সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ছিটকিনি

রুমের সামনে জটলা— সেকেন্ড ফ্লোর— আমি আরও উপরে উঠবো— দাড়াই এবং কারন জানতে চাই। দরজার বাইরে সবাই— ভেতরে একটা  শিশু— চার বছরের শিশু। শিশুকে ভেতরে রেখে তারা পাশের রুমে আড্ডা দিতে যায়— সবাই। শিশু একা একা আনন্দ খেলা খেলতে খেলতে হাতের নাগালে থাকা ছিটকিনি দিয়ে ফেলে— কিন্তু খুলতে পারছে না। জানালা দিয়ে অনেক ইন্সট্রাকশন দিচ্ছে মুরুব্বিরা শিশুকে— কাজ হচ্ছে না— প্রায় দুই ঘন্টা চলে যায়। 


রুমের সামনে জটলা— কারন জানার পর বুঝতে পারি উপায় একটাই আছে— ছিটকিনি ভেঙে ফেলা— ভাবলাম একটা লাথি দিয়ে দরজার ছিটকিনি ভেঙে ফেলি— ভেবে দেখলাম  তাতে সমস্যা আছে— সুন্দরী মেয়েরা আবার ক্রাশট্রাস খেয়ে যেতে পারে— পরে আবার পড়বো অন্য ঝামেলায়! 


বাড়ির ছোটো সর্দার সুমনকে বলি ছাদ থেকে সিমেন্টের ছোটো পিলারটা আনার জন্যে— সে বাহুবলির মতো তা দ্রুত নিয়ে আসে— তারপর সেনাবাহিনী স্টাইলে দুজনে মিলে ছিটকিনি বরাবর একটা ফার দেই— এক ফারে দরজা খুলে যায়— শিশু মুক্ত হয়ে আনন্দে তার মায়ের কুলে ঝাপিয়ে পড়ে! 


আমিও শিশুকে মুক্ত করার আনন্দে উপরে উঠছি আর ভাবছি— শিশুরা ছিটকিনি লাগাতে পারে কিন্তু খুলতে পারে না!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন