কোরানে তোমারে খুজি না প্রিয়
তোমাতে আমি কোরান খুজি
দূরে ঠেলে সব ফতোয়াবাজি
আমার ধ্যানে তোমারে পুজি
তোমার প্রেম আমার রোজি
তোমার স্মরণ স্বর্গ স্বরূপ
আর বাকি সব হালুয়া সুজি
কোরানে তোমারে খুজি না প্রিয়
তোমাতে আমি কোরান খুজি
দূরে ঠেলে সব ফতোয়াবাজি
আমার ধ্যানে তোমারে পুজি
তোমার প্রেম আমার রোজি
তোমার স্মরণ স্বর্গ স্বরূপ
আর বাকি সব হালুয়া সুজি
বদনামের আচার যদি না পায় মানুষ
কথার খাবার জমে না আড্ডায়
বাতাসে উড়ে না যাত্রাপালার আনন্দ ফানুস
এই নদী সাগরে যাবে মিষ্টি হবে তার জল
এই সাগর নদীকে খাবে নোনতা হবে তার ফল
গাছের কোনো ঘর নেই
জলের আছে চর
কথাতে আপন তুমি
কথাতেই পর
কাকে মানুষ করছে আপন
কাকে মানুষ বলছে অপর
পাতাতে পাখির সংসার
পাতাতে হচ্ছে জমি আশ্চর্য উর্বর
একই সূর্য তোমার আমার
মানুষ মায়ের সন্তান
এই সমাজই বানাচ্ছে প্রিয়
সাধু ভন্ড মাস্তান
ফুল থেকে ফলকে আলাদা করো যদি
প্রকাশ পাবে কেবলই তোমার কথার বাহাদুরি
বাহাদুরি রুচির শত্রু সাদা মোড়কে ত্রাস
বদনামের কপাল খেয়ে বাশি হচ্ছে বাশ
সময়ের স্রোত হয়ে রেজা চলে বয়ে
সুরের সাথে ঘরসংসার
অসুর যায় ক্ষয়ে
রুমের সামনে জটলা— সেকেন্ড ফ্লোর— আমি আরও উপরে উঠবো— দাড়াই এবং কারন জানতে চাই। দরজার বাইরে সবাই— ভেতরে একটা শিশু— চার বছরের শিশু। শিশুকে ভেতরে রেখে তারা পাশের রুমে আড্ডা দিতে যায়— সবাই। শিশু একা একা আনন্দ খেলা খেলতে খেলতে হাতের নাগালে থাকা ছিটকিনি দিয়ে ফেলে— কিন্তু খুলতে পারছে না। জানালা দিয়ে অনেক ইন্সট্রাকশন দিচ্ছে মুরুব্বিরা শিশুকে— কাজ হচ্ছে না— প্রায় দুই ঘন্টা চলে যায়।
রুমের সামনে জটলা— কারন জানার পর বুঝতে পারি উপায় একটাই আছে— ছিটকিনি ভেঙে ফেলা— ভাবলাম একটা লাথি দিয়ে দরজার ছিটকিনি ভেঙে ফেলি— ভেবে দেখলাম তাতে সমস্যা আছে— সুন্দরী মেয়েরা আবার ক্রাশট্রাস খেয়ে যেতে পারে— পরে আবার পড়বো অন্য ঝামেলায়!
বাড়ির ছোটো সর্দার সুমনকে বলি ছাদ থেকে সিমেন্টের ছোটো পিলারটা আনার জন্যে— সে বাহুবলির মতো তা দ্রুত নিয়ে আসে— তারপর সেনাবাহিনী স্টাইলে দুজনে মিলে ছিটকিনি বরাবর একটা ফার দেই— এক ফারে দরজা খুলে যায়— শিশু মুক্ত হয়ে আনন্দে তার মায়ের কুলে ঝাপিয়ে পড়ে!
আমিও শিশুকে মুক্ত করার আনন্দে উপরে উঠছি আর ভাবছি— শিশুরা ছিটকিনি লাগাতে পারে কিন্তু খুলতে পারে না!