মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০১৫

সময়

সূর্যপৃথিবীতে সকাল, সন্ধ্যা, রাত আসে চক্রাকারে। মনের পৃথিবীতে জাগতিক সময়ের স্থান নেই। মনের পৃথিবীতে ফুলের মতো নীরব এক প্রতিনিধি আছে। সেই প্রতিনিধির নাম অনুভূতি। অনুভূতি জলের মতো বহমান, যে জল মূলের দিকে ছুটে চলে অবিরাম।

Day, night, morning is always in the arena of the sun. Mind is out of time temple. In the garden of mind a silent representative like the child beauty of flowers is found. The representative known as feelings . Feelings  follows on water level, water level goes for the root, root of the origin. 

রবিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৫

প্রজাপতি আমার

সিদ্ধেশ্বরীতলা,  শ্রীরামপুর। বন্ধুর বাড়ি এখানেই। এখানেই ভাগীরথী নদী। জল চমৎকার শীতল। জলে নামলাম স্নান করার জন্য। আমার সূর্যশরীরটা কিছুক্ষণের জন্য ফ্রিজ ফ্রিজ অনুভব করে। স্নান সারলাম। গঙ্গা মাকে সাথে নিয়ে উজানে উঠলাম। তারপর থেকে আমার রক্ত শীতল। তারপর থেকে সূর্য আমার পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে।

একদিন আমি আর প্রজাপতি এই নদীর ঘাটে কিছুক্ষণ অবস্থান করি। তখন আকাশে চাঁদ। চাঁদের আলো নদীর হিল্লোলে কল্লোল তুলছে। নদীর ঐ পাড়ে সবুজঘেরা গ্রাম। গ্রামটি চাঁদের সাথে মিতালী করে অর্ধেক নদী দখল করে নিয়েছে। জোছনার কালিতে নদীর ক্যানভাসে রাতের স্থির গ্রামটি শকুন্তলার কোমল বাহুর চেয়েও মুগ্ধকর। অন্ধকার আর স্বলায়তনের কুয়াশার দলা জলের উপরিভাগে গড়ে তুলেছে দ্যোতনা সুন্দর দৃশ্য।

আমরা এক নৌকার কল্পনা করি। মাঝিহীন নৌকার, যে নৌকা বায়ুতত্ত্ব মেনে চলে। নৌকা চলছে আর আমরা রচনা করে চলছি আমাদের পৃথিবী। আমাদের পৃথিবীর একটি জাতীয় সংগীত ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে যেখানে এক সাথে থাকা নয়, এক হয়ে যাওয়ার কথা আছে।  প্রজাপতির পোষা বায়ুর  গল্প শুনতে হয়েছে অনেকবার, অনেক আগ থেকেই । তাই আমি ধরেই নিয়েছিলাম তার রক্তবায়ু শীতল।
কিন্তু প্রথমবারের মতো হরমোন মিউটেশনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করলাম। তার শ্বাস ঘন হয়ে আসে, আমার প্রশ্বাসে গরম প্রবাহ। ঘন শ্বাস আর গরম প্রবাহ দুদিক থেকে একমুখী হলে প্রচুর হাইড্রাইড উৎপন্ন হয় । আমরা হয়ে পড়ি নতুন পৃথিবীর স্বাধীন নাগরিক। তখনই আমাদের বিশেষ করে আমার হোসেন মিয়ার ময়না দ্বীপের কথা  মনে পড়ে। মনে হওয়াটাকে টেনে লম্বা করতে চাইলাম। কিছু চাওয়া পাওয়ার মতো তৃপ্তিদায়ক, কিছু পাওয়া না- পাওয়ার মতো হলেই ভালো। তাই মনে হওয়ার ব্যাপারটা মনে রেখেই মেনে নিলাম।

অবশ্যই আমাদের পৃথিবীতে একটি বিদেশী শব্দ বেড়াতে আসে। বিদেশী শব্দটি ছিল

``তোমরা এখানে? আর তোমাদের খুঁজে খুঁজে হয়রান। "

আমরা স্বাধীন। কারণ আমাদের কেউ খুঁজবে না, আমরা জানতাম। কিন্তু না! আমাদেরকেও সে খুঁজে, তারা খুঁজে। তখন বুঝতে পারি, হযরত মোহাম্মদ কেন গুহার ভেতর দিয়ে হেরাগুহায় যেতেন, গঙ্গা মা কেন জলের ভেতর দিয়ে জলগুহা বানান। বুঝতে পারাই বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। বুঝার কাজটি দর্শকের যারা দহন ধারণ করে। আমরা যে কর্মী হতে চেয়েছিলাম আমাদের দেশে, দহন প্রদর্শন করে ব্যবসা করব এমন বেদনা- মানিক ইচ্ছায় । অবশেষে কিছুই   হলো না। কেবল উষ্ণ শরীর নিয়ে হেঁটে চললাম প্রজাপতির পথে ,
প্রজাপতিও আমার পথে।

শনিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৫

বন্ধু তোমায় রেখে গেলাম

তোমায় বন্ধু রেখে গেলাম বকুলবিথীর তলে
তোমায় বন্ধু স্নান করালাম মনের গহীন জলে।।

দেবদারুর সেই বোধিবৃক্ষ জোছনা রাতের কথা
দুটি দেহ এক হয়েছে ঝড়ে গেছে ব্যথা
ঝড়ে  যাবে শত যত কালিমামাখা শোক
চোখে চোখে চোখটি তোমার খুঁজে পাবে সুখ।।

সাইকেল চলে আজো আমার
পেছনে তুই তো নাই
কেউ বলে না ``দেখুন, দেখুন -- ছায়ার নৌকো যায়।।

সকাল- সন্ধ্যা তুমি বন্ধু আমার কল্পনা
ভাবোল্লাসে তুমি বন্ধু আমার প্রেরণা
সুখে থেকো সবুজ পাতায় আমার জল্পনা
মনে রেখো এই আমারে আমার সাধনা।।

সুরকথা : এমরানুর রেজা

বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০১৫

পাখনা

ধোঁয়ারও পাখনা আছে, আছে তারও পাখি পাখি মন

Fume with bird mind born to borne , fume has leaf too core to corn. 

Time has gone been

Time has gone been on missing and getting. Where the steady of time? Still is blind.
Animal born, they were born.
where?
On eye, in time, onto thought?
Every life leading is a project, project of illusion. Illusion is the insect of movement. Illusion always for aspirations .Fucking death come please over the tune. you are real so, friendly real. Only for a real you, they and animal are born. Every born either burning or shaking . Inertia of motion or steady of motion namely drown picture only in the borne on establishment.

বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০১৫

ট্রেনের গতি

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বসে আছি। একটু পরে ট্রেন ছাড়বে। একটু পর মানে ইনফিনিট সময়। বিশেষ করে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যাপারে।

জানুয়ারি মাসের কথা। বাড়ি যাব। রাত নয়টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এলাম। চট্রগ্রাম মেইল। স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে যাবার কথা রাত এগারটা ত্রিশ মিনিটে। সেই ট্রেন ছাড়ল সকাল এগারটায়। সারা রাত মশার জীবন দেখলাম। মশারা যে দলবদ্ধভাবে আক্রমণ করে এমন নয় , প্রত্যেক মশা তার দায়িত্বটা পালন করে আন্তরিক নিষ্ঠা সমেত। ফলে তাদের স্বতন্ত্র আক্রমণ দলবদ্ধ আক্রমণ হয়ে আমাদের শরীরের দিকে তেড়ে আসে। মশারা অলস কিংবা ভীত নয়। প্রয়োজনই তাদের কাছে আসল কথা। প্রয়োজনে যদি মরন আসে, আসবে। রাতভর মশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলাম। অনেক মশা শহীদ হয়েছিল, অনেক মশা গাজির উপাধি নিয়ে  বাড়ি ফিরে যায় হয়তো।যে মশাটি আমার কাছ থেকে অনাহত অবস্থায় ফিরে গেল আমারই মতো অন্য কোনো মানুষ হয়তো তাকে হত্যা করল। মশাপরিবারে হত্যা হওয়াও একটি কাজ, জন্মের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ।  আমাদের আবর্জনা থেকে যে মশার জন্ম সেই মশার কী আশ্চর্য রকমের দায়িত্বজ্ঞান, প্রয়োজনীয় জীবন।

হ্যাঁ,  দুই ঘণ্টা হয়ে গেল।  ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যাবে এমন কোনো ঘোষণা এখনো  আসেনি। আসবে হয়তো। I am waiting for announcement। ঘোষণা হলেই উঠে যাবো ট্রেনে। ট্রেন চলবে। আমি কেবল থেমে থেমে ট্রেনের গতি দেখবো। কারণ লোকো- মাস্টার জানে না ট্রেনের গতি যে জনগণের গতি।

আদিম

`চাওয়া' এক আদিম নেশা। `পাওয়া ' এক পাগল ঘোড়া। পাগলা ঘোড়ায় বসে আছে মাতাল। গৌতমও মাতাল বটে। পৃথিবীটা মাতালের ঘর, ঘরের ভেতর ঘর। ও আমার পাগলা ঘোড়া রে, বুড়ি হইলাম তোর কারণে। 

মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০১৫

আমার পৃথিবী

নদীতে জোয়ার আসে, ভাটা আসে নদীতেই। জোয়ার- ভাটা জলের খেলা। নদীতে জলের কলোনি। নদী মেনে চলে জলের উপনিবেশ।
জল ছাড়া নদী হয় নাকি?
তুমি ছাড়া আমি?
পৃথিবীর বিভব শুন্য জানার পরও পৃথিবী নয়,  তুমি আমার পৃথিবী, আর আমি মুক্ত ধনাত্মক আধান, আধখানা জলের মতো ঘুরাফেরা করি নদী থেকে সাগর, সাগর থেকে নদী। 

সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০১৫

সমতুল্য

পৃথিবী আজ ছোট হয়ে এল। বড় হয়ে গেল দায়িত্ববোধ, স্রোতের ধারাবাহিক জীবন। জীবনকে দেখেছিলাম মেঘের মাথায়। বৃষ্টিতে হলো তার আত্মহত্যা। আত্মহত্যা মানেই তো জীবন। ঝড়ো হাওয়া বদলে দিতে পারেনা মেঘের জীবন। মেঘ মরবেই। মরণ তার নিয়তি। ভাসমান নিয়তি নরকের মতো আরামদায়ক, জ্বলে জ্বলে নতুন জীবন।

সাঁই

ব্যথা মাথা থেকে আস্তে আস্তে নিচে নামে। এ কেমন ব্যথা! বুকের বাম পাশে একটি অদৃশ্য দহন। সাদা শাড়ি গলায় দিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে যে নারী সেই জানে এ ব্যথা কেমন। চোখের জলে এই ব্যথা ধীরে ধীরে কর্মহীন হয়ে পড়ে। কর্মহীন ব্যথা আবার স্মৃতির পাতায় ঢেউ তোলে। ঢেউয়ের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে মনে পড়ে আমাদেরও  ছিল সোনালি সময়, লকলকে লাউয়ের ডগার মতো সবুজ এক সময়। ব্যথার সাগর পাড়ি দিয়ে বন্ধুর বাড়ি যাই, বন্ধু আমার বরফগলা শীতের দেশের সাঁই। 

শনিবার, ২১ মার্চ, ২০১৫

নাগরিক বিলাসিতা

সময় বদলে গেছে। বদলে যাচ্ছে মানসিকতা। তৈরি হচ্ছে বিলাসিতার আপডেট ভার্সন।

আব্বা ফজরের আযানের আগে ঘুম থেকে উঠতেন। মাঠে যেতে হবে, জমিকে লাঙল চালিয়ে করতে হবে আবাদি, ফসলি। খুব তাড়া। এতো ভোরে রান্না করার সুযোগ নেই। আব্বা পানিতে জমানো ভাত থালায় তুলতেন, আম্মা তাড়াতাড়ি শুটকিভর্তা করে আব্বার পাতে দিতেন। পান্তা ভাত আর শুটকিভর্তার আদলে আব্বা তাঁর পেট মহাশয়কে সন্তুষ্ট করতেন। আমার ঠাকুরদাও তাই করতেন। এই হলো  কৃষকশ্রেণীর নাস্তা করার স্টাইল। নাস্তা করার নাগরিক অর্থ তাঁরা  জানেন না। তাঁরা কেবল উদরপূর্তি করার জন্য খায়। শর্করা, আমিষ, স্নেহ পর্দাথের খবর তাঁদের কান পর্যন্ত পৌঁছে না।
অথচ কৃষক শ্রেণী সত্যিকারের মানুষ, সব সাধকের বড় সাধক। সেই সাধকদের সঠিক মূল্যায়ন না করে, অবমূল্যায়নের সিনেমা তৈরি করে নাগরিক জীবন। সেই সিনেমার নাম `পান্তা- ইলিশ ভক্ষণ'। সিনেমা হলটির নাম `পহেলা বৈশাখ'। একটি ইলিশ এক বছরে হয়তো কোনো কৃষকের ঘরে  খাবার হিসাবে রান্না করা হয় না। হয়তো নয়, সত্য, বেদনাদায়ক সত্য। বেদনাদায়ক সত্যটি কী নির্মমভাবে নাগরিক জীবনে বাস্তবিক বিলাসিতা।

নাগরিক জীবনে আরেকটি বিলাসিতা আছে, আর তা হলো অনুরাগবিচ্ছেদ বিলাসিতা। যুবক - যুবতী প্রেম করে না, রিলেশনের বাজেট তৈরি করে। কয়েকদিন রিলেশনের বাজেট ঠিকঠাক চলে। কিছুদিন পর লাভ- লোকসানের হিসাব আসে, ফলে দেখা দেয় ঘাটতি বাজেট। ঘাটতি বাজেটে রিলেশন কেরিঅন?  ইমপসিবল! চলে ব্রেকআপ সংবিধান।স্বাতন্ত্র্য বিধানে দুজন আলাদা। আলাদা হয়েও পেইনচর্চা করতে হবে। নতুবা যে নীল ঘরে রঙিন পানির পেয়ালা আরামদায়ক হয়ে উঠবে না, মিউজিক প্লেয়ারের গানগুলো মুহূর্তের রসদ জোগাবে না। নাগরিক জীবনের কাছে নারী- বাড়ি, গাড়ির মতো পেইনচর্চাও এক আশ্চর্য রকমের বিলাসিতা। শ্রমজীবী মানুষের পেইনচর্চার সুযোগ নেই। কারণ সকালে কাজে না গেলে যে তাঁকে  উপোস থাকতে হবে। তাঁদের তো আর ব্যাংকে জমা নেই টাকার খতিয়ান, নেই কোনো ক্রেডিট কার্ড কিংবা অবসরবীমা। শ্রমই তাঁদের বল। বলকে পুঁজি করে তাঁরা দিন আনে, দিন খায়। তাঁদেরও দিন যায়, তাঁদেরও দিন যায়।দিন আসবে সুদিন হয়তোবা, হয়তোবা কোনোদিন! 

বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৫

রহমত

বাংলাদেশের মানুষ ইমোশন আর আল্লার একমাত্র  রহমতের  উপর ভরসা করে দিনপাত করে। আল্লার রহমত আর ইমোশন সহোদর। এই সহোদরকে ডেসটিনি ভেবে তারা পথে হাঁটে না, ঘুমায় ; তাদের কাছে তখন সময় একটি ``কাটানোর" বিষয় আর ``আড্ডা" একটি জনপ্রিয় কাজ।

The people of Bangladesh lead their chaotic lives relying on the emotion and the only blessing of God. Emotion and seeking a bless are same aforesaid touch. Being used to the two parallel light they are not active but sleep in the dream. Only for that time is wasting mania and Adda is tasty task to them. 

সূর্য

সূর্য পড়ছে পৃথিবীতে। পতিত সূর্য পৃথিবীর ঘাস। চোখ অফ করে সূর্য দেখি, অন করে দেখি ঘাসের খেলা। সূর্য আর পৃথিবীর মধ্যমণি আমাদের `মা'। মা ঘাস কাটছে অন্য এক মায়ের জন্য। ঘাসেরও যে কিছু কথা আছে, আছে কিছু পোষমানা ব্যথা-- মা তা কোনোদিন জানতে চায়নি। মা কেবলই জন্মখেলার উপকরণ, উপাদান। উপকরণ, উপাদানের প্রায়োগিক আবেদন বদলাপুরে গেলেও `মা' কথাটা মায়ের মতোই। মা থেকে আমি, আমাকে নিয়ে আমরা, আমরা থেকে প্রাণিসভা, প্রাণ যেখানে প্রাণের খাবার।
এইভাবেই পৃথিবী এক অটোক্যাড সাম্রাজ্য, মানুষ এক প্রাদেশিক কসাই।

বুধবার, ১৮ মার্চ, ২০১৫

ঝিঁঝিঁ

একটা সময় ক্রিকেট খেলতাম। এখন ঝিঁঝিঁ পোকা  আমাকে নিয়ে খেলে।

Cricket was my once upon game. Now I am the tiny toy of the cricket.  

লেখা থামাও

লেখক! তোমার লেখা থামাও। লেখাতেই তুমি পরাধীন। লেখার কারণে তোমার প্রিয় অপ্রিয় হয়ে যাবে। লেখার কারণে চাকরিটা তোমার অকালেই হারাবে। বাইরে যত আগুন আছে হৃদয়ে খেলা করবে, দহন তোমার সুজন হবে, সুজন দৌড়ে পালাবে। যে গরুটা গোয়াল চিনে না, সেও তোমাকে জানবে, ঘাসজ্ঞানে তোমার তোমাকে পাতাল- নরকে নামাবে।
লেখক তোমার লেখা থামাও!
নইলে বাঁচার আগেই মরবে। পাঁচ বছরের শিশুটা তোমার "বাবা বলে" কাঁদবে।
ভুলে যাও তুমি, এখনি ভুলে যাও পুরাতন যত শ্লোকের হাপর--

সংসার বিষবৃক্ষশ্চ দ্বে এব রসময় ফলে
কাব্যামৃত রসাস্বাদনং সঙ্গম সুজনৈসহ

তেলের একটি দোকান খুলে দোকানী হও বাজার মানে
কন্যা- পুত্র সংসার নিয়ে দিন কেটে যাবে সুরেলা গানে 

মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০১৫

শব্দ

শব্দ বিভ্রান্ত করে তোমাকে, আমাকে, সবাইকে। শব্দ অনেকটা কালিদাসের গল্প -- যে ঢালে বসে সেই ঢালই কাটে। শব্দ বিভ্রান্ত করে তোমাকে, আমাকে, তাকে। বাস কিংবা ট্রাক নয়, কিছু শব্দ তেড়ে আসে আমার দিকে, আহত করে, হতাহত ভোরে পড়ে থাকে নিথর দেহ, সোপার্দ আলোর নিজস্ব কামড়ায় নিশ্চল হতে বাধ্য আমার কাস্তেগার দেহ। হায়রে দেহ, দেহরক্ষী আমার। 

সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০১৫

12032015

জানালার পাশে রাস্তাটি খোলা। মন খুলে বসে আছি। সাইকেলের স্বভাবসুলভ শব্দ হলেই চোখ মেলে তাকাই। এই বুঝি তুমি এলে। একের পর এক সাইকেল আসে, আসে সাইকেলের দোটানা শব্দ। ধীরে ধীরে রাস্তাটি নগ্ন হয়ে উঠে, চেয়ে থাকার মগ্নতা বাড়ে, আরো বেড়ে চলে। সকাল গড়িয়ে বিকেল, বিকেল গড়িয়ে রাত, রাত থেকে আবারো সকাল। জানালাটি নিসঙ্গ একা। জানালার মন আর আমার নিষ্কাশিত চোখ মিলেমিশে একাকার।চোখ, জানালা আর সেই রাস্তাটি অপেক্ষার চিহ্ন বহন করে যাবে চিরকাল।
ভালোবাসার উদোম আকাশ
বেদুম হাওয়ায় চলে
অলস দুপুর ক্লান্ত হলে
শান্তি নাহি মিলে

রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৫

নুরু পাগলা

আড়াইসিধা গ্রামের নুরু পাগলা। তিনি পাগল ছিলেন কিনা জানিনা। লোকে তাকে পাগল বলতো। লোকে তাদেরই পাগল বলে  যারা লোকের মতো মানসিক সিমেন ধারণ করেনা। তিনি আস্ত গ্রাম ঘুরতেন আর ওয়াজ করতেন। ওয়াজও যে এক বাক্যে হতে পারে তাঁর  কাছ থেকে  শিখেছিলাম।  তিনি আজ চোখের সামনে নেই।
আজ জায়গা টু জায়গা, মন টু মন বিহার করি, নিহার করি হাজারো আপ্তবাক্যে, পৃথিবী সাজানোর জন্য বাণী চিরন্তনীর লক্ষাধিক ফাইল প্রযুক্তির ডেস্কে।
 কিন্তু,
কিন্তুর পর অসংখ্য স্পেস থেকেই যায়!
 মানুষ,
মানুষ হয়েই থাকলো,  পিতা হতে পারেনি।
মানুষের স্রোতে নুরু পাগলাকে পিতা মনে হয় আর তাঁর সেই এক বাক্যের ওয়াজটি আসলেই  পৃথিবীর সজীব সন্তান --

আইন ঠিক, সব ঠিক