কত আপনজন, কত প্রিয়জন দেখি। কত কথা শুনি--
``তোমাকে ছাড়া বাঁচব না, তুমি আমাকে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছ।"
আরো কত মাখো মাখো মনমোহন শব্দ। মনমাতানো শব্দ শুনে মানুষ তখন বাকবাকুম বাকবাকুম করতে থাকে। ফুলের সাথে গড়ে ঋতুকালীন ঘর- সংসার। ভুলে যায় মাটির কথা, যে মাটি প্রত্যেক স্বাতন্ত্রের অস্তিত্বের গান করে। এক সময় ভুল ভাঙে কিন্তু ঘোর কাটে না। কারণ ঘোর যে এক অভ্যাসের নাম। অভ্যাসপরিক্রমা চাপা পড়তে পারে কিন্তু কখনো ফরম্যাট হয় না। ফলে আমরণ অপ্রিয় স্মৃতি বহন করে চলে অবচেতন মন। তবে শিক্ষিত মন ততদিনে জেনে যায় ,যে কোনো সময় প্রিয় অপ্রিয় স্বভাবে চালাতে পারে অস্ত্র। নিজের ভেতরের কুকুরটা টেনে বের করে আনতে পারে, শুধু আনা নয়, কুকুরস্বভাবে চলে ফাইনাল রাউন্ড, ফাইনাল রাউন্ড খেলা।
একমাত্র ``মা" যিনি আমাদের মূল, প্রিয়কথা নয়, কাজের প্রমাণিত জায়গা। কখনো মনে হয় না ``মা" আমাদের ছেড়ে চলে যাবে সুখের কোনো গুপ্ত সন্ধানে। মায়ের প্রকাশ্য কিংবা গোপন সুখসাগর কেবল আমরা। মা" শব্দটি আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে সৃজনশীল, সৃষ্টিশীল শব্দ। সন্তানের উপর মায়ের সৌহার্দ, প্রীতি, ভালোবাসা শুরু হয় কিন্তু শেষ হয় না। অথচ অন্যতম প্রাণ দেয়া- নেয়ার মূল্যদণ্ড যোগ্যতা। প্রিয় কিংবা প্রিয়া দুজনই যোগ্যতার কাণ্ডারী। যোগ্যতাকে সামনে রেখে চলতে থাকে নিদারুন দারুণ পাউয়ার প্রেকটিস। পাউয়ার প্রেকটিস থেকে জন্ম নেয় বিধ্বস্তকারী মারীচ, ডমিনেট প্রক্রিয়া। মা সন্তানের জন্য প্রীতিবোধ লালন করেন, চর্চা করেন না। ফলে মায়ের কোনো প্রকার পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না।
প্রশ্ন আসতে পারে মায়ের সাথে কারোই তুলনা হয় না, তারপরও তুলনা আসছে কেন ....
গ্রামের প্রত্যেক ঘরে একটি করে পবিত্র গ্রন্থ থাকে। তারা গ্রন্থটিকে খুব সম্মান করে। প্রথমে স্বচ্ছ কাপড় দিয়ে গ্রন্থটিকে মোড়কে আচ্ছাদন করে যাতে তার গতরে ময়লা না লাগে। তারপর মাথার উপরে জাতীয় একটি জায়গা সনাক্ত করে গ্রন্থটি রাখার জন্য যাতে গ্রন্থটির সাথে কোনো প্রকার বেয়াদবী না করতে হয়।
তারপর গ্রন্থটি এক বছরে একবারও খুলে দেখা হয় না।
ভাষিক সম্মান প্রদর্শন করে কার্যত দূরে ঠেলে দেয়া আধুনিক সময়ের একটি আরামদায়ক প্যাপিলন। যে মা আমাদেরকে পথে থাকার, পথ চলার কৌশল শেখানেল সেই মায়ের সাথে এমন প্যাপিলনপ্রধান আচরণ হচ্ছে কিনা?
হচ্ছে! অধিকাংশ সময়েই হচ্ছে!
সন্তান বড় হয়ে গেলে সন্তানের জ্ঞানের বহর অনেক বেড়ে যায়। মা- বাবা তখন ছোট্ট মানুষ, বেকডেটেট, মৃতপ্রায়। সুতরাং মা- বাবাকে যত এবোয়েড করা যায় ততই আমরা আধুনিক হয়ে উঠি। আধুনিক হতে হতে এতো শিখরে উঠে যাই যে ভুলে যেতে হয় শেকড়ের কথা। এবং ভুলে যায় শেকড়হীন হলে প্রিয় রসহীন হয়ে যেতে হয় গাছকে। রসহীন হলে কে ঠেকায় গাছের মরণ, কে ঠেকায় গাছের মরণ!
``তোমাকে ছাড়া বাঁচব না, তুমি আমাকে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছ।"
আরো কত মাখো মাখো মনমোহন শব্দ। মনমাতানো শব্দ শুনে মানুষ তখন বাকবাকুম বাকবাকুম করতে থাকে। ফুলের সাথে গড়ে ঋতুকালীন ঘর- সংসার। ভুলে যায় মাটির কথা, যে মাটি প্রত্যেক স্বাতন্ত্রের অস্তিত্বের গান করে। এক সময় ভুল ভাঙে কিন্তু ঘোর কাটে না। কারণ ঘোর যে এক অভ্যাসের নাম। অভ্যাসপরিক্রমা চাপা পড়তে পারে কিন্তু কখনো ফরম্যাট হয় না। ফলে আমরণ অপ্রিয় স্মৃতি বহন করে চলে অবচেতন মন। তবে শিক্ষিত মন ততদিনে জেনে যায় ,যে কোনো সময় প্রিয় অপ্রিয় স্বভাবে চালাতে পারে অস্ত্র। নিজের ভেতরের কুকুরটা টেনে বের করে আনতে পারে, শুধু আনা নয়, কুকুরস্বভাবে চলে ফাইনাল রাউন্ড, ফাইনাল রাউন্ড খেলা।
একমাত্র ``মা" যিনি আমাদের মূল, প্রিয়কথা নয়, কাজের প্রমাণিত জায়গা। কখনো মনে হয় না ``মা" আমাদের ছেড়ে চলে যাবে সুখের কোনো গুপ্ত সন্ধানে। মায়ের প্রকাশ্য কিংবা গোপন সুখসাগর কেবল আমরা। মা" শব্দটি আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে সৃজনশীল, সৃষ্টিশীল শব্দ। সন্তানের উপর মায়ের সৌহার্দ, প্রীতি, ভালোবাসা শুরু হয় কিন্তু শেষ হয় না। অথচ অন্যতম প্রাণ দেয়া- নেয়ার মূল্যদণ্ড যোগ্যতা। প্রিয় কিংবা প্রিয়া দুজনই যোগ্যতার কাণ্ডারী। যোগ্যতাকে সামনে রেখে চলতে থাকে নিদারুন দারুণ পাউয়ার প্রেকটিস। পাউয়ার প্রেকটিস থেকে জন্ম নেয় বিধ্বস্তকারী মারীচ, ডমিনেট প্রক্রিয়া। মা সন্তানের জন্য প্রীতিবোধ লালন করেন, চর্চা করেন না। ফলে মায়ের কোনো প্রকার পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না।
প্রশ্ন আসতে পারে মায়ের সাথে কারোই তুলনা হয় না, তারপরও তুলনা আসছে কেন ....
গ্রামের প্রত্যেক ঘরে একটি করে পবিত্র গ্রন্থ থাকে। তারা গ্রন্থটিকে খুব সম্মান করে। প্রথমে স্বচ্ছ কাপড় দিয়ে গ্রন্থটিকে মোড়কে আচ্ছাদন করে যাতে তার গতরে ময়লা না লাগে। তারপর মাথার উপরে জাতীয় একটি জায়গা সনাক্ত করে গ্রন্থটি রাখার জন্য যাতে গ্রন্থটির সাথে কোনো প্রকার বেয়াদবী না করতে হয়।
তারপর গ্রন্থটি এক বছরে একবারও খুলে দেখা হয় না।
ভাষিক সম্মান প্রদর্শন করে কার্যত দূরে ঠেলে দেয়া আধুনিক সময়ের একটি আরামদায়ক প্যাপিলন। যে মা আমাদেরকে পথে থাকার, পথ চলার কৌশল শেখানেল সেই মায়ের সাথে এমন প্যাপিলনপ্রধান আচরণ হচ্ছে কিনা?
হচ্ছে! অধিকাংশ সময়েই হচ্ছে!
সন্তান বড় হয়ে গেলে সন্তানের জ্ঞানের বহর অনেক বেড়ে যায়। মা- বাবা তখন ছোট্ট মানুষ, বেকডেটেট, মৃতপ্রায়। সুতরাং মা- বাবাকে যত এবোয়েড করা যায় ততই আমরা আধুনিক হয়ে উঠি। আধুনিক হতে হতে এতো শিখরে উঠে যাই যে ভুলে যেতে হয় শেকড়ের কথা। এবং ভুলে যায় শেকড়হীন হলে প্রিয় রসহীন হয়ে যেতে হয় গাছকে। রসহীন হলে কে ঠেকায় গাছের মরণ, কে ঠেকায় গাছের মরণ!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন