বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৮

বর্ডার হাট

মধুগ্রাম। ফেনী জেলার একটি গ্রাম। মধুগ্রামের পাশেই প্রতি মঙ্গলবার সীমান্তহাট বসে।

বাংলাদেশ তেল সাবান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের খাবারসামগ্রী কিনে। ভারত কিনে মাছ। বাংলাদেশের খাবারসামগ্রীর উপর ভারতের আগ্রহ নেই বললেই চলে। বর্ডার হাটের গেইট দিয়ে ইচ্ছা করলেই বাংলাদেশে ঢুকতে পারে ভারত।

ইউনুস বর্ডার হাটে চা বিক্রি করে। ভারতের শ্রীনগর তার বাড়ি। শ্রীনগর বর্ডার হাট তথা ছাগলনাইয়ার পাশের গ্রাম। ছাগলনাইয়া বাংলাদেশে, শ্রীনগর ভারতে। ইউনুস প্রায় পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া তার মামার বাড়ি ময়মনসিংহ বেড়াতে আসে। বাংলাদেশ কিন্তু ইচ্ছা করলেই বর্ডার হাটের গেইট দিয়ে ঢুকতে পারবে না ভারতে। কারন নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট আইনপন্থী।

এই সীমান্তহাটটি আবার মিলন মেলা হিসাবেও কাজ করে। এপার ওপার আত্মীয়দের মিলন মেলা। কাঁটাতার দিয়ে স্পষ্ট চলমান মানুষ দেখা যাচ্ছিল রাস্তায়-- সাইকেল চালাচ্ছে। আর এই পাশ তথা বাংলাদেশের চলমান রাস্তায় চলছে বাইক। কাঁটাতার কত শক্তিশালী-- একজনকে বাইক চালাতে সহযোগিতা করছে, আরেকজনকে পরিবেশ বান্ধব সাইকেল চালাতে সহযোগিতা করছে।

সনাতন। বাচ্চা ছেলে। বয়স পাঁচ। সে তার মাসির সাথে বর্ডার গেইট দিয়ে ভারত ঢুকে যেতে চায়। বিএসএফ বাঁধা দেয়। সনাতন কান্নাকাটি করে। তাতেও বিএসএফের মন টলে না। সনাতন চিৎকার করে হাট কাঁপিয়ে তুলে। কিন্তু বিএসএফের মন কাঁপে না। কারন। সনাতন জানে না তার শিশুমনের সরল আকুতির চেয়ে কাঁটাতার অনেক শক্তিশালী কিন্তু বিএসএফ ঠিকই জানে!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন