বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০১৫

ট্রেনের গতি

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বসে আছি। একটু পরে ট্রেন ছাড়বে। একটু পর মানে ইনফিনিট সময়। বিশেষ করে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যাপারে।

জানুয়ারি মাসের কথা। বাড়ি যাব। রাত নয়টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এলাম। চট্রগ্রাম মেইল। স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে যাবার কথা রাত এগারটা ত্রিশ মিনিটে। সেই ট্রেন ছাড়ল সকাল এগারটায়। সারা রাত মশার জীবন দেখলাম। মশারা যে দলবদ্ধভাবে আক্রমণ করে এমন নয় , প্রত্যেক মশা তার দায়িত্বটা পালন করে আন্তরিক নিষ্ঠা সমেত। ফলে তাদের স্বতন্ত্র আক্রমণ দলবদ্ধ আক্রমণ হয়ে আমাদের শরীরের দিকে তেড়ে আসে। মশারা অলস কিংবা ভীত নয়। প্রয়োজনই তাদের কাছে আসল কথা। প্রয়োজনে যদি মরন আসে, আসবে। রাতভর মশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলাম। অনেক মশা শহীদ হয়েছিল, অনেক মশা গাজির উপাধি নিয়ে  বাড়ি ফিরে যায় হয়তো।যে মশাটি আমার কাছ থেকে অনাহত অবস্থায় ফিরে গেল আমারই মতো অন্য কোনো মানুষ হয়তো তাকে হত্যা করল। মশাপরিবারে হত্যা হওয়াও একটি কাজ, জন্মের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ।  আমাদের আবর্জনা থেকে যে মশার জন্ম সেই মশার কী আশ্চর্য রকমের দায়িত্বজ্ঞান, প্রয়োজনীয় জীবন।

হ্যাঁ,  দুই ঘণ্টা হয়ে গেল।  ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যাবে এমন কোনো ঘোষণা এখনো  আসেনি। আসবে হয়তো। I am waiting for announcement। ঘোষণা হলেই উঠে যাবো ট্রেনে। ট্রেন চলবে। আমি কেবল থেমে থেমে ট্রেনের গতি দেখবো। কারণ লোকো- মাস্টার জানে না ট্রেনের গতি যে জনগণের গতি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন