সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১৮

চন্দ্রনাথ মন্দির

চন্দ্রনাথ মন্দিরে ওঠার সময় টের পাইনি তা ভূমি থেকে শত শত ফুট উপরে। উপর থেকে যখন নিচের দিকে তাকাই তখন টের পাই অনেক উপরে চলে আসলাম আমরা। আসলে লক্ষ্য যখন অত্যন্ত দৃঢ় হয় তখন দূরত্ব কোনো ফ্যাক্ট না।

মন্দিরের দিকে যাত্রা শুরুর বিশ মিনিট পর আমার মনে হয়েছিল চলে আসলাম। কিন্তু না মন্দির বহুত দূর হে। যাত্রা শুরুর চার ঘন্টা পর চন্দ্রনাথ মন্দিরে পৌঁছানো গেলো।

শক্তিপীঠের চেয়ে পাহাড়ের গতরে সজাগ গাছপালা ফুসফুসের অক্সিজেনের জন্য বেশ কার্যকরী টনিক অন্তত আমার কাছে। গাছের ভেতর দিয়ে পাহাড়, পাহাড়ের হৃদয় দিয়ে গাছ, ক্লান্তি আবার প্রশান্তি, প্রশান্তি আবার ক্লান্তি এমন বিষয় পাহাড়রমনেই সম্ভব।

পাহাড় থেকে ভূমিতে নামার সময় পায়ের নিজয়েন্ট থেকে বৃদ্ধা আঙ্গুল পর্যন্ত চিনচিন ব্যথাযুক্ত একধরনের টান অনুভব করতে হয়। মধ্যাকর্ষন শক্তি তখন পায়ে চলে আসে, মাথা তখন পাকে অনুসরন করে।

পাহাড়ে ওঠা আর ভূতের ভয়ের মধ্যে এক প্রকার সাদৃশ্য আছে। ভয় পেয়ে গেলে পাহাড় এবং ভূত কামড়ে মেরে ফেলতে চায়। ভয় না পেলে পাহাড় এবং ভূত চ্যালেঞ্জিং থ্রিলার।

আমাদের চার জনের টিমের সবচেয়ে প্রবীন মানুষ তিতাস ভাই। তাঁকে নিয়ে আমার ভয় ছিল। কারন পাহাড় জয়ের অভিজ্ঞতা তাঁর নেই। ভয় কেটে যায় যখন তাঁর চেয়েও বয়স্ক মানুষ, বয়স্ক বলতে প্রায় বৃদ্ধ নারীপুরুষ শিবের ধ্যানে উচ্চতা জয় করে চলেছে চোখের সামনে। বিশ্বাস! আসলেই বিশ্বাস একটা শক্তিশালী ভাইরাস।

গুলিয়াখালীর সমুদ্রের গর্জন পাহাড়ের নির্জন শব্দের চেয়ে শক্তিশালী নহে। পাহাড় ইস পাহাড়। তবে গুলিয়াখালীর সমুদ্রে সন্ধ্যাযাপন হৃদয়ে এক ধরনের মহাজাগতিক আবেশ, প্রশান্তি ছিটিয়ে দিলো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন