রতন থিয়াম থিয়েটারের লোক। মনিপুর এলাকায় তাঁর নিবাস। বাবা মা নৃত্য জগতের বিখ্যাত মানুষ। ইমফলের মতো ছোট্ট শহর থেকে তাঁর যাত্রা শুরু। থিয়েটারকে তিনি dark chamber হিসাবে আখ্যায়িত করেন। থিয়েটারের ব্যাপারে তিনি human energy কে গুরুত্ব দেন। তাঁর বিখ্যাত বক্তব্য I want to satisfy myself।
গ্রামের মানুষও নিজেকে সন্তুষ্ট করতে চায়। তবে রতন থিয়ামের মতো যৌথ জায়গা থেকে নয়। রতন থিয়ামের সন্তুষ্টির মানে হলো সবাই মিলে ভালো থাকা-- একজনের বিপদে আরেকজনের পাশে থাকা, সবাই মিলে বিপদের রাস্তাটাকে যত বেশি হ্রাস করা যায় সেই দিকে নজর রাখা সাপেক্ষে কাজ করা।
গ্রামের মানুষের দৌড়ঝাঁপ খাবারের প্লেট পর্যন্ত। খাবারের প্লেটে আঘাত আসছে তো সব বাদ-- চাচা আপন পরান বাঁচাজাতীয় ঘটনা।
অথচ গ্রামের সহজ সরল পরিবেশ মুগ্ধ হওয়ার মতো। সকালের সূর্য থেকে শুরু করে রাতের জোনাকিপোকার ডাকাডাকি পর্যন্ত প্রকৃতির একনিষ্ঠ সান্নিধ্যে থাকে তারা। আর প্রকৃতির প্রত্যেক উপাদান প্রত্যেক উপাদানকে সহযোগিতা করে চলেছে। কিন্তু গ্রামের মানুষ বধির, বোবা, অন্ধ। প্রকৃতির এই নবুওয়াত শিক্ষা তারা গ্রহন করে না।
তারা ততক্ষন পর্যন্ত মাটিঘেঁষা মানুষ যতক্ষন পর্যন্ত তাদের প্রয়োজনে আঘাত আসবে না। তারা লিখে রেখো একফোঁটা দিলাম শিশির জাতীয় উপকার করবে তাও আবার উপকার প্রত্যাশী মানসিকতাকে সামনে রেখে।
জসীম উদ্ দীনের সেই গ্রাম আর এখন নেই। এখন ডালিম গাছের তলে দাদির কবর থাকে না, নয়নের জল বহু আগে চলে গ্যাছে কর্পোরেট ব্যস্ততার ঘর বাড়িতে। লাঙল আর কয়েকদিনের মধ্যে জাদুঘরে পাওয়া যাবে। বৌদি আর তামাসা করার মানসিকতা রাখে না, বৌদিরা এখন হিংসা রোগে আক্রান্ত।
প্রত্যেক মানুষকে প্রথমে তার বেসিক প্রয়োজনগুলি মেটানোর দিকে নজর দিতে হয়। তারপর সঞ্চয় মানসিকতা। তারপর বিলাসিতা। গ্রামে যেহেতু কারিনা কাপুর অনেক আগেই চলে গ্যাছে তাই গ্রামের মানুষ এখন বিলাসি হয়ে ওঠেছে পুরোদস্তুর। আবশ্যিক প্রয়োজন মেটানোর সামর্থ যে মানুষের নেই সে যখন বিলাসি জীবনযাপনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে তা অবশ্যই ভয়ঙ্করভাবে বিপদজনক।
ছেলে যেহেতু বিদেশে থাকে সেহেতু তাদের কাছে অর্থ আছে কিন্তু অর্থের বিনিয়োগ জায়গা নেই। অর্থ আর অস্ত্র মানুষের স্বাভাবিক আচরনে পরিবর্তন নিয়ে আসে। ফলে ভাসমান অর্থের ধারক হয়ে তারাও ভাসমান আচরনের মালিক যেখানে মূলঘ্রান পাওয়া যায় না। কোনো আচরনে যখন মূলঘ্রান পাওয়া যাবে না তখন স্বাভাবিকভাবেই সেই আচরন সমাজে শৃঙ্খলা আনতে পারে না। রতন থিয়াম সেই বিশৃঙ্খল জায়গায় কাজের স্বপ্ন দেখান এবং সে স্বপ্নবাজ মাঝি যার কাছে ঢেউ কোনো বিপত্তির নাম নহে -- এক প্রশিক্ষনের নাম।
গ্রামের মানুষও নিজেকে সন্তুষ্ট করতে চায়। তবে রতন থিয়ামের মতো যৌথ জায়গা থেকে নয়। রতন থিয়ামের সন্তুষ্টির মানে হলো সবাই মিলে ভালো থাকা-- একজনের বিপদে আরেকজনের পাশে থাকা, সবাই মিলে বিপদের রাস্তাটাকে যত বেশি হ্রাস করা যায় সেই দিকে নজর রাখা সাপেক্ষে কাজ করা।
গ্রামের মানুষের দৌড়ঝাঁপ খাবারের প্লেট পর্যন্ত। খাবারের প্লেটে আঘাত আসছে তো সব বাদ-- চাচা আপন পরান বাঁচাজাতীয় ঘটনা।
অথচ গ্রামের সহজ সরল পরিবেশ মুগ্ধ হওয়ার মতো। সকালের সূর্য থেকে শুরু করে রাতের জোনাকিপোকার ডাকাডাকি পর্যন্ত প্রকৃতির একনিষ্ঠ সান্নিধ্যে থাকে তারা। আর প্রকৃতির প্রত্যেক উপাদান প্রত্যেক উপাদানকে সহযোগিতা করে চলেছে। কিন্তু গ্রামের মানুষ বধির, বোবা, অন্ধ। প্রকৃতির এই নবুওয়াত শিক্ষা তারা গ্রহন করে না।
তারা ততক্ষন পর্যন্ত মাটিঘেঁষা মানুষ যতক্ষন পর্যন্ত তাদের প্রয়োজনে আঘাত আসবে না। তারা লিখে রেখো একফোঁটা দিলাম শিশির জাতীয় উপকার করবে তাও আবার উপকার প্রত্যাশী মানসিকতাকে সামনে রেখে।
জসীম উদ্ দীনের সেই গ্রাম আর এখন নেই। এখন ডালিম গাছের তলে দাদির কবর থাকে না, নয়নের জল বহু আগে চলে গ্যাছে কর্পোরেট ব্যস্ততার ঘর বাড়িতে। লাঙল আর কয়েকদিনের মধ্যে জাদুঘরে পাওয়া যাবে। বৌদি আর তামাসা করার মানসিকতা রাখে না, বৌদিরা এখন হিংসা রোগে আক্রান্ত।
প্রত্যেক মানুষকে প্রথমে তার বেসিক প্রয়োজনগুলি মেটানোর দিকে নজর দিতে হয়। তারপর সঞ্চয় মানসিকতা। তারপর বিলাসিতা। গ্রামে যেহেতু কারিনা কাপুর অনেক আগেই চলে গ্যাছে তাই গ্রামের মানুষ এখন বিলাসি হয়ে ওঠেছে পুরোদস্তুর। আবশ্যিক প্রয়োজন মেটানোর সামর্থ যে মানুষের নেই সে যখন বিলাসি জীবনযাপনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে তা অবশ্যই ভয়ঙ্করভাবে বিপদজনক।
ছেলে যেহেতু বিদেশে থাকে সেহেতু তাদের কাছে অর্থ আছে কিন্তু অর্থের বিনিয়োগ জায়গা নেই। অর্থ আর অস্ত্র মানুষের স্বাভাবিক আচরনে পরিবর্তন নিয়ে আসে। ফলে ভাসমান অর্থের ধারক হয়ে তারাও ভাসমান আচরনের মালিক যেখানে মূলঘ্রান পাওয়া যায় না। কোনো আচরনে যখন মূলঘ্রান পাওয়া যাবে না তখন স্বাভাবিকভাবেই সেই আচরন সমাজে শৃঙ্খলা আনতে পারে না। রতন থিয়াম সেই বিশৃঙ্খল জায়গায় কাজের স্বপ্ন দেখান এবং সে স্বপ্নবাজ মাঝি যার কাছে ঢেউ কোনো বিপত্তির নাম নহে -- এক প্রশিক্ষনের নাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন