বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০

চোখে যে নদী কথা কইতে এসে

 মিষ্টি ঢেউয়ের শব্দ। ঢেউয়ের মিঋষি শব্দ হৃদয়ের কারেন্ট জালে আটকে যায়। ঝাউপাতার ছায়ায় বসে মানুষের কথা মনে ভাসে মনে আসে করচগাছের মিহি রোদ আলোর খেলা। 


জোছনা থেকে অনেক দূরে আজ কলাবতী কান্না। হঠাৎ করে বৃষ্টি এলে সাগরে দেখি একান্নবর্তী সিদ্ধান্ত সিনেমা। ধেয়ে আসা ঢেউ বসে থাকা সিটির মতো চোখ লাল করে সভাপতির চেয়ার দখল করে না। সাগরের জল হয়ে ভেঙেছেন তিনি সীমানার কালো হলুদ লাল নীল নীতি। বালুকাবেলা। সন্ধ্যাতারা। মানুষের ছায়ার শব্দে হেটে যেতে যেতে ভোর হয়ে আসে। সময়ের পুরনো বারান্দা। 


চাদের জোছনায় পাখি হবো। ঢেউ হবো তোমার শিহরনে। হিংসা হবো প্রেমিকার ঠোঁটের ভাজে রাতভর। রাতভর ফটোজেনিক জলশহরে প্রেমিকের পায়ের শব্দ খুজে খুজে হয়রান। কালো শাড়ি পরে চোখে আসে সাগর জল নৃত্য। প্রিয় কোনো ব্যথার মতো আমাকে ভাসায় আমাকে বয়ে নিয়ে যায় দূরতমা শহরের কাছে। আমি ভুলতে পারি না ভুলতে দেয় না সে আমাকে। সময়ের পুরনো বারান্দা। 


থেমে থাকে থোকা থোকা ফুলেল শব্দ। দূরে দেখা যায় জাহাজ। নাবিক কন্যার সুরে বাতাসের মতো মিশে যেতে ইচ্ছে করে গতকাল আজকাল আগামীকাল হয়ে। 


পৃথিবী এক উদ্ভুত ঝনঝন শব্দ। আদমশুমারী পৃথিবী। আদিত্য জল আদমের কান্না হয়ে সাগরে ঘুরাফেরা করে। আদমের হাহাকার বাতাসি মাংসের দামে বিক্রি হচ্ছে রোজ বিলাসবহুল সময়চক্রের কাছে।


সবকিছু রেখে। সব হিসাব ভুলে পৃথিবীর নেমে আসো আমার বুকে চাদ যেমন করে শেষ রাতে গলে গলে গল্প হয়ে পড়ে সাগরের বিশাল আঙিনায় তেমনি করে তেমন করে অঙ্গে নাচো সঙ্গী হয়ে। আমিও মৃত্যুর মতো মিশে যেতে চাই কামতুফানে পৃথিবীর বাইরে এসে পৃথিবীর ভেতরে তোমার রক্ত মাংস ইচ্ছার স্বাধীন দেশে সাইক্লোন টর্নেডো কিংবা আরও কোনো তীব্র আকাঙ্ক্ষার টক ঝাল মিষ্টি রোদের শহরে।


সুগন্ধা,কক্সবাজার 

২৮১০২০২০

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন