হাসিগুলো অন্য রকম, অনেকটা কান্নার সতীন। কান্নাগুলো একই রকম, অনেকটা রূপকথার গল্প।
শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৫
দ্ব
দিন রাত হলেই ভোরের স্বপ্নে ঘুমিয়ে পড়ি
It is too night to sink into your thought
It is too night to sink into your thought
শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৫
ত
তারা বাঘের গল্প করতে করতে বিড়ালকে নিয়ে ঘুমায়
হৃদয়
এক আকাশ হৃদয়ের আশায় এক কাপ ঠোঁট পেয়েছিলাম। কাপের ঠোঁটে ছিল অভিনয় আক্রান্ত তরল লিকার।
তো
ট্রেন প্রতিদিন যাত্রী তুলে, যাত্রী নামায়, ট্রেন কখনো লাইন থেকে সরে আসে না দূরারোগ্য রাস্তায়। যদি কখনো নেমে আসে রাস্তার পারিবারিক আঙ্গিনায় তখন চরম এক পরকালের দিন তার।
প্রিয় আমার,
তোমাকে আজকাল ট্রেনের মতো সেবক মনে হয়। কত শত যাত্রী তোমার কামড়া থেকে কামড়ায়। আমি পড়ে আছি রাস্তা থেকে রাস্তায় হায়চিল বেদনায়।
প্রিয় আমার,
তোমাকে আজকাল ট্রেনের মতো সেবক মনে হয়। কত শত যাত্রী তোমার কামড়া থেকে কামড়ায়। আমি পড়ে আছি রাস্তা থেকে রাস্তায় হায়চিল বেদনায়।
কাফের
বোরখা পরিহিত কাউকে দেখলে জুম্মার নামাযের কথা মনে হয়। সাপ্তাহিক ইদে লাফিয়ে লাফিয়ে ছুটে চলে বুজুর্গ ইমানদার মসজিদের দিকে। আমি তখন নামাযহীন কাফের।
বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৫
শাদা
আমার এক বন্ধু ছিল নতুনের মতো সাদা।
শাদা বক উড়ে গেলে সকাল-দুপুর-সন্ধ্যার কফিনে জমা হয় একগুচ্ছ মায়া।
মায়া তো প্রাইমারি স্কুলের হেড স্যার যিনি আমাকে ভয় দেখিয়েছেন। ফেল করার ভয়। তিনি আমাকে বলেছেন--
বাবু, দৈনিক আট ঘণ্টা পড়ো, তা না হলে তুমি পাশ করতে পারবে না।
পাঠ্যসূচির কঙ্কালে আমি আট ঘণ্টা করে চোখ রাখতে পারিনি স্যার,
সরি স্যার আমি পারিনি। আমি কিন্তু স্যার পাশ করেছি।
শুধু কি পাশ?
অনেক বিখ্যাত পাশ জমা হয়েছে আমার কঙ্কাল মার্কা নাম্বারের পাতায়। বুজুর্গ ভয় আমার কোনো কাজেই আসেনি।
আমার এক বন্ধু ছিল কাফনের মতো সাদা।
শাদা বক উড়ে গেলে সকাল-দুপুর-সন্ধ্যার কফিনে জমা হয় একগুচ্ছ মায়া।
মায়া তো প্রাইমারি স্কুলের হেড স্যার যিনি আমাকে ভয় দেখিয়েছেন। ফেল করার ভয়। তিনি আমাকে বলেছেন--
বাবু, দৈনিক আট ঘণ্টা পড়ো, তা না হলে তুমি পাশ করতে পারবে না।
পাঠ্যসূচির কঙ্কালে আমি আট ঘণ্টা করে চোখ রাখতে পারিনি স্যার,
সরি স্যার আমি পারিনি। আমি কিন্তু স্যার পাশ করেছি।
শুধু কি পাশ?
অনেক বিখ্যাত পাশ জমা হয়েছে আমার কঙ্কাল মার্কা নাম্বারের পাতায়। বুজুর্গ ভয় আমার কোনো কাজেই আসেনি।
আমার এক বন্ধু ছিল কাফনের মতো সাদা।
বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৫
থ
মানুষ থামতে জানে না, থামাতে জানে
মেথ
দোকানে গিয়ে বললাম,
মামা, আমাকে চার দুগুণে ছয়টি চকলেট দেন
দোকানি মামা হাসলেন এবং আমাকে ছয়টি চকলেট দিলেন
পাশেই দাঁড়ানো ছিলেন এক কাকু। চার দুগুণে ছয় হয় কীভাবে কাকুর শক্তিশালী প্রতিবাদ!?
আমি আর উত্তরে যাই নি। আমার উত্তর থেমে গেল মামার হাসি আর কাকুর প্রশ্নের বাউড়ি উপত্যকায়।
মামা, আমাকে চার দুগুণে ছয়টি চকলেট দেন
দোকানি মামা হাসলেন এবং আমাকে ছয়টি চকলেট দিলেন
পাশেই দাঁড়ানো ছিলেন এক কাকু। চার দুগুণে ছয় হয় কীভাবে কাকুর শক্তিশালী প্রতিবাদ!?
আমি আর উত্তরে যাই নি। আমার উত্তর থেমে গেল মামার হাসি আর কাকুর প্রশ্নের বাউড়ি উপত্যকায়।
মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৫
ল
শেষ পর্যন্ত লেখকের কাছেই পৃথিবীর আমানত
হাড্ডি
বিদেশী কুকুর কিন্তু হাড্ডি খায় না, মাটি খায়
জনাব দেশী মাটির হিসাব যেন থাকে
জনাব দেশী মাটির হিসাব যেন থাকে
মশার
মশার কামড় এতো বিরক্তিকর কেন?
কারন আবর্জনা মশার জন্মস্থান।
কারন আবর্জনা মশার জন্মস্থান।
হিল
এখানে উঁচু হিল আমদানি করা হয়। অথচ ভোক্তা জানে না হিল এই মাটির জন্য প্রযোজ্য না। কারণ এখানকার অধিকাংশ রাস্তাঘাট কাঁচা। ফলে দেখা যায় তারা মাটিতে এমনভাবে পা ফেলে যেন সার্কাসের চিকন রশিতে পা ফেলছে।
হিলযুক্ত জুতা পায়ের সামনের অংশ থেকে পেছনের অংশকে দুই থেকে তিন ইঞ্চি উঁচু করে। এর প্রভাব গিয়ে পড়ে বুকে। ফলে বুক হাঁসের মতো সামনের দিকে ঝুলে থাকে, বুক যখন সামনের দিকে ঝুলে থাকে তখন এর একটি প্রভাব পড়ে কোমরে। কোমর তার স্বাভাবিক ব্যালেন্স হারায়। কোমর হেলেদুলে চলতে থাকে। নিতম্ব যেহেতু রাবারের মতো সেহেতু কোমরের চাপে নিতম্ব প্রশস্ত হয়ে পড়ে।
একদিকে বুক সামনের দিকে, অন্যদিকে নিতম্ব পেছনের দিকে রাবারের মতো স্প্রিং করে চলে। নিতম্ব আর বুকের দুলদুল তখন পুরুষের মনে ঝনঝনা শব্দ তৈরি করে। পুরুষ কামনার ঘরে বাঁধ দিয়ে রাখতে পারে না। কারণ জলের স্বভাব প্রবাহিত হওয়া। ফলে ধর্মের পর্দা ভেদ করে নারীর নিতম্ব আর বুক হয়ে পড়ে হাজার বছরের জৈবিক ধর্ম।
তখন পুরুষের কামনা আর নারীর প্রদর্শনের সামনে আসে সামাজিক নিয়ম, ব্যক্তিগত রুচিবোধ। ব্যক্তিগত রুচিবোধ অবশ্যই সামাজিক নিয়মেরই অপভ্রংশ। তখনই নিয়ম নিয়মকে শত্রু মনে করে, আত্মরক্ষা আত্মহূতির কারন হয়ে দাঁড়ায়।
তাই অবশ্যই পদ্ধতি আমদানি করার আগে প্রায়োগিক জায়গা কতটুকু উর্বর সে বিবেচনাবোধ মাথায় রেখেই সামনের দিকে পদক্ষেপ ফেলতে হয়। তা না হলে সম্পদ নষ্ট, সময় নষ্ট এক অনিবার্য হিসাব হয়ে পড়ে।
যেমন :
ফাস্টফুডের জন্মদেশে, জন্মদোকানে বসার কোনো জায়গা নেই। অথচ এখানকার ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে আলো-আধাঁরি ব্যবস্থা। যে ডিএনএ ঘণ্টার পর ঘণ্টা চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়ে অভ্যস্ত সেই ডিএনএ যখন আলো-আধাঁরি সাইলেন্স স্যার স্যার পরিবেশ পায় তখন মন আর উঠতে চায় না। চলতে থাকে আড্ডা আর আড্ডা। সময়কে খেয়ে ফেলে অলসতা, অর্থচক্র নেমে আসে ভোগবাদে।
ইউক্লিপটাস কার্বন মনোঅক্সাইড (Co) ত্যাগ করে। আমাদের রক্তের হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন পরিবহন করে থাকে। মজার কথা হলো হিমোগ্লোবিনের কার্বন মনোঅক্সাইডের প্রতি আকর্ষণ বেশি। শরীরের যখন কার্বন মনোঅক্সাইড বেশি পরিবাহিত হয় তখন শ্বাসকষ্টসহ অনেক ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। ইউক্লিপটাসের উপকারের কথা অস্বীকার করা যাবে না অবশ্যই। কিন্তু উপকার সময় এবং অবস্থান দ্বারা নির্ধারিত। তাই ইউক্লিপটাসকে এদেশের পাখি, ফুল, ফলের উপযোগী করে তোলার আগে আবশ্যিকভাবে নিরীক্ষাধর্মী প্রায়োগিক পরীক্ষার প্রয়োজন আছে। প্রায়োগিক পরীক্ষাই মূলত নৈতিকতার চিরায়ত শুদ্ধি।
হিলযুক্ত জুতা পায়ের সামনের অংশ থেকে পেছনের অংশকে দুই থেকে তিন ইঞ্চি উঁচু করে। এর প্রভাব গিয়ে পড়ে বুকে। ফলে বুক হাঁসের মতো সামনের দিকে ঝুলে থাকে, বুক যখন সামনের দিকে ঝুলে থাকে তখন এর একটি প্রভাব পড়ে কোমরে। কোমর তার স্বাভাবিক ব্যালেন্স হারায়। কোমর হেলেদুলে চলতে থাকে। নিতম্ব যেহেতু রাবারের মতো সেহেতু কোমরের চাপে নিতম্ব প্রশস্ত হয়ে পড়ে।
একদিকে বুক সামনের দিকে, অন্যদিকে নিতম্ব পেছনের দিকে রাবারের মতো স্প্রিং করে চলে। নিতম্ব আর বুকের দুলদুল তখন পুরুষের মনে ঝনঝনা শব্দ তৈরি করে। পুরুষ কামনার ঘরে বাঁধ দিয়ে রাখতে পারে না। কারণ জলের স্বভাব প্রবাহিত হওয়া। ফলে ধর্মের পর্দা ভেদ করে নারীর নিতম্ব আর বুক হয়ে পড়ে হাজার বছরের জৈবিক ধর্ম।
তখন পুরুষের কামনা আর নারীর প্রদর্শনের সামনে আসে সামাজিক নিয়ম, ব্যক্তিগত রুচিবোধ। ব্যক্তিগত রুচিবোধ অবশ্যই সামাজিক নিয়মেরই অপভ্রংশ। তখনই নিয়ম নিয়মকে শত্রু মনে করে, আত্মরক্ষা আত্মহূতির কারন হয়ে দাঁড়ায়।
তাই অবশ্যই পদ্ধতি আমদানি করার আগে প্রায়োগিক জায়গা কতটুকু উর্বর সে বিবেচনাবোধ মাথায় রেখেই সামনের দিকে পদক্ষেপ ফেলতে হয়। তা না হলে সম্পদ নষ্ট, সময় নষ্ট এক অনিবার্য হিসাব হয়ে পড়ে।
যেমন :
ফাস্টফুডের জন্মদেশে, জন্মদোকানে বসার কোনো জায়গা নেই। অথচ এখানকার ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে আলো-আধাঁরি ব্যবস্থা। যে ডিএনএ ঘণ্টার পর ঘণ্টা চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়ে অভ্যস্ত সেই ডিএনএ যখন আলো-আধাঁরি সাইলেন্স স্যার স্যার পরিবেশ পায় তখন মন আর উঠতে চায় না। চলতে থাকে আড্ডা আর আড্ডা। সময়কে খেয়ে ফেলে অলসতা, অর্থচক্র নেমে আসে ভোগবাদে।
ইউক্লিপটাস কার্বন মনোঅক্সাইড (Co) ত্যাগ করে। আমাদের রক্তের হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন পরিবহন করে থাকে। মজার কথা হলো হিমোগ্লোবিনের কার্বন মনোঅক্সাইডের প্রতি আকর্ষণ বেশি। শরীরের যখন কার্বন মনোঅক্সাইড বেশি পরিবাহিত হয় তখন শ্বাসকষ্টসহ অনেক ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। ইউক্লিপটাসের উপকারের কথা অস্বীকার করা যাবে না অবশ্যই। কিন্তু উপকার সময় এবং অবস্থান দ্বারা নির্ধারিত। তাই ইউক্লিপটাসকে এদেশের পাখি, ফুল, ফলের উপযোগী করে তোলার আগে আবশ্যিকভাবে নিরীক্ষাধর্মী প্রায়োগিক পরীক্ষার প্রয়োজন আছে। প্রায়োগিক পরীক্ষাই মূলত নৈতিকতার চিরায়ত শুদ্ধি।
কলম
এক কলমি শাক বহুদিন জলে ছিল শাপলা হওয়ার আশায়, হাজার বছর পরও লোকে তাকে শাপলা বলে না। কলমি শাক জানে না জল থেকে শাপলার জন্ম, জলে থাকলেই শাপলা হওয়া যায় না।
রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫
বন্ধু
আমিও জেগেছিলাম আমার সাথে
জেগেছিলো আরেকটি প্রাণি
লোকে তাকে চাঁদ বলে জানে
আমি তাকে বন্ধু বলে মানি
জেগেছিলো আরেকটি প্রাণি
লোকে তাকে চাঁদ বলে জানে
আমি তাকে বন্ধু বলে মানি
মানুষ
যে গরম তলা থেকে হাঁসের জন্ম সেই গরম তলা থেকেই মোরগের জন্ম। হাঁসের বাচ্চা জন্মানোর সাথে সাথেই জলে সাঁতার কাটে। জল তার জন্মগত খেলার মাঠ। সাঁতার কাটা মোরগের সাধনার জায়গা। জল তার ভয়ের অনিবার্য আলাপ।
জন্মস্থান এক হলেই পরিচয় এক হয় না
মানুষ কখনো হতে পারে না, মানুষ হয়েই জন্মগ্রহণ করে
জন্মস্থান এক হলেই পরিচয় এক হয় না
মানুষ কখনো হতে পারে না, মানুষ হয়েই জন্মগ্রহণ করে
প
তারা প্রেমের নামে বাজার আমদানি করে
শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৫
প্রতিযোগিতা
পৃথিবীর সামনে দুটি শব্দ,
এক~ সহযোগিতা
দুই~ প্রতিযোগিতা
সহযোগিতা এবং প্রতিযোগিতা যখন সমানভাবে চলে তখন পৃথিবীতে চলে স্নায়ুযুদ্ধ। প্রতিযোগিতা যখন জয়লাভ করে তখন পৃথিবীতে নেমে আসে অরাজকতা।
এক~ সহযোগিতা
দুই~ প্রতিযোগিতা
সহযোগিতা এবং প্রতিযোগিতা যখন সমানভাবে চলে তখন পৃথিবীতে চলে স্নায়ুযুদ্ধ। প্রতিযোগিতা যখন জয়লাভ করে তখন পৃথিবীতে নেমে আসে অরাজকতা।
শিশুর মতো
আমি তাকে শিশুর মতো ভালোবাসি। আর সে আমাকে জ্ঞানীর মতো বিবেচনা করে। ভালোবাসতে ভালোবাসতে আমি আরো শিশু হয়ে যাই। আর সে হয়ে যায় কিতাবুল মুফতি। হযরত মুফতি আমাকে ফতুয়া দেয় আমি নাকি কাফের।
কসম খোদার এই কাফেরের হৃদয়ে প্রেমের যে খুশবু তা মালাকাত- মান্দে তন্নতন্ন করেও খোঁজে পাওয়া যাবে না।
সেও জয় হল, আমিও জয়ী
সে জেনেছে সূর্য একটি আলোকপিণ্ড, আর আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি সূর্য এক ছায়ায় অপভ্রংশ।
কসম খোদার এই কাফেরের হৃদয়ে প্রেমের যে খুশবু তা মালাকাত- মান্দে তন্নতন্ন করেও খোঁজে পাওয়া যাবে না।
সেও জয় হল, আমিও জয়ী
সে জেনেছে সূর্য একটি আলোকপিণ্ড, আর আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি সূর্য এক ছায়ায় অপভ্রংশ।
বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৫
পুজো
পুজো দেখতে বের হলাম। আবহাওয়া স্বাস্থ্যকর। আকাশের চাঁদ নদীর স্রোতের মতো বাঁকা। রাত তাই নরম তুলার মতো আরামদায়ক বাতাস হয়ে মস্তিষ্কের এক দিগন্ত থেকে অজানা দিগন্তে।
পুজো দেখতে বের হলাম কথাটি সামাজিক সত্য। বাস্তব সত্য সুন্দর মানুষ দেখতে বের হলাম। সনাতনী মানুষ চোখের বাতায়নে শীতল হাওয়া-বাতাস নিয়ে আসে।
সনাতনী মানুষ এতো সুন্দর হয় কেন?
সুন্দর বলতে আমি যা বুঝি তা হলো সজীবতা, তাদেরকে সজীব দেখায় কারন তাদের খাবারের ম্যানুয়েল। তাদের খাবার সরাসরি প্রকৃতির সাথে জড়িত। ফলে প্রকৃতির শ্যামল শোভা তাদের চেহারায় প্রবেশ করে। তাইতো শিল্পীর আঁকা প্রতিমার চেয়ে অনেক প্রতিমাময় চোখের সামনের কিছু মুখ।
প্রতিমাময় কিছু মুখ দেখার জন্যই পুজামণ্ডপে আমি। দুর্গার সামনে মাথা নত করে প্রণাম করছি। চোখ মেলে দেখি প্রসাদ। প্রসাদ খেয়ে বেশ তৃপ্তি পেলাম। মাজারের খিচুড়িও বেশ তৃপ্তিদায়ক। মসজিদের জিলাপির নাম শুনলেই জিহ্বায় জল চলে আসে। একটু পরে গান শুরু হয়। চমৎকার হিন্দি গান। আবার হিন্দি গানের সুর নকল করে বাংলা গান। গানের কথাগুলো কানে লেগে আছে--
রসগোল্লা রসে টলটল
আমি তখন দুর্গার দিকে তাকাই। কোথাও কোনো রস দেখতে পাই না।
তাহলে রস কোথায়?
হ্যাঁ, রস আমাদের মনে। মনে রস নিয়ে সবাই চরম মাস্তিতে ব্যস্ত। দেখলাম দুর্গার পা থেকে মিউজিক বের হয়ে আসছে। আর্য-অনার্য দ্বন্দ্বে নারী হয়ে ওঠেছিল পুজোর উপকরণ, প্রথমবারের মতো স্থাপিত হয়েছিল পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব।
কিন্তু দুর্গার পায়ের নিচে আলো-আঁধারি মিউজিক আসলো কী করে?
এখানে হয়তো কোনো অমানবিক অজ্ঞতা লুকায়িত!
কড়া মিউজিকের শব্দে প্রস্থান করতে বাধ্য হলাম। যখন পুজামণ্ডপ থেকে অনেক দূরে তখন উপলব্ধি করতে পারি কানে শুনতে পাচ্ছি না। কড়া মিউজিক আমার শ্রবণে বাঁধ দিয়েছে।
সমস্যা নেই, দুর্গা দর্শনে এমন দুই একবার শ্রবণে সাময়িক সমস্যা তৈরি হতেই পারে। আবার সমস্যা দূর হয়ে যাবে( দুর্গা দুর্গতিনাশিনী) , আবার প্রতিমা দর্শনে বের হবো, আবার থেকে আবার,
এইভাবেই ভুলের পর ভুল সাজিয়ে তৈরি হয় আমার সমাজ।
পুজো দেখতে বের হলাম কথাটি সামাজিক সত্য। বাস্তব সত্য সুন্দর মানুষ দেখতে বের হলাম। সনাতনী মানুষ চোখের বাতায়নে শীতল হাওয়া-বাতাস নিয়ে আসে।
সনাতনী মানুষ এতো সুন্দর হয় কেন?
সুন্দর বলতে আমি যা বুঝি তা হলো সজীবতা, তাদেরকে সজীব দেখায় কারন তাদের খাবারের ম্যানুয়েল। তাদের খাবার সরাসরি প্রকৃতির সাথে জড়িত। ফলে প্রকৃতির শ্যামল শোভা তাদের চেহারায় প্রবেশ করে। তাইতো শিল্পীর আঁকা প্রতিমার চেয়ে অনেক প্রতিমাময় চোখের সামনের কিছু মুখ।
প্রতিমাময় কিছু মুখ দেখার জন্যই পুজামণ্ডপে আমি। দুর্গার সামনে মাথা নত করে প্রণাম করছি। চোখ মেলে দেখি প্রসাদ। প্রসাদ খেয়ে বেশ তৃপ্তি পেলাম। মাজারের খিচুড়িও বেশ তৃপ্তিদায়ক। মসজিদের জিলাপির নাম শুনলেই জিহ্বায় জল চলে আসে। একটু পরে গান শুরু হয়। চমৎকার হিন্দি গান। আবার হিন্দি গানের সুর নকল করে বাংলা গান। গানের কথাগুলো কানে লেগে আছে--
রসগোল্লা রসে টলটল
আমি তখন দুর্গার দিকে তাকাই। কোথাও কোনো রস দেখতে পাই না।
তাহলে রস কোথায়?
হ্যাঁ, রস আমাদের মনে। মনে রস নিয়ে সবাই চরম মাস্তিতে ব্যস্ত। দেখলাম দুর্গার পা থেকে মিউজিক বের হয়ে আসছে। আর্য-অনার্য দ্বন্দ্বে নারী হয়ে ওঠেছিল পুজোর উপকরণ, প্রথমবারের মতো স্থাপিত হয়েছিল পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব।
কিন্তু দুর্গার পায়ের নিচে আলো-আঁধারি মিউজিক আসলো কী করে?
এখানে হয়তো কোনো অমানবিক অজ্ঞতা লুকায়িত!
কড়া মিউজিকের শব্দে প্রস্থান করতে বাধ্য হলাম। যখন পুজামণ্ডপ থেকে অনেক দূরে তখন উপলব্ধি করতে পারি কানে শুনতে পাচ্ছি না। কড়া মিউজিক আমার শ্রবণে বাঁধ দিয়েছে।
সমস্যা নেই, দুর্গা দর্শনে এমন দুই একবার শ্রবণে সাময়িক সমস্যা তৈরি হতেই পারে। আবার সমস্যা দূর হয়ে যাবে( দুর্গা দুর্গতিনাশিনী) , আবার প্রতিমা দর্শনে বের হবো, আবার থেকে আবার,
এইভাবেই ভুলের পর ভুল সাজিয়ে তৈরি হয় আমার সমাজ।
প্যাকেট
অলস রুমে একা শুয়ে থাকা। ভালোলাগা বড় বেশি বেহায়া। ভালোলাগা বড় বেশি কৃপণ। পদানত শর্ত বার বার ঘিরে ধরে চারপাশ। আমরা নষ্ট করি আমিকে। আমির বাজারে রাজাদের হাহাকার। এক দুর্লভ শুন্যতা আজকাল শীতের মতো নেমে আসে পৃথিবীর সস্তা প্রতিজ্ঞায়। এক পাখি চোখের জল যদি রাস্তায় নেমে আসে নদী হবে?
হবে না!
পাখির ঠোঁট জল চিনে না, জলের স্রোতে গতরের পেক পরিষ্কার করে নেয় মাত্র।
আচ্ছা, এইভাবে যদি কিছু কথা বলি তাতে কী হবে? কিচ্ছু হবে না। আমাদের চিরচেনা পৃথিবী চায় গোছানো প্যাকেট, প্যাকেটের ভেতর পরিতৃপ্ত খাবার।
হবে না!
পাখির ঠোঁট জল চিনে না, জলের স্রোতে গতরের পেক পরিষ্কার করে নেয় মাত্র।
আচ্ছা, এইভাবে যদি কিছু কথা বলি তাতে কী হবে? কিচ্ছু হবে না। আমাদের চিরচেনা পৃথিবী চায় গোছানো প্যাকেট, প্যাকেটের ভেতর পরিতৃপ্ত খাবার।
প্যাকেট
অলস রুমে একা শুয়ে থাকা। ভালোলাগা বড় বেশি বেহায়া। ভালোলাগা বড় বেশি কৃপণ। পদানত শর্ত বার বার ঘিরে ধরে চারপাশ। আমরা নষ্ট করি আমিকে। আমির বাজারে রাজাদের হাহাকার। এক দুর্লভ শুন্যতা আজকাল শীতের মতো নেমে আসে পৃথিবীর সস্তা প্রতিজ্ঞায়। এক পাখি চোখের জল যদি রাস্তায় নেমে আসে নদী হবে?
হবে না!
পাখির ঠোঁট জল চিনে না, জলের স্রোতে গতরের পেক পরিষ্কার করে নেয় মাত্র।
আচ্ছা, এইভাবে যদি কিছু কথা বলি তাতে কী হবে? কিচ্ছু হবে না। আমাদের চিরচেনা পৃথিবী চায় গোছানো প্যাকেট, প্যাকেটের ভেতর পরিতৃপ্ত খাবার।
হবে না!
পাখির ঠোঁট জল চিনে না, জলের স্রোতে গতরের পেক পরিষ্কার করে নেয় মাত্র।
আচ্ছা, এইভাবে যদি কিছু কথা বলি তাতে কী হবে? কিচ্ছু হবে না। আমাদের চিরচেনা পৃথিবী চায় গোছানো প্যাকেট, প্যাকেটের ভেতর পরিতৃপ্ত খাবার।
মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৫
চিন্তার
বিজ্ঞাপন মানে বিশেষভাবে জ্ঞাপন বা জানানো। শহরের আকাশে অনেক অনেক বিলবোর্ড দেখা যায়। বিলবোর্ডে প্রথমে বিজ্ঞাপিত হয়ে থাকে চকচকে মোমের মতো কোনো নারী অথবা সামাজিক মর্যাদাশীল কোনো পুরুষ।
তারপর বিলবোর্ড যা বলতে চায় তাহলো যেহেতু তারা( বিলবোর্ড প্রদর্শিত যারা) একটি ব্যক্তিগত জীবন যাপন করে এবং যাপিত জীবনে কিছু পন্যের প্রয়োজন হয় সেহেতু তারা কী পন্য ব্যবহার করে তা আপনাদের মানে আমাদের জানা প্রয়োজন। ফলস্বরূপ বিলবোর্ডের মানুষটির পাশে একটি পন্য খুব আস্তে করে প্রদর্শন করা হয়।
কিন্তু যিনি বিজ্ঞাপনের আয়োজন করেছেন তিনি ব্যক্তির প্রর্দশনীর ব্যবস্থা করেছেন তার পন্যকে বিজ্ঞাপিত করার জন্য যেখানে ব্যক্তির মূল্য খুবই নগন্য( অদৃশ্যভাবে)।
এইভাবে একজন মানুষ পন্য হয়ে ওঠে। এইভাবে একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে বিক্রি করে।
ক্রয়-বিক্রয়ের এই সময়ে যখন দেখি কোনো কোম্পানি তাদের পন্য বিক্রি করার জন্য কোনো মানুষ নয় আরেকটি পন্যকে মাধ্যম করেছেন তখন একটি সুবিন্যস্ত চিন্তার খোঁজ পাই। চিন্তাটিকে শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছা হয়,
চিন্তাটিকে বিজ্ঞাপিত করার বাসনা তৈরি হয় ....
তারপর বিলবোর্ড যা বলতে চায় তাহলো যেহেতু তারা( বিলবোর্ড প্রদর্শিত যারা) একটি ব্যক্তিগত জীবন যাপন করে এবং যাপিত জীবনে কিছু পন্যের প্রয়োজন হয় সেহেতু তারা কী পন্য ব্যবহার করে তা আপনাদের মানে আমাদের জানা প্রয়োজন। ফলস্বরূপ বিলবোর্ডের মানুষটির পাশে একটি পন্য খুব আস্তে করে প্রদর্শন করা হয়।
কিন্তু যিনি বিজ্ঞাপনের আয়োজন করেছেন তিনি ব্যক্তির প্রর্দশনীর ব্যবস্থা করেছেন তার পন্যকে বিজ্ঞাপিত করার জন্য যেখানে ব্যক্তির মূল্য খুবই নগন্য( অদৃশ্যভাবে)।
এইভাবে একজন মানুষ পন্য হয়ে ওঠে। এইভাবে একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে বিক্রি করে।
ক্রয়-বিক্রয়ের এই সময়ে যখন দেখি কোনো কোম্পানি তাদের পন্য বিক্রি করার জন্য কোনো মানুষ নয় আরেকটি পন্যকে মাধ্যম করেছেন তখন একটি সুবিন্যস্ত চিন্তার খোঁজ পাই। চিন্তাটিকে শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছা হয়,
চিন্তাটিকে বিজ্ঞাপিত করার বাসনা তৈরি হয় ....
শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৫
চেনা
তোমারে চিনিতে গেলে সোঁজা রাস্তা হয় বাকাঁ
আমি মদন প্রেমিক কানা পথ চিনি না, চিনি না।।
আকাশেতে সূর্য ওঠে
জমিনেতে ছায়া পড়ে
ছায়ার কভু কায়া হয় না
তবু ছায়া কথা কই।।
দেহের ভেতর আলোর বাড়ি
আলোর ভেতর পাগল আমি
আমির ভেতর নিরাকার তুমি
নিরাকারে কেমনে রই।।
03102015
আমি মদন প্রেমিক কানা পথ চিনি না, চিনি না।।
আকাশেতে সূর্য ওঠে
জমিনেতে ছায়া পড়ে
ছায়ার কভু কায়া হয় না
তবু ছায়া কথা কই।।
দেহের ভেতর আলোর বাড়ি
আলোর ভেতর পাগল আমি
আমির ভেতর নিরাকার তুমি
নিরাকারে কেমনে রই।।
03102015
শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৫
M
The myth is something a wrong the result is unfinished for the whole
ক
কাফনের পাশে শুয়ে থাকে মুনাফিক অতীত
বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৫
ঘ
যার স্বপ্নে আমার ঘুম ভাঙ্গে তার ঘুম যেন ভালো হয়
বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৫
সুমির দা
সুমির দা ভালো আছো?
তুমি কি এখনো নীরব অভিমান ঢেলে দাও চায়ের কাপে?
তোমার চা খেয়ে খেয়ে সে এখন অভিমানী তারা
শরতের সফেদ মেঘ আর তার লুকোচুরি খেলা
আমি যদি চলে যাই অন্য মহাদেশে কিংবা গান শুনি অন্য কোনো কালের
তোমাদের ব্যস্ত কুলিকাতা অসুস্থ হবে জন্য চিরকালের
তুমি কি এখনো নীরব অভিমান ঢেলে দাও চায়ের কাপে?
তোমার চা খেয়ে খেয়ে সে এখন অভিমানী তারা
শরতের সফেদ মেঘ আর তার লুকোচুরি খেলা
আমি যদি চলে যাই অন্য মহাদেশে কিংবা গান শুনি অন্য কোনো কালের
তোমাদের ব্যস্ত কুলিকাতা অসুস্থ হবে জন্য চিরকালের
প
পরি উড়ে গেলে কল্পনায় পড়ে থাকে লিকারের মৃত দেহ
মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৫
শিক্ষা বোর্ড
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। পাহাড়ের উপরে মাস্তানি করে দাঁড়িয়ে আছে। তার গায়ে সুনসান নীরবতা। পাহাড়ি মেজাজে ছাত্ররা ক্লাসে যায়, হলে ঘুমায়। ঝিঁঝিপোকার মাত্রাবৃত্ত কোলাহল, শিয়ালের কমলা রঙ্গের ডাক, অন্ধকারের মতো গাঢ় কুয়াশা পাহাড়ের শীতকালীন চরিত্র। হলের এক কোণায় দাঁড়িয়ে আছি।
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ হল।
ধীরেন্দ্রনাথ ছিলেন সাহসী ভাষা সৈনিক। পাকিস্তানি পার্লামেন্টে যখন উর্দু ভাষাকে পূর্বপাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার পরিকল্পনা চলছে তখনই ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বিরোধিতা করেন। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন প্রথম মানুষ যিনি উর্দু ভাষাকে পূর্বপাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার বিরোধিতা করেছিলেন। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত উর্দু ভাষাকে বাংলার রাষ্ট্র করার বিরোধিতা করে বাংলার বিমান বন্দরের ল্যান্ড করেন। দেখেন কয়েকজন যুবক দাঁড়ানো। কুয়াশার কারনে তাদের চেহারা তেমন দেখা যায় না। তিনি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিলেন। তিনি চোখ বন্ধ করে সামনের দিকে হাঁটছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি অনুভব করতে লাগলেন তাঁর মাথায় কিছু পড়ছে। তিনি নিশ্চিত হলেন আজ তাঁর মৃত্যু।
কিন্তু না।
তাঁর মাথায় যা পড়ছে তা পাথরের মতো শক্ত না, ফুলের মতো নরম। তখনও তাঁর চোখ বন্ধ। চোখ খুললেন। সত্যিই তাঁকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে। তাঁর সামনে তখন দাঁড়িয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় তরুণ।
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ হলের এক কোণায় আমি। পাহাড়ের চরিত্র উপলব্ধি করার চেষ্টা। তবুও মনে আছে অন্য এক ভয়। ভয়টাকে অবশ্যই শঙ্কা হিসাবে চালিয়ে দেয়া যায়-- কী যে হয়, কী যে হয়!
আর মাত্র দশ দিন। দশ দিন পর ভাইভাফেইস করতে হবে। আজকের পর ইদের ছুটি। সুতরাং আজকের কর্মদিবসই আমার জন্য শেষ। ঘুমের ভেতর শঙ্কা জেগে থাকায় ঘুম ভালো হয়নি।
সকাল সকাল কুমিল্লা বোর্ডে এলাম। শিক্ষা বোর্ডের প্রত্যেক ইট ঘুষ খাওয়ার ব্যাপারে খুব আগ্রহী। আমিও ঘুষ দেয়ার ছহি নিয়ত নিয়ে এসেছি। তবুও আমার কাজ আজকের ভেতর শেষ করতেই হবে।
বলছি,স্যার আমাকে আপনার কাছে পাঠিয়েছেন।
কোন স্যার?
আড়াইসিধা কে বি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামাল স্যার।
ও আচ্ছা, তিনি কেমন আছেন?
বেশ ভালো।
আচ্ছা বাবা, তোমার জন্য কী করতে পারি?
আমার এস.এস.সি সার্টিফিকেটে আম্মার নামের বানানে একটি বর্ণ ভুল আছে।
আচ্ছা বাবা, কাজটি তো অনেক জটিল, তারপরও কামাল ভাই যেহেতু পাঠিয়েছেন ....।
কাজটি জটিল হতে পারে কিন্তু আমাকে তা আজকের মধ্যেই করতে হবে।
অসম্ভব, একদম অসম্ভব।
সব পথ যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন একটি অদৃশ্য পথ খুলে যায়, যে পথ আগের পথগুলোর চেয়ে অনেক মসৃণ, যারা হতাশ তারা সেই মসৃণ পথটি আবিষ্কার করতে পারে না। আমি তাই হতাশ হইনি।
দেখুন না কোনো পথ খোলা আছে কিনা।
দেখ বাবা, তুমি আমার ছেলের মতো। কীভাবে বলি, তারপরও বলতে হবে। যদি তিন হাজার টাকা দিতে পারো তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যে কাজটি সম্পূর্ণ করে তোমার ঠিকানায় পৌঁছে দেব।
আমার সাথে জীবন ভাই। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেজাজ তার আচরণে।
ও মিয়া, কী কন, আমরারে বোদাই পাইছেন!
জীবন ভাইকে অনেক চেষ্টা করে শান্ত করে বললাম আপনি চা খেয়ে আসেন। জীবন ভাই চলে গেলেন।
লোকটির হাতে আড়াইশত টাকা দিয়ে বললাম বাকিটুকু পরে দিচ্ছি। প্লিজ মনে কিছু করবেন না ....।
চা খেয়ে আমি আর জীবন ভাই সিদ্ধান্ত নিলাম কাজটি নিজেরাই করবো। তিনশত টাকা ব্যাংক ড্রাফট করে প্রক্রিয়ামতো ধীরে ধীরে কাজ করতে লাগলাম। অত্যন্ত নিরিহভাবে সবাইকে আমার সমস্যার কথা খুলে বললাম। নিরীহ সারল্যে এতো শক্তি প্রথমবারের মতো অনুধাবন করি।
দুপুর থেকে সন্ধ্যার দিকে সূর্য। কাজও প্রায় শেষ। ফাইল সব অফিস ঘুরে এখন চেয়ারম্যানের রুমে। তার রুম থেকে আমার হাতে হয়তো আসবে।
স্যার আমি এমরানুর রেজা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ভর্তিভাইভা ইদের পর। বানান কারেকশনের জন্য আপনাদের স্মরণাপন্ন হয়েছি। এখন আপনি স্বাক্ষর করলেই .....।
আমার কাছে আপনার ফাইল আপনি কীভাবে জানেন?
সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ফাইল ট্রান্সফরমার আমার হাত দিয়েই তো হয়েছে।
কী!!!!! যান, আপনার ফাইল আর মুভ করবে না!
মাথার উপর যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। আস্তে করে চোখ বন্ধ করলাম। চোখ বন্ধ করেই ফ্লোরে পড়ে গেলাম। তারপরও ....।
মজার ঘটনা।
ক্লিং ক্লিং ক্লিং
আমাকে পানি দিতে নিয়ে যাওয়া হলো। জীবন ভাই চিন্তিত। জীবন ভাইয়ের কানের কাছে মাথা নিলাম, আস্তে করে বললাম-- আমার কিছু হয় নি। কথা শুনে জীবন ভাই স্বাভাবিক। ফ্যানের নিচে বসানো হলো। কিছুক্ষণের মধ্যে আমার ফাইল কমপ্লিট।
এখন বাড়ি যাওয়ার পালা। হাসতে হাসতে সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামছি । নিচে নামতেই লোকটির সাথে দেখা।
আপনার কাজ শেষ?
শেষ তবে আরেকটি ছোট্ট কাজ রয়েছে।
কী?
আপনার কাছে আমার আড়াই শত টাকা রয়েছে।
লোকটি বুকপকেট থেকে আড়াই শত টাকা বের করে দিলো। তার কাছ থেকে দোয়া নিয়ে বিদায় নিলাম।
একটু সামনে গিয়ে পেছনে ফিরে তাকালাম, লোকটিও তাকালো। তার মুখে মৃদু হাসি। তার হাসির দিকে তাকিয়ে বলতে ইচ্ছে হলো যে কিছু পাখি আছে যাদের পালক অনেক বেশি স্বচ্ছ তবুও তাদের চেনা যায় না!
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ হল।
ধীরেন্দ্রনাথ ছিলেন সাহসী ভাষা সৈনিক। পাকিস্তানি পার্লামেন্টে যখন উর্দু ভাষাকে পূর্বপাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার পরিকল্পনা চলছে তখনই ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বিরোধিতা করেন। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন প্রথম মানুষ যিনি উর্দু ভাষাকে পূর্বপাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার বিরোধিতা করেছিলেন। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত উর্দু ভাষাকে বাংলার রাষ্ট্র করার বিরোধিতা করে বাংলার বিমান বন্দরের ল্যান্ড করেন। দেখেন কয়েকজন যুবক দাঁড়ানো। কুয়াশার কারনে তাদের চেহারা তেমন দেখা যায় না। তিনি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিলেন। তিনি চোখ বন্ধ করে সামনের দিকে হাঁটছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি অনুভব করতে লাগলেন তাঁর মাথায় কিছু পড়ছে। তিনি নিশ্চিত হলেন আজ তাঁর মৃত্যু।
কিন্তু না।
তাঁর মাথায় যা পড়ছে তা পাথরের মতো শক্ত না, ফুলের মতো নরম। তখনও তাঁর চোখ বন্ধ। চোখ খুললেন। সত্যিই তাঁকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে। তাঁর সামনে তখন দাঁড়িয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় তরুণ।
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ হলের এক কোণায় আমি। পাহাড়ের চরিত্র উপলব্ধি করার চেষ্টা। তবুও মনে আছে অন্য এক ভয়। ভয়টাকে অবশ্যই শঙ্কা হিসাবে চালিয়ে দেয়া যায়-- কী যে হয়, কী যে হয়!
আর মাত্র দশ দিন। দশ দিন পর ভাইভাফেইস করতে হবে। আজকের পর ইদের ছুটি। সুতরাং আজকের কর্মদিবসই আমার জন্য শেষ। ঘুমের ভেতর শঙ্কা জেগে থাকায় ঘুম ভালো হয়নি।
সকাল সকাল কুমিল্লা বোর্ডে এলাম। শিক্ষা বোর্ডের প্রত্যেক ইট ঘুষ খাওয়ার ব্যাপারে খুব আগ্রহী। আমিও ঘুষ দেয়ার ছহি নিয়ত নিয়ে এসেছি। তবুও আমার কাজ আজকের ভেতর শেষ করতেই হবে।
বলছি,স্যার আমাকে আপনার কাছে পাঠিয়েছেন।
কোন স্যার?
আড়াইসিধা কে বি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামাল স্যার।
ও আচ্ছা, তিনি কেমন আছেন?
বেশ ভালো।
আচ্ছা বাবা, তোমার জন্য কী করতে পারি?
আমার এস.এস.সি সার্টিফিকেটে আম্মার নামের বানানে একটি বর্ণ ভুল আছে।
আচ্ছা বাবা, কাজটি তো অনেক জটিল, তারপরও কামাল ভাই যেহেতু পাঠিয়েছেন ....।
কাজটি জটিল হতে পারে কিন্তু আমাকে তা আজকের মধ্যেই করতে হবে।
অসম্ভব, একদম অসম্ভব।
সব পথ যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন একটি অদৃশ্য পথ খুলে যায়, যে পথ আগের পথগুলোর চেয়ে অনেক মসৃণ, যারা হতাশ তারা সেই মসৃণ পথটি আবিষ্কার করতে পারে না। আমি তাই হতাশ হইনি।
দেখুন না কোনো পথ খোলা আছে কিনা।
দেখ বাবা, তুমি আমার ছেলের মতো। কীভাবে বলি, তারপরও বলতে হবে। যদি তিন হাজার টাকা দিতে পারো তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যে কাজটি সম্পূর্ণ করে তোমার ঠিকানায় পৌঁছে দেব।
আমার সাথে জীবন ভাই। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেজাজ তার আচরণে।
ও মিয়া, কী কন, আমরারে বোদাই পাইছেন!
জীবন ভাইকে অনেক চেষ্টা করে শান্ত করে বললাম আপনি চা খেয়ে আসেন। জীবন ভাই চলে গেলেন।
লোকটির হাতে আড়াইশত টাকা দিয়ে বললাম বাকিটুকু পরে দিচ্ছি। প্লিজ মনে কিছু করবেন না ....।
চা খেয়ে আমি আর জীবন ভাই সিদ্ধান্ত নিলাম কাজটি নিজেরাই করবো। তিনশত টাকা ব্যাংক ড্রাফট করে প্রক্রিয়ামতো ধীরে ধীরে কাজ করতে লাগলাম। অত্যন্ত নিরিহভাবে সবাইকে আমার সমস্যার কথা খুলে বললাম। নিরীহ সারল্যে এতো শক্তি প্রথমবারের মতো অনুধাবন করি।
দুপুর থেকে সন্ধ্যার দিকে সূর্য। কাজও প্রায় শেষ। ফাইল সব অফিস ঘুরে এখন চেয়ারম্যানের রুমে। তার রুম থেকে আমার হাতে হয়তো আসবে।
স্যার আমি এমরানুর রেজা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার ভর্তিভাইভা ইদের পর। বানান কারেকশনের জন্য আপনাদের স্মরণাপন্ন হয়েছি। এখন আপনি স্বাক্ষর করলেই .....।
আমার কাছে আপনার ফাইল আপনি কীভাবে জানেন?
সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ফাইল ট্রান্সফরমার আমার হাত দিয়েই তো হয়েছে।
কী!!!!! যান, আপনার ফাইল আর মুভ করবে না!
মাথার উপর যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। আস্তে করে চোখ বন্ধ করলাম। চোখ বন্ধ করেই ফ্লোরে পড়ে গেলাম। তারপরও ....।
মজার ঘটনা।
ক্লিং ক্লিং ক্লিং
আমাকে পানি দিতে নিয়ে যাওয়া হলো। জীবন ভাই চিন্তিত। জীবন ভাইয়ের কানের কাছে মাথা নিলাম, আস্তে করে বললাম-- আমার কিছু হয় নি। কথা শুনে জীবন ভাই স্বাভাবিক। ফ্যানের নিচে বসানো হলো। কিছুক্ষণের মধ্যে আমার ফাইল কমপ্লিট।
এখন বাড়ি যাওয়ার পালা। হাসতে হাসতে সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামছি । নিচে নামতেই লোকটির সাথে দেখা।
আপনার কাজ শেষ?
শেষ তবে আরেকটি ছোট্ট কাজ রয়েছে।
কী?
আপনার কাছে আমার আড়াই শত টাকা রয়েছে।
লোকটি বুকপকেট থেকে আড়াই শত টাকা বের করে দিলো। তার কাছ থেকে দোয়া নিয়ে বিদায় নিলাম।
একটু সামনে গিয়ে পেছনে ফিরে তাকালাম, লোকটিও তাকালো। তার মুখে মৃদু হাসি। তার হাসির দিকে তাকিয়ে বলতে ইচ্ছে হলো যে কিছু পাখি আছে যাদের পালক অনেক বেশি স্বচ্ছ তবুও তাদের চেনা যায় না!
সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৫
প্রচার
আত্মপ্রচার। আত্মকে প্রচার।
দোষ + গুণ = আত্ম
কিন্তু আত্মপ্রচার বলতে আমরা কেবল ভালো কিছুর প্রচারকেই বুঝি। যা কিছু আমাদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে সেই প্রিয় কিছুর প্রচার করে বলতে চাই যে তোমাদের সমাজে আমিও পারি অথবা তোমাদের সমাজে আমারও উপযোগিতা রয়েছে কিংবা আমিও ভাই মিছিলের লোক।
তাই আজকের সমাজে আত্মপ্রচার মানে পরিকল্পিতভাবে নিজপ্রিয়তার প্রচার।
খাবারের টেবিলে বসে সেলফি তোলা এবং তা প্রচার করা এক প্রকার সামষ্টিক নিজপ্রিয়তার প্রচার।
মানুষ তো তাই প্রচার করে যা তার কাছে প্রিয় এবং আরাধ্য। এখনো আমাদের কাছে খাবার অতি আরাধ্য বিষয়। আরাধ্য বিষয়টি যখন আমাদের কাছে আসে তখন আমরা ঘটা করে জানাতে চাই যে আমরাও ভাই ভালো কিছু খেতে পারি। খাবার টেবিলটি এখনো আমাদের কাছে অন্যকে জানানোর বিষয়, প্রচারের বিষয়!
কারো বাসা বাড়িতে গেলেই, কিংবা অফিসে কিছুক্ষণের জন্য সৌজন্য সাক্ষাতে গেলেই তারা কী খাওয়া যায় এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তারা মনে করে, যে লোকটি তার কাছে এসেছে সে এক হাজার বছরের ক্ষুধা নিয়ে এসেছে। অর্থাৎ আমাদের প্রিয়-অপ্রিয় জায়গাগুলো এখনো খাবার টেবিলে ঘোরাঘুরি করে, আমাদের আত্মপ্রচার খুব বেশি জৈবিক।
আপনারাই তো বলেন আমরা আধুনিক, পোস্ট আধুনিক মানুষ!
কিন্তু প্রাগৈতিহাসিক মানুষের মতো এখনো আপনাদের মস্তিষ্কের চাকা খাবারকে কেন্দ্র করেই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পনেরো ঘণ্টা চলতে থাকে।
তাহলে বলেন তো আপনারা কি আধুনিক মানুষ, না আধুনিকতা একপ্রকার খাবারের নাম!?
দোষ + গুণ = আত্ম
কিন্তু আত্মপ্রচার বলতে আমরা কেবল ভালো কিছুর প্রচারকেই বুঝি। যা কিছু আমাদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে সেই প্রিয় কিছুর প্রচার করে বলতে চাই যে তোমাদের সমাজে আমিও পারি অথবা তোমাদের সমাজে আমারও উপযোগিতা রয়েছে কিংবা আমিও ভাই মিছিলের লোক।
তাই আজকের সমাজে আত্মপ্রচার মানে পরিকল্পিতভাবে নিজপ্রিয়তার প্রচার।
খাবারের টেবিলে বসে সেলফি তোলা এবং তা প্রচার করা এক প্রকার সামষ্টিক নিজপ্রিয়তার প্রচার।
মানুষ তো তাই প্রচার করে যা তার কাছে প্রিয় এবং আরাধ্য। এখনো আমাদের কাছে খাবার অতি আরাধ্য বিষয়। আরাধ্য বিষয়টি যখন আমাদের কাছে আসে তখন আমরা ঘটা করে জানাতে চাই যে আমরাও ভাই ভালো কিছু খেতে পারি। খাবার টেবিলটি এখনো আমাদের কাছে অন্যকে জানানোর বিষয়, প্রচারের বিষয়!
কারো বাসা বাড়িতে গেলেই, কিংবা অফিসে কিছুক্ষণের জন্য সৌজন্য সাক্ষাতে গেলেই তারা কী খাওয়া যায় এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তারা মনে করে, যে লোকটি তার কাছে এসেছে সে এক হাজার বছরের ক্ষুধা নিয়ে এসেছে। অর্থাৎ আমাদের প্রিয়-অপ্রিয় জায়গাগুলো এখনো খাবার টেবিলে ঘোরাঘুরি করে, আমাদের আত্মপ্রচার খুব বেশি জৈবিক।
আপনারাই তো বলেন আমরা আধুনিক, পোস্ট আধুনিক মানুষ!
কিন্তু প্রাগৈতিহাসিক মানুষের মতো এখনো আপনাদের মস্তিষ্কের চাকা খাবারকে কেন্দ্র করেই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পনেরো ঘণ্টা চলতে থাকে।
তাহলে বলেন তো আপনারা কি আধুনিক মানুষ, না আধুনিকতা একপ্রকার খাবারের নাম!?
প্রচার
আত্মপ্রচার। আত্মকে প্রচার।
দোষ + গুণ = আত্ম
কিন্তু আত্মপ্রচার বলতে আমরা কেবল ভালো কিছুর প্রচারকেই বুঝি। যা কিছু আমাদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে সেই প্রিয় কিছুর প্রচার করে বলতে চাই যে তোমাদের সমাজে আমিও পারি অথবা তোমাদের সমাজে আমারও উপযোগিতা রয়েছে কিংবা আমিও ভাই মিছিলের লোক।
তাই আজকের সমাজে আত্মপ্রচার মানে পরিকল্পিতভাবে নিজপ্রিয়তার প্রচার।
খাবারের টেবিলে বসে সেলফি তোলা এবং তা প্রচার করা এক প্রকার সামষ্টিক নিজপ্রিয়তার প্রচার।
মানুষ তো তাই প্রচার করে যা তার কাছে প্রিয় এবং আরাধ্য। এখনো আমাদের কাছে খাবার অতি আরাধ্য বিষয়। আরাধ্য বিষয়টি যখন আমাদের কাছে আসে তখন আমরা ঘটা করে জানাতে চাই যে আমরাও ভাই ভালো কিছু খেতে পারি। খাবার টেবিলটি এখনো আমাদের কাছে অন্যকে জানানোর বিষয়, প্রচারের বিষয়!
কারো বাসা বাড়িতে গেলেই, কিংবা অফিসে কিছুক্ষণের জন্য সৌজন্য সাক্ষাতে গেলেই তারা কী খাওয়া যায় এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তারা মনে করে, যে লোকটি তার কাছে এসেছে সে এক হাজার বছরের ক্ষুধা নিয়ে এসেছে। অর্থাৎ আমাদের প্রিয়-অপ্রিয় জায়গাগুলো এখনো খাবার টেবিলে ঘোরাঘুরি করে, আমাদের আত্মপ্রচার খুব বেশি জৈবিক।
আপনারাই তো বলেন আমরা আধুনিক, পোস্ট আধুনিক মানুষ!
কিন্তু প্রাগৈতিহাসিক মানুষের মতো এখনো আপনাদের মস্তিষ্কের চাকা খাবারকে কেন্দ্র করেই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পনেরো ঘণ্টা চলতে থাকে।
তাহলে বলেন তো আপনারা কি আধুনিক মানুষ, না আধুনিকতা একপ্রকার খাবারের নাম!?
দোষ + গুণ = আত্ম
কিন্তু আত্মপ্রচার বলতে আমরা কেবল ভালো কিছুর প্রচারকেই বুঝি। যা কিছু আমাদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে সেই প্রিয় কিছুর প্রচার করে বলতে চাই যে তোমাদের সমাজে আমিও পারি অথবা তোমাদের সমাজে আমারও উপযোগিতা রয়েছে কিংবা আমিও ভাই মিছিলের লোক।
তাই আজকের সমাজে আত্মপ্রচার মানে পরিকল্পিতভাবে নিজপ্রিয়তার প্রচার।
খাবারের টেবিলে বসে সেলফি তোলা এবং তা প্রচার করা এক প্রকার সামষ্টিক নিজপ্রিয়তার প্রচার।
মানুষ তো তাই প্রচার করে যা তার কাছে প্রিয় এবং আরাধ্য। এখনো আমাদের কাছে খাবার অতি আরাধ্য বিষয়। আরাধ্য বিষয়টি যখন আমাদের কাছে আসে তখন আমরা ঘটা করে জানাতে চাই যে আমরাও ভাই ভালো কিছু খেতে পারি। খাবার টেবিলটি এখনো আমাদের কাছে অন্যকে জানানোর বিষয়, প্রচারের বিষয়!
কারো বাসা বাড়িতে গেলেই, কিংবা অফিসে কিছুক্ষণের জন্য সৌজন্য সাক্ষাতে গেলেই তারা কী খাওয়া যায় এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তারা মনে করে, যে লোকটি তার কাছে এসেছে সে এক হাজার বছরের ক্ষুধা নিয়ে এসেছে। অর্থাৎ আমাদের প্রিয়-অপ্রিয় জায়গাগুলো এখনো খাবার টেবিলে ঘোরাঘুরি করে, আমাদের আত্মপ্রচার খুব বেশি জৈবিক।
আপনারাই তো বলেন আমরা আধুনিক, পোস্ট আধুনিক মানুষ!
কিন্তু প্রাগৈতিহাসিক মানুষের মতো এখনো আপনাদের মস্তিষ্কের চাকা খাবারকে কেন্দ্র করেই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পনেরো ঘণ্টা চলতে থাকে।
তাহলে বলেন তো আপনারা কি আধুনিক মানুষ, না আধুনিকতা একপ্রকার খাবারের নাম!?
প্রচার
আত্মপ্রচার। আত্মকে প্রচার।
দোষ + গুণ = আত্ম
কিন্তু আত্মপ্রচার বলতে আমরা কেবল ভালো কিছুর প্রচারকেই বুঝি। যা কিছু আমাদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে সেই প্রিয় কিছুর প্রচার করে বলতে চাই যে তোমাদের সমাজে আমিও পারি অথবা তোমাদের সমাজে আমারও উপযোগিতা রয়েছে কিংবা আমিও ভাই মিছিলের লোক।
তাই আজকের সমাজে আত্মপ্রচার মানে পরিকল্পিতভাবে নিজপ্রিয়তার প্রচার।
খাবারের টেবিলে বসে সেলফি তোলা এবং তা প্রচার করা এক প্রকার সামষ্টিক নিজপ্রিয়তার প্রচার।
মানুষ তো তাই প্রচার করে যা তার কাছে প্রিয় এবং আরাধ্য। এখনো আমাদের কাছে খাবার অতি আরাধ্য বিষয়। আরাধ্য বিষয়টি যখন আমাদের কাছে আসে তখন আমরা ঘটা করে জানাতে চাই যে আমরাও ভাই ভালো কিছু খেতে পারি। খাবার টেবিলটি এখনো আমাদের কাছে অন্যকে জানানোর বিষয়, প্রচারের বিষয়!
কারো বাসা বাড়িতে গেলেই, কিংবা অফিসে কিছুক্ষণের জন্য সৌজন্য সাক্ষাতে গেলেই তারা কী খাওয়া যায় এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তারা মনে করে, যে লোকটি তার কাছে এসেছে সে এক হাজার বছরের ক্ষুধা নিয়ে এসেছে। অর্থাৎ আমাদের প্রিয়-অপ্রিয় জায়গাগুলো এখনো খাবার টেবিলে ঘোরাঘুরি করে, আমাদের আত্মপ্রচার খুব বেশি জৈবিক।
আপনারাই তো বলেন আমরা আধুনিক, পোস্ট আধুনিক মানুষ!
কিন্তু প্রাগৈতিহাসিক মানুষের মতো এখনো আপনাদের মস্তিষ্কের চাকা খাবারকে কেন্দ্র করেই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পনেরো ঘণ্টা চলতে থাকে।
তাহলে বলেন তো আপনারা কি আধুনিক মানুষ, না আধুনিকতা একপ্রকার খাবারের নাম!?
দোষ + গুণ = আত্ম
কিন্তু আত্মপ্রচার বলতে আমরা কেবল ভালো কিছুর প্রচারকেই বুঝি। যা কিছু আমাদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে সেই প্রিয় কিছুর প্রচার করে বলতে চাই যে তোমাদের সমাজে আমিও পারি অথবা তোমাদের সমাজে আমারও উপযোগিতা রয়েছে কিংবা আমিও ভাই মিছিলের লোক।
তাই আজকের সমাজে আত্মপ্রচার মানে পরিকল্পিতভাবে নিজপ্রিয়তার প্রচার।
খাবারের টেবিলে বসে সেলফি তোলা এবং তা প্রচার করা এক প্রকার সামষ্টিক নিজপ্রিয়তার প্রচার।
মানুষ তো তাই প্রচার করে যা তার কাছে প্রিয় এবং আরাধ্য। এখনো আমাদের কাছে খাবার অতি আরাধ্য বিষয়। আরাধ্য বিষয়টি যখন আমাদের কাছে আসে তখন আমরা ঘটা করে জানাতে চাই যে আমরাও ভাই ভালো কিছু খেতে পারি। খাবার টেবিলটি এখনো আমাদের কাছে অন্যকে জানানোর বিষয়, প্রচারের বিষয়!
কারো বাসা বাড়িতে গেলেই, কিংবা অফিসে কিছুক্ষণের জন্য সৌজন্য সাক্ষাতে গেলেই তারা কী খাওয়া যায় এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তারা মনে করে, যে লোকটি তার কাছে এসেছে সে এক হাজার বছরের ক্ষুধা নিয়ে এসেছে। অর্থাৎ আমাদের প্রিয়-অপ্রিয় জায়গাগুলো এখনো খাবার টেবিলে ঘোরাঘুরি করে, আমাদের আত্মপ্রচার খুব বেশি জৈবিক।
আপনারাই তো বলেন আমরা আধুনিক, পোস্ট আধুনিক মানুষ!
কিন্তু প্রাগৈতিহাসিক মানুষের মতো এখনো আপনাদের মস্তিষ্কের চাকা খাবারকে কেন্দ্র করেই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পনেরো ঘণ্টা চলতে থাকে।
তাহলে বলেন তো আপনারা কি আধুনিক মানুষ, না আধুনিকতা একপ্রকার খাবারের নাম!?
প্রচার
আত্মপ্রচার। আত্মকে প্রচার।
দোষ + গুণ = আত্ম
কিন্তু আত্মপ্রচার বলতে আমরা কেবল ভালো কিছুর প্রচারকেই বুঝি। যা কিছু আমাদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে সেই প্রিয় কিছুর প্রচার করে বলতে চাই যে তোমাদের সমাজে আমিও পারি অথবা তোমাদের সমাজে আমারও উপযোগিতা রয়েছে কিংবা আমিও ভাই মিছিলের লোক।
তাই আজকের সমাজে আত্মপ্রচার মানে পরিকল্পিতভাবে নিজপ্রিয়তার প্রচার।
খাবারের টেবিলে বসে সেলফি তোলা এবং তা প্রচার করা এক প্রকার সামষ্টিক নিজপ্রিয়তার প্রচার।
মানুষ তো তাই প্রচার করে যা তার কাছে প্রিয় এবং আরাধ্য। এখনো আমাদের কাছে খাবার অতি আরাধ্য বিষয়। আরাধ্য বিষয়টি যখন আমাদের কাছে আসে তখন আমরা ঘটা করে জানাতে চাই যে আমরাও ভাই ভালো কিছু খেতে পারি। খাবার টেবিলটি এখনো আমাদের কাছে অন্যকে জানানোর বিষয়, প্রচারের বিষয়!
কারো বাসা বাড়িতে গেলেই, কিংবা অফিসে কিছুক্ষণের জন্য সৌজন্য সাক্ষাতে গেলেই তারা কী খাওয়া যায় এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তারা মনে করে, যে লোকটি তার কাছে এসেছে সে এক হাজার বছরের ক্ষুধা নিয়ে এসেছে। অর্থাৎ আমাদের প্রিয়-অপ্রিয় জায়গাগুলো এখনো খাবার টেবিলে ঘোরাঘুরি করে, আমাদের আত্মপ্রচার খুব বেশি জৈবিক।
আপনারাই তো বলেন আমরা আধুনিক, পোস্ট আধুনিক মানুষ!
কিন্তু প্রাগৈতিহাসিক মানুষের মতো এখনো আপনাদের মস্তিষ্কের চাকা খাবারকে কেন্দ্র করেই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পনেরো ঘণ্টা চলতে থাকে।
তাহলে বলেন তো আপনারা কি আধুনিক মানুষ, না আধুনিকতা একপ্রকার খাবারের নাম!?
দোষ + গুণ = আত্ম
কিন্তু আত্মপ্রচার বলতে আমরা কেবল ভালো কিছুর প্রচারকেই বুঝি। যা কিছু আমাদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে সেই প্রিয় কিছুর প্রচার করে বলতে চাই যে তোমাদের সমাজে আমিও পারি অথবা তোমাদের সমাজে আমারও উপযোগিতা রয়েছে কিংবা আমিও ভাই মিছিলের লোক।
তাই আজকের সমাজে আত্মপ্রচার মানে পরিকল্পিতভাবে নিজপ্রিয়তার প্রচার।
খাবারের টেবিলে বসে সেলফি তোলা এবং তা প্রচার করা এক প্রকার সামষ্টিক নিজপ্রিয়তার প্রচার।
মানুষ তো তাই প্রচার করে যা তার কাছে প্রিয় এবং আরাধ্য। এখনো আমাদের কাছে খাবার অতি আরাধ্য বিষয়। আরাধ্য বিষয়টি যখন আমাদের কাছে আসে তখন আমরা ঘটা করে জানাতে চাই যে আমরাও ভাই ভালো কিছু খেতে পারি। খাবার টেবিলটি এখনো আমাদের কাছে অন্যকে জানানোর বিষয়, প্রচারের বিষয়!
কারো বাসা বাড়িতে গেলেই, কিংবা অফিসে কিছুক্ষণের জন্য সৌজন্য সাক্ষাতে গেলেই তারা কী খাওয়া যায় এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তারা মনে করে, যে লোকটি তার কাছে এসেছে সে এক হাজার বছরের ক্ষুধা নিয়ে এসেছে। অর্থাৎ আমাদের প্রিয়-অপ্রিয় জায়গাগুলো এখনো খাবার টেবিলে ঘোরাঘুরি করে, আমাদের আত্মপ্রচার খুব বেশি জৈবিক।
আপনারাই তো বলেন আমরা আধুনিক, পোস্ট আধুনিক মানুষ!
কিন্তু প্রাগৈতিহাসিক মানুষের মতো এখনো আপনাদের মস্তিষ্কের চাকা খাবারকে কেন্দ্র করেই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পনেরো ঘণ্টা চলতে থাকে।
তাহলে বলেন তো আপনারা কি আধুনিক মানুষ, না আধুনিকতা একপ্রকার খাবারের নাম!?
রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৫
প
*
পাগলও নিজের ভালো বুঝে। কিন্তু পাগল কোথায়? সবখানে দেখি বুদ্ধিজীবীর পাল
*
আপনি কথা শেষ করতে চান মানে আপনি প্রভাব বিস্তারনীতিতে বিশ্বাসী
*
বুদ্ধিজীবীদের মক্কা-মদিনা টকশো
*
মানুষের সন্তান (পারমাণবিক বোমা, বিদ্যুৎ) মানুষের চেয়ে শক্তিশালী, ইশ্বরের সন্তান মানুষও ইশ্বরের চেয়ে শক্তিশালী
*
নদীর আয়োডিন কমে গেলে নারী হয়ে ওঠে
*
মিথ্যা সত্যের চেয়েও বাস্তব
*
আমার সীমাবদ্ধতা প্রমাণ করে তুমি অসীম
*
Times is itself no stages and classes
*
উৎসাহ উৎসের কথা বলে। উৎসব মানে উৎসাহ আক্রান্ত
*
বাঙালি যখন সত্য কথা বলে বুঝতে হবে তার পেছনে কোনো স্বার্থ আছে, হুমায়ূন আজাদ সত্যবাদী বাঙালি
*
শিক্ষকতার নামে ব্যবসানীতি চলে-- জনপ্রিয়তার ব্যবসা, খাতা দেখার ব্যবসা, বই বিক্রির ব্যবসা, নিজেকে উপস্থাপনের ব্যবসা
*
গরীবের বউ বৌদি হবে, দিদি হবে না
*
কিতাব এক প্রকার মসজিদ যেখান থেকে পূজা-প্রার্থনা শেখা যায়
*
অপূর্ণাঙ্গ নারী, অপূর্ণাঙ্গ জাতি
শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৫
শ
গইঅম = পেয়ারা
আঞ্জা = কোলাকুলি, আলিঙ্গন
গাদলা < বাদলা
আলাবালা = মিছামিছি
লায়ক < নায়ক
বুইত্তামারা = মোটা-তাজা
ততা = গরম
পাতাইরা = আড়াআড়িভাবে
আজগের = আজকের
কিলা = ওগো, এই শোনো
কুছু = কিছু, অল্প
আঞ্জা = কোলাকুলি, আলিঙ্গন
গাদলা < বাদলা
আলাবালা = মিছামিছি
লায়ক < নায়ক
বুইত্তামারা = মোটা-তাজা
ততা = গরম
পাতাইরা = আড়াআড়িভাবে
আজগের = আজকের
কিলা = ওগো, এই শোনো
কুছু = কিছু, অল্প
শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৫
এক থেকে
1
মৃত্যু প্রসব করে মা হাসে, নবজাতক মৃত্যুর ঘ্রাণে কাঁদে
2
যন্ত্র এবং যন্ত্রণা
3
ছিলাম বলে আছি, থাকবো বলে ছিলাম না
4
দুইজন মিলে বিয়ে, তিন জন মিলে পরিবার
5
আপনার ভোট আপনিই দিবেন, প্রার্থী কিন্তু তারা দিবে
6
মেঠোবক্তা হুজুর চিনে না
7
দশ জন পুলিশ এক রকম ভাবে, দশ জন মানুষের ভিন্ন রকম ভাবনা
8
মানুষের মৃত্যুবার্ষিকী, তাহাদের জন্মউৎসব
9
ক্ষুধা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি, তবে কেন খাবার চেয়েছিলেন?
10
এখানে যৌনতার কার্নিবাল হয়, তবুও যৌনতা ভালোবাসার নাম
11
আপনি অসাধারণ মনিব, আপনার বাড়ির কুকুর কী আমার মতোই অসাধারণ?
12
মায়ের জাত কাপড় কিনে না, রং কিনে
13
লায়লি-মজনু ইতিহাসের সৃষ্টি, মানুষের না
14
ব্যক্তি! ব্যক্ত করাই যার কাজ হওয়ার কথা ছিল
15
পুঁজি তুমি তাকে বলো স্লিম হতে, তাকে বলো মাসল নিয়ে বেড়ে ওঠতে, এইভাবে তুমি তাদের মাঝে এবং জুড়ে দাও
মৃত্যু প্রসব করে মা হাসে, নবজাতক মৃত্যুর ঘ্রাণে কাঁদে
2
যন্ত্র এবং যন্ত্রণা
3
ছিলাম বলে আছি, থাকবো বলে ছিলাম না
4
দুইজন মিলে বিয়ে, তিন জন মিলে পরিবার
5
আপনার ভোট আপনিই দিবেন, প্রার্থী কিন্তু তারা দিবে
6
মেঠোবক্তা হুজুর চিনে না
7
দশ জন পুলিশ এক রকম ভাবে, দশ জন মানুষের ভিন্ন রকম ভাবনা
8
মানুষের মৃত্যুবার্ষিকী, তাহাদের জন্মউৎসব
9
ক্ষুধা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি, তবে কেন খাবার চেয়েছিলেন?
10
এখানে যৌনতার কার্নিবাল হয়, তবুও যৌনতা ভালোবাসার নাম
11
আপনি অসাধারণ মনিব, আপনার বাড়ির কুকুর কী আমার মতোই অসাধারণ?
12
মায়ের জাত কাপড় কিনে না, রং কিনে
13
লায়লি-মজনু ইতিহাসের সৃষ্টি, মানুষের না
14
ব্যক্তি! ব্যক্ত করাই যার কাজ হওয়ার কথা ছিল
15
পুঁজি তুমি তাকে বলো স্লিম হতে, তাকে বলো মাসল নিয়ে বেড়ে ওঠতে, এইভাবে তুমি তাদের মাঝে এবং জুড়ে দাও
বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৫
এক থেকে চৌদ্দ
১.
দেয়ালে পোস্টার লাগানো নিষিদ্ধ
দেয়াল নিজেই এক দীর্ঘমেয়াদি পোস্টার
২.
সামনে চেক পোস্ট-- অবৈধ মাল বৈধ করা হয়
৩.
শিক্ষক ছাত্র চিনেন না, সিলেবাস চিনে
৪.
চোখের জল খুব দ্রুত মারা যায়
৫.
রাজনীতি নয়, সাজনীতি
৬.
প্রেম এক ঘুমের নাম যেখানে স্বপ্ন আছে, আছে বিড়ালের মিউ মিউ ডাক
৭.
প্রয়োজন সম্পর্কের প্রাণ
৮.
সৃষ্টি স্রষ্টার দুর্ঘটনা
9.
ভালোবাসা এক বর্ডারের নাম আর প্রেমিক-প্রেমিকা বর্ডারের কাঁটাতার
10.
লজ্জা এখানে ভূষণ, লজ্জার বাঁধ ভেঙে গেলে শুরু হয় ক্ষুধার্তের ক্ষুধাতুর তর্জমা
11.
চুল লম্বা হয় তাই মেদ জমানোর প্রয়োজন পড়ে না
12.
স্বপ্নেও বাঙালি সাপের কামড় খায়, আর ইমানদার মক্কা-মদিনায় যায়
13.
পাগলামোর উৎস প্রেম, পাগলামোর উৎসব প্রেম
14.
পথ এক ভয়ানক নেশার নাম
এক থেকে চৌদ্দ
১.
দেয়ালে পোস্টার লাগানো নিষিদ্ধ
দেয়াল নিজেই এক দীর্ঘমেয়াদি পোস্টার
২.
সামনে চেক পোস্ট-- অবৈধ মাল বৈধ করা হয়
৩.
শিক্ষক ছাত্র চিনেন না, সিলেবাস চিনে
৪.
চোখের জল খুব দ্রুত মারা যায়
৫.
রাজনীতি নয়, সাজনীতি
৬.
প্রেম এক ঘুমের নাম যেখানে স্বপ্ন আছে, আছে বিড়ালের মিউ মিউ ডাক
৭.
প্রয়োজন সম্পর্কের প্রাণ
৮.
সৃষ্টি স্রষ্টার দুর্ঘটনা
9.
ভালোবাসা এক বর্ডারের নাম আর প্রেমিক-প্রেমিকা বর্ডারের কাঁটাতার
10.
লজ্জা এখানে ভূষণ, লজ্জার বাঁধ ভেঙে গেলে শুরু হয় ক্ষুধার্তের ক্ষুধাতুর তর্জমা
11.
চুল লম্বা হয় তাই মেদ জমানোর প্রয়োজন পড়ে না
12.
স্বপ্নেও বাঙালি সাপের কামড় খায়, আর ইমানদার মক্কা-মদিনায় যায়
13.
পাগলামোর উৎস প্রেম, পাগলামোর উৎসব প্রেম
14.
পথ এক ভয়ানক নেশার নাম
তাই
হাঁটতে হাঁটতে যারা পথ হারায় তারাইতো পর্যটক।
হাঁটতে হাঁটতে যে ছায়া পথের দেখা পায় সেই তো পথিক।
হেলেন, তোমাকে গন্তব্য মেনে যারা হেঁটেছিল তারা পর্যটক পৃথিবীর।
আমি এবং তুমি ঠোঁটে ঠোঁটে ঝুলে থাকি, আমাদের বাদরপৃথিবী, আমরাও বাদরপথিক।
হাঁটতে হাঁটতে যে ছায়া পথের দেখা পায় সেই তো পথিক।
হেলেন, তোমাকে গন্তব্য মেনে যারা হেঁটেছিল তারা পর্যটক পৃথিবীর।
আমি এবং তুমি ঠোঁটে ঠোঁটে ঝুলে থাকি, আমাদের বাদরপৃথিবী, আমরাও বাদরপথিক।
ম
তাহারা মিনিপ্যাক ব্যবহার করতে করতে আজ তাহাদের মিনিপ্যাক মন
ধানমন্ডি লেক
ধানমন্ডি লেক।
নিশ্চুপ দ্বীপ। নীরব হাহাকার। যার চুলের গন্ধে মাতাল হওয়ার কথা তার ঠোঁটে নিকোটিনের কড়া লিকার। ফান্টার ঝালাপালা টেস্ট।
ধানমন্ডি লেক।
কিছু পাখি পালক উড়ায় ত্যাগের মহিমায়। কথাকথি, চোখাচোখি। খালি চোখে আহা কী প্রেম, কী প্রেম!
ধানমন্ডি লেক।
জলের দেশে নাগরিক কপোত গড়ে তোলে আলিশান বাড়ি, তা কি প্রেম নাকি কাড়াকাড়ি? কিছু কাক এখানেও স্বাধীন, এখানেও কাকের কা কা চার চোখের মাঝে সম্পর্কের এস্ট্রোলোজার।কনফিডেন্স শুন্য দ্বীপের মতো বড় বেশি একা।
ধানমন্ডি লেক নাগরিক সুজাতা।
নিশ্চুপ দ্বীপ। নীরব হাহাকার। যার চুলের গন্ধে মাতাল হওয়ার কথা তার ঠোঁটে নিকোটিনের কড়া লিকার। ফান্টার ঝালাপালা টেস্ট।
ধানমন্ডি লেক।
কিছু পাখি পালক উড়ায় ত্যাগের মহিমায়। কথাকথি, চোখাচোখি। খালি চোখে আহা কী প্রেম, কী প্রেম!
ধানমন্ডি লেক।
জলের দেশে নাগরিক কপোত গড়ে তোলে আলিশান বাড়ি, তা কি প্রেম নাকি কাড়াকাড়ি? কিছু কাক এখানেও স্বাধীন, এখানেও কাকের কা কা চার চোখের মাঝে সম্পর্কের এস্ট্রোলোজার।কনফিডেন্স শুন্য দ্বীপের মতো বড় বেশি একা।
ধানমন্ডি লেক নাগরিক সুজাতা।
সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৫
খ
শিয়ালকে ঘরে আনতে নেই, সে খোয়ার খুঁজে বের করবেই যেখানে পাখিগুলো অনেক দিন শান্তিতে ছিল
ফ
এখানে ফসল ফলানোর আগে লাঠি ফলানো প্রয়োজন
রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৫
শিক্ষা
স্কুলে ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে শিশুর হাতে বই ধরিয়ে দেয়া হয় না, দেয়া হয় প্রতিযোগিতার অসীম গোলক ধাঁধাঁ। গোলক ধাঁধাঁয় পড়ে প্রথমে শিশুটি তার পাশের শিশুটিকে প্রতিযোগী ভাবতে শিখে। জীবনের প্রথম শিক্ষালয়ে শিশু শিশুর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার পরিবর্তে কাঁধে অস্ত্র রেখে চলার শিক্ষা লাভ করে।
এইভাবে শিশু বড় হতে থাকে, হতে থাকে ব্যক্তিগত, হতে থাকে আপনি বাঁচলে বাপের নাম পরিবারের বাসিন্দা। অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমতে থাকে। অপরকে যে শ্রদ্ধা করে না সে কখনো পূর্ণাঙ্গ মানুষ হতে পারে না।
অপূর্ণাঙ্গ মানুষ আবিষ্কারের কাহিনি মুখস্থ করে, কখনো আবিষ্কারক হয়ে ওঠতে পারে না।
আবিষ্কারক হয়ে ওঠার জন্য যে সমতার নীতি প্রয়োজন তা কিছু বিসর্জন দেয় স্কুলে, কিছু কলেজে, বাকি সবটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে।
প্রত্যেক ছাত্র কঠোর পরিশ্রম করে। লাইফটারে একেবারে তেজপাতা বানাইয়া ফেলে। তারপর তারা চাকর হওয়ার যোগ্যতা লাভ করে। সত্যিই ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতার শক্তি অনেক(!)টাই পড়া শিখতেও সে মানুষকে জীবনের অর্ধসময় ব্যয় করতে বাধ্য করে!
এখানকার ছাত্র সকাল-সন্ধ্যা মুখস্থ করে আমাদের ব্যবহৃত দ্রব্যের প্রায় 95 শতাংশ সিনথেটিক। আর ভিনগ্রহের মানুষ সেই সিনথেটিক দ্রব্য সরবরাহ করে। এখানকার ছাত্র প্রযুক্তির নাম মুখস্থ করে হয় দেশ পরিচালনার কর্ণধার। আর তারা প্রযুক্তির নিত্য নতুন কৌশল আবিষ্কার করে হয় জনগণের সেবক।
পরবর্তীতে দেখা যায় সাধারণ জ্ঞান মুখস্থকারী কর্ণধারেরা দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে বেশ পরিচালনা করতে থাকে। যে বেশে মিশে থাকে আপনি বাঁচলে বাপের নামের গন্ধ। কর্মক্ষেত্রে এসেও পাশের চেয়ারে বসা মানুষটি কখনো তার সহযোগী হয়ে ওঠে না, হয়ে উঠে প্রতিযোগী। ফলে বস্তুগত কিছু আবিষ্কার করার পরিবর্তে অবস্তুগত নিন্দাপাঠ হয়ে ওঠে দিনাপাতের মূল আলোচ্য বিষয়।
এখানকার বড় বড় ডিগ্রি কেবল বিশেষ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, কখনো ক্রিয়ার মুখ দেখে না। ফলে এখানকার ক্রিয়ার নাম হিংসা, এখানকার ক্রিয়ার নাম নিন্দাপাঠ, এখানকার ক্রিয়ার নাম মিথ্যা আমিত্বের প্রকাশ এবং প্রকাশ।
ক্লাস ডিঙানো, ভালো নম্বর পাওয়া, একটি চাকরিকে নিশ্চিত নির্ভরতা মনে করা এবং প্রমোশন পাওয়ার চকলেটকে সামনে রেখে জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যায়! পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা হয় উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্র। জাতি ভুলে যায় মোটা হওয়া মানে স্বাস্থ্য হওয়া না।
জাতি কি কোনোদিন বুঝবে না গাছের গুণগত অবস্থান ভালো না হলে ফলগত অবস্থান ভালো হয় না!?
এইভাবে শিশু বড় হতে থাকে, হতে থাকে ব্যক্তিগত, হতে থাকে আপনি বাঁচলে বাপের নাম পরিবারের বাসিন্দা। অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমতে থাকে। অপরকে যে শ্রদ্ধা করে না সে কখনো পূর্ণাঙ্গ মানুষ হতে পারে না।
অপূর্ণাঙ্গ মানুষ আবিষ্কারের কাহিনি মুখস্থ করে, কখনো আবিষ্কারক হয়ে ওঠতে পারে না।
আবিষ্কারক হয়ে ওঠার জন্য যে সমতার নীতি প্রয়োজন তা কিছু বিসর্জন দেয় স্কুলে, কিছু কলেজে, বাকি সবটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে।
প্রত্যেক ছাত্র কঠোর পরিশ্রম করে। লাইফটারে একেবারে তেজপাতা বানাইয়া ফেলে। তারপর তারা চাকর হওয়ার যোগ্যতা লাভ করে। সত্যিই ব্যক্তিগত প্রতিযোগিতার শক্তি অনেক(!)টাই পড়া শিখতেও সে মানুষকে জীবনের অর্ধসময় ব্যয় করতে বাধ্য করে!
এখানকার ছাত্র সকাল-সন্ধ্যা মুখস্থ করে আমাদের ব্যবহৃত দ্রব্যের প্রায় 95 শতাংশ সিনথেটিক। আর ভিনগ্রহের মানুষ সেই সিনথেটিক দ্রব্য সরবরাহ করে। এখানকার ছাত্র প্রযুক্তির নাম মুখস্থ করে হয় দেশ পরিচালনার কর্ণধার। আর তারা প্রযুক্তির নিত্য নতুন কৌশল আবিষ্কার করে হয় জনগণের সেবক।
পরবর্তীতে দেখা যায় সাধারণ জ্ঞান মুখস্থকারী কর্ণধারেরা দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে বেশ পরিচালনা করতে থাকে। যে বেশে মিশে থাকে আপনি বাঁচলে বাপের নামের গন্ধ। কর্মক্ষেত্রে এসেও পাশের চেয়ারে বসা মানুষটি কখনো তার সহযোগী হয়ে ওঠে না, হয়ে উঠে প্রতিযোগী। ফলে বস্তুগত কিছু আবিষ্কার করার পরিবর্তে অবস্তুগত নিন্দাপাঠ হয়ে ওঠে দিনাপাতের মূল আলোচ্য বিষয়।
এখানকার বড় বড় ডিগ্রি কেবল বিশেষ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, কখনো ক্রিয়ার মুখ দেখে না। ফলে এখানকার ক্রিয়ার নাম হিংসা, এখানকার ক্রিয়ার নাম নিন্দাপাঠ, এখানকার ক্রিয়ার নাম মিথ্যা আমিত্বের প্রকাশ এবং প্রকাশ।
ক্লাস ডিঙানো, ভালো নম্বর পাওয়া, একটি চাকরিকে নিশ্চিত নির্ভরতা মনে করা এবং প্রমোশন পাওয়ার চকলেটকে সামনে রেখে জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যায়! পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা হয় উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্র। জাতি ভুলে যায় মোটা হওয়া মানে স্বাস্থ্য হওয়া না।
জাতি কি কোনোদিন বুঝবে না গাছের গুণগত অবস্থান ভালো না হলে ফলগত অবস্থান ভালো হয় না!?
বাদ
একটি গর্ত পূর্ণ করতে গিয়ে আরেকটি গর্ত তৈরির কোনো মানে নেই। তাহলে গর্তচক্র আর পূর্ণচক্র অব্যহত থাকবে।
যারা নারীবাদী তারা পুরুষতন্ত্রের উপর মই চালায়, আর যারা পুরুষ তারা শিয়ালের মতো লেজকাটানীতি গ্রহণ করে। ফলে কাকড়ানীতিতে পড়ে থাকে সমাজ, স্থবির হয়ে থাকে মানব সভ্যতা।
আসলে যারা মানুষ তারা মানুষনীতিতে বিশ্বাসী।
যারা নারীবাদী তারা পুরুষতন্ত্রের উপর মই চালায়, আর যারা পুরুষ তারা শিয়ালের মতো লেজকাটানীতি গ্রহণ করে। ফলে কাকড়ানীতিতে পড়ে থাকে সমাজ, স্থবির হয়ে থাকে মানব সভ্যতা।
আসলে যারা মানুষ তারা মানুষনীতিতে বিশ্বাসী।
শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৫
কালা
তোমার মনে কালা ছিল না
ছিল কালার বাঁশি
রাধা, রাধা গো
বৃন্দাবনে ভোর হলে কিচিরমিচির, ডাকাডাকি করে সব পাখি
ভোরের ডাকে পাখির ঘুম ভাঙ্গে
তুমিও রাধা পাখি হলে
বৃথা তোমার অভিযোগ
থাকো তুমি অভিমানে
অভিমানের জল ঘোলা হলে ঢেউ উঠে মনে
ছিল কালার বাঁশি
রাধা, রাধা গো
বৃন্দাবনে ভোর হলে কিচিরমিচির, ডাকাডাকি করে সব পাখি
ভোরের ডাকে পাখির ঘুম ভাঙ্গে
তুমিও রাধা পাখি হলে
বৃথা তোমার অভিযোগ
থাকো তুমি অভিমানে
অভিমানের জল ঘোলা হলে ঢেউ উঠে মনে
শুক্রবার, ২ অক্টোবর, ২০১৫
ক
কুকুর আশ্বস্ত করে, কারণ বিশ্বস্ত থাকার ঐতিহ্য কুকুরেরই রয়েছে
Dog makes a hopeful dune as for the belief system is properly tenable to dog
Dog makes a hopeful dune as for the belief system is properly tenable to dog
বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫
গ
গাল দিতে গিয়ে গালি দিয়ে ফেল, চুমু খেতে গিয়ে চামার হয়ে পড়ি
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)