প্রজাপতি,
তরমুজের বাইরে সবুজ ভেতরে লাল। লাল আর সবুজ মিলে একটি দেশ -- বাংলাদেশ। তোমার মুখে যেদিন বাংলাদেশ দেখেছিলাম সেই দিন প্রথমবারের মতো হারিয়ে যাওয়া আমিকে খুঁজে পাই। প্রত্যেক আমির ভেতর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তোমরা থাকে। আর প্রত্যেক তোমাদের ভেতর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আমরা থাকে। আমিও তাই মনে করতাম কিন্তু এখন দেখি আমার সমস্ত মনের ক্যানভাসে একটাই জলরঙের আঁকা ছবি-- তুমি এবং তুমি তা যেন তুমি নও, হুবহু আমি এবং আমি।
গতকাল সারা রাত ঘুম হয় নি। আকাশে মেঘ ছিল প্রচুর। বৃষ্টি আসবে বলে আসেনি। তাই বালিশের সাথে মাথা থাকলেও ঘুমের সাথে চোখের সম্পর্ক হয়নি। তুমি তো জানো আমার একটি প্রিয় বদঅভ্যাস ছিল -- বালিশে মাথা দেয়ার সাথে সাথে ঘুম চলে আসতো। আজকাল বদঅভ্যাসটি খুব করে আমাকে হামলা করেনা। আমিও এখন ঘুমহীন রাত কাটাতে শিখে গেছি। কত কিছু শেখালে তুমি -- নুন, লবন, আধা, মরিচ, তেল, সাবান, শুটকী।
আকাশ ছোঁয়ার ইচ্ছা আমার আছে। একদিন আকাশের মাটিতে আমার একটি বাড়িও হবে। কিন্তু পাহাড়কে অবলম্বন করে আকাশ ছোঁয়ার ইচ্ছা কোনো কালেই আমার ছিল না। বরং পাহাড়ের দিকে দৃষ্টি পড়লেই আমার মন এক ঝাঁক করুণ রসের গান গাইতে চায়। পাহাড় কত্ত অসহায়, কেবল একটি আকাশ দেখেই তার দিন যায়, তার দিন যায়। আর আমাদের চোখে প্রতিদিন জন্ম নেয় নতুন নতুন আকাশ, নতুন নতুন চোখের সীমানা।
প্রিয়,
এখন কী করছো?
ঘুমের অভিনয় করে নিশ্চয় শুয়ে আছো অগোছালো বিছানায়। রুমমেট হয়তো বাড়ি চলে গেছে, তাই হয়তো তুমি একা রুমটাকে পৃথিবী থেকে দূরে সরিয়ে অন্ধকার গুহা বানিয়ে সুখবোধ চর্চা করছো মনে মনে। জানতো অন্ধকার গুহা পুরনো হলে কার্বন ডাইঅক্সাইড বেশ আয়েশ করে গড়ে তোলে তার আবাসিক এলাকা। আমি যে প্রাণী, তোমার মতো অভিযোজন ক্ষমতা আমার নেই, অক্সিজেন খেয়ে বেঁচে থাকতে হয়, রুমের জানালাটা খুলে দাও না; আলো হয়ে, বাতাস হয়ে তোমার রুমে একটু বিশ্রাম নিতে পারি যদি। হাজার বছরের পথ হাঁটতে হাঁটতে আমি যে ক্লান্ত। বলবে না প্লিজ, পথিক তুমি পথ হারিয়েছো।
জানো,
হীরক খণ্ড আমার অনেক প্রিয়। হীরক খণ্ডকে টুকরো টুকরো করতে হলে অনেক শক্তিশালী সমযোজী বন্ধন ছিন্ন করতে হয়। সম্পর্ক তো এমনই হওয়া চাই, হীরক খণ্ডের চেয়ে আরো শক্তিশালী, আরো প্রগাঢ়। তাছাড়া আমরা মানুষ, যারা চায়লেই ভুলের চোখে কালো কাপড় বেধে দিতে পারি অনায়াসে। যুগে যুগে এরিনাই-রা ছিল, পাপ যতদিন আছে ততদিন থাকবেও। তাহলে আমরা কেন জিউস কিংবা আফ্রোদিতি হবো না?
হতেই হবে।
আচ্ছা,
কিছু দিন আগে তোমার মনে জন্মনেয়া মহাসাগর কেমন আছে? মহাসাগর নাম শুনলে ভীতু হয়ে উঠি। কেন হবো না, আমি যে মহাসড়কের লোক। সাগরের উত্তাল তরঙ্গ দেখলেই অবিরাম অন্ধকারে কথা মনে পড়ে। অবিরাম অন্ধকার! অবিরাম অন্ধকারেই আদিপুরুষ আদম গন্ধম ফলের ছলনায় পড়েছিল, পৃথিবীতে হয়েছিল তাঁর আবাস। বেঁচারা আদম কত কেঁদেছিল, তার চোখের জলের নহর আজো শুকায়নি, আজো তার চোখের পানি পবিত্র ঝমঝম কূপের পানি। সেই আদমের রক্ত আমার দেহে, তাই আমি কাঁদতে চাই না, বাঁচতে চাই, বাঁচাতে চাই।
প্রজাপতি,
কেমন আছো?
আর আমি?
আমার ভালো কিংবা মন্দ থাকা কেবলই তোমার কাছে এসে নত হয়ে যায়, স্থির হয়ে যায় জিরো ডিগ্রি এ্যাংগেলে।
তরমুজের বাইরে সবুজ ভেতরে লাল। লাল আর সবুজ মিলে একটি দেশ -- বাংলাদেশ। তোমার মুখে যেদিন বাংলাদেশ দেখেছিলাম সেই দিন প্রথমবারের মতো হারিয়ে যাওয়া আমিকে খুঁজে পাই। প্রত্যেক আমির ভেতর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তোমরা থাকে। আর প্রত্যেক তোমাদের ভেতর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আমরা থাকে। আমিও তাই মনে করতাম কিন্তু এখন দেখি আমার সমস্ত মনের ক্যানভাসে একটাই জলরঙের আঁকা ছবি-- তুমি এবং তুমি তা যেন তুমি নও, হুবহু আমি এবং আমি।
গতকাল সারা রাত ঘুম হয় নি। আকাশে মেঘ ছিল প্রচুর। বৃষ্টি আসবে বলে আসেনি। তাই বালিশের সাথে মাথা থাকলেও ঘুমের সাথে চোখের সম্পর্ক হয়নি। তুমি তো জানো আমার একটি প্রিয় বদঅভ্যাস ছিল -- বালিশে মাথা দেয়ার সাথে সাথে ঘুম চলে আসতো। আজকাল বদঅভ্যাসটি খুব করে আমাকে হামলা করেনা। আমিও এখন ঘুমহীন রাত কাটাতে শিখে গেছি। কত কিছু শেখালে তুমি -- নুন, লবন, আধা, মরিচ, তেল, সাবান, শুটকী।
আকাশ ছোঁয়ার ইচ্ছা আমার আছে। একদিন আকাশের মাটিতে আমার একটি বাড়িও হবে। কিন্তু পাহাড়কে অবলম্বন করে আকাশ ছোঁয়ার ইচ্ছা কোনো কালেই আমার ছিল না। বরং পাহাড়ের দিকে দৃষ্টি পড়লেই আমার মন এক ঝাঁক করুণ রসের গান গাইতে চায়। পাহাড় কত্ত অসহায়, কেবল একটি আকাশ দেখেই তার দিন যায়, তার দিন যায়। আর আমাদের চোখে প্রতিদিন জন্ম নেয় নতুন নতুন আকাশ, নতুন নতুন চোখের সীমানা।
প্রিয়,
এখন কী করছো?
ঘুমের অভিনয় করে নিশ্চয় শুয়ে আছো অগোছালো বিছানায়। রুমমেট হয়তো বাড়ি চলে গেছে, তাই হয়তো তুমি একা রুমটাকে পৃথিবী থেকে দূরে সরিয়ে অন্ধকার গুহা বানিয়ে সুখবোধ চর্চা করছো মনে মনে। জানতো অন্ধকার গুহা পুরনো হলে কার্বন ডাইঅক্সাইড বেশ আয়েশ করে গড়ে তোলে তার আবাসিক এলাকা। আমি যে প্রাণী, তোমার মতো অভিযোজন ক্ষমতা আমার নেই, অক্সিজেন খেয়ে বেঁচে থাকতে হয়, রুমের জানালাটা খুলে দাও না; আলো হয়ে, বাতাস হয়ে তোমার রুমে একটু বিশ্রাম নিতে পারি যদি। হাজার বছরের পথ হাঁটতে হাঁটতে আমি যে ক্লান্ত। বলবে না প্লিজ, পথিক তুমি পথ হারিয়েছো।
জানো,
হীরক খণ্ড আমার অনেক প্রিয়। হীরক খণ্ডকে টুকরো টুকরো করতে হলে অনেক শক্তিশালী সমযোজী বন্ধন ছিন্ন করতে হয়। সম্পর্ক তো এমনই হওয়া চাই, হীরক খণ্ডের চেয়ে আরো শক্তিশালী, আরো প্রগাঢ়। তাছাড়া আমরা মানুষ, যারা চায়লেই ভুলের চোখে কালো কাপড় বেধে দিতে পারি অনায়াসে। যুগে যুগে এরিনাই-রা ছিল, পাপ যতদিন আছে ততদিন থাকবেও। তাহলে আমরা কেন জিউস কিংবা আফ্রোদিতি হবো না?
হতেই হবে।
আচ্ছা,
কিছু দিন আগে তোমার মনে জন্মনেয়া মহাসাগর কেমন আছে? মহাসাগর নাম শুনলে ভীতু হয়ে উঠি। কেন হবো না, আমি যে মহাসড়কের লোক। সাগরের উত্তাল তরঙ্গ দেখলেই অবিরাম অন্ধকারে কথা মনে পড়ে। অবিরাম অন্ধকার! অবিরাম অন্ধকারেই আদিপুরুষ আদম গন্ধম ফলের ছলনায় পড়েছিল, পৃথিবীতে হয়েছিল তাঁর আবাস। বেঁচারা আদম কত কেঁদেছিল, তার চোখের জলের নহর আজো শুকায়নি, আজো তার চোখের পানি পবিত্র ঝমঝম কূপের পানি। সেই আদমের রক্ত আমার দেহে, তাই আমি কাঁদতে চাই না, বাঁচতে চাই, বাঁচাতে চাই।
প্রজাপতি,
কেমন আছো?
আর আমি?
আমার ভালো কিংবা মন্দ থাকা কেবলই তোমার কাছে এসে নত হয়ে যায়, স্থির হয়ে যায় জিরো ডিগ্রি এ্যাংগেলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন