শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ব্যাকরণ

সালাম থেকে সেলাম, সেলাম থেকে সেলামি। সেলামি মানে সালাম দেয়ার জন্য প্রাপ্য অর্থ। এখানে সেলামি মানে সালাম করার কারনে প্রাপ্য অর্থ। সালাম করার রীতি মুসলিম কালচারে নেই। সনাতনী কালচারে প্রনাম করার রীতি চালু আছে। যারা একসময় প্রনাম করতে অভ্যস্ত ছিল তারাই এখন সেলাম করে। 

সালাম অর্থ শান্তি ~ আসসালামু আলাইকুম Peace be upon yours (not you) = আপনাদের উপর শান্তি নেমে আসুক। কারন এখানে কা শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি, করা হয়েছে কুম (আলাইকুম)। কা ' র বহুবচন কুম। কা ( জমির বা সর্বনাম) অর্থ আপনি বা তুমি কিন্তু কুম অর্থ আসে আপনাদের বা তোমাদের। 

তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে একজন ব্যক্তিকেও কেন আসসালামু আলাইকুম বলবো। বলবো এই কারনে যে মুসলিম বিশ্বাস মনে করে ব্যক্তি কখনো একা না, ব্যক্তির সাথে সব সময় দুইজন ফেরেশতা ( কেরাবান, কাতিবিন)  থাকে যারা আমলনামা লেখার কাজে ব্যস্ত।  

আসসালামু আলাইকুম অর্থ কখনো আপনার উপর রহমত বর্ষিত হোক ' এমন অনুবাদ করা যাবে না। রহমত আর শান্তি এক কথা না। রহমত শব্দটি রাহমান বা দয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট ( ওমা আরসালনাকা ইল্লা রাহমাতাল্লিল আলামিন ~ হে নবী আপনাকে রহমত হিসাবে প্রেরন করা হয়েছে) । দয়া আগে, শান্তি পরে। অর্থাৎ দয়ার পরের ঘটনা শান্তি। অন্যভাবে বললে দয়া একটি ফেকাল্টি আর শান্তি ডিপার্টমেন্ট। 

নম অর্থ নত হওয়া ( শিষ্টাচার)। প্রনাম মানে বিশেষভাবে নত হওয়া। প্র উপসর্গটি এখানে বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। সনাতনী কালচারে বহুপদ্ধতিতে প্রনাম করার রীতি চালু আছে, বহুপদ্ধতির মাঝে নমস্কার ( কল্যানমূলক ধ্বনি) বলা একটি। মুসলিম কালচারে আসসালামু আলাইকুম ( কল্যানমূলক ধ্বনি) উচ্চারন সাক্ষাৎমাত্র ওরাকল পদ্ধতি। 

English weather একটি pharase। যার অর্থ changing weather। যখন এটি মানুষের আচরনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে তখন এটি mood swing বিষয়টিকে বুঝিয়ে থাকে। অর্থাৎ English weather মানে ঘন ঘন আচরনের পরিবর্তনকে বুঝায়। যেহেতু ইংলিশদের সকালের আবহাওয়ার সাথে বিকেলের, সন্ধ্যার আবহাওয়ার মিল নেই। তাই আবহাওয়া ভালো থাকা তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। তাইতো তাদের কল্যান ধ্বনি good morning, good evening, good night প্রভৃতি।  

সা শব্দটির চেয়ে সে শব্দটি অধিক পরিচিত। আর গ্রামের মানুষের স্বজনপ্রীতি প্রখর। তাইতো সালাম না বলে, সেলাম বলে। 

সেলামি = দন্ড দেয়া  যখন সেলামির আগে আক্কেল শব্দটি বসে ( আক্কেল সেলামি = অতি চালাক বা অতি বোকামির জন্য প্রদত্ত ক্ষতিপূরন)। তারা কিন্তু আক্কেল বলে না, বলে আহল। ল আর ক বর্ন পাশাপাশি থাকলে তারা ক বর্নটির প্রতি উদাসীন হয়ে পড়ে। যেমন তারা বেক্কল বলে না, বলে বেহল ; বাকল বলে না, বলে বাহল। 

আরবিতে আহলে, আহলো, আহল সম্প্রদায় অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।যেমন :  আহলে সুন্নাত। আহলে সুন্নাত হলো এমন এক ইসলামি সম্প্রদায় যারা মনে করে হযরত মোহাম্মদ (স) নূর দিয়ে তৈরি, তিনি দেখতে মানুষের মতো কিন্তু মানুষ না, তিনি মানুষ রূপ ধরে পৃথিবীতে এসেছিলেন। আবার সনাতনী ধর্মের দেবতার মতো না। 

দেবতারা তো স্বয়ং ভগবান। ভগবান, ভগবান হয়ে পৃথিবীতে আসতে পারেন না, তাই মানুষ হয়ে পৃথিবীতে আসেন। ভগবান শব্দটি বিশ্লেষন করলে আমরা পাই -- ভগ ধারন করে আছে যে। ভগ মানে যোনি। 

এক স্রষ্টা অভিশপ্ত হলেন। ফলে তাঁর সারা অঙ্গে যোনি দিয়ে ভরাট হয়ে যায়। পরে অভিশাপ তুলে নেয়া হলো সেলামির বিনিময়ে। কিন্তু অঙ্গে যোনি না থাকলেও নামে যোনি চলে আসে। ভগবান।। আদম নবীও সেলামির বিনিময়ে হাওয়ার সাথে অবশেষে পৃথিবীর বুকে সংসার করতে সক্ষম হয়েছিলেন। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন