শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

দশে মিলে বা জারে যাই

 ক


কাজল রবি দাসের দোকানে গিয়ে চামড়া জুতা দেয়ার জন্যে বললাম। তিনি জেনুইন চামড়ার জুতা দিলো। সোল ব্যতীত জুতাটির আপাদমস্তক চামড়ার। 

দাদা কিসের চামড়ার এই জুতাটি? 

গরুর। 

গরু না আপনাদের দেবতা?  

এই সব কতা ইণ্ডিয়া গিয়া কন, ইডা বাংলাদেশ। 


চামড়ার জুতা পড়লে নাকি মাথা ঠান্ডা থাকে। দেবতার চামড়া থেকে যে জুতা নির্মান হলো সেই জুতা পায়ের নিচে পড়ে কেমনে মাথা ঠান্ডা রাখবো!? 



রিক্সাওয়ালাকে বললাম আমাকে আজিমপুর কলোনিতে দিয়ে আসতে। টিএসসি থেকে আজিমপুর কলোনি। 


মামা ভাড়া কত? 

৩০ টেহা দিলেও নিতে ফারমো, ৭০ টেহা দিয়াও নিতে ফারমো, আবার ২০ টেহা দিয়াও নিতে ফারমো। 


রিক্সাচালকের দরদাম শুনে আমি তো অবাক। আমি ৩০ টেহা দিয়া রাজি হইলাম। 


আল্লা গো! ইডা রিক্সা চলতাছে না, চলতাছে বিমান। মামা আস্তে চালান। মামা বেশি কতা কইয়েন না— যেমন ভাড়া তেমন চলন। 


রিক্সা থেকে নেমে আমি মোটামুটিভাবে আসমানের দিকে তাকালাম। না— জমিনেই আছি। ৩০ টেহার ভাড়াই এমন আর ২০ টেহার ভাড়ার যে কী অবস্থা ভূষণ্ডির কাকই ভালো জানে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন