সিদ্ধেশ্বরীতলা, শ্রীরামপুর। বন্ধুর বাড়ি এখানেই। এখানেই ভাগীরথী নদী। জল চমৎকার শীতল। জলে নামলাম স্নান করার জন্য। আমার সূর্যশরীরটা কিছুক্ষণের জন্য ফ্রিজ ফ্রিজ অনুভব করে। স্নান সারলাম। গঙ্গা মাকে সাথে নিয়ে উজানে উঠলাম। তারপর থেকে আমার রক্ত শীতল। তারপর থেকে সূর্য আমার পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে।
একদিন আমি আর প্রজাপতি এই নদীর ঘাটে কিছুক্ষণ অবস্থান করি। তখন আকাশে চাঁদ। চাঁদের আলো নদীর হিল্লোলে কল্লোল তুলছে। নদীর ঐ পাড়ে সবুজঘেরা গ্রাম। গ্রামটি চাঁদের সাথে মিতালী করে অর্ধেক নদী দখল করে নিয়েছে। জোছনার কালিতে নদীর ক্যানভাসে রাতের স্থির গ্রামটি শকুন্তলার কোমল বাহুর চেয়েও মুগ্ধকর। অন্ধকার আর স্বলায়তনের কুয়াশার দলা জলের উপরিভাগে গড়ে তুলেছে দ্যোতনা সুন্দর দৃশ্য।
আমরা এক নৌকার কল্পনা করি। মাঝিহীন নৌকার, যে নৌকা বায়ুতত্ত্ব মেনে চলে। নৌকা চলছে আর আমরা রচনা করে চলছি আমাদের পৃথিবী। আমাদের পৃথিবীর একটি জাতীয় সংগীত ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে যেখানে এক সাথে থাকা নয়, এক হয়ে যাওয়ার কথা আছে। প্রজাপতির পোষা বায়ুর গল্প শুনতে হয়েছে অনেকবার, অনেক আগ থেকেই । তাই আমি ধরেই নিয়েছিলাম তার রক্তবায়ু শীতল।
কিন্তু প্রথমবারের মতো হরমোন মিউটেশনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করলাম। তার শ্বাস ঘন হয়ে আসে, আমার প্রশ্বাসে গরম প্রবাহ। ঘন শ্বাস আর গরম প্রবাহ দুদিক থেকে একমুখী হলে প্রচুর হাইড্রাইড উৎপন্ন হয় । আমরা হয়ে পড়ি নতুন পৃথিবীর স্বাধীন নাগরিক। তখনই আমাদের বিশেষ করে আমার হোসেন মিয়ার ময়না দ্বীপের কথা মনে পড়ে। মনে হওয়াটাকে টেনে লম্বা করতে চাইলাম। কিছু চাওয়া পাওয়ার মতো তৃপ্তিদায়ক, কিছু পাওয়া না- পাওয়ার মতো হলেই ভালো। তাই মনে হওয়ার ব্যাপারটা মনে রেখেই মেনে নিলাম।
অবশ্যই আমাদের পৃথিবীতে একটি বিদেশী শব্দ বেড়াতে আসে। বিদেশী শব্দটি ছিল
``তোমরা এখানে? আর তোমাদের খুঁজে খুঁজে হয়রান। "
আমরা স্বাধীন। কারণ আমাদের কেউ খুঁজবে না, আমরা জানতাম। কিন্তু না! আমাদেরকেও সে খুঁজে, তারা খুঁজে। তখন বুঝতে পারি, হযরত মোহাম্মদ কেন গুহার ভেতর দিয়ে হেরাগুহায় যেতেন, গঙ্গা মা কেন জলের ভেতর দিয়ে জলগুহা বানান। বুঝতে পারাই বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। বুঝার কাজটি দর্শকের যারা দহন ধারণ করে। আমরা যে কর্মী হতে চেয়েছিলাম আমাদের দেশে, দহন প্রদর্শন করে ব্যবসা করব এমন বেদনা- মানিক ইচ্ছায় । অবশেষে কিছুই হলো না। কেবল উষ্ণ শরীর নিয়ে হেঁটে চললাম প্রজাপতির পথে ,
প্রজাপতিও আমার পথে।
একদিন আমি আর প্রজাপতি এই নদীর ঘাটে কিছুক্ষণ অবস্থান করি। তখন আকাশে চাঁদ। চাঁদের আলো নদীর হিল্লোলে কল্লোল তুলছে। নদীর ঐ পাড়ে সবুজঘেরা গ্রাম। গ্রামটি চাঁদের সাথে মিতালী করে অর্ধেক নদী দখল করে নিয়েছে। জোছনার কালিতে নদীর ক্যানভাসে রাতের স্থির গ্রামটি শকুন্তলার কোমল বাহুর চেয়েও মুগ্ধকর। অন্ধকার আর স্বলায়তনের কুয়াশার দলা জলের উপরিভাগে গড়ে তুলেছে দ্যোতনা সুন্দর দৃশ্য।
আমরা এক নৌকার কল্পনা করি। মাঝিহীন নৌকার, যে নৌকা বায়ুতত্ত্ব মেনে চলে। নৌকা চলছে আর আমরা রচনা করে চলছি আমাদের পৃথিবী। আমাদের পৃথিবীর একটি জাতীয় সংগীত ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে যেখানে এক সাথে থাকা নয়, এক হয়ে যাওয়ার কথা আছে। প্রজাপতির পোষা বায়ুর গল্প শুনতে হয়েছে অনেকবার, অনেক আগ থেকেই । তাই আমি ধরেই নিয়েছিলাম তার রক্তবায়ু শীতল।
কিন্তু প্রথমবারের মতো হরমোন মিউটেশনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করলাম। তার শ্বাস ঘন হয়ে আসে, আমার প্রশ্বাসে গরম প্রবাহ। ঘন শ্বাস আর গরম প্রবাহ দুদিক থেকে একমুখী হলে প্রচুর হাইড্রাইড উৎপন্ন হয় । আমরা হয়ে পড়ি নতুন পৃথিবীর স্বাধীন নাগরিক। তখনই আমাদের বিশেষ করে আমার হোসেন মিয়ার ময়না দ্বীপের কথা মনে পড়ে। মনে হওয়াটাকে টেনে লম্বা করতে চাইলাম। কিছু চাওয়া পাওয়ার মতো তৃপ্তিদায়ক, কিছু পাওয়া না- পাওয়ার মতো হলেই ভালো। তাই মনে হওয়ার ব্যাপারটা মনে রেখেই মেনে নিলাম।
অবশ্যই আমাদের পৃথিবীতে একটি বিদেশী শব্দ বেড়াতে আসে। বিদেশী শব্দটি ছিল
``তোমরা এখানে? আর তোমাদের খুঁজে খুঁজে হয়রান। "
আমরা স্বাধীন। কারণ আমাদের কেউ খুঁজবে না, আমরা জানতাম। কিন্তু না! আমাদেরকেও সে খুঁজে, তারা খুঁজে। তখন বুঝতে পারি, হযরত মোহাম্মদ কেন গুহার ভেতর দিয়ে হেরাগুহায় যেতেন, গঙ্গা মা কেন জলের ভেতর দিয়ে জলগুহা বানান। বুঝতে পারাই বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। বুঝার কাজটি দর্শকের যারা দহন ধারণ করে। আমরা যে কর্মী হতে চেয়েছিলাম আমাদের দেশে, দহন প্রদর্শন করে ব্যবসা করব এমন বেদনা- মানিক ইচ্ছায় । অবশেষে কিছুই হলো না। কেবল উষ্ণ শরীর নিয়ে হেঁটে চললাম প্রজাপতির পথে ,
প্রজাপতিও আমার পথে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন