শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১৮

শয়তান সেদিন পড়ার টেবিলে বসেছিল

বাড়ি থেকে আমি কখনো পালাই নাই। যেহেতু আমি আমার গ্রামের একমাত্র শয়তান ছিলাম সেহেতু বাড়িপালানো আমার জন্য প্রায় স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এই স্বাভাবিক ব্যাপারটা আমার হয় নাই।

এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার আগে আমি ঢাকাই গেছি মাত্র দুইবার। তাও আব্বার লগে।

একবার বাড়ি থেকে পালানোর উদ্দেশে আমি আর আমার বন্ধু জসীম আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে আসি। কারো প্রতি রাগ করে বা কেউ আমাকে শাষন করেছে  এমন কোনো বিষয় ছিল না। কারন একটাই নায়ক হবো।

আমি ত ক্লাস টু থেকে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখি। তাই নায়ক হওয়ার বাসনাটা তখন মাথায় ঝেঁকে বসে। সিনেমায় নায়কেরা দেখতাম ছোট কালে পরিবার থেকে হারাইয়া যায় অথবা পরিবার থেকে পলাইয়া দূরে কোথাও চলে যায়।

আশুগঞ্জে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। আমার বয়স তখন নয়। ট্রেন সিনেমাতে দেখেছি কিন্তু সরাসরি দেখি নাই। প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পরিকল্পনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি চায়ের দোকানে কাজ করবো। কারন আমার সেই ছোট্ট বয়সের অধিকাংশ নায়কেরা ছোট বয়সে চায়ের দোকানে অথবা ডে লেবারের কাজ করে।

দাঁড়িয়ে আছি প্লাটফর্মে, হঠাৎ দেখি সাইক্লোনের মতো একটা ট্রেন আইতাছে আমাদের দিকে। মাগো, সেই কী মহা গতি! ট্রেনের সেই গতি আর গর্জন দেখে এক দৌঁড়ে প্লাটফর্ম থেকে নেমে বাড়ির দিকে যাত্রা করি। বাড়িতে গিয়ে গোসল করে সুন্দর করে পড়ার টেবিলে বসি। পরিবারের সবাই অবাক "শয়তান পড়ার টেবিলে"।

ভাগ্যিস শয়তান সেদিন পড়ার টেবিলে বসেছিল নয়তো সে এতোদিনে পৃথিবী বিখ্যাত নায়ক হয়ে যেতো!

বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৮

বর্ডার হাট

মধুগ্রাম। ফেনী জেলার একটি গ্রাম। মধুগ্রামের পাশেই প্রতি মঙ্গলবার সীমান্তহাট বসে।

বাংলাদেশ তেল সাবান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের খাবারসামগ্রী কিনে। ভারত কিনে মাছ। বাংলাদেশের খাবারসামগ্রীর উপর ভারতের আগ্রহ নেই বললেই চলে। বর্ডার হাটের গেইট দিয়ে ইচ্ছা করলেই বাংলাদেশে ঢুকতে পারে ভারত।

ইউনুস বর্ডার হাটে চা বিক্রি করে। ভারতের শ্রীনগর তার বাড়ি। শ্রীনগর বর্ডার হাট তথা ছাগলনাইয়ার পাশের গ্রাম। ছাগলনাইয়া বাংলাদেশে, শ্রীনগর ভারতে। ইউনুস প্রায় পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া তার মামার বাড়ি ময়মনসিংহ বেড়াতে আসে। বাংলাদেশ কিন্তু ইচ্ছা করলেই বর্ডার হাটের গেইট দিয়ে ঢুকতে পারবে না ভারতে। কারন নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট আইনপন্থী।

এই সীমান্তহাটটি আবার মিলন মেলা হিসাবেও কাজ করে। এপার ওপার আত্মীয়দের মিলন মেলা। কাঁটাতার দিয়ে স্পষ্ট চলমান মানুষ দেখা যাচ্ছিল রাস্তায়-- সাইকেল চালাচ্ছে। আর এই পাশ তথা বাংলাদেশের চলমান রাস্তায় চলছে বাইক। কাঁটাতার কত শক্তিশালী-- একজনকে বাইক চালাতে সহযোগিতা করছে, আরেকজনকে পরিবেশ বান্ধব সাইকেল চালাতে সহযোগিতা করছে।

সনাতন। বাচ্চা ছেলে। বয়স পাঁচ। সে তার মাসির সাথে বর্ডার গেইট দিয়ে ভারত ঢুকে যেতে চায়। বিএসএফ বাঁধা দেয়। সনাতন কান্নাকাটি করে। তাতেও বিএসএফের মন টলে না। সনাতন চিৎকার করে হাট কাঁপিয়ে তুলে। কিন্তু বিএসএফের মন কাঁপে না। কারন। সনাতন জানে না তার শিশুমনের সরল আকুতির চেয়ে কাঁটাতার অনেক শক্তিশালী কিন্তু বিএসএফ ঠিকই জানে!

মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১৮

মৌমিত্র

কবির ছায়া হলে কায়া পেয়ে যাবে মৌমিত্র
এই শহর অনেক বছর ধরে মারা যাচ্ছে
এই শহর শুদ্ধতার স্লোগানে আগরবাতি জ্বেলে জ্বেলে ভুল করে
এই শহরে কিছু মুখ হুবহু মানুষের মতো কিন্তু তারা মানুষ নয়
কবির কলমের চোখ মানুষ চিনে, কবির কলম তোমাকে নদীপথের কাব্যজোয়ার দেখাবে মৌমিত্র

রাত হলেই যারা ঘুমাতে যায়, রাত হলেই যারা সুপারিশ নামায় সই করে, রাত হলেই যারা শিয়াল বনে যায়-- কবি তাদের শব্দ দিয়ে চিনে, মৌমিত্র তুমি কবির সাথে থাকো, কবির শব্দের সাথে থাকো

দিনের পাখায় কোলাহল
রাতের ঘরে জল নেই
বাতাসে সেটেলাইট ভীড়

তাহলে কবিকে কোথায় পাবে?

কবিকে পাবে সবুজ পাতার শিরা উপশিরায়, কবিকে পাবে খুব গহীনে শব্দের বাজারে ভাবের টঙে

কবি কখনো মারা যায় না, কবিকে নখের আদর দাও, কবিকে নদী চিনতে দাও, চিনতে দাও নদীর জোয়ার নদীর ভাটা।

কবি তোমাকে মারবে না মৌমিত্র, কবি বন্টনে সিকিপয়সা বেশি নিবে না, কবি তোমাকে বাঁচতে শিখাবে, কবি তোমার ছায়া নিয়ে দোকান বসাবে না মৌমিত্র, তোমার ছায়ায় জীবন দিবে, তোমার ছায়া কায়া হয়ে মানুষের মিছিলে যাবে, সেই সব মানুষের মিছিলে যাদের মুখে রোদের কড়া ঘ্রান, যাদের হাতে শ্রমের অনিবার্য ফোস্কাছাপ।

মৌমিত্র, কবির অভিশাপে পৃথিবীতে দুর্যোগ নামে, তুমি হাঁটতে পারবে না, তোমাদের পোষা বিড়াল হাঁটতে পারবে না, তোমাদের সাহিত্য সভা হাঁটতে পারবে না।

তোমার হাঁটা খুব দরকার মৌমিত্র, তুমি হাঁটলে অনেক বাতাস বয়ে যায় নিরলে নিরলে, অনেক শান্তির বাতাস, অনেক শান্তির বাতাস, শান্তি, বাতাস, শান্তি, বাতাস, শান্তি শান্তি।

এখনি তোমাকে বসতে বলব না মৌমিত্র, বিশ্রামের চেয়ে শরীরের ঘাম অনেক কার্যকরী, মৌমিত্র সূর্যপথে হাঁটতে থাকো আর কবিকে একটু নখের আদর দিও, ঠোঁটের আদর দিও, মনের আদর দিও, চোখের খুব কাছে এসে তোমার দৃষ্টির চারা রোপন করে দিও মৌমিত্র আমার, চোখের খুব কাছে এসে হৃদয়ের আকাশে পাখি হয়ে উড়ো।

গভীর রাত হলে মনে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের সুতীব্র আচুংকা আচুংকা শব্দ কবির কানে আসতে থাকে, কবির তখন কিচ্ছু ভালো লাগে না, কিচ্ছু না। কবি তখন আকাশের দিকে তাকায়, মাটির দিকে তাকায়, গাছের দিকে তাকায়, বাতাসের প্রবাহ উপলব্ধি করতে চায় কিন্তু কবি তখন পথহারা পাখির মতো কাকে যেন হারিয়ে কাকে যেন খুঁজতে থাকে হামাগুড়ি দিয়ে কায়মনোবাক্যে।

কেউ না জানলেও আমি জানি কবি তখন কাকে খুঁজে। কবি একমাত্র তোমাকে খুঁজে মৌমিত্র, একমাত্র তোমার ছায়ায় কবি প্রানমোহনা নির্মান করবে বলেই অনেক অনেক ঔষধি সকাল নষ্ট করে প্রত্যাশায়।

তুমি কবির সূর্য মৌমিত্র। মৌমিত্র তুমি কবির সেই সূর্য হও যা কবির পৃথিবীতে সুন্দর একটা ভোর নামায়, নামায় একটা সুন্দর ফুটফুটে সকাল।

মানুষ

মানুষ থাকে মানুষ জনে
নয়তো ডানে নয়তো বামে

দানব

দানবের সাথে যুদ্ধ করার সময় অবশ্যই দানবের মতো চিন্তা করতে হবে, তবে দানব না হয়ে ওঠার ব্যাপারটাই মনুষ্যত্ব

সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১৮

চন্দ্রনাথ মন্দির

চন্দ্রনাথ মন্দিরে ওঠার সময় টের পাইনি তা ভূমি থেকে শত শত ফুট উপরে। উপর থেকে যখন নিচের দিকে তাকাই তখন টের পাই অনেক উপরে চলে আসলাম আমরা। আসলে লক্ষ্য যখন অত্যন্ত দৃঢ় হয় তখন দূরত্ব কোনো ফ্যাক্ট না।

মন্দিরের দিকে যাত্রা শুরুর বিশ মিনিট পর আমার মনে হয়েছিল চলে আসলাম। কিন্তু না মন্দির বহুত দূর হে। যাত্রা শুরুর চার ঘন্টা পর চন্দ্রনাথ মন্দিরে পৌঁছানো গেলো।

শক্তিপীঠের চেয়ে পাহাড়ের গতরে সজাগ গাছপালা ফুসফুসের অক্সিজেনের জন্য বেশ কার্যকরী টনিক অন্তত আমার কাছে। গাছের ভেতর দিয়ে পাহাড়, পাহাড়ের হৃদয় দিয়ে গাছ, ক্লান্তি আবার প্রশান্তি, প্রশান্তি আবার ক্লান্তি এমন বিষয় পাহাড়রমনেই সম্ভব।

পাহাড় থেকে ভূমিতে নামার সময় পায়ের নিজয়েন্ট থেকে বৃদ্ধা আঙ্গুল পর্যন্ত চিনচিন ব্যথাযুক্ত একধরনের টান অনুভব করতে হয়। মধ্যাকর্ষন শক্তি তখন পায়ে চলে আসে, মাথা তখন পাকে অনুসরন করে।

পাহাড়ে ওঠা আর ভূতের ভয়ের মধ্যে এক প্রকার সাদৃশ্য আছে। ভয় পেয়ে গেলে পাহাড় এবং ভূত কামড়ে মেরে ফেলতে চায়। ভয় না পেলে পাহাড় এবং ভূত চ্যালেঞ্জিং থ্রিলার।

আমাদের চার জনের টিমের সবচেয়ে প্রবীন মানুষ তিতাস ভাই। তাঁকে নিয়ে আমার ভয় ছিল। কারন পাহাড় জয়ের অভিজ্ঞতা তাঁর নেই। ভয় কেটে যায় যখন তাঁর চেয়েও বয়স্ক মানুষ, বয়স্ক বলতে প্রায় বৃদ্ধ নারীপুরুষ শিবের ধ্যানে উচ্চতা জয় করে চলেছে চোখের সামনে। বিশ্বাস! আসলেই বিশ্বাস একটা শক্তিশালী ভাইরাস।

গুলিয়াখালীর সমুদ্রের গর্জন পাহাড়ের নির্জন শব্দের চেয়ে শক্তিশালী নহে। পাহাড় ইস পাহাড়। তবে গুলিয়াখালীর সমুদ্রে সন্ধ্যাযাপন হৃদয়ে এক ধরনের মহাজাগতিক আবেশ, প্রশান্তি ছিটিয়ে দিলো।

শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮

আ কা শ

মাথার উপর কোনো আকাশ নেই, সবই চোখের প্রাচীর, আকাশ আছে এই কথা ভেবে মানুষ শান্তি পায়

Hypocrisy

Hypocrisy is a selling product of the people for the people and by the people

শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১৮

পাহাড় কিংবা মানুষ

পাহাড়ে এক ধরনের মুখস্থ সৌন্দর্য থাকে। নদীতে থাকে এক ধরনের আধ্যাত্মিক আনন্দ। পাহাড় কিংবা নদী কোথাও আমি এমন আনন্দ পাই না যেমন আনন্দ পাই মানুষের সাথে আড্ডা দিয়ে। মানুষ এক আধ্যাত্মিক পাহাড়, আধ্যাত্মিক নদী, আধ্যাত্মিক আকাশ।

অন্ধকারের পেছনে আলো থাকে, ঠিক আলোর পেছনে থাকে লোকটি। লোকটির নাম নাকি মানুষ। লোকটির নাম আসলে মানুষ নয়, লোকটির নাম আলো এবং অন্ধকার কিংবা তারচেয়েও অধিক কিছু।

এক সময় আমরা এক ঘরে ছিলাম। একই মায়ের হাতের রান্না খেয়ে পড়ার টেবিলে বসতাম। সেই পড়ার টেবিল একই জায়গায় আছে, মায়ের হাতের রান্না একই আছে, আমরা আর আমাদের জায়গায় নেই, ছড়িয়ে গেলাম মাইল টু মাইল-- পড়ার টেবিল সম্পর্কের চেয়েও শক্তিশালী।

বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১৮

ম র ন

মৃত্যু এক অনিবার্য অসুখ যা পৃথিবীকে রোগমুক্ত রাখে

বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১৮

বিলচিল

বিল জানে না চিলের খবর
বিলের দিকে চিলের নজর

চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যদি মেয়ে হতো আমি তাকে নিয়ে নিশ্চিত পালিয়ে যেতাম যদিও তার বাবা আমার মতো মুসলিম বাংলাদেশী ছেলেকে মেনে নিতো না কোনোমতেই

মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১৮

শেষ রাতের কথাগুলো

জাহাজ জলের উপর দিয়ে চলবে এটাই নিয়ম। জাহাজ ফুটো হয়ে গেলে এর ভিতরে পানি ঢুকবে। ডুবে যাবে। মানুষকেও আলোচনার ভেতর দিয়েই যেতে হবে। ফুটো হয়ে যাওয়া মানুষ আলোচনায় তলিয়ে যায়।

সোমবার, ১৯ মার্চ, ২০১৮

রবিবার, ১৮ মার্চ, ২০১৮

পশু তবে গালি হলে মানুষ তবে কী

মানুষ মানুষের কাছে যাওয়ার জন্য বহুরূপী বহুরকমের নামসেতু ব্যবহার করে-- কাকা, মামা, ভাই, দাদা, বোন, মাসি ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ যে পশুকে গালি হিসাবে ব্যবহার করি আমরা সেই পশুপরিবারে কোনো রকমের নামসেতু নাই। পশুকে খাবার জমা করার প্রয়োজন হয় না, আবার অতিরিক্ত খাবার খেয়ে হাসপাতালেও তাকে যেতে হয় না। মানুষ যতদিন বেঁচে থাকে ততদিন ভালো থাকার অভিনয় করে আর পশুরা যতদিন বেঁচে থাকে বেঁচেই থাকে।

বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৮

অ আ

এই পৃথিবীর অনেক চিপাচাপাকে মহৎ করেছে প্রেমিকজুটি

বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১৮

ময়লা

সনাতন। আমার গ্রামের ছোট ভাই। ঢাকা ব্যবসা করে। ইদানিং সে বিদেশেও ব্যবসা করা শুরু করেছে। ওর লগে আমার আবার হাতির টাতির একটু ভালো। ও আবার আমার ছাত্রও বটে। ও যখন প্রেম করতো তখন থেকেই আমার পরামর্শ টর্মাশ নিতো।

বিয়ে করার আগে অবশ্যই আমার পরামর্শ লই নাই। কারন আছে। উনিশ বছরের সনাতন বিয়ে করবে অবশ্যই আমি মেনে নিতাম না।

সনাতন আবার বউরে খুব ভালোবাসে। বউয়ের লগে ফেইসবুকে ছবিটুবি দেয়। সনাতন আর আমি যেদিন বাড়ি গেলাম সেইদিন গ্রামের এক জ্ঞানী টাইপের লোকের লগে দেখা। লোকটি সনাতনকে দেখেই বলে--

"বউয়ের লগে ফেইসবুকে ছবি দেয়া ঠিক না, আর দিস না।"

সনাতন কথাটা নিতে পারেনি। সে বলে ওডে,

"বউরের লগে ছবি দিমু না ত কার লগে দিমু, অন্য বিডির লগে তুইল্লা ছবি দিমু?"

"বলছি দিস না, বউয়ের লগে ছবি দেয়া খারাপ।"

"আফনেরা যে ওরস করান। আর ওরসে অন্য বেডার বউ দিয়া গান করান ইডা খারাপ না?"

এইবার জ্ঞানী লোক চুপ। আর একটাও কথা বলে নাই।

আমি শুধু চুপচাপ তাদের কথা শুনছিলাম আর ভাবছিলাম মানুষ কত সুন্দর করে অন্য মানুষের শরীরের ময়লা দেখে অথচ নিজের শরীর ডাস্টবিনের পুরাতন সংস্করন।

আবার ভাবলাম এটাই হয়তো মানবচরিত্র। নতুবা শেয়াল যখন মোরগ ধরে নিয়ে যায় তখন আমরা মোরগরক্ষার যুদ্ধে নামি, শেয়ালকে গালি দেই কিন্তু আমরা যখন মোরগ জবাই করে রান্না করে খাই আমরা আমাদেরকে গালি দেই না কেন!?

সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১৮

স্বামীস্ত্রী

ধরুন,স্বামীস্ত্রী কোথাও একসঙ্গে বের হয়েছে। স্বামী যদি বিজ্ঞাপন দেখার মতো করেও অন্য কোনো সুন্দর নারীর দিকে তাকায় তাহলে কেল্লা ফতে-- রাতের খাবারে তরকারিতে লবন বেশি হবে অথবা কম হবে।

 লবন কম বেশির জের ধরে চলবে সারারাত ঝগড়া। এই ঝগড়ার রেশ থাকবে আরেকবার বের হওয়ার দিন পর্যন্ত। আরেকবার বের হয়ে স্বামী যদি নিজের দৃষ্টি হেফাজত করে তখনই স্ত্রী তরকারির লবন স্বাদের উপযোগী করে তুলবে।

রাতের দলিল

কিছু নাপাওয়া পাওয়ায়ের চেয়ে সুখী

ভালোবাসি বলে

ভালোবাসি বলে দোযখের গন্ধ পাই
ভালোবাসি বলে জান্নাতের চাবি নাই

শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১৮

ফুল হয়ে ঝরে যায়

চিরচেনা জায়গাগুলো অচেনা থেকে যায়
চিরচেনা মানুষগুলো ফুল হয়ে ঝরে যায়।।

আকাশ জুরে জোছনা উড়ে
নদীর জলে জোয়ার আসে
জোয়ারজলে ঘাটের নৌকা হাওয়া হয়ে যায়
ভালোবাসার মানুষগুলো জোয়ারেই ভেসে যায়।।

ধানের মাঠে মাজার হাটে
খেলার মাঠে কলসি ঘাটে
আজন্ম সেই স্মৃতির সাথে
জমা হওয়া অনেক কথা অবলাই থেকে যায়।।

বোকা সাপ

সোমবার রাত। ঘুমাচ্ছি। স্বপ্ন দেখলাম। এক সাপ আমার বাম পায়ের কনিষ্ঠ আঙুলে কামড় দেয়। কিন্তু আমি কোনো ব্যথা পাচ্ছি না। তারপরও ভয় পাচ্ছি যদি মারা যাই।

সাপটা আমাকে কামড় দিয়ে পুকুরের জলে নেমে যাচ্ছে। আমি সাপের দিকে চেয়ে আছি। সাপটা জলে নামতে না নামতে একটা ব্যাঙ সাপটাকে ধরে ফেলে। সাধারনত এমন ব্যাঙ আমি আগে কখনোই দেখি নাই। ব্যাঙ সাপটাকে গিলতে থাকে। ব্যাঙ সাপটাকে গিলতে গিলতে ডাঙায় নিয়ে আসে। আমার সামনাসামনি ব্যাঙটা দাঁড়ায় এবং সাপটাকে পুরো গিলে ফেলে।

ব্যাঙটির গেচচার ভাষা এমন ছিল যে সে শুধু সাপটাকে খাচ্ছে না আমাকে দেখাচ্ছেও বটে।

আমাকে ডাক্তারের কাছে নেয়া হলো। ডাক্তার বলেন "কোনো সমস্যা নাই, সাপটা বিষধর ছিল না।"

সকালে ঘুম থেকে ওঠে ভাবতে থাকি। সারা জীবন দেখলাম সাপ ব্যাঙ ধরে খায়, আর স্বপ্নে দেখলাম ব্যাঙ সাপটাকে খেয়ে ফেললো!

বিষহীন সাপটার জন্য আমার অনেক মায়া হলো!

হায়রে বোকা সাপ,  আমারে কেন কামড় দিতে গেলে, আমি ত কোনো প্রানির নূন্যতম ক্ষতির চিন্তা করি না! হায়রে বোকা সাপ!!

শুক্রবার, ৯ মার্চ, ২০১৮

আহারে

প্রথম প্রেমে পড়েছিলাম ক্লাস ওয়ানে। আমার প্রেমিকার প্রথম ছেলে এখন ক্লাস ওয়ানে পড়ে।

প্রয়োজন

মানুষ প্রয়োজনে জল থেকে লবন আনে, প্রয়োজনে আবার লবনকে জল করে

বৃহস্পতিবার, ৮ মার্চ, ২০১৮

কনডম অথবা ফুটকা

কনডমকে গ্রাম এলাকায় বলে ফুটকা।

বাচ্চা দোকানে যায় এবং দোকানদারের কাছে ফুটকা চায়। দোকানদার ফুটকা দেয় এবং হাসে।

বাচ্চা ফুটকায় বাতাস করে বেলুন বানায়, বেলুন দিয়ে আনন্দ খেলে।

রাতে বাচ্চার বাবা দোকানে যায় এবং এইদিক সেইদিক ভালো করে দেখে নিয়ে লজ্জাচোখে দোকানদারের কাছে ফুটকা চায়।

দোকানদার ফুটকা দেয় এবং হাসে।

বাচ্চার বাবা ফুটকা থেকে বাতাস বের করে ইনজেকশন বানায়, ইনজেকশন দিয়ে আনন্দ খেলে।

## এই গল্প থেকে আমরা শিখতে পারলাম বাবারা যে জিনিস থেকে বাতাস বের করে, বাচ্চারা সেই জিনিসে বাতাস ভর্তি করে।

রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১৮

যৌবন বয়ে যায়

বাংলাদেশের যৌবন সঠিক সময়ে চাকরিও পায় না প্রেমও পায় না,পায় কেবল বউস্বামী আর দীর্ঘশ্বাস

শনিবার, ৩ মার্চ, ২০১৮

নতুন কিছু চায়

প্রথম প্রথম গভীর রাতেও তার খুব প্রেম পায়, কয়েকদিন পর গভীর দিনেও তার খুব ঘুম পায়। প্রেম বা ঘুম বড় কথা নয়,আসলে তার নতুন কিছু চায়।

বিশ্বাস অবিশ্বাস

যখন চাঁদ থাকে আকাশ বিশ্বাস করতে চায় না অন্ধকার বলে কিছু আছে, যখন অন্ধকার থাকে আকাশ বিশ্বাস করতে চায় না চাঁদ বলে কিছু আছে। আকাশ বিশ্বাস না করলেও চাঁদ আছে,আকাশ অবিশ্বাস করলেও অন্ধকার আছে।

সরকারি যন্ত্র

সরকারি যন্ত্র আওয়াজ করে বেশি কারন পর্যাপ্ত তেল পায় না, সরকারি মানুষ আওয়াজ করে কম কারন পর্যাপ্তের অধিক তেল পায়

বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ, ২০১৮

হুমায়ূন আহমেদ

আমগো হুমায়ূন আহমেদের একটা কতা বাল লাগচে হুব। কতাডা অইলো মানুরে নিয়া। মানুরে প্রশংসা করলে মানু আসমানে ওডে। আসমানে ওডলেও সমস্যা ছিল না। সমস্যা অইলো আসমানে ওইট্টা সেই মানু নিচের দিগে ছেপ ফেলতে আরম্ভ করে।