হেমন্তের অলঙ্কার কাশফুল। কার্তিক মাসের শেষ পর্যায়ে হেমন্ত তার অলঙ্কারকে নদীর জলে বিসর্জন দেয়। কাশফুল জলে জলে ভাসতে থাকে। কাশফুলের বিরহে প্রকৃতিতে কান্দন শুরু হয়। কার্তিমায়া কান্দন। একদুই সপ্তাহ ধরে এই কান্দন চলতেই থাকে। এমন সময় ঘর থেকে বের হতে মানা। মাটিবাংলার তখন অন্য রকম সাজ। ঘরে বসে চাল ভাজা খাওয়ার মজাই তখন আলাদা।
কয়েকদিন টানা বৃষ্টির পর মাটিবাংলায় নেমে আসে কুয়াশার উঁকিঝুঁকি। কাশফুল তখন আকাশে উড়ে-- শাদা শাদা কাশফুল। কাশফুল আকাশে উড়বার সাথে সাথে তাদের নাম পরিবর্তন হয়ে বক নামে পরিচয় লাভ করে। বিকালের আকাশে বকের মেলা-- শীতের আগাম বার্তা বকের পাখনার নিচে বসবাস করে।
ছয় ঋতুর দেশ হলেও মূলত দুই ঋতুর সাথে মানুষের সম্পর্ক একটু বেশি-- গ্রীষ্ম ও শীত। শীত আসে আসে এই সময়ে পঙ্খিরাজ খাল কোন নারীর চোখের জল ধারন করে বিকশিয়া রবে বয়ে চলতো জানি না, জানি না পানাম নগরে এই সময়ে কোন প্রজাশত্রু প্রভু সাকির পেয়ালায় মাতাল হয়ে নারীর ঠোঁটনদীতে বাইত যৌবননৌকা।
মেঘনা আর শীতলক্ষ্যাকে মাথায় পায়ে ধারন করে বুকপীঠ হৃষ্টপৃষ্ট করে বড় নগর কিংবা খাস নগর নয়, পানাম নগর। এই নগরে সন্ধ্যা হলে শোনা যেত অলি-কুতুবদের সহজিয়া সামাসুর, মন্দিরের কীর্তন আর বাউলদের বাতাসি কথাসুর।
ছোট্ট ছোট্ট কামরায় এখনো কোমরবিছার আওয়াজ শুনতে পাই, মসলিনের কাপড় পরে রানী প্রায় মহিলাটি পুরুষের সামনে বসে আছে পানের পসরা সাজিয়ে।
আর আমি তখন বাতাসের সাথে বন্ধুত্ব করে পৃথিবীতে নেমে আসার পরিকল্পনা করছিলাম। নীলকুঠি হয়তো আমার আগমনের কথা হালকা অনুমান করতে সক্ষম হয়েছিল। সোনাবিবির সাথে দেখা হওয়ার কথা কিন্তু হলো না। সোনাবিবির দীর্ঘশ্বাস জলের শব্দের মতো কানে আসতেছে কেবল।
কয়েকদিন টানা বৃষ্টির পর মাটিবাংলায় নেমে আসে কুয়াশার উঁকিঝুঁকি। কাশফুল তখন আকাশে উড়ে-- শাদা শাদা কাশফুল। কাশফুল আকাশে উড়বার সাথে সাথে তাদের নাম পরিবর্তন হয়ে বক নামে পরিচয় লাভ করে। বিকালের আকাশে বকের মেলা-- শীতের আগাম বার্তা বকের পাখনার নিচে বসবাস করে।
ছয় ঋতুর দেশ হলেও মূলত দুই ঋতুর সাথে মানুষের সম্পর্ক একটু বেশি-- গ্রীষ্ম ও শীত। শীত আসে আসে এই সময়ে পঙ্খিরাজ খাল কোন নারীর চোখের জল ধারন করে বিকশিয়া রবে বয়ে চলতো জানি না, জানি না পানাম নগরে এই সময়ে কোন প্রজাশত্রু প্রভু সাকির পেয়ালায় মাতাল হয়ে নারীর ঠোঁটনদীতে বাইত যৌবননৌকা।
মেঘনা আর শীতলক্ষ্যাকে মাথায় পায়ে ধারন করে বুকপীঠ হৃষ্টপৃষ্ট করে বড় নগর কিংবা খাস নগর নয়, পানাম নগর। এই নগরে সন্ধ্যা হলে শোনা যেত অলি-কুতুবদের সহজিয়া সামাসুর, মন্দিরের কীর্তন আর বাউলদের বাতাসি কথাসুর।
ছোট্ট ছোট্ট কামরায় এখনো কোমরবিছার আওয়াজ শুনতে পাই, মসলিনের কাপড় পরে রানী প্রায় মহিলাটি পুরুষের সামনে বসে আছে পানের পসরা সাজিয়ে।
আর আমি তখন বাতাসের সাথে বন্ধুত্ব করে পৃথিবীতে নেমে আসার পরিকল্পনা করছিলাম। নীলকুঠি হয়তো আমার আগমনের কথা হালকা অনুমান করতে সক্ষম হয়েছিল। সোনাবিবির সাথে দেখা হওয়ার কথা কিন্তু হলো না। সোনাবিবির দীর্ঘশ্বাস জলের শব্দের মতো কানে আসতেছে কেবল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন