সোমবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

কোলাহল

কোলাহলে সৃষ্টি হয়না, সৃষ্টি কোলাহলকে ধারণ করে। তবু দেখি স্রোতের মাঝে বেঁচে থাকে নদী,কোলাহলে ছুটে চলে জীবনের আঁকাবাঁকা গাড়ি। 

শনিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

গতি

গতির শুদ্ধ নাম জীবন। জীবনের পথ ধরে মানুষের হাঁটাচলা। মানুষ মূলত মানসিকভাবে মানুষ। শারীরিক অবয়ব মানসিকতার ফলাফল মাত্র।

The authentic name of motion is life. Man is strolling across the road of life. Man is man for the mentality, of the mentality and by the mentality. The physique is the sole so result of mentality. 

শুক্রবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

রাধা

রাধা পারে ফুল ফিরিয়ে দিতে। রাধাই থাকে ফুলের সাথে। ফুল বিহনে
রাধাই জ্বলে কৃষ্ণঅনলে।

তারাচানের মৃত্যু

ঢাকা শহর। যানজটসৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি। যানবাহন, দালান, মানুষের ঘামের গন্ধে সময় বয়ে চলে বেশ। অনেকটা কোলাহলের কৌতুকপূর্ণ দ্বীপের মতো। আজকাল ককটেল বোমা বেশ নিয়ম করে আসে, নিয়ম করে আওয়াজ তোলে এই শহরে। আওয়াজটি যখন কানে আসে তখন উৎসব উৎসব  মনে হয়, গ্রামের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে বম ফুটলে যেমন মনে হতো। পুলিশ একটু সময়ের জন্য ফেইসবুক ছেড়ে কর্তব্যের পৃথিবীতে আসে। শকুনচোখে তাকায় এদিক- সেদিক। শকুন যত উচুঁতে থাকুক ভাগাড় ঠিকই চিনে নেয়। কিন্তু  ঢাকা শহরের পুলিশের শকুনচোখ থাকলেও ভাগাড় চিনতে অক্ষম।

তারানি ইদানিং বেশ প্রেমময়ী। তার চোখের নিচের সাদা মেঘ উড়ে গেছে অন্য কোনো আকাশে। এখন তার চোখে ফাগুনের শিমুল বন। বাতাসে বাতাসে সেই বন মাতাল হয়ে উঠে। মাতাল বনে পেট্রোল বোমা ফোটে মাঝে মাঝে, প্রেমের পেট্রোল বোমা।  যে বোমা বিস্ফোরিত হয় কিন্তু কোনো আওয়াজ তোলে না , দগ্ধ করেন৷ কোনো পথিককে।তা কেবল তারানিকেই  দগ্ধ করে, তারানি তখন বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়। তারানির বার্ন ইউনিটের নাম ঘুম। সে তখন একাধারে দুই তিন দিন ঘুমায়। অন্ধকার তখন তার কাছে গোল টেবিল, নির্জনতা পাঠ্যবই। তারানি চায় তার অঙ্গবোমায় পুড়ে খাক হয়ে যাক তারাচান। কিন্তু তারাচানের বার বার মনে পড়ে সেই ছেলেটির কথা, সেই ইঞ্জিনিয়ারের কথা। ছেলেটির ষোলতম নারী হয়েছিল তারানি। ছেলেটির হাত ধরে দিনের পর দিন প্রেমযাপন, সিনেমা দেখতে যাওয়া, কামের নীলঘরে নীল হয়ে যাওয়া দুটি প্রাণ তারাচানকে পীড়িত করে। তারাচান দুলছে -- না মেনে নিতে পারে নিজেকে, না মেনে নিতে পারে নিজের প্রবোধ নামানা মনকে।
এইভাবে তারাচানের দিন চলে যেতে পারতো। কিন্তু মহামান্য দর্শক খেলার বাঁক ঘটালেন। এইভাবে দিন চলে যায়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সি বার্ন ইউনিটে তারাচান। পড়ে আছে তার হিমানী দেহ। নদীর স্রোতে আজ ঢেউ নেই। হিল্লোল নেই প্রকৃতির স্রোতে। তারানির কান্না আজ প্রকৃতির নতুন ফেনায়িত ঢেউ। নিশীথ রাতের চুপিচুপি ঘুম আজ কান্নার চুপকথা, তারাচানের মৃতদেহ যেন তারানির কবর, শোকধবনির মুহ্যমান মিছিল --

আহারে প্রাণ কোকিলা
কোন বনেতে লুকাইলা
জন্মের মতো দিয়া মোরে ফাঁকি 

বৃহস্পতিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

দরজার মতো দেখায়

জানালা দরজা নয়
দরজার ছোট বোন
জানালাটা আমার খুব চেনা
একদম মনের কাছের কোনো কথা
আজকাল কথাগুলো ব্যথা হয়ে যায়
ব্যথার আলিফ- লায়লায় যদি সিন্দবাদ হতে পারতাম
উত্তরাধিকার সম্মানে পেতাম জাদুর তরবারি
আমাকে কেটে ভাসিয়ে দিতাম নীল দরিয়ায়
জল থেকে বাষ্প, বাষ্প থেকে বৃক্ষ
এইভাবেই একদিন জানালা হতাম
জানালা দরজা নয়
দরজার মতো দেখায় কেবল 

বুধবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

শিক্ষক আর ছাত্র

শিক্ষক আর ছাত্রের সম্পর্ক যেদিন থেকে গরু আর রাখালের মতো হয়ে গেছে সেইদিন থেকে শিক্ষা চলে গেছে ঘাসক্ষেতে। ছাত্র ঘাস খায় আর শিক্ষক ঘাস খাওয়াতে বাধ্য করে। 

মালার সুতো

খেলোয়াড় খেলছে।
দর্শক দেখছে।
দর্শক চায় রান কিংবা উইকেট। খেলোয়াড়দের মাথায় পারফরমেন্সের হিসাব। দর্শক ও খেলোয়াড়দের লক্ষ্য এক কিন্তু একমুখী নয়। দর্শক যখন ফলাফল নিয়ে ব্যস্ত খেলোয়াড় তখন কারণ হয়ে বসে আছে। কারণ আর ফলাফল কোনো কালে এক হয়নি। তারপরও কারণ ফলাফলের জননী। তারপরও ফুলের মালার ফুল নয়, সুতো আমার বান্ধবী। 

সোমবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

মূলত বাড়ি

বাড়ি বলতে আমরা যা বুঝি মূলত তা বাড়ি নয়। এটি একটি বসবাসের জায়গা যেখানে কেউ বসবাস করত এবং কেউ বসবাস করবে। প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব বাড়ি তার শরীর। এই বাড়ির একমাত্র  বাসিন্দা ব্যক্তি  নিজেই। বাড়িটির পাহারাদারের নাম মন।
মন যতদিন তার দায়িত্ব যথার্থভাবে পালন করে ততদিন বাড়িটি নিজ মহিমায় অবস্থান করে। বাড়িওয়ালা আর পাহারাদারের মধ্যে একটি অভেদ্য সম্পর্ক আছে।এই অভেদ্য সম্পর্কের নাম প্রেম।
প্রেম আদি, প্রেম অন্ত, প্রেমই হয় মূল
প্রেম গাছ, প্রেম পাতা, প্রেমে হয় ফুল 

আমরা

আমি কিন্তু তোমায় ভাবি
তোমার চোখে বৃষ্টি দেখি
দেখি আকাশ, পাহাড়, নদী
আমরা থেকে আমি কিনি
আমি কিন্তু আমরা চিনি

কাগজপত্র

কাগজ দেখে শিক্ষক বক্তৃতা দেন। কাগজে ছাত্র বক্তৃতা লিখে। আজকাল জ্ঞানচর্চা কাগজে কাগজে। কাগজে- মগজে কিংবা মগজে- মগজে যে জ্ঞানচর্চার ইতিহাস এখন কেবলই তা গল্প করার টপিক। 

শুক্রবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

না দেখি উপায়

মুক্তির মাঝে যে আত্মা থাকে সে কেন মুক্তি খোঁজে? প্রেমের মাঝে যে আত্মা থাকে সে কেন কাম খোঁজে?
দয়াল, সবই যে তোমার খেলা।
তুলে ধর আমারে আমি যে অবলা। ত্রিবেণীর হাঁটে রাধামন কঙ্কালে জঙ্গল, বাঘের বাজারে হরিণী আমি, না চিনি মঙ্গল-অমঙ্গল। টেস্টটিউবের যুগে আমার সনাতনী মন। বৃষ্টির জন্য হাত তোলে  বসে আছি দয়াল, ফেটে চৌচির কৃষিজমি আমার, কবে পাবো তোমার দর্শন! দয়াল,  তোমার দর্শন যে পলকহীন পুলক, অন্তরের অন্তত বোধন।

মঙ্গলবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

আর্টিকেল

হাসান রাসেল। পেশায় সাংবাদিক। বয়স ত্রিশ। বিয়ে করার জন্য পাত্রী খুঁজছে। বিভিন্ন মাধ্যমে লোক নিয়োগ করা হলো যাতে তার ছাঁচের একটি বউ পাওয়া যায়। বউটাকে অবশ্যই পর্দানশীল হতে হবে। দেখতেও পরী টাইপের।  কষ্ট সহিষ্ণু ও প্রেরণাদায়ক। আর হে,  পাত্রীর কোনো বন্ধু থাকা চলবে না। তার বিশ্বাস মেয়েদের কোনো ছেলেবন্ধু থাকতে পারেনা। ছেলেবন্ধু মানে অন্য কিছু ; একটি গোপন কথা ছিল বলবার বন্ধু সময় হবে কী তোমার-- এই জাতীয় ঘটনা।

এতো শর্ত মেনে পাত্রী পাওয়া যায়! তাছাড়া মাল্টিমিডিয়ার যুগ। আট ক্লাস পার হওয়ার আগেই আটটা ব্রেকআপ।
তারপরও চেষ্টা থেমে নেই। কানাডিয়ান মামা দেশে আসলেন। তিনি তার জন্য এক বিশেষ পাত্রীর ব্যবস্থা করলেন। বিশেষ বললাম এই কারনে যে পাত্রী পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।

আমরা সবাই আকাশ থেকে নামলাম।

মামা,  কী কথা শুনাইলেন?

মামা বললেন,  সমস্যা নেই, চলবে। মেয়ের আর্টিকেল ঠিক আছে।

আর্টিকেল!

আর্টিকেল শব্দটি আমাদের বন্ধুমহলে নতুন আমদানি হলো। শব্দটি বেশ রসদায়ক। সেইদিন রাতে শব্দটি নিয়ে আমাদের রুমে হাসির ঢল নামে। হাসতে হাসতে মাতাল হওয়া যায় প্রথম উপলব্ধিতে আসে। মাতাল হতে হতে আবারো অনুধাবন করি--

আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে

সোমবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

বোমা

লাশের শরীরে পেট্রোল বোমার মিষ্টিগন্ধ
সময়টা এক বৃদ্ধ পুরুষ চোখটি তার অন্ধ 

শনিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

বরকতময় বক্তৃতা

এক সমাজতন্ত্রীর সাথে কথা হলো। তিনি জন মানুষের কথা বললেন। জন মানুষের মুক্তির কথা বললেন। তিনি বললেন বড় বড় দালান নাকি শ্রমজীবী মানুষের ঘামের(যে রক্ত ঘাম হয়ে ঝড়ে) ফসল। যারা চকচকে মোমের মতো জীবন কাটায় তারা নাকি শ্রমজীবী মানুষের ত্যাগের মহিমা ভোগ করে। শুনতে ভালো লাগে এমন আরো অনেক কথা।

চলে যাবার সময় তার বাড়িতে যাওয়ার নেমন্ত্রণ দেন। জানতে পারি তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ এবং বাড়িতে ছয়তলা বিল্ডিং, তার সন্তান মাংস ছাড়া ভাত খায়না।

আমাদের গ্রামের রিক্সাচালক জসিমকে জিজ্ঞেস করেছিলাম দেশের বিখ্যাত সাম্যবাদী নেতা জনাব " বি, ও "কে চিনে কিনা। জসিম উল্টো জানতে  চাইল সেকি ভালো মাওলানা। আমি চুপ হয়ে গেলাম। কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তারপরও বললাম,

" হ, সে বেশ ভালো মাওলানা, জমিনে থেকে আসমানের ওয়াজ করে।"

বিপ্লবকে যারা পাকা ফল মনে করেন তাদেরকে একটি পরামর্শ দিতে চাই। আর তাহলো  Early to bed and early to rise / Makes a man healthy, wealthy and wise। ঘুম থেকে উঠে দেখবেন অনেক আম গাছের নিচে পড়ে আছে। তখন ফ্রেশ মনে আম কুড়াতে কুড়াতে মামার বাড়ির সুখ অনুভব করবেন। আরেকটি কথা সকালে কিন্তু উঠবেন। নতুবা আপনার গাছের আম জসিম নিয়ে যেতে পারে। জসিম আবার খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে তো।

পরামর্শ দিলাম বলে রাগ করবেন না প্লিজ। বড় মানুষদের রাগ করলে পেঁচা পেঁচা দেখায়। তাছাড়া রাগ করেও কোনো বস্তুনিষ্ঠ সফলতা আসবেনা। কারণ রাগ করে বস্তুগতভাবে সফল হতে গেলে অস্ত্র লাগে, অস্ত্র। আর স্বাধীন চিন্তায় জনগণই তো বৈধ অস্ত্র।
জনগণ আপনাদের পাশে আছে?
নেই।
 জনগণকে বোঝানো হয়েছে আপনারা নাস্তিক। তাছাড়া আপনারা গুরুজনদের পথেও হাঁটছেন না। গুরুজনদের রাগিয়ে দিচ্ছেন বারবার। আপনারা চে গুয়েভারাকে ট্রি শার্টে,  টুপিতে বহন করে চলেছেন। অথচ চে সাধারণ মানুষকে বুকে নিয়ে পথে থাকতেন। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রুমে বসে কার্বন বক্তৃতা দেন নায়। তাছাড়া চে যদি জানতেন তাঁকে বিজ্ঞাপনের উপকরণ বানানো হবে, তাঁকে টি -শার্টে  নিয়ে ঘুরবে পুঁজিপতি মহল তা হলে কী হতো! কী হতো জানিনা। অনুমান করতে পারি ইজমা-কিয়াসের একটি ব্যবস্থা হতো।

আচ্ছা, আরেকটি কথা আমার জ্ঞানে ধরে না। আপনাদের ব্যক্তিগত বউকে ঘরে পুতুল করে বসিয়ে রেখে নারী জাতিকে জেগে উঠার স্লোগান শোনান কেন?
ও আচ্ছা!
আপনি তো নেতা, আপনি তো ভালো কথা বলতে পারেন। আপনার আন্ডারপেন্টেও যে দুর্গন্ধ আছে তা সাধারণ মানুষ জানবে কেন। যত কম জানানো যায় ততই তো মাহফিল বরকতময়  হয়ে উঠবে।

বৃহস্পতিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

আলোর পথ

আলোর পথ চলে গেছে দয়ালের বাড়ির দিকে। মাঝখানে কোনো দেয়াল নেই। আমার পথ কেবলই আমার দিকে ফিরে আসে। মাঝখানে দয়ালের আলোর দেয়াল। দয়াল ফিরে আসে, বারবার ফিরে আসে আমার দিকে। আমি তাকে ধারণ করতে পারি, যতন করতে পারিনা। আমি তখন অস্থির হয়ে পড়ি, মানতে পারিনা প্রবাদকথা " যতনে রতন মিলে"।
দয়াল আমার ফটো তোলে। আমার ফটোপয়েম পূর্ণ করেছে তাঁর গ্যালারি। আজো আমার এ্যালবাম খালি।কেন খালি থাকবেনা? দয়ালের ফটো যে ক্যামেরায় আসেনা।
কতভাবে দয়াল যে দয়াল হয়ে উঠে তা আমি বলিতে পারিনা। বলিতে পারি কেবল আমার কঙ্কালের কথা, আমার কঙ্কাল দয়ালের কলঙ্ক বহন করে চলেছে।

বুধবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

কতদিন ভালোবাসাহীন থাকা যায়, ভালোবাসাহীন পরিচিত হৃদয় মরুময় হাহাকার।।

How long dare to love, a mind getting no love is to desert 

দেবীরা পৃথিবীর প্রেমিকা হবে

যে স্কুলে তুমি পাঠদান করো সেই স্কুলে একটি শিশু আছে যে তোমার প্রেমিক।
অসংখ্য শিশুর মাঝে একটি শিশু।
কথা বলেনা, তৈরি করা প্রশ্নের উত্তর দিতেও আসেনা। চুপিসারে কেবল তোমার কথার ঘ্রাণ নেয়, তোমার শাড়ির বাঁকে ঝুলন্ত যৌবন দেখে, অনিত্য যৌবন।
 শাখা- প্রশাখাহীন প্রাকৃতিক লতার মতো তোমার দৃষ্টি শিশুদের দুনিয়ায় সূর্যরশ্মি হলেও শিশুটির কাছে তা প্রেমরশ্মি। প্রেমরশ্মির উদার জলে শিশুটি নৌকা চালায়। শিশুটি তোমার মনদরিয়ার মাঝি।
পৃথিবীর চোখ তাকে দেখতে পায়না। তার শব্দের অর্থ খুঁজে পাওয়া যায়না পৃথিবীর অভিধানে।

তোমার চোখেও কী পৃথিবীর রক্ত?

জিউস সুনীল আঁচলে টান দিয়েছে বহুবার, পৃথিবীকে বানিয়েছে শ্বশুরালয়।
কৃষ্ণ, নারীর জলে স্নান করে পবিত্র হয়েছে, হয়েছে ভগবানের অবতার।
দেবী পৃথিবীতে নেমে আসেনি প্রেমিকের খোঁজে।
স্বরসতী, তুমি তো দেবী!
তাকাবে একবার ছোট্ট ছেলেটির দিকে, একবার কেবল প্রেমিকার চোখে।
সম্মতি থাকলে,
নিয়ম ভঙ্গ হবে অনিয়ম মেনে।

সোমবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

জানা

একমাত্র প্রেমিকাই জানে
প্রেমিকের মনে কী ফুল ফোটে
বকুল, মালতী, রজনীগন্ধা নাকি তুলতুলে সন্ধ্যা
একমাত্র প্রেমিকই জানে
প্রেমিকার মনে কখন প্রজাপতি নামে
কখন নামে বসন্ত, বর্ষা কিংবা হিমানী ঠাণ্ডা 

রবিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

আলো

রাতের আলো দূরে, বহু দূরে
হয় চাঁদ নয় তারা
দিনের আলো কাছে, বহু কাছে
অমৃত আগুনের ধারা