এক দেশে এক রাজা ছিলেন। গুলিস্তার রাজা। না। গুলিস্তা কোনো শহরের নাম নয়। গুলিস্তা মানে ফুলের বাগান। শেখ সাদী তার বইয়ের নাম দিয়েছেন গুলিস্তা। এটি মূলত মানবিক জাগতিক ইন্দ্রিয়াতীত নৈতিক শিক্ষার আধার।
বলছিলাম এক দেশে এক রাজা ছিলেন। না। রাজা গাজা খেতেন না। তবে রাজা আদেশ দিতেন। সব রাজাই আদেশ দেন। শেখ সাদীর গুলিস্তা কিতাবের রাজাও আদেশ দিলেন।
কী আদেশ দিলেন?
লোকটির মৃত্যু।
লোকটিকে যেন শহরের কেন্দ্রে জনসম্মুখে ফাসি দেয়া হয়।
কেন কেন?
কারন আমরা জানতে পারিনি। বইয়ে উল্লেখ্য নাই। রাজাদের অবশ্যই ফাসিটাসি দিতে কারন লাগে না। রাজা বলে কথা। রাজা যদি নিজের ইচ্ছামতো আইনটাইন নিয়মটিয়ম তৈরি করতে নাই'ই পারে তাহলে রাজা হবে কেমনে!?
লোকটি নিজের মৃত্যুর কথা শুনে রাজাকে বকাবকি করতে আরম্ভ করে। ভাগ্যিস লোকটির ভাষা রাজা বুঝতে পারে না। রাজা প্রধান উজিরের কাছে জানতে চান, লোকটির উচ্চারিত ভাষা সম্পর্কে। উজির ঠাডা মিথ্যা কথা বলে।
লোকটি আপনার প্রশংসা করছে এবং কোরানের একটি আয়াত পাঠ করছে।
আয়াতের মাহাত্ম কী?
আয়াতের মাহাত্ম হচ্ছে ''নিশ্চয়ই প্রভু দয়ালু হৃদয়কে ভালোবাসেন এবং তার জন্য নির্ধারিত রেখেছেন অফুরান কল্যান।"
রাজা প্রধান উজিরের কথা শুনে লোকটির সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করেন। রাজা বলে কথা। লোকটির মুখে হাসি নেমে আসে। কিন্তু সমস্যা বাধে অন্য জায়গায়। রাজ্যের অন্য এক উজির বলে ওঠে অন্য এক কথা।
মহারাজ।
বলো।
প্রধান উজির আপনার সঙ্গে মিথ্যা বলেছে। লোকটির শাস্তি হওয়া আবশ্যক। মিথ্যা বলার অপরাধে প্রধান উজিরেরও শাস্তি হওয়া দরকার।
কী মিথ্যা বলেছে?
লোকটি আপনাকে বকাবকি করেছে।
এবার রাজা কিছুক্ষনের জন্যে চুপ হয়ে গেলেন। রাজ্যসভায় মেঘের ঘনঘটা। কী হতে যাচ্ছে কেউ অনুমান করতে পারছে না। অনেকেই ভাবছেন প্রধান উজিরের বিশাল শাস্তি হবে। অনেকের ভাবনা হয়তো সত্যি হতো। কিন্তু সত্যি হলো না। রাজা বললেন ভিন্ন কথা।
যে সত্য ফিতনা তৈরি করে সেই সত্যের চেয়ে ফিতনা দূরকারী মিথ্যা উত্তম।
রাজা প্রধান উজিরের পক্ষ নিলেন এবং লোকটি ক্ষমা করে দিলেন।
এই গল্পটি বলার সময় গুলিস্তার স্রষ্টা শেখ সাদী কয়েকটি দার্শনিক বক্তব্যও দিলেন। বক্তব্যের মূলকথা হলো মানুষ যখন চরম বিপদে পড়ে যান তখন তার স্বাভাবিক সেন্স কাজ করে না। তখন যে কারো পক্ষে অস্বাভাবিক আচরন করাও স্বাভাবিক
(ওয়াক্তে জুরু র' ত চু নমা নদ গুরিজ
দস্তে বেগি রতসরেশাম সিরেতেজ)।
বলছিলাম এক দেশে এক রাজা ছিলেন। না। রাজা গাজা খেতেন না। তবে রাজা আদেশ দিতেন। সব রাজাই আদেশ দেন। শেখ সাদীর গুলিস্তা কিতাবের রাজাও আদেশ দিলেন।
কী আদেশ দিলেন?
লোকটির মৃত্যু।
লোকটিকে যেন শহরের কেন্দ্রে জনসম্মুখে ফাসি দেয়া হয়।
কেন কেন?
কারন আমরা জানতে পারিনি। বইয়ে উল্লেখ্য নাই। রাজাদের অবশ্যই ফাসিটাসি দিতে কারন লাগে না। রাজা বলে কথা। রাজা যদি নিজের ইচ্ছামতো আইনটাইন নিয়মটিয়ম তৈরি করতে নাই'ই পারে তাহলে রাজা হবে কেমনে!?
লোকটি নিজের মৃত্যুর কথা শুনে রাজাকে বকাবকি করতে আরম্ভ করে। ভাগ্যিস লোকটির ভাষা রাজা বুঝতে পারে না। রাজা প্রধান উজিরের কাছে জানতে চান, লোকটির উচ্চারিত ভাষা সম্পর্কে। উজির ঠাডা মিথ্যা কথা বলে।
লোকটি আপনার প্রশংসা করছে এবং কোরানের একটি আয়াত পাঠ করছে।
আয়াতের মাহাত্ম কী?
আয়াতের মাহাত্ম হচ্ছে ''নিশ্চয়ই প্রভু দয়ালু হৃদয়কে ভালোবাসেন এবং তার জন্য নির্ধারিত রেখেছেন অফুরান কল্যান।"
রাজা প্রধান উজিরের কথা শুনে লোকটির সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করেন। রাজা বলে কথা। লোকটির মুখে হাসি নেমে আসে। কিন্তু সমস্যা বাধে অন্য জায়গায়। রাজ্যের অন্য এক উজির বলে ওঠে অন্য এক কথা।
মহারাজ।
বলো।
প্রধান উজির আপনার সঙ্গে মিথ্যা বলেছে। লোকটির শাস্তি হওয়া আবশ্যক। মিথ্যা বলার অপরাধে প্রধান উজিরেরও শাস্তি হওয়া দরকার।
কী মিথ্যা বলেছে?
লোকটি আপনাকে বকাবকি করেছে।
এবার রাজা কিছুক্ষনের জন্যে চুপ হয়ে গেলেন। রাজ্যসভায় মেঘের ঘনঘটা। কী হতে যাচ্ছে কেউ অনুমান করতে পারছে না। অনেকেই ভাবছেন প্রধান উজিরের বিশাল শাস্তি হবে। অনেকের ভাবনা হয়তো সত্যি হতো। কিন্তু সত্যি হলো না। রাজা বললেন ভিন্ন কথা।
যে সত্য ফিতনা তৈরি করে সেই সত্যের চেয়ে ফিতনা দূরকারী মিথ্যা উত্তম।
রাজা প্রধান উজিরের পক্ষ নিলেন এবং লোকটি ক্ষমা করে দিলেন।
এই গল্পটি বলার সময় গুলিস্তার স্রষ্টা শেখ সাদী কয়েকটি দার্শনিক বক্তব্যও দিলেন। বক্তব্যের মূলকথা হলো মানুষ যখন চরম বিপদে পড়ে যান তখন তার স্বাভাবিক সেন্স কাজ করে না। তখন যে কারো পক্ষে অস্বাভাবিক আচরন করাও স্বাভাবিক
(ওয়াক্তে জুরু র' ত চু নমা নদ গুরিজ
দস্তে বেগি রতসরেশাম সিরেতেজ)।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন