এক প্রাচীন নীরবতা জানালা দিয়ে বাতাসের মতো তানহা তানহা ডাক তুলে অন্ধকারে আসন রেখেছে। বিতনু প্রিয়ার মুখ মনের ঘরে শব্দ করে ডাকে। আকাশ নেই আজ— নেই আকাশের ছাদ। কম্পিউটার খুলে বসে আছে রেজা। মনিটর থেকে ভেসে আসছে হাসির বাথান— দেবী মনসা ছদ্মবেশাসন। রেজা কেনো হাসে— তাও মাঝরাতে!? তার চোখে কেনো লাল রঙের বাতিঘর-সুখ!?
সকাল ঘুমাতে যাবে—
রাত জেগে উঠবে—
একটা চাঁদ একাই জীবনভর—
ব্যাজোক্তি কালে মানুষের মৃত্যু অনিবার্য— মৃত্যু যেনো মৃত্যু নয় ঠিক যেনো শীতের চাদর— উষ্ণ আরাম শরীরের জীবন।
গাছের পাতা অটো নৃত্য করে। মাঝরাতে। বাতাসের সাথে। অতিথি অতীত সুদূরমগ্ন বিষন্ন বিকাল পাখি হয়ে বর্তমানের মাঠে রাখালি বিতান কন্যা।
এই মিষ্টি বাতাস
এই মিষ্টি আলো-চাঁদ-খেলা
গোল গোল শব্দের স্বপ্নমায়া ছায়া
মাল্টিপ্লাগে জমে থাকা সতর্ক লাল চোখ— ডাকে অবিরাম প্রতিদিন প্রতিনিয়ত প্রতিক্ষেত্রে প্রতিক্ষণ— এই মাঝরাতে ট্রেনের শব্দ কানের কাছে প্রেমিকার মতো ঠোঁটগন্ধিবেণী রঙের পরশ।
ভালো অন্ধকার আরও ভালো নম্বর পেলেও তার সাদা পোশাক আরও সাদা হয় নাকো আর— সাদা বক উড়ে যায় পৃথিবীর প্রাচীন গর্তের নির্মিত ছায়া ধরে— মাঝরাতে মনে পড়ে সব— ইশান কোনের লুকানো মেঘ ☁— সাগরের গভীরে আরও কোনো এক গভীর সাগর — সব মনে পড়ে মাঝরাতে— সন্ধ্যা মাঝির ছলছল হাসিজল প্লাবিত আপেল-মাংস-ঠোঁট— মনে পড়ে সব— জানালার কাছে বাতাসের সুর— রুমের ভেতর গাছের নিচে দুটি দেহ এক্সেল পাওয়ারপয়েন্ট খেলাধূলা শিহরিত কম্পন।
চলে যাওয়া
থেকে যাওয়া
ভেসে যাওয়া
থেমে থাকা— মাঝরাতে নীরবে নদীর জলে
পাখিমন স্বভাবের প্রভাবে গেলে
দেহফল রোদছায়ায় পরিপক্ক হলে
দেহ পাবে মন— মন পাবে দেহ— ফুল পাতা তারপর মাঝখানে মাঝরাত— তারপর মাঝরাতে রেজার হাসি ☺।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন