বাঙালি বিজ্ঞান বুঝে কিনা?
সব কিছু আয়ত্ত করার পূর্বশর্ত আগ্রহ। আগ্রহ থেকে চেষ্টা। চেষ্টার পর বোঝা, না-বোঝার প্রশ্ন উঠে। বিজ্ঞান বিষয়ে বাঙালির আগ্রহ নেই বললেই চলে। কারণ হিশেবে ভাবগত এলাকার আধিপত্য বলা যায়। প্রার্থনা করলে যদি বৃষ্টি আসে সেচকূপের কী প্রয়োজন। আমরা শিখি H√O =পানি, D√O=পানি। কিন্তু কোনটা কোনো ধরনের পানি জানার প্রয়োজন অনুভব করি না। কারন তাতে পরীক্ষার মার্ক কমে যাবে, ইঁদুর দৌঁড় প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়তে হবে। শুনেছি রক্ত দেয়া ভালো কাজ, শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু রক্ত দেয়ার আগে আমি কী ভাবি রক্তে থ্যালাসেমিয়ামাত্রা কেমন? ভাবা দূরের কথা, থ্যালাসেমিয়া একটি ফলের নাম কিনা এই নিয়ে ব্যস্ত । ভাবগত এলাকা যেখানে আমরা আমৃত্যু বসবাস করি তাও কাঁচা বাশেঁর মতো ভেজা--
ওঁ স্বরসতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাংদেহী নমোহস্ততে
এই মন্ত্রের গভীরে কোনো প্রকার ব্যঞ্জনা আছে, আছে কিনা হাজার বছরের অজ্ঞতা, মাথা হেলানোর দরকারটুকু অনুভূতিতে নেই।কারণ আমাদের শেখানো হচ্ছে 'পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে '।খেয়ে থাকায় তো আসল কথা, তাই না?
ফলে টিউবলাইট মানসিকতা নিয়ে হুজুগে পাড়ায় অযু - কুযুতে দিন চলে যাচ্ছে। আর বিজ্ঞান প্রযুক্তির মহান মেলা থেকে নিজেকে দূরে রেখে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন--
'রাব্বি জিদনী ইলমা '
হেরাগুহা মানব সুখেই নিজেকে যাপন করছে। তাই কেন যেন মনে হয় বাঙালিকে শাষন করা যায় না, শোষণ করতে হয়। শোষিত, শোষক যেখানে থাকে সেখানে শৃঙ্খলা থাকে না --
আলিএ কালিএ বাট রুন্ধেলা।
তা দেখি কাহ্ন বিমণা ভইলা।।
কাহ্ন কহি গই করিম নিবাস।
সব কিছু আয়ত্ত করার পূর্বশর্ত আগ্রহ। আগ্রহ থেকে চেষ্টা। চেষ্টার পর বোঝা, না-বোঝার প্রশ্ন উঠে। বিজ্ঞান বিষয়ে বাঙালির আগ্রহ নেই বললেই চলে। কারণ হিশেবে ভাবগত এলাকার আধিপত্য বলা যায়। প্রার্থনা করলে যদি বৃষ্টি আসে সেচকূপের কী প্রয়োজন। আমরা শিখি H√O =পানি, D√O=পানি। কিন্তু কোনটা কোনো ধরনের পানি জানার প্রয়োজন অনুভব করি না। কারন তাতে পরীক্ষার মার্ক কমে যাবে, ইঁদুর দৌঁড় প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়তে হবে। শুনেছি রক্ত দেয়া ভালো কাজ, শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু রক্ত দেয়ার আগে আমি কী ভাবি রক্তে থ্যালাসেমিয়ামাত্রা কেমন? ভাবা দূরের কথা, থ্যালাসেমিয়া একটি ফলের নাম কিনা এই নিয়ে ব্যস্ত । ভাবগত এলাকা যেখানে আমরা আমৃত্যু বসবাস করি তাও কাঁচা বাশেঁর মতো ভেজা--
ওঁ স্বরসতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাংদেহী নমোহস্ততে
এই মন্ত্রের গভীরে কোনো প্রকার ব্যঞ্জনা আছে, আছে কিনা হাজার বছরের অজ্ঞতা, মাথা হেলানোর দরকারটুকু অনুভূতিতে নেই।কারণ আমাদের শেখানো হচ্ছে 'পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে '।খেয়ে থাকায় তো আসল কথা, তাই না?
ফলে টিউবলাইট মানসিকতা নিয়ে হুজুগে পাড়ায় অযু - কুযুতে দিন চলে যাচ্ছে। আর বিজ্ঞান প্রযুক্তির মহান মেলা থেকে নিজেকে দূরে রেখে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন--
'রাব্বি জিদনী ইলমা '
হেরাগুহা মানব সুখেই নিজেকে যাপন করছে। তাই কেন যেন মনে হয় বাঙালিকে শাষন করা যায় না, শোষণ করতে হয়। শোষিত, শোষক যেখানে থাকে সেখানে শৃঙ্খলা থাকে না --
আলিএ কালিএ বাট রুন্ধেলা।
তা দেখি কাহ্ন বিমণা ভইলা।।
কাহ্ন কহি গই করিম নিবাস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন