বুধবার, ৫ মার্চ, ২০১৪

রাহে আল্লা মারে কে

কোনো এক অলৌকিক কারনে মানিব্যাগ শুন্য। পুলিশের মানিব্যাগ শুন্য হলে চোখের সামনে দৃশ্যমান সকলেই আসামি। আসামি ভাবার সুযোগ আমার নেই। কারন ব্যয় বোঝে আয় করার হিসাব জানা আছে। তাছাড়া মানুর ঘরেতো পয়দা অইছি। মানুর মনে কষ্ট দিয়া ধর্মঘরে পূজা দিতে জানি না। মানুষকে ভালোবেসে শিশু হওয়াতেও আনন্দ আছে, বোকা বনাতে থাকে তৃপ্তি।
ক্রেডিট কার্ডও নেই। তবে আত্মবিশ্বাসের ক্রেডিট কার্ড কখনো শুন্য হয় না। তাই আত্মবিশ্বাসকে সাথে নিয়েই  হাটছি।মাথায় দুপুরের রোদ। লাঞ্ছ ডাকসুতে করতে হবে। বিশ টাকার টোকেনে সামাজিক লাঞ্ছ। অদৃশ্য আত্মবিশ্বাস নিয়ে লাইনে দাড়ালাম।
আমি কী বলতে পারবো টোকেন দেন, টাকা নাই। আর তখনই সবাই চুপিচুপি রহস্যের হাসি ফোটাবে। টাকার দেশে পুজিপতি হাসি।
যতই টোকেনঘরের সামনে যাচ্ছি ততই সংশয়ের ঢেউ আত্নপ্রত্যয়ের পাড়কে ভাংছে তো ভাংছে। আমার ভেতরকার লজ্জার দহনগন্ধে তার নাকে গিয়ে লাগে। নতুবা যাকে চিনি না, জানি না, সে কেন বলবে "আপনি টেবিল প্রস্তুত করেন, আমি টোকেন নিচ্ছি। "
হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। জীবনের আরেক নতুন প্রবাস প্রবাহ।
রীতিমত সে খাবার নিয়ে আসে। খাচ্ছি আর ভাবছি।  আত্মাবিশ্বাস আমার কাছে বার বার নায়ক সাজার চেষ্টা করছে। নায়িকার কথা ভাবার তার কোনো সুযোগও নেই। খাবার শেষে তারপরও তাকে বললাম, "আমি ধন্যবাদ দিতে জানি না "
সেও আমাকে বলল "ধন্যবাদের মেলায় ধন্যবাদ আশাও করি না। "
তারপর থেকে রাহে আল্লা মারে কের দেশে আমার বসবাস। যে দেশের শুরু কিংবা শেষ নেই। জন্ম হয় কেবল রহস্যের আবর্তনে রহস্য।
আর আমি সেই রহস্যের চিন্তাশীল চেতন। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন