খাসি মরে তেলে
গরীব মরে মেলে
এটি একটি গ্রামীন প্রবাদ। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে এই প্রবাদটি বিশেষভাবে শুনতে পাওয়া যায়। প্রবাদটি আমাদের বলছে গরীবের সম্পদ তার শরীর এবং শরীর থেকে অর্জিত কাজ। মেল বা মেলা করলে বা আড্ডা দিলে গরীব বাঁচবে না। কারন একটি দিন মানে একটি কর্মময় সূর্য তার কাছে।
খাসির শরীরে যেমন তেল বা চর্বি হলে সে বাঁচে না তেমনি গরীবের চর্বি হল মেল বা মেলা। সুতরাং গরীব জন্মগ্রহন করেছে কেবল খাবারের প্রয়োজন অর্জন করার জন্য, অন্য কোনো আরাম আয়েস গরীবের জন্য নয়।
মেল শব্দটি আবার সংগঠন অর্থেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মানে গরীব কোনো সংগঠন তৈরি করতে পারবে না। করলে মরনকে নিয়তি জেনে করতে হবে। সুতরাং এই প্রবাদের মোরাল অব কনভার্সেশন হল গরীব কেবল নিজের জন্য বাঁচবে গরীব কেবল খাবারের জন্য ছুটবে, কোনো প্রকার মেল বা সামাজিকতা তার জন্য নয়, সামাজিকতার জন্য মহাজন মাতব্বর চেয়ারম্যান ত আছেই।
গ্রাম পঞ্চায়েতের সামাজিক বিচারব্যবস্থা অনুষ্ঠানের লৌকিক নাম মেল। সেখানে গরীব সুবিচার পায়না। প্রায়ই সালিশের রায় যায় শক্তিমানের পক্ষে। ফলে গরীবের মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত থাকে মেলে। এই মেলে আবার গোপনে গোপনে আর্থিক লেনদেনও হয়ে থাকে। বিচারক টাকা খেয়ে রায় দেয় সুবিধামতো। যেহেতু গরীবের টাকা নেই সেহেতু মাথা নিচু করে আকাশের দিকে চেয়ে থাকতে হয় তাকে রহমতের বৃষ্টির আশায়।
বংশনির্ভর গ্রাম ব্যবস্থায় লাঠির জোর খুবই আবদালি বিষয়। যার ছেলে যত বেশি তার তত বেশি লাঠি। যার লাঠি নাই সেও এক প্রকার গরীব। তাই লাঠিহীন ব্যক্তি ঘর ব্যতীত সব জায়গায় মেল করতে পারে না বা নিরাপদ নয়। তাই মেল বিষয়টি শক্তির আস্তানা হিসাবে শক্তিমানদের হাজার বছরের তীরধনুক।
গরীব মরে মেলে
এটি একটি গ্রামীন প্রবাদ। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলে এই প্রবাদটি বিশেষভাবে শুনতে পাওয়া যায়। প্রবাদটি আমাদের বলছে গরীবের সম্পদ তার শরীর এবং শরীর থেকে অর্জিত কাজ। মেল বা মেলা করলে বা আড্ডা দিলে গরীব বাঁচবে না। কারন একটি দিন মানে একটি কর্মময় সূর্য তার কাছে।
খাসির শরীরে যেমন তেল বা চর্বি হলে সে বাঁচে না তেমনি গরীবের চর্বি হল মেল বা মেলা। সুতরাং গরীব জন্মগ্রহন করেছে কেবল খাবারের প্রয়োজন অর্জন করার জন্য, অন্য কোনো আরাম আয়েস গরীবের জন্য নয়।
মেল শব্দটি আবার সংগঠন অর্থেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মানে গরীব কোনো সংগঠন তৈরি করতে পারবে না। করলে মরনকে নিয়তি জেনে করতে হবে। সুতরাং এই প্রবাদের মোরাল অব কনভার্সেশন হল গরীব কেবল নিজের জন্য বাঁচবে গরীব কেবল খাবারের জন্য ছুটবে, কোনো প্রকার মেল বা সামাজিকতা তার জন্য নয়, সামাজিকতার জন্য মহাজন মাতব্বর চেয়ারম্যান ত আছেই।
গ্রাম পঞ্চায়েতের সামাজিক বিচারব্যবস্থা অনুষ্ঠানের লৌকিক নাম মেল। সেখানে গরীব সুবিচার পায়না। প্রায়ই সালিশের রায় যায় শক্তিমানের পক্ষে। ফলে গরীবের মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত থাকে মেলে। এই মেলে আবার গোপনে গোপনে আর্থিক লেনদেনও হয়ে থাকে। বিচারক টাকা খেয়ে রায় দেয় সুবিধামতো। যেহেতু গরীবের টাকা নেই সেহেতু মাথা নিচু করে আকাশের দিকে চেয়ে থাকতে হয় তাকে রহমতের বৃষ্টির আশায়।
বংশনির্ভর গ্রাম ব্যবস্থায় লাঠির জোর খুবই আবদালি বিষয়। যার ছেলে যত বেশি তার তত বেশি লাঠি। যার লাঠি নাই সেও এক প্রকার গরীব। তাই লাঠিহীন ব্যক্তি ঘর ব্যতীত সব জায়গায় মেল করতে পারে না বা নিরাপদ নয়। তাই মেল বিষয়টি শক্তির আস্তানা হিসাবে শক্তিমানদের হাজার বছরের তীরধনুক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন