন গরু থাকিয়া যায়।
সাবেক বছর এমন দিনে আমার ঠান্ডা লাগে। আমার স্মৃতিশক্তি বলে নাই, বলিয়াছে ফেইসবুকের on this day appsটি। ইতিহাসের কী মহান কুদরত এমন দিনে আবারও আমার শরীর ঠান্ডার কবলে পড়িল। সামনে বিশাল কাজ। শরীরে ঠান্ডা থাকিলে হইবে না। তাই ঠান্ডার কৃষ্ণলীলা দূর করিবার মিশন হাতে নিলাম।
এক ডাক্তার ভাইকে ফোন দিলাম, সে ম্যাসেজ করিল ঔষধের নাম লিখিয়া। আরেক ডাক্তার ভাইকে ফোন দিলাম সে একেবারে নিজেই নিয়া গিলা ঔষধ আনিবার লাগিয়া। ঔষধ হাতে দিয়া ডাক্তার ভাই আমারে কইলো ' এ ঔষধ সেবন করিলে মহান এক ঘুম চোখে আসিবে।' এমনিতেই আমি বেড়ালের মতো ঘুমের সুযোগে থাকি, তারউপর ঔষধ ক্রিয়া। আমি মহান মহা ঘুমের প্রস্তুতি নিলাম।
ঘুমানোর আগে এক সুন্দরীকে ম্যাসেঞ্জারে আমার ঠান্ডার কথা জানাইলাম। সুন্দরী পাঠাইলাম এক হিন্দি গান। আমি বলিলাম ইহা কী ঠান্ডার ঔষধ। সুন্দরী দিল ' হা হা হা ', মানে বিশাল এক হাসি। আমার এক বড় ভাই বলতেন সুন্দরীদের হাসির মধ্যে ভিটামিন ডি থাকে। আমি ভিটামিন ডি লইয়া একটু আরামবোধ করিতে লাগিলাম। চোখে ঘুম ঘুম ভাব। ছোট বোন একখান বানানের শুদ্ধ রূপ জানিতে চাইল, বলিলাম, তারপর ছোট বোন (ডিপার্টমেন্টের) বলিল রেজা ভাই আমাকে কিন্তু কবিতা বুঝাবেন। ঘুমের ভেতর থাকিয়াই আমি বলিলাম ঠিক আছে। আমার চোখে ততক্ষনে ঘুম পুরাই ওঠে গ্যাছে। ঘুমে ভাবতেছি দয়াল জানে কয়দিন যে ঘুমাইতে হয়।
দুইঘন্টা ঘুমানোর পর চোখে আমার ঘুম নাই। সুসংবাদ হলো ঠান্ডাও নাই। কিন্তু শরীরে লেপ দিয়া ফ্যান চালিয়ে ঘুমাতে ইচ্ছে হয়। এবং তাই করবো। আমার রুমমেটের আজ পরীক্ষা। তাই সে বসে গ্যাছে পড়াশোনা করিতে। দুইদিন আগে ওর চিকনগুনিয়া জ্বর হয়েছিল। এই জ্বর প্রেমিকদের লাহান অঙ্গে অঙ্গে ব্যথা নিয়ে আসে। এই রোগটি পূর্ব আফ্রিকায় ধরা পড়ে। বাংলাদেশ আজ পর্যন্ত কোনো রোগের নামকরন করিতে পারে নাই। সরি সরি। পেরেছে। কলেরা একশত উনচল্লিশ ও রোগটির নামকরন বাংলাদেশ করিতে পারিয়াছে। বাংলাদেশে কেন ভালো মানের ঔষধ বিশেষজ্ঞ তৈরি হয় না? হবে না। এখানে ডাক্তারের সার্টিফিকেট নিতে চাইলে সংবিধান মুখস্থ করিতে হয়। আর সেই দেশগুলোতে ....? যখন তারা দেখে কোনো ছাত্রের মধ্যে গবেষনা করার মানসিকতা আছে তখনই তাকে কর্তৃপক্ষ সুনজরে নিয়ে নেয়। ছাত্রটি তখন দুই তিন বছরে একটি ডিম পাড়ে, আর সেই ডিম বিক্রি করে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা তুলে নিয়ে যায় তারা। ইহাই আমাদের নিয়তি!
রুমমেটের আজকে কলেরায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ছিল। ইফতারের পর সে আমারে বলিতেছে রেজা ভাই পেট কেমন কেমন করে। আমি ভয় পেয়ে গেলাম। কারন ছেলেটার পরীক্ষা।
এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধসময়(গ্রীষ্মকালীন এবং ইদের)। কিন্তু আমগো ঢাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু কর্মঠ বিভাগ আছে যারা মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ দিলেই আমাদের সেই বন্ধ গ্রহন করিতে হইবে! তাই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ সময়কে সবিনয়ে অগ্রাহ্য করিয়া পরীক্ষা নেয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পনেরো রমজানের পর প্রায় হল ফাঁকা হয়ে যায়, ক্যান্টিনে খাবার প্রায় পাওয়া যায় না। খাবার খেয়ে না খেয়ে মহান ছাত্ররা পরীক্ষা দেয়ার মহান কাজটি করিতে থাকেন। ঘরের ভেতর চমৎকার চমৎকার সুস্বাদু সুস্বাদু রান্না করা খাবার খেয়ে খেয়ে মহান অভিভাবকরা পরীক্ষার ডিউটি পালন করতে আসেন আর আনন্দে আটখানা হয়ে প্রশান্তির জলে ভাসিতে থাকেন। দায়িত্ব সম্পূর্ন হচ্ছে বলে কথা। কিন্তু একটি কথা আমার মগজে ধরে না-- বন্ধসময় পাওয়া ছাত্রের অধিকার, ছাত্রদের অধিকার ছাত্রকে বুঝিয়ে দেওয়া শিক্ষকদের দায়িত্ব। দায়িত্ব ছিনিয়ে নিয়ে দায়িত্ব পালন এ কেমন দায়িত্ব!
যাক, আমার এতো কথা বলিবার দরকার নাই, ছোট মুখে বড় বড় কথা বলে বাংলায় একটি প্রবাদ আছে। প্রবাদটি অবশ্যই মানিয়া চলিতে হইবে। বাউল বলিয়াছেন ভাবিলেও পৃথিবী চলিবে না ভাবিলেও পৃথিবী চলিবে। আমার এখন চলিবার দরকার। চলিলাম। আপনারা ভালো থাকবেন ....
আমার রুমের পাশেই মহাসড়ক। মহাসড়কে চব্বিশ ঘন্টা গাড়ি চলে! আর আমাদের মাথার ভেতর চলতে থাকে পু পা বে বো। গরুর নতুন শিং ওঠলে যেমন সবারে গুতা দিতে চায় তেমনি বাংলাদেশী ড্রাইভাররা সারাজীবন শিংধারী নতুন গরু থাকিয়া যায়।
সাবেক বছর এমন দিনে আমার ঠান্ডা লাগে। আমার স্মৃতিশক্তি বলে নাই, বলিয়াছে ফেইসবুকের on this day appsটি। ইতিহাসের কী মহান কুদরত এমন দিনে আবারও আমার শরীর ঠান্ডার কবলে পড়িল। সামনে বিশাল কাজ। শরীরে ঠান্ডা থাকিলে হইবে না। তাই ঠান্ডার কৃষ্ণলীলা দূর করিবার মিশন হাতে নিলাম।
এক ডাক্তার ভাইকে ফোন দিলাম, সে ম্যাসেজ করিল ঔষধের নাম লিখিয়া। আরেক ডাক্তার ভাইকে ফোন দিলাম সে একেবারে নিজেই নিয়া গিলা ঔষধ আনিবার লাগিয়া। ঔষধ হাতে দিয়া ডাক্তার ভাই আমারে কইলো ' এ ঔষধ সেবন করিলে মহান এক ঘুম চোখে আসিবে।' এমনিতেই আমি বেড়ালের মতো ঘুমের সুযোগে থাকি, তারউপর ঔষধ ক্রিয়া। আমি মহান মহা ঘুমের প্রস্তুতি নিলাম।
ঘুমানোর আগে এক সুন্দরীকে ম্যাসেঞ্জারে আমার ঠান্ডার কথা জানাইলাম। সুন্দরী পাঠাইলাম এক হিন্দি গান। আমি বলিলাম ইহা কী ঠান্ডার ঔষধ। সুন্দরী দিল ' হা হা হা ', মানে বিশাল এক হাসি। আমার এক বড় ভাই বলতেন সুন্দরীদের হাসির মধ্যে ভিটামিন ডি থাকে। আমি ভিটামিন ডি লইয়া একটু আরামবোধ করিতে লাগিলাম। চোখে ঘুম ঘুম ভাব। ছোট বোন একখান বানানের শুদ্ধ রূপ জানিতে চাইল, বলিলাম, তারপর ছোট বোন (ডিপার্টমেন্টের) বলিল রেজা ভাই আমাকে কিন্তু কবিতা বুঝাবেন। ঘুমের ভেতর থাকিয়াই আমি বলিলাম ঠিক আছে। আমার চোখে ততক্ষনে ঘুম পুরাই ওঠে গ্যাছে। ঘুমে ভাবতেছি দয়াল জানে কয়দিন যে ঘুমাইতে হয়।
দুইঘন্টা ঘুমানোর পর চোখে আমার ঘুম নাই। সুসংবাদ হলো ঠান্ডাও নাই। কিন্তু শরীরে লেপ দিয়া ফ্যান চালিয়ে ঘুমাতে ইচ্ছে হয়। এবং তাই করবো। আমার রুমমেটের আজ পরীক্ষা। তাই সে বসে গ্যাছে পড়াশোনা করিতে। দুইদিন আগে ওর চিকনগুনিয়া জ্বর হয়েছিল। এই জ্বর প্রেমিকদের লাহান অঙ্গে অঙ্গে ব্যথা নিয়ে আসে। এই রোগটি পূর্ব আফ্রিকায় ধরা পড়ে। বাংলাদেশ আজ পর্যন্ত কোনো রোগের নামকরন করিতে পারে নাই। সরি সরি। পেরেছে। কলেরা একশত উনচল্লিশ ও রোগটির নামকরন বাংলাদেশ করিতে পারিয়াছে। বাংলাদেশে কেন ভালো মানের ঔষধ বিশেষজ্ঞ তৈরি হয় না? হবে না। এখানে ডাক্তারের সার্টিফিকেট নিতে চাইলে সংবিধান মুখস্থ করিতে হয়। আর সেই দেশগুলোতে ....? যখন তারা দেখে কোনো ছাত্রের মধ্যে গবেষনা করার মানসিকতা আছে তখনই তাকে কর্তৃপক্ষ সুনজরে নিয়ে নেয়। ছাত্রটি তখন দুই তিন বছরে একটি ডিম পাড়ে, আর সেই ডিম বিক্রি করে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা তুলে নিয়ে যায় তারা। ইহাই আমাদের নিয়তি!
রুমমেটের আজকে কলেরায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ছিল। ইফতারের পর সে আমারে বলিতেছে রেজা ভাই পেট কেমন কেমন করে। আমি ভয় পেয়ে গেলাম। কারন ছেলেটার পরীক্ষা।
এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধসময়(গ্রীষ্মকালীন এবং ইদের)। কিন্তু আমগো ঢাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু কর্মঠ বিভাগ আছে যারা মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ দিলেই আমাদের সেই বন্ধ গ্রহন করিতে হইবে! তাই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ সময়কে সবিনয়ে অগ্রাহ্য করিয়া পরীক্ষা নেয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পনেরো রমজানের পর প্রায় হল ফাঁকা হয়ে যায়, ক্যান্টিনে খাবার প্রায় পাওয়া যায় না। খাবার খেয়ে না খেয়ে মহান ছাত্ররা পরীক্ষা দেয়ার মহান কাজটি করিতে থাকেন। ঘরের ভেতর চমৎকার চমৎকার সুস্বাদু সুস্বাদু রান্না করা খাবার খেয়ে খেয়ে মহান অভিভাবকরা পরীক্ষার ডিউটি পালন করতে আসেন আর আনন্দে আটখানা হয়ে প্রশান্তির জলে ভাসিতে থাকেন। দায়িত্ব সম্পূর্ন হচ্ছে বলে কথা। কিন্তু একটি কথা আমার মগজে ধরে না-- বন্ধসময় পাওয়া ছাত্রের অধিকার, ছাত্রদের অধিকার ছাত্রকে বুঝিয়ে দেওয়া শিক্ষকদের দায়িত্ব। দায়িত্ব ছিনিয়ে নিয়ে দায়িত্ব পালন এ কেমন দায়িত্ব!
যাক, আমার এতো কথা বলিবার দরকার নাই, ছোট মুখে বড় বড় কথা বলে বাংলায় একটি প্রবাদ আছে। প্রবাদটি অবশ্যই মানিয়া চলিতে হইবে। বাউল বলিয়াছেন ভাবিলেও পৃথিবী চলিবে না ভাবিলেও পৃথিবী চলিবে। আমার এখন চলিবার দরকার। চলিলাম। আপনারা ভালো থাকবেন ....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন