রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

রূপালি রোদ আর মিষ্টি আলোর শহর

একবার মানুষের ডাক পেয়ে হাশর পৃথিবীর দিকে হাটা শুরু করে। নদী থেমে যায়। মানুষের জেলখানা বন্ধ হয়ে যায়। একটা লোকের কাছে দায়িত্ব দিয়ে সব লোক ঘুমাচ্ছে। অন্ধকার ঘুম।

এখানে নদীর অনেক ঢেউ, অনেক স্রোত। কাল ভোর হবে। আজ একটি নির্দিষ্ট দিন যেখানে কবরের ডাক কানে আসতে পারে। মানুষের ঘুম নেই। নদী ও নারীর ঘুম নেই। মাদের ঘুম নেই। বলেন। আপনি বলতে থাকুন। শুনতে আসা লোকদের বড়ই অভাব। কেউ ব্রার মতো কেউ চরের মতো কেউ নদীর কুয়াশার মতো বলতে চায়। বলুন। বলতে থাকুন।

হোক পদ্মা বা মেঘনা নদী। সব জলের সম্পর্ক অনেক গভীর অনেক নিবিড়। মানু‌ষে মানুষে সম্পর্কে অনেক আজাইরা স্বার্থ থাকে যেখান রোদ এসে খেলা করে না। মানুষ নৈর্ব্যক্তিক মানুষ অবজেক্টিভ মানুষ কাকতালীয় ব্যাপার স্যাপার। মানুষ হতে পারেনি প্রিয় আপেল ফুলের নরম ঠোঁট।

ভেসে চলছি আমরা। ভেসে চলছি আমরা নদীর উপরে কিংবা অন্ধকারের ভেতরে অথবা অজানা কোনো জান্তব মাধ্যমে। ভয় আর ভয়। মৃত্যুর ভয়। পরকালের আগুনের ভয়। ভয়ের মাঠে সুখ বলে কিছু নেই। জাস্ট ভয়কে আঙ্গুল দেখাতে মনের যত আয়োজন হতে পারে কিন্তু পারেনি। ভয় আর ভয়। ভয়ের বাগান চারদিক। বেচে থাকার তীব্র ইচ্ছা খেলা করে বাসনায়। জেলখানা ভাঙার ইচ্ছা থাকে না আসামির। মানুষ আজন্ম আসামি।

দূরে আলো জ্বলছে। শব্দ হচ্ছে কানে। ঢেউয়ের শিবিরে  নীরবতার শব্দ। ঘুমাতে যাও এখন কিংবা আসন্ন সময়ে। ঘুমাতে যাও বন্ধু আমার। ঘুমে ভয় আসবে। ঘুমে ভয় আসবে সাপের কিংবা কুকুরের। কাল ভোর হবে। ভোরে কাল হবে। লোকটি আঙ্গুল চিবাতে চিবাতে মৃত্যুর কথা বলবে।

গ্রাম দেখা যায়। লোকসভা বসবে না। রাজনীতি হবে। মিছিল হবে। শ্রীকৃষ্ণ শ্রীকৃষ্ণ বলে গ্রাম উন্মাদ হয়ে যাবে। আবার যুধিষ্ঠির।  কুরুক্ষেত্র ফিরে আসবে রাজসভার নিরাপদ আসনের সুখসভায়।

ভোর হবে। কাকের সভা সেন্সর পাবে। কুকুর আদালত ডাকবে। মানুষ ঘুমাবে মিষ্টি খেয়ে। সূর্য রোদের প‌রিবর্তে বিতরন করবে প্রচন্ড মাতন্ড তাপ।

আলোর ঘ্রান। আলোর গ্রাম। নিশ্চয় আলোর ঘ্রান সিংহের বগলে ফ্লাট বানাবে। মোহ লাভজনক নয়। মোহকে ফেলে আসলাম মেঘনার জলে। জলে ভেসে থাকে আমাদের প্রাচীনতম ষাঁড়। ঘাড় থেকে প্রথম আলোর চিহ্ন মুছে ফেলে মানুষ এক অতি আদি দানবের নাম। মানুষ এক ফেনায়িত তীরের নাম। চাইলেই পারি নদীর মতো রাত কেটে ফেলতে। চাইলেই পারি জেলের মতো মাছ শিকার করতে।

শিকার! শিকার থেকে আজকের মানুষ। মানুষ এক শিকারের নাম। মানবতা কথাটি স্টকহোম বিথাঙ্গল গ্রাম। আলোর বাজার। মিটিমিটি আলোর বাজার।

বোকামি। চালাকি। চালাকি। বোকামি। তারপর অনেক বছর নির্বাক। নির্বাচন হলে জয় নিয়ে শুরু হবে লাফালাফি। ভালো ত তাই যা নির্বিশেষে নিথিয়া নিথর। নিথর অলি আল্লা ক্লান্ত হয় না মৃত্যুঘুমে। মৃত্যুঘুম এক ভ্রমনের নাম হলে আমিও যাবো অযুত লক্ষ নিযুত কুটির ঘরে।

ঘর থেকে বাহির বাহির থেকে ঘর, তারপর বাহিনির সুপেয় পানি। পানি অথবা জল। জল অথবা পানি। মানুষ হোক মানুষের নিরাপত্তার অতন্দ্র প্রহরী।

সততাকে অভিশাপ দেয়ার পরেও কেউ কেউ মহা মানুষ। মানুষ এমনই কার গলে মালা পরায় কার গলে তুলে দেয় ইলিশ মাছের কাটা মানুষ ন জানে। কেডা জানে কার কপালে পোনা নদীর জল বাকে বাকে খেলা করে হৃদয়ে কচা ঘাটে।

আমরা যে বাসায় উঠলাম তার নামটা অনেক সুন্দর। সুন্দর স্বপ্নের মতো সুন্দর। কিন্তু নামটি ভুলে গেছি। ভুলে গেলে সবুজ মাঠের চিহ্ন হৃদয়ের বারান্দায় ঝুলে থাকে, ঝুলে থাকে, ঝুলে থাকে এবং ঝুলে থাকার কথা আছে।

পাগলে টেকা চিনে। যে পাগল টেকা চিনে না তার লগে বহুদিন থেকে দেখেছি মানুষ বড় একা, দুনিয়া এক ক্যাসিনো আর তথ্য পত্ত তুলার মতো উড়ে আসা বক।

কলে শব্দ থাকে। মনে শব্দ থাকে। বাজারে শব্দ থাকে। ফেইসবুকে শব্দ থাকে। শব্দের অনেক নাম। তিন হাজার কিংবা তার চেয়েও বেশি। শব্দের লেজ ধরে লেফ রাইট লেফ রাইট করতে থাকে সভ্যতার সেনাবাহিনী। রূপালি রোদ আর মিষ্টি আলোর শহরে মিস মাম্পি বেড়াতে গেলে দুর্গাসাগর নিজেকে রহস্যের হাতে সমর্পন করে। তারপর চলে যুগান্তর রূপান্তর, রূপান্তর যুগান্তর। ফুল হয়ে যায় আশাতীত ভুলের নাম।

কীর্তনখোলা নদীর মাঝে দিয়ে বয়ে গেছে জোছনা। আমাদের লঞ্চ কীর্তনখোলা নদীর উপরে। আমাদের লঞ্চ হামাগুড়ি দিয়ে দিয়ে সদরঘাটের পানপাতা শিবের দিকে যাচ্ছে। ভান্ডারিয়া লঞ্চ ঘাটের টুপিওয়ালা মজিদ রোজ মানুষ ঠকানো ব্যবসা করে যাবে, আবার সালামও দিবে বড় করে।

মাছধরা যুবক আমি কীর্তনখোলা নদীর। ঢেউয়ের লগে লগে কথা বলে রাতকে করি সকাল, সকালকে করি রাত। তারপর মানুষ তারপর সমাজ তারপর দেশ তারপর অনেক থিউরি পিউরিকে মাছের বাজারে বিক্রি করি বিনা পয়সায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন