বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০

হুমায়ূন আহমেদ

যারা মিডিওকার তারা হুমায়ূন আহমেদ পড়ে। আমি দিনে দিনে মিডিওকার হয়ে যাচ্ছি। অনেকের পাঠ শুরু হয় হুমায়ূন আহমেদকে দিয়ে। আমিও পাঠ শুরু করতে যাচ্ছি। হুমায়ূন আহমেদ পড়ে অনেকের রুচি নষ্ট হয়ে যায় মানে পাঠরুচির কথা বলছি। আমারতো রুচি অনেক আগে থেকেই নষ্ট। নতুন করে নষ্ট হওয়ার কিছু আছে? তবে নষ্টকে অধিক নষ্ট করতে পারলে গাজন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তাতে আবার অন্য এক প্রকার ফল পাওয়া যায়।

চোখের সামনে কাঠপেন্সিল পড়ে আছে। কাঠপেন্সিল বইয়ের নাম। হুমায়ূন আহমেদের লেখা। বইটির ফ্লেপের দিকে তাকালাম। লেখা আছে কিছু কথা। কথাগুলো পড়ে একটা বড় রকমের ধাক্কা খেলাম। ইট পাথরের সাথে যেমন করে ধাক্কা খায় মানুষ এমন করে নয়। বাংলা সিনেমায় নায়ক যেমন করে নায়িকার সাথে ধাক্কা খায় এমন করে। আশা করছি আপনিও ধাক্কা খাবেন। লেখাটি নিচে দেয়া হল--

"এখন আমি নিজের পরিচয় দিচ্ছি গর্তজীবি নামে। ধানমন্ডির যে ফ্ল্যাটবাড়িতে থাকি তাকে বলছি গর্ত। নিজেকে নিয়ে ছড়াও বানিয়েছি--

"বাইরে যাবো মরতে?
থাকব আমি গর্তে।"

আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, বিয়েবাড়ি, জন্মদিন, খতনা উৎসব, সব বাতিল। গর্তে বসে লেখালেখি করি, ছবি দেখি, ছবি আঁকি, গান শুনি। এতে আমার একটা লাভ হয়েছে মনের কিছু বন্ধ জানালা খুলে গেছে।

যে চার দেয়ালে আটকা পড়ে যায় তাকে প্রকৃতি মুক্তি দেবার চেষ্টা চালায়। তার মনের বন্ধ দরজা জানালা খুলে এক বিশেষ ধরনের মুক্তির ব্যবস্থা করে।"

হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর ১৯৪৮–১৯ জুলাই ২০১২)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন