বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৪

আমার ইচ্ছা লেখালেখি

জীবনকে কখনো কখনো ডমেস্টিক ট্রেন মনে হয়। চলছি তো চলছি । তবে চালানো হচ্ছে। স্টেশনে স্টেশনে নোঙর রাখি। মানুষ দেখি, পাখি দেখি, দেখি ক্লান্ত মেয়ের ঘুম। যে মেয়েটি সারা রাত দেহ বিক্রি করে ঘুমের ভারে ভারাক্রান্ত।তারপর অভিজ্ঞতাগুলো বগিতে তুলে যাত্রা শুরু করি অন্য কোনো স্টেশনের উদ্দেশ্য।
মাঝে মাঝে জীবনকে মেঘনা নদীর জেলেও মনে হয়। সারাদিন জেলে ঘুমায়। রাতকে দিন বানায়, মাছ শিকার করে । লাইটার সার্চ খেয়ে শক্তি জমা করে শক্তিঘরে। কারণ সে-ই তো জেলের রাতের সূর্য। সকালে ব্যাগভর্তি মাছ। জীবনের মাছ। মাছ দেখে বউটার তার আকাশের মতো হাসি দেয়। যে হাসিকে পুঁজি করে জেলে প্রতিটি দিন ঘুমে ঘুমে কাটিয়ে দেয়।
এইভাবেই ভাবনার চলাফেরায় জীবনে দাড়ি আসতে পারতো। কিন্তু আসলো না। ভাবনাগুলো পৃথিবীতে বেচেঁ থাকার ইচ্ছা পোষন করে। আমিও কেন যেন তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করি। কলমের ঘটকালিতে চিন্তা -ভাবনাকে বাইরের জগতের কাছে বিয়ে দেই। লিখি। প্রতিনিয়ত লিখি। লেখা আমার প্রিয়া। যার স্রোতস্বিনী চোখে ডুব দিয়ে গতি লাভ করি, যার হাসি আমার মানসিক খাবার।
এই লেখালেখির পাশে জীবনভর থাকতে চাই। তাইতো লেখালেখি আমার  লক্ষ্য, প্রশান্তির আস্তানা। আর লেখক জানে শান্তি কত প্রকার ও কী কী। ফলে তারাই পৃথিবীতে প্রবাহিত করতে পারে প্রশান্তির বৃষ্টিময় ধারা। আমি লিখতে চাই প্রশান্তিকে জন্মের মতো আপন করে নিতে। মৃত্যুর মতো বাধ্য করে পেতে। আমার ইচ্ছা লেখালেখি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন