রবিবার, ২৫ জুন, ২০১৭

অনেকদিন পর আমাদের দেখা হবে

সব সুখদের ডেকে এনে একসাথে বাড়ি যাবো। বাড়িতে বর্ষাকাল বসে থাকে আমপাতার ফাঁকে ফাঁকে ডালিমের স্লিম কানের কুসুম মাংসের আতি ধরে।

এই তো আমাদের বাজার
বাজারের পাশে জলের মেলা, জলের মেলায় সন্ধ্যায় এক ডুবুরি সূর্য নামে পশ্চিম দিকের চক্রবাল পথে।

পথ এক মহান কবিরাজ মশাই, যশোমতী নন্দ গোপালময় পৃথিবী আমার, বৃন্দাবন থাকে, থাকে রাধে, কানুর ঘরে কংসাবতী অবরোধ তবুও তো যমুনার জলের মাঝি আমি, অনেক বছর পর আজ মেঘনার সাথে দেখা।

কোথায় রাধে?
কোথায় যমুনা?
কোথায় বৃন্দাবন?
কোথায় আমার সেই পলাতক তমালজন?

ইতিহাসপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, পরিত্যক্ত সুখ পিঁপশঙ্কের লাইনের মতো বেঁচে থাকে হৃদয়ে হৃদয়ে।

তুমি আমার আবছা ছায়া দাড়িকমা পথের আবাল বনিতায় যৌবনের সেই জলাবতী নৌকা খেলায়--
দেখেছিলাম
দেখছি
দেখতে থাকবো একদম।

পন্যের জীবনচক্রের মতো হারিয়ে গেলে কোনো এক সন্ধ্যায় বৃষ্টিভেজা কাকের পাখনায় আমাকে খুঁজে নিও প্রিয়তমা স্মৃতিরা আমার।

আজ বাড়ি যাবো
অনেকদিন পর বাড়িতে গেলে তুমিও আমার সাথে দেখা করতে এসো।

পথ আমায় ঠিকমতো নিতে পারবে তো?

অনেক পথ সচল অতীতের মতো আগলে ধরে বর্তমানের বুক। অতীতের কর্মঠ হাতে আমিও ভাই নষ্টালজিক মানুষ অতীব অবুঝ।

না না ...

সব সুখদের একসাথে ডেকে এনে একসাথে বৃষ্টিভেজা শরীরে মেঘের বাড়ি বেড়াতে যাবো, কালকের বাড়িতে নামবে সাদা আর কালো রঙের বর্ষা-- অনেক অনেক গল্প হবে।

গল্প করতে করতে ঘুমিয়ে গেলে আমাকে ডেকে দিও, এখুনি আমি ঘুমাতে চাই না, অনেক চাওয়া পাওয়া হলে পাখিদের সকাল হয়ে একসাথে নদীতে যাবো--
নদীমাতা জীবন
নদীবন্ধু জীবন
নদীতুমি জীবন
জলের জানালায় দেখে নিবো তোমার চলন
ঝিনুকমুক্তা হয়ে ফিরে আসবো তোমার গলায় তখন
তোমার সাথেই আমৃত্যু আজীবন
আমার কোনো ঘর নেই বলে তোমার পথে হাজার হাজার রূপান্তর 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন