রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৪

পাথর আসলেই পাথর

নদীর কিনারায় কাচঘেরা ঘর। মানে কাচঘর। বিজ্ঞাপনের মতো সংক্ষিপ্ত অবয়ব কিন্তু রসে টুইন টুইন। অসম্ভব লাবণ্য তার মুখোমুখি মনিটরে  । তার বিন্যস্ত সৌন্দর্যে সহোদর জলের আয়নাও অবিভূত। কিন্তু সেও জীবনমুখী হৃদয়ের টান অনুভব করে।
জলের নীচে পাথর। পাথরপরিবার।পাথরেরও মন আছে। বিলিয়ে দেওয়ার নির্জলা আনন্দজোয়ারে পাথরও ভাসে, ভাসায়।
কৃষ্ণ রাধার কাছে মন সমর্পণ করে। রাধাকে দেখে নয়, দেখার বড়ায়ি বর্ণনায়। কাচঘরের প্রতি জলের মুগ্ধতা পাথরকে মোহিত করে। মোহিত মোহনায় পাথর আর নিজেকে খোঁজে পায়না। গভীর থেকে গভীরতর আকর্ষণ, আকর্ষণ করাতে বাধ্য করে। একসময় কাচঘরও হেলিয়ে পড়ে মুগ্ধতার মোহনস্রোতে।
পাথর আর কাচঘরের মানসিক জীবনপ্রবাহ!
পাথর আর কাচঘর সংসারী হবে। আক্রান্ত আকর্ষণের পরিণতি চায় তারা। গভীর মমতায়, শ্রদ্ধাময় ভালোবাসায় পাথর কাচকে কাছে টানে। যতই মিলনের তীব্রতা বাড়ে ততই কাচ ভেঙে ভেঙে টুকরো টুকরো। কাচঘরের জীবন বিপন্ন ,মৃত্যু মুখে পতিত।
কাচ মরে প্রমাণ করল, পাথর আসলেই পাথর! পাথরও ততক্ষণে বোঝে গেল ভালোবাসা তার মানায় না!!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন