সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

Itself

কলকাতা শহর মানুষের জঙ্গল। কলকাতা শহর মুনাফার এক সুবোধ জায়গা। ঢাকা শহরে যে পরিমান যানবাহন আছে কলকাতা শহরে সেই পরিমান যানবাহন নেই। দুই বছর আগে কলকাতা শহর যেমন ছিল এখন আর তেমন নেই। কলকাতা শহরের গতরে উজ্জ্বল উজ্জ্বল একখান ভাব নাযিল হয়েছে। কর্তৃপক্ষ শহরটাকে পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করে।

আকবর মিয়া। কলকাতার রিক্সাচালক। তার দুই ছেলে। আর সন্তান নেয়ার ইচ্ছাপত্র সে পাঠ করতে চায় না। সে বলে বাংলাদেশের মানুষ নাকি টেনে টেনে কথা বলে। যেমন মাকে টেনে বলে আম্মা, মেয়েকে টেনে বলে মাইয়্যা। বাংলাদেশের অনেক রিক্সাওয়ালা খুব সুন্দর করে গান করে, আবার কবিতা লেখে, আবৃত্তি করে। আর কলকাতার রিক্সাওয়ালাকে দেখলাম ভাষাপরিবর্তন বিষয়টাও মাথায় রাখে।

আমার চোখের সামনে টেলিভিশন চলছে। চ্যানেলটি a2z। চ্যানেলটি বেশ ভালো লেগেছে। বাজার কীভাবে ধরতে হয় চিনের মতো ইন্ডিয়াও শিখে গ্যাছে। এই চ্যানেলটি আপনাকে শেখাবে কোন সেলাই মিশিন কেমন কাজ করে, কোন খাবারের বক্স খাবারের নান্দনিক অবস্থান নির্ধারন করে, সেলাই মিশিনের সাথে সাথে সুই সুতার ওয়াজটাও চ্যানেলটি করে।

ছোট পোশাক পরে রাস্তায় নেমে আসে কলকাতার মেয়েরা। মেয়েদের ছোট পোশাক পরিধান করার সাথে সাথে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কোনো যোগাযোগ আছে কিনা আমি জানি না। তবে মিডিয়া এখন এক গুরুত্বপূর্ন অর্থনীতি এমন কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।

বাংলাদেশ থেকে যারা কলকাতায় আসে তারা প্রথমে টাকাকড়িকে ডলারে রূপান্তর করে, ডলারকে আবার রুপিতে রূপায়ন করে। ইহা এক বিশাল জটিল প্রক্রিয়া। অর্থের একটি আন্তর্জাতিক একক মুদ্রা থাকা চাই। কেবল অস্ত্র আবিষ্কার করলে তো হবে না, সুবিধাও আবিষ্কার করতে হবে।

Marquis Street এর দাওয়াতে আজ lunch করলাম। দাওয়াতের খাবারে ইন্ডিয়ান স্বাদ পুরোদমে নেই। কিন্তু খাবারের মান আলহামদুলিল্লাহ বলার মতো। সন্ধ্যায় দুটি কমলা কিনে খেলাম। বেশ ভালো। রসালো এবং ফলেল আয়েসভের আছে।

দুই বছর আগে কলকাতা শহর থেকে একটি লেদারের মানিব্যাগ কিনতে চেয়েছিলাম। পর্যাপ্ত সময় থাকা সত্ত্বেও সময় হয়নি। অথচ আজ আমার পকেটে রাশি রাশি সময়। মানিব্যাগ কিনলাম। একদিন সময়কেও কিনে নিয়ে আসবো আমাদের বাড়িতে, মেঘনা নদীর পাড়ে...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন