অজয় নদী
ভোরের হাসির সাথে দেখা হয় যদি,
বলিও আমি এক স্বচ্ছ কুয়াশা তোমার স্লোগানে আমার বাড়ি।
বর্ষায় তোমার যে বীর্য, সেই বীর্য ভেঙে আজকের আমি, আমরা। শীতকালে আমাদের মাঝে তোমার তারূণ্যের আবির রাঙ্গিয়ে উঠে। তুমি তো এমনই সারাবেলা থাকতে চাওনা, সাধকের মতো গোপন হয়ে যাও, বাবার মতো নিজেকে রূপান্তর কর।
আজ বন্যশীত
শরীর কেঁপে উঠার আগে হাড়ে সাইক্লোন উঠে। এই শীতে তোমার চামড়ায় ছোট্ট ছোট্ট মৃত্তিকাদ্বীপ যেন সদ্য যৌবনা কোনো তন্বীর লাল টিপ। পাশে সবুজেরা অলংকারের মতো প্রহরীর চেতনায় জেগে আছে।
বিদায় কখনো আনন্দের হয়না, বিদায় বেদনাকে নন্দন করতে পারে শুধু। আজকের সূর্য, এই শীতের সূর্য যখন বিদায় নেয় তখন সজল বেদনা ছড়িয়ে থাকে তোমার থোরা থোরা প্লাবনে। একটি সোনালি নীল যেন চোখের জলের সমার্থক, বিদায় রাগের সতীর্থ। সবুজ সমেত গ্রাম হয়ে পড়ে ভাষামন্থর স্থিরচিত্র।
রাতের সাথে তোমার মিতালি অন্যরকম তবে ভিন্নরকম নয়। রাতের নদী খুব বেশি যৌথ। রাতের নদী খুব বেশি সামাজিক। সাগরের দিকে ছুটে চলে ধীমান লয়ে।
রায়পুরের রাণী তোমার গভীরে মিশে যায় কোন সময়টাতে
আমি জানি! রাণীর সাথে তোমার একনিষ্ঠ পরকীয়ার কথাও
আমি জানি।
আমি তো এমনই সবকিছু জেনে যাই, আজ না হয় কাল, কাল না হয় পরের দিন।আমাকে যে জানতেই হয়।
কেন জানবো না?
আমার ভেতরে যে সুরের উৎসব তাও তোমার উৎসের কথা বলে। তুমিহীন আমি না হতে পারি দৈহিক, না হতে পারি আত্মিক।
অজয় নদী
আমি তোমার রক্তের উত্তর পুরুষ, চুপচাপ বসে খেলা দেখছি কেবল। আশীর্বাদে ধন্য করো যেন চোখযুগল সুস্থ থাকে -- পৃথিবীর শেষ খেলাটি দেখার জন্য।।
ভোরের হাসির সাথে দেখা হয় যদি,
বলিও আমি এক স্বচ্ছ কুয়াশা তোমার স্লোগানে আমার বাড়ি।
বর্ষায় তোমার যে বীর্য, সেই বীর্য ভেঙে আজকের আমি, আমরা। শীতকালে আমাদের মাঝে তোমার তারূণ্যের আবির রাঙ্গিয়ে উঠে। তুমি তো এমনই সারাবেলা থাকতে চাওনা, সাধকের মতো গোপন হয়ে যাও, বাবার মতো নিজেকে রূপান্তর কর।
আজ বন্যশীত
শরীর কেঁপে উঠার আগে হাড়ে সাইক্লোন উঠে। এই শীতে তোমার চামড়ায় ছোট্ট ছোট্ট মৃত্তিকাদ্বীপ যেন সদ্য যৌবনা কোনো তন্বীর লাল টিপ। পাশে সবুজেরা অলংকারের মতো প্রহরীর চেতনায় জেগে আছে।
বিদায় কখনো আনন্দের হয়না, বিদায় বেদনাকে নন্দন করতে পারে শুধু। আজকের সূর্য, এই শীতের সূর্য যখন বিদায় নেয় তখন সজল বেদনা ছড়িয়ে থাকে তোমার থোরা থোরা প্লাবনে। একটি সোনালি নীল যেন চোখের জলের সমার্থক, বিদায় রাগের সতীর্থ। সবুজ সমেত গ্রাম হয়ে পড়ে ভাষামন্থর স্থিরচিত্র।
রাতের সাথে তোমার মিতালি অন্যরকম তবে ভিন্নরকম নয়। রাতের নদী খুব বেশি যৌথ। রাতের নদী খুব বেশি সামাজিক। সাগরের দিকে ছুটে চলে ধীমান লয়ে।
রায়পুরের রাণী তোমার গভীরে মিশে যায় কোন সময়টাতে
আমি জানি! রাণীর সাথে তোমার একনিষ্ঠ পরকীয়ার কথাও
আমি জানি।
আমি তো এমনই সবকিছু জেনে যাই, আজ না হয় কাল, কাল না হয় পরের দিন।আমাকে যে জানতেই হয়।
কেন জানবো না?
আমার ভেতরে যে সুরের উৎসব তাও তোমার উৎসের কথা বলে। তুমিহীন আমি না হতে পারি দৈহিক, না হতে পারি আত্মিক।
অজয় নদী
আমি তোমার রক্তের উত্তর পুরুষ, চুপচাপ বসে খেলা দেখছি কেবল। আশীর্বাদে ধন্য করো যেন চোখযুগল সুস্থ থাকে -- পৃথিবীর শেষ খেলাটি দেখার জন্য।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন