ঢাকা শহর। যানজটসৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি। যানবাহন, দালান, মানুষের ঘামের গন্ধে সময় বয়ে চলে বেশ। অনেকটা কোলাহলের কৌতুকপূর্ণ দ্বীপের মতো। আজকাল ককটেল বোমা বেশ নিয়ম করে আসে, নিয়ম করে আওয়াজ তোলে এই শহরে। আওয়াজটি যখন কানে আসে তখন উৎসব উৎসব মনে হয়, গ্রামের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে বম ফুটলে যেমন মনে হতো। পুলিশ একটু সময়ের জন্য ফেইসবুক ছেড়ে কর্তব্যের পৃথিবীতে আসে। শকুনচোখে তাকায় এদিক- সেদিক। শকুন যত উচুঁতে থাকুক ভাগাড় ঠিকই চিনে নেয়। কিন্তু ঢাকা শহরের পুলিশের শকুনচোখ থাকলেও ভাগাড় চিনতে অক্ষম।
তারানি ইদানিং বেশ প্রেমময়ী। তার চোখের নিচের সাদা মেঘ উড়ে গেছে অন্য কোনো আকাশে। এখন তার চোখে ফাগুনের শিমুল বন। বাতাসে বাতাসে সেই বন মাতাল হয়ে উঠে। মাতাল বনে পেট্রোল বোমা ফোটে মাঝে মাঝে, প্রেমের পেট্রোল বোমা। যে বোমা বিস্ফোরিত হয় কিন্তু কোনো আওয়াজ তোলে না , দগ্ধ করেন৷ কোনো পথিককে।তা কেবল তারানিকেই দগ্ধ করে, তারানি তখন বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়। তারানির বার্ন ইউনিটের নাম ঘুম। সে তখন একাধারে দুই তিন দিন ঘুমায়। অন্ধকার তখন তার কাছে গোল টেবিল, নির্জনতা পাঠ্যবই। তারানি চায় তার অঙ্গবোমায় পুড়ে খাক হয়ে যাক তারাচান। কিন্তু তারাচানের বার বার মনে পড়ে সেই ছেলেটির কথা, সেই ইঞ্জিনিয়ারের কথা। ছেলেটির ষোলতম নারী হয়েছিল তারানি। ছেলেটির হাত ধরে দিনের পর দিন প্রেমযাপন, সিনেমা দেখতে যাওয়া, কামের নীলঘরে নীল হয়ে যাওয়া দুটি প্রাণ তারাচানকে পীড়িত করে। তারাচান দুলছে -- না মেনে নিতে পারে নিজেকে, না মেনে নিতে পারে নিজের প্রবোধ নামানা মনকে।
এইভাবে তারাচানের দিন চলে যেতে পারতো। কিন্তু মহামান্য দর্শক খেলার বাঁক ঘটালেন। এইভাবে দিন চলে যায়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সি বার্ন ইউনিটে তারাচান। পড়ে আছে তার হিমানী দেহ। নদীর স্রোতে আজ ঢেউ নেই। হিল্লোল নেই প্রকৃতির স্রোতে। তারানির কান্না আজ প্রকৃতির নতুন ফেনায়িত ঢেউ। নিশীথ রাতের চুপিচুপি ঘুম আজ কান্নার চুপকথা, তারাচানের মৃতদেহ যেন তারানির কবর, শোকধবনির মুহ্যমান মিছিল --
আহারে প্রাণ কোকিলা
কোন বনেতে লুকাইলা
জন্মের মতো দিয়া মোরে ফাঁকি
তারানি ইদানিং বেশ প্রেমময়ী। তার চোখের নিচের সাদা মেঘ উড়ে গেছে অন্য কোনো আকাশে। এখন তার চোখে ফাগুনের শিমুল বন। বাতাসে বাতাসে সেই বন মাতাল হয়ে উঠে। মাতাল বনে পেট্রোল বোমা ফোটে মাঝে মাঝে, প্রেমের পেট্রোল বোমা। যে বোমা বিস্ফোরিত হয় কিন্তু কোনো আওয়াজ তোলে না , দগ্ধ করেন৷ কোনো পথিককে।তা কেবল তারানিকেই দগ্ধ করে, তারানি তখন বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়। তারানির বার্ন ইউনিটের নাম ঘুম। সে তখন একাধারে দুই তিন দিন ঘুমায়। অন্ধকার তখন তার কাছে গোল টেবিল, নির্জনতা পাঠ্যবই। তারানি চায় তার অঙ্গবোমায় পুড়ে খাক হয়ে যাক তারাচান। কিন্তু তারাচানের বার বার মনে পড়ে সেই ছেলেটির কথা, সেই ইঞ্জিনিয়ারের কথা। ছেলেটির ষোলতম নারী হয়েছিল তারানি। ছেলেটির হাত ধরে দিনের পর দিন প্রেমযাপন, সিনেমা দেখতে যাওয়া, কামের নীলঘরে নীল হয়ে যাওয়া দুটি প্রাণ তারাচানকে পীড়িত করে। তারাচান দুলছে -- না মেনে নিতে পারে নিজেকে, না মেনে নিতে পারে নিজের প্রবোধ নামানা মনকে।
এইভাবে তারাচানের দিন চলে যেতে পারতো। কিন্তু মহামান্য দর্শক খেলার বাঁক ঘটালেন। এইভাবে দিন চলে যায়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সি বার্ন ইউনিটে তারাচান। পড়ে আছে তার হিমানী দেহ। নদীর স্রোতে আজ ঢেউ নেই। হিল্লোল নেই প্রকৃতির স্রোতে। তারানির কান্না আজ প্রকৃতির নতুন ফেনায়িত ঢেউ। নিশীথ রাতের চুপিচুপি ঘুম আজ কান্নার চুপকথা, তারাচানের মৃতদেহ যেন তারানির কবর, শোকধবনির মুহ্যমান মিছিল --
আহারে প্রাণ কোকিলা
কোন বনেতে লুকাইলা
জন্মের মতো দিয়া মোরে ফাঁকি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন