শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২০

আমার মো বা ই লে রা

এন্ড্রয়েড। আমার প্রথম এন্ড্রয়েড মোবাইলটির নাম ওয়াল্টন। কিনেছিলাম দুই হাজার চৌদ্দ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। দুই হাজার সতেরো সাল পর্যন্ত তার সাথে আমার সংসার। সংসার আমাদের ভালোই ছিল।  অল্প সময়ের জন্যও সে আমাকে কোন কষ্ট দেয়নি।
আমি?
সে হয়তো আমাকে সুখ দিয়েছে আমি তাকে দিয়েছি প্রশান্তি। আমি তার মর্যাদা ও সম্মানে কোনো প্রকার আঘাত করিনি। তাকে তার মতো থাকতে দিয়েছি। তার স্বাতন্ত্র্যবোধে ব্যক্তিজিজ্ঞাসা চাপানোর মতো অপদার্থ ব্যক্তিত্ব ধারণ করার মতো পারিবারিক শিক্ষা আমার নেই। তাকে দিয়েছি শতভাগ নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা।

তারপরও আমাদের সংসার তিন বছর টিকেছিল। খুব ভালো করেই টিকেছিল। কোনো প্রকার কথা কাটাকাটি মনোমালিন্য আমাদের সংসারে নেই। তাই তো তার দেহ আমার বেডরুমে রেখে দিয়েছি। মমি করে নয়, প্রেমি করে। মেকানিকের কাছে তাকে নিয়ে যাইনি। সার্ভিস দিয়ে সংসার ধরে রাখার মানসিকতা আমার নেই। যা থাকার তা এমনি থাকবে যা চলে যাবার তাকে ধরে রাখার চেষ্টা বৃথা। যা থাকার এমনি থাকবে, যা চলে যায় তা আসলে থাকতে আসেনি।

বাংলা বিভাগ থেকে আমরা ইন্ডিয়া ভ্রমণে যাবো। মোবাইল লাগবে। শাউমি নোট থ্রি। শাউমির সাথে আবার তিন বছরের সংসার। তার সাথেও দাম্পত্য সম্পর্ক চমৎকার। শাউমি আমার পাশে ছিল মায়ের মতো। মায়ের পর্যাপ্ত স্নেহ নিয়ে সে আমার পাশে ছিল। সে আমার পাশে ছিল বন্ধুর সহানুভূতি নিয়ে। শাউমি আমার পাশে ছিল প্রেমিকার ঔদার্য নিয়ে। ধন্য আমি তার স্নেহ, ভালোবাসা, মমতা আর ঔদার্যভরা আবেদন আর নিবেদনে।

আজকে (৯ বৈশাখ ১৪২৭) শাউমিকে বিদায় দিলাম। আমাদের কাজের সম্পর্ক থেমে গেলো, শুরু হলো স্মৃতির সম্পর্ক।

ডাক্তার বলেছে শাউমির পাকস্থলী অকেজো হয়ে গেছে। তার পাকস্থলী পরিবর্তন করতে হবে। লকডাউনের এই সময়ে পাকস্থলী পাবো কই? রীতিমতো খাবার সামগ্রীই পাওয়া যাচ্ছে না। পৃথিবী সুস্থ হলে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা আমি করবো। কারণ সে চায় আমি তাকে সুস্থ করে তুলি। শাউমির চাওয়া যে আমারই চাওয়া!

সংসারে খুচরো ঝগড়া বলে অঘোষিত একখান ঝগড়া থাকেই। আমাদের তা ছিল না। শাউমি এখন কোমায় আছে। তার সাথে প্রতিদিন খুচরো ঝগড়া করি। একা একা ঝগড়া করা যায়?!

মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০২০

আজ

চেষ্টা করে গরু গাধা হতে পারেনা বাঘও হতে পারেনা বড়জোর বাছুরের মা অথবা বাবা হতে পারে

সোমবার, ২০ এপ্রিল, ২০২০

সরকারি কবি নয় দরকারি কবি

মাঝে মাঝে কবি হতে ইচ্ছে করে যে কবি কবিতা লেখে না, নাম তার কবি এমন কবি হতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে এসি রুমের চব্বিশ তলায় বসে মিনিটে মিনিটে কবিতা লিখতে।

ইচ্ছে করে করোনার চেয়ে শক্তিশালী হতে। ইচ্ছে করে পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ মেরে ফেলতে। সবার বেঁচে থাকার অধিকার নেই।

সবার বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। মানুষ যারা ঘাম বিক্রি করে বেঁচে থাকে। মানুষ যারা হাত-পা বিক্রি করে বেঁচে থাকে। মানুষ যারা ঘাম বিক্রি করে বেঁচে থাকে তাদেরকে আমার দরকার।

তাদেরকে আমি ক্লাস ওয়ানে ভর্তি করাবো। তাদেরকে নামাতা শিখাবো। তুই একে তুই। তুই গুনে মানুষ।

মানুষ নয় তারা। তারা গরীবের খাবার সংহার করে বেঁচে থাকে। হালারা গরীবের চেয়েও গরীব।

যখন দেহি গরীবের মাংস বিক্রি করে আজ তারা ধনী, যখন দেহি গরীবের রক্তের উপর দিয়ে গড়ে তুলে বিলাসবহুল বাড়ি, যখন দেহি নিজের অপরাধ জাস্টিফাই করে অন্যের মাথার চুল বিক্রি করে অন্যের মাথার কাঁঠাল ভেঙে তখন আমার মানুষ হতে ইচ্ছে করে। খুব করে মানুষ হতে ইচ্ছে করে।

বহু বছর আগে আমি মানুষ হয়েছিলাম চে গুয়েভারার মতো মানুষ। বহু বছর আগে আমি মানুষ হয়েছিলাম সিরাজ শিকদারের মতো মানুষ, বহু শতাব্দী আগে আমি মানুষ হয়েছিলাম স্বাধীনতা যুদ্ধের মতো মানুষ, বহু বছর আগে আমি মানুষ হয়েছিলাম রবিনহুডের মতো মানুষ, বহু বছর আগে আমি মানুষ হয়েছিলাম সিনদাবাদের মতো মানুষ, হাজার বছর আগে আমি মানুষ হয়েছিলাম শক্তিমানের মতো মানুষ যিনি ছদ্মবেশে গঙ্গাধর, বহু বছর আগে আমি মানুষ হয়েছিলাম বি ফর বেনডেটটার মতো মানুষ, হাজার বছর আগে আমি এই আমি মানুষ হয়েছিলাম কর্নেল তাহেরের মতো মানুষ, এই আমি একবার একদিনের জন্য মানুষ হয়েছিলাম সাত-ই মার্চের উত্তাল জনতার মতো মানুষ।

আমাকে আবার মানুষ হতে হবে। শীঘ্রই আমি মানুষ হয়ে ফিরে আসবো আপনাদের মাঝে। আমাকে আবার মানুষ হতে হবে। আবার ফুলের মতো অস্ত্র হাতে তুলে নিতে হবে। আবার মাতাল মৌয়ালের মতো আগুন তুলে নিতে হবে হাতে।

আমার খুব কবি হতে ইচ্ছে করে। সরকারি কবি। কবি হতে ইচ্ছে করে এসি গাড়ির ভেতর এসি বাড়ির ভেতর টকশো সাজানো টেবিলের ভেতর একমাত্র কবি হতে ইচ্ছে করে।

পাঠ্য পুস্তকের পাতায় পাতায় আমার কবিতা থাকবে এমন কবি হতে ইচ্ছে করে। মেলায় মানে মেলার বাজারে পাঠক আমার বই কিনবে কাতারে কাতারে, সমস্ত মিডিয়া আমার মুখ বিক্রি করে বেঁচে থাকবে এমন কবি হতে ইচ্ছে করে। সালাম পাউডারের বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে সরকারের সুজলা-সুফলা বিটিভি বিজ্ঞাপন প্রতিদিন প্রতিনিয়ত করে যাব এমন কবি হতে ইচ্ছে করে।

ইন্টারেক্টিভ মিডিয়া প্রতিদিন আমাকে নিয়ে সংবাদ করবে, ব্যাংকে জমা হবে বিলিয়ন ট্রিলিয়ন তরল, একদিন এক দেশে চরম ভোগে আরেকদিন আরেক দেশে পরম ভোগে বিলাসবহুল জীবন যাপন হবে আমার। দরিদ্রতা আই হেট।

আমি হব একমাত্র কবি, প্রতিদিন সার্টিফিকেট দিয়ে যাব কবিদের কবিতা। আমার রূপের গুনের প্রশংসা যদি কেউ করে তাহলে সে আমার লোক,ভুলেও যদি কেউ আমার কুলোকালের নিন্দা করে তাহলে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার তার নেই । ডাইনে-বাঁয়ে সংসারের সকল জায়গায় আমার প্রশংসা ঝুলে থাকবে এমন কবি হতে ইচ্ছে করে।

কোকিল আমার নামে শুরু করবে বসন্ত গান, নদী আমার নাম নিয়ে জোয়ারজল নিয়ে আসবে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত এমন কবি হতে ইচ্ছে করে। আমাকে কেউ সাইকোপ্যাথ বললে প্রকাশ্যে দিবালোকে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হবে।

আমি কবি। সেলফি তুলতে আমিও জানি। রাষ্ট্রের গোপন দরজা আমারও চেনা। সময় আছে এখনো। মানুষ হয়ে যান। নতুবা সময় আপনাকে মানুষ করে তুলবে। আমি কবি। সেলফি তুলতে আমিও জানি। অপরাধ জাস্টিফাই করার সুখাতী সূক্ষ্ম পলিটিক্স আমিও জানি, জানি কালকে কেমন করে আজ করতে হয়, আজকে কেমন করে তুলে দিতে হয় ডান হাতের তর্জনীতে। কবি। আমিও কবি ।

রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২০

কবি কে

কবিকে পারদ দিয়ে মাপতে গেলে থার্মোমিটার ফেটে যায়

শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২০

স্রোতহীন জয়হীন আকাশের ভাসমান মেঘ

কোন মায়ায় ধরবে তুমি জীবন?
আলো রেখার মতো অলাতচক্র বারবার জাল
ফেলে থাকে উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম উপর নিচ

আমাদের ঘর হওয়ার কথা
আমাদের একটা ব্যক্তিগত নদী থাকার কথা
আজ আমরা দূরাগত তারা

পরিণীতা কাল আসবে তো?
ভোরের আলোয় গ্রামের পথ ধরে হাঁটবে তো?

কোকিলডাকা ভোর
সকাল হয়ে আসা অপেক্ষা
নির্জনতা ডাকে তোমায়

দূরাপনা, তোমাকে অর্থগত শব্দের ভেতর
 খুঁজে পাই না, সরিষা ফুলের মতো হারিয়ে যাও
মিশে যাও মিলিয়ে যাও শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে।

এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী
পৃথিবী ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে সাগরের দিকে

পুরাতন বাড়িটা পুরাতন রয়ে গেল
শ্যাওলা পড়েছে তার উপর
মানুষ অসহায় হলে মেঘও আকাশহীনা দলছুট

আদি মানবের ভুল এখনও মানুষ বয়ে বেড়ায়
মেঘ আর বৃষ্টির দূরত্বে আমরা
বৃষ্টি হলে চোখ চেয়ে থাকে কড়তাঘরে
ঘুরপাক নিয়তি কোয়ারেন্টাইন সময়
বজ্রপাত শিলাবৃষ্টি মানুষের মৃত্যু
আমরা এখনো দূরের তারাদের দেশে
গন্ধরাজ বেলীফুল কাঁঠালপাতা ডালিয়া
আকাশ পরিষ্কার হলে বর্ণহীন গন্ধহীন ভালোলাগা

মেঘের আশায় বসে থাকে মুর্শিদমন
পৃথিবীর উপরে ছায়াবাজ পুতুল
মানুষের উপরে ফড়িংয়ের ঘর-- লাল নীল
হলুদ সবুজ আর শুভ্র ঘুরপাক

হিংসাও খেলা
রাগও খেলা
ভালোবাসাও খেলা
ঠোঁটের ডগায় কাঁপতে থাকা থরেবিথরে কামবোধ
যোনির ভিতর শিশ্নমানব ঘরবন্দী সময়

সব কিছু-- ভালো কিংবা মন্দ আয়োজন কিংবা
বিয়োজন--- দেহগাড়ির এক একটি চাকা

চাকা চলবে গাড়ি চলবে
গাড়ি চলবে চাকা চলবে
চাকা থামবে গাড়ি থামবে

না বুঝেও ছক্কার চাল দিতে হয়
বুঝলেও ছক্কার চাল দিতে হয়
কেবল চেয়ে থাকে মুর্শিদমন
কোয়ান্টাম ফিজিক্স ক্যালকুলাস উদাস উচাটন

মুর্শিদ চরণে বসে থাকি গো মুর্শিদ চরণ
পৃথিবীর নিয়মে কাছে এসে
পৃথিবীর নিয়মে আজ দূরে

অনুবাদ জীবন
অনুসরণ অনুকরণ
প্রাকৃতিক জীবন
অনুকরণ অনুসরণ
চড়ুইপাখির আশাও তুচ্ছ নয় তবে

জয়ে জেনো দেখা হবে
পরাজয়ে জেনো দেখা হবে
দেখা হবার আশায় নৌকা চালায় মুর্শিদ আমার
নৌকা চালাবে বলে নৌকা চালায় মুর্শিদ আমার

তোমার চরণে বসে থাকি মুর্শিদ গো
আচরণে তুলে নিও দয়া করে
দয়ার গুণে রাহমান রাহিম আজিমুশ্মান
হাতের উপরে হাত
ভাটার উপরে উজান
ঘরের উপরে ঘর
শিবের উপরে পার্বতী মানুষের গান

খেলা শেষ হলে নির্জনমাঠ দর্শকশূন্য
হাততালি নেই বিজয়ের উল্লাস নেই
নেই পরাজয়ের গ্লানি
বসে থাকা কেবল বসে থাকা
হাতপাখা কেবল হাতপাখা
মানুষের নিরাপত্তা কেবল মানুষ
মানুষের ঔষধ কেবল মানুষ
কাগজের নৌকা করে চলছে তারা সাগরের উত্তাল ঝড়ে

মানুষ পারে আত্মঘাতী হয়ে যেতে থরেবিথরে
পরকাল মানে বহুদিন পরের কাল
না না অবশ্যই না
পরকাল মানে এক মিনিট অথবা একশ বা তারও পরের কাল

আগামীকালই পরকাল
আগামী সপ্তাহই পরকাল
আগামী মাসই পরকাল
আগামী বছরই পরকাল
মূর্তিসত্য বলে কিছু নেই
সবই বীজ আর ফসলের খেলা
যেমন বীজ তেমন ফসল
যেমন ফসল তেমন বীজ

মুর্শিদ আমার পরকাল ত চোখের কোণা
মুর্শিদ আমার পরকাল ত দৃষ্টির সীমা

ডাঙায় উঠবে নাকি
নাকি ডাঙায় উঠাবে তরী
ভাবো মন ভাবো তাড়াতাড়ি
কোন মায়ায় ধরবে তোমার মন?

কবি ত সবই জানে গন্ধরাজ সময়ের ফুল
ক্ষমা চেয়ে ফিরে তাকাও কেটে যাবে আঁধার অতুল
সময়ের উপরে সময় পয়গম্বরধরা রাতুল

চামাখা জীবন মাটির ঘরে
কে বুনে দিবে ফুল মাটির পাথরে?
ভালোবেসে ফেলো খোদার কুদরত
ভালোবেসে যাও প্রকৃতির শাষণ

ওগো ভালোবাসা ঘরমুখো তালগাছ
একপায়ে আর কতকাল
বলো সমাজটা আমার
বলো পৃথিবীটা আমার
ছোট বড় নয় মানুষ সমগ্র আমার।

ডাক্তার মারা যাচ্ছে মারা যাচ্ছে ভগবান
মুরগির খামারে ঢুকে যাচ্ছে মানুষ
জীবন এমন তোলপাড়
বলো মানুষ তারপরও বলো
পৃথিবীটা আমার
একঘরে বসবাস
                একবোধে একাকার
উঁচুনিচু নেই
            নেই কোনো মানুষের আকার প্রকার।

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০

উনি তিনি

আকাশ থেকে নামছে রবি
তোমার বাড়ির উঠোন
আমার ঘরে তাপের দাহন
জ্বলছে হৃদয় উনুন

সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২০

আশার রক্তে দেহতরী

আশায় বাঁধি বাসা
আশায় ফুটায় ফুল
আশার তরে জীবন মরণ
আশায় সুখের মূল

আশায় আশায় জীবন খেলা
আশায় মাঝি চালায় ভেলা
চলতে-ফিরতে যাইতে আইতে
সকাল দুপুর সন্ধ্যা রাইতে
আশার তাবিজ বুকে নিয়ে
সরাই বিপদ আপদ তালা

সাগরে ভাসায় জাহাজ নাবিক
জলের চেয়েও সাহস অধিক
আশা নিয়ে ফুলের পাঁপড়ি
গন্ধ বিলায় এদিক সেদিক

আশায় কৃষক ফসল বুনে
আশায় ভাষা সাজে কনে
আশেক যায় মাশুক সনে
জোয়ার আসে আশার টানে
আশায় গায়ক গানে গানে

জীবন চলে আশায় আশায়
আশা নাচে আশাই নাচায়

আশায় বেঁচে আছে মানুষ

শরীর পচে গেছে, কেউ নেই পাশে, দেখবানি একটা মাছি চলে আসছে, সে আপনাকে হাল্কা সুড়সুড়ি দিবে হালকা বিরক্ত করবে ঠিক যেন বিবাহিত বউ, বউ চলে গেছে তাতে কি, মাছি তো আছে। মাছি এসে আপনাকে বলবে 'আপনার পচা শরীরেও আপনি একা নন।'

আপনার বসন্ত হয়েছে। আপনার শরীর পচে যাচ্ছে। আপনাকে জলে ভাসিয়ে দেওয়া হল। হেমন্তের সময় যারা পাশে ছিল তারা কেউ নেই। আপনি খুব একা। দেখবানি মাছ চলে আসছে। এসে আপনার পচা খেতে শুরু করবে তারা এবং আপনাকে বলবে 'আপনি একা নন।'

পৃথিবীতে কেউ একা নয়, পৃথিবী একা থাকার জায়গা নয়, পৃথিবী মানে একের ভিতর অধিক, পৃথিবী মানে অধিকের ভেতর একাধিক।

এইচ

মশার আগা-মাথা কামড় দেয়ার আগ পর্যন্ত বুঝা যায় না।

মশার আগা-মাথা বুঝার জন্য আমরা কামড় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি কিনা !?

রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২০

আবার আরো কথা হবে

#

বিড়ালের ভোকাল কর্ড ম্যাও ছাড়া অন্য কোন শব্দ সৃষ্টি করতে পারে না। 
                      তাই যারা শুধু আশার কথা বলে বা একমাত্র আশাপন্থি তারাও একশ্রেণীর বিড়াল

#

অযথা আশ্বাস দেওয়াও এক ধরনের হুজুগ তবে সুন্দরী হুজুগ যার পেছনে মানুষের লাফিয়ে পড়ার ইতিহাস হাজার বছরের

#

কনজেনিটাল লায়ার গল্পকার হতে পারে না, গল্পের উপকরণ হতে পারে

#

যে সাধারণ জ্ঞান পড়ে আমাদের বিসিএস হয় তাকে ইন্ডিয়াতে বলা হয় সামাইন্য (সামান্য) জ্ঞান।

#

আপনার চোখের চশমা অন্যকে পড়ানোর আগে ভাবুন দুজনের চোখের দৃষ্টিক্ষমতা এক কিনা!

শুক্রবার, ১০ এপ্রিল, ২০২০

বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২০

এই ত সেইদিন রাত এসেছিল প্রাতে

#
প্রেম কখনো নারী-পুরুষে হয় না, প্রেম হয় হৃদয়ে হৃদয়ে, আর হৃদয় নারী কিংবা পুরুষ নয়
#
প্রেমিক কেবল প্রেমিককে পেতে চায়,লম্পট পেতে চায় সবাইকে

বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০

হুমায়ূন আহমেদ

যারা মিডিওকার তারা হুমায়ূন আহমেদ পড়ে। আমি দিনে দিনে মিডিওকার হয়ে যাচ্ছি। অনেকের পাঠ শুরু হয় হুমায়ূন আহমেদকে দিয়ে। আমিও পাঠ শুরু করতে যাচ্ছি। হুমায়ূন আহমেদ পড়ে অনেকের রুচি নষ্ট হয়ে যায় মানে পাঠরুচির কথা বলছি। আমারতো রুচি অনেক আগে থেকেই নষ্ট। নতুন করে নষ্ট হওয়ার কিছু আছে? তবে নষ্টকে অধিক নষ্ট করতে পারলে গাজন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তাতে আবার অন্য এক প্রকার ফল পাওয়া যায়।

চোখের সামনে কাঠপেন্সিল পড়ে আছে। কাঠপেন্সিল বইয়ের নাম। হুমায়ূন আহমেদের লেখা। বইটির ফ্লেপের দিকে তাকালাম। লেখা আছে কিছু কথা। কথাগুলো পড়ে একটা বড় রকমের ধাক্কা খেলাম। ইট পাথরের সাথে যেমন করে ধাক্কা খায় মানুষ এমন করে নয়। বাংলা সিনেমায় নায়ক যেমন করে নায়িকার সাথে ধাক্কা খায় এমন করে। আশা করছি আপনিও ধাক্কা খাবেন। লেখাটি নিচে দেয়া হল--

"এখন আমি নিজের পরিচয় দিচ্ছি গর্তজীবি নামে। ধানমন্ডির যে ফ্ল্যাটবাড়িতে থাকি তাকে বলছি গর্ত। নিজেকে নিয়ে ছড়াও বানিয়েছি--

"বাইরে যাবো মরতে?
থাকব আমি গর্তে।"

আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, বিয়েবাড়ি, জন্মদিন, খতনা উৎসব, সব বাতিল। গর্তে বসে লেখালেখি করি, ছবি দেখি, ছবি আঁকি, গান শুনি। এতে আমার একটা লাভ হয়েছে মনের কিছু বন্ধ জানালা খুলে গেছে।

যে চার দেয়ালে আটকা পড়ে যায় তাকে প্রকৃতি মুক্তি দেবার চেষ্টা চালায়। তার মনের বন্ধ দরজা জানালা খুলে এক বিশেষ ধরনের মুক্তির ব্যবস্থা করে।"

হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর ১৯৪৮–১৯ জুলাই ২০১২)

সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০২০

শয়তান তার মতো কল্যাণের পথে ডাকে

#
আত্মরক্ষার যাবতীয় ট্রেনিং পকেটে রেখে হরিণ ঘাস পাতা লতা খেতে যায়, শিকারের ট্রেনিং সমগ্র কমপ্লিট করে বাঘ হরিণকে আক্রমন করে।
#
জল ফায়ার সার্ভিসে চাকরি করে না,ফায়ার সার্ভিসের কাছ থেকে কোনো ফ্রিল্যান্স টাইপের বেতনও নিয়ে থাকে না। 
#
ইন্দুর ধরবার জন্য বিড়ালকে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাননি দুনিয়ার কোনো সরকার

রবিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২০

প্রেমের বাড়ি থেকে পালিয়ে আসা ভূত

অকারণে প্রেম হয়ে যেতে পারে। প্রেম দৃশ্যমানভাবে অকারণেই হয়। অকারণে হয়ে যাওয়া প্রেমকে কারণ করে তুলতে ভাবতে হয় বারবার ভাবতে হয় তারপর ভাবতে হয় অতঃপর ভাবতে হয় এবং ভাবতে হয় তারপর ভাবতে হয় আবার ভাবতে হয়।

প্রেমে পড়ে কবিতা লেখা আর কবিতাকে নিয়ে সংসার করা এক কথা না।

যাদের অনেক সম্পদ যারা পোশাক পরিবর্তনের মতো প্রেমিক প্রেমিকা পরিবর্তন করে তাদের হিসাব আলাদা।

আমরা যারা গরীব ঘরের সন্তান। আমরা যারা একটা পোশাক ক্রয় করার আগে অনেকবার ভাবি মানে ক্রয়কৃত পোশাকটা দিয়ে ইদের নামাজ পড়তে পারব তো বা কোন বিশেষ অনুষ্ঠানে যেতে পারব তো, তাদের ভাবতে হয় বাধ্য হয়ে ভাবতে হয় সংসারটা কার সাথে হবে আর কার সাথে হবে না।

প্রেম করার এখনই সময়, নতুবা আয়ু কমে যাচ্ছে বয়স বেড়ে যাচ্ছে!? বিয়ে বয়স আটকে ফেলে? মানে বিয়ে করলে কেউ আর বৃদ্ধ হয় না?

মিয়া ভাই, হরিণ বাড়িতে আনার আগে একবার ভেবে দেখুন তো হরিণকে লালন-পালন করার প্রপার জায়গা আপনার বাড়িতে আছে কিনা। ভাবো। খুব ভালো করে ভাবুন।

একটা সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য তিনটি বাধ্যতামূলক বিষয়ের দিকে নজর দিতে হয়।

বিশ্বাস।
মমতা।
অর্থনৈতিক মুক্তি।

এ তিনটা বিষয়ের কোনো একটার ঘাটতি বাজেট হলে সংসারের ঠিকানা পাবনার পাগলা গারদে।

সংসার করে কতজন জান্নাতে চলে গেছে, কাউকে জাহান্নামে থাকতে আমি বলছিনা। শুধু বলছি জান্নাতে যাওয়ার উপায়টা জেনে নিয়েন। জাহান্নাম কোন ভয়ের বিষয় নয়। জান্নাত কোন পুরস্কারের বিষয় নয়। দুটিই মানসিক স্তরের দুটি ভিন্ন নাম।

শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২০

কোথায় আছো কেমন আছো প্রানো বন্ধুরে

ভেতর বাহির তালা
আয়ু চাবি খোলা
জীবন দেখি জগত দেখি দেখি না তোমারে
কোথায় আছো কেমন আছো প্রানো বন্ধুরে।।

কোকিল ডাকে ডালে ডালে
মন নাচে তালে তালে
তুমি চলো মন কমলে
দেখি না তোমারে
কোথায় আছো কেমন আছো প্রানো বন্ধুরে।।

ভোরের আলো ফুটে
কৃষক যায় মাঠে
কৃষাণী কলসি কাঁখে নদীর জলে
কোথায় আছো কেমন আছো প্রানো বন্ধুরে।।

ফুল ফোটে গাছে গাছে
ভ্রমরা ফুলে ফুলে
জোছনা হেলে দুলে নদীর জলে
কোথায় আছো কেমন আছো প্রানো বন্ধুরে।।

শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০২০

করোনা

এখানে প্রার্থনা কাজ হবে না। এখানে যুদ্ধ চলছে পৃথিবী-মা আর তার অভিশপ্ত সন্তানের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০

আসুন

আসুন আমরা দারিদ্র্যকে বাঁচিয়ে রাখি এবং দিনে দিনে দানবীর হয়ে উঠি।