প্রিয় নেতাবর্গ, সিনিয়র নেতাগনের পাশে ছবি তুলে প্রমান করার চেষ্টা করবেন না আপনারা অনেক বড় নেতা, জনগনের পাশে দাঁড়ান, জনগনই আপনাকে সিনিয়র নেতা করে তুলবে
বুধবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৯
মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৯
ক বি তা
কবিতা লিখে কেউ বাড়িঘর করতে পারেনি তবে বাড়িঘর হারিয়েছে
শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৯
ভালো থেকো ভালো মতো
সুখের সময় নাইবা পেলে পাশে
দুখের সময় বজ্রপাতের সাথে
একলা পথে হাঁটতে গিয়ে দেখো
আলো হয়ে পথ দেখাবো রাতে
আলোর সময় অনেক পোকা আসে
আগুন হয়েও জলের মতো নাচে
মাঘের শীতে তুমি যখন কাঁপো
মেঘের বানে তুমি যখন ভাসো
সব শালারা লুঙ্গি তুলে হাসে
আমিও এখন হাসি সরল হাসি
তোমার চেনা পথ ছেড়ে উল্টো পথে হাঁটি
ভালো থেকো ভালো মতো বাজাও সুখবাঁশি
শান্তিবাতাস তোমার ঘরে আসুক রাশি রাশি
দুখের সময় বজ্রপাতের সাথে
একলা পথে হাঁটতে গিয়ে দেখো
আলো হয়ে পথ দেখাবো রাতে
আলোর সময় অনেক পোকা আসে
আগুন হয়েও জলের মতো নাচে
মাঘের শীতে তুমি যখন কাঁপো
মেঘের বানে তুমি যখন ভাসো
সব শালারা লুঙ্গি তুলে হাসে
আমিও এখন হাসি সরল হাসি
তোমার চেনা পথ ছেড়ে উল্টো পথে হাঁটি
ভালো থেকো ভালো মতো বাজাও সুখবাঁশি
শান্তিবাতাস তোমার ঘরে আসুক রাশি রাশি
মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৯
ভগবান
একজন ভাবছে সাজতে সাজতে স্বর্গে চলে যাবে, ভগবান ভাবছেন সাজতে সাজতে স্বর্গ চলে যাবে
সোমবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৯
বাংলা টিস্যু
টিস্যু আছে?
আছে। তবে বাংলা টিস্যু।
গরীব দোকানগুলোতে বাংলা টিস্যু বলতে বই-খাতা, তাও আবার কয়েকবার কয়েকভাবে ব্যবহৃত হওয়ার পর।
বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত কোনো টিস্যুই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় না। বাংলাদেশেই উৎপাদন হয়। তারপরও অনেকের কাছে কেন বাংলা টিস্যু মানে সস্তা ব্যবহৃত বই খাতা তা স্পষ্ট নয়। তবে বাঙালি জাতীয়বাদের পেছনে শক্তিশালী কোনো ভীত রচনা হয়নি, এটাও একটা কারন হতে পারে।
বাজারে নতুন টিস্যু আনতে পারেন যার নাম হবে "বাংলা টিস্যু"। আপনার ব্যবসা ভালো হবে। "বাংলা টিস্যু"র গুনগত মান ভালো করবেন। কারন বাংলা টিস্যু সম্পর্কে বাজারে যে ধারনা প্রতিষ্ঠিত আছে তা যেন পাল্টে যায়।
আছে। তবে বাংলা টিস্যু।
গরীব দোকানগুলোতে বাংলা টিস্যু বলতে বই-খাতা, তাও আবার কয়েকবার কয়েকভাবে ব্যবহৃত হওয়ার পর।
বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত কোনো টিস্যুই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় না। বাংলাদেশেই উৎপাদন হয়। তারপরও অনেকের কাছে কেন বাংলা টিস্যু মানে সস্তা ব্যবহৃত বই খাতা তা স্পষ্ট নয়। তবে বাঙালি জাতীয়বাদের পেছনে শক্তিশালী কোনো ভীত রচনা হয়নি, এটাও একটা কারন হতে পারে।
বাজারে নতুন টিস্যু আনতে পারেন যার নাম হবে "বাংলা টিস্যু"। আপনার ব্যবসা ভালো হবে। "বাংলা টিস্যু"র গুনগত মান ভালো করবেন। কারন বাংলা টিস্যু সম্পর্কে বাজারে যে ধারনা প্রতিষ্ঠিত আছে তা যেন পাল্টে যায়।
আরাম?
অনেক আরামে অনেক ব্যারাম, অনেক ব্যারামের পরে আরাম
বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৯
উপকার বনাম অপকার
অনেকে বলে উপকারের ঘাড়ে লাত্থি। অনেকে না। আসলে এটি একটি গ্রামীন প্রবাদ। এই কথাটি আবার বিভিন্নভাবে অনুবাদ হয়। যার অর্থানুবাদ আসে এমন যে যার উপকার আপনি করবেন তার দ্বারা আপনার ক্ষতি হবেই। ফলত সমস্ত দোষ উপকারের ঘারে এসে পড়ে। তাই উপকার করা যাবে না বা উপকার করলেও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা মাথায় নিয়ে যেন উপকার করা হয়।
তারপর গ্রামীন মানুষ আপনাকে বিভিন্ন উদাহরন দিবে যাদের উপকার তারা করেছিল এবং উপকারের বিনিময়ে তারা পেয়েছে অপকার।
এইবার আসি আসল কথায়। উপকারের কোনো দোষ নাই। উপকার করার মানসিকতা মানুষের মানুষ হয়ে ওঠার প্রাথমিক যোগ্যতা।
ইঁদুর শীতে থরথর করে কাঁপছে। আপনি তাকে আপনার উষ্ণ কম্বলের নিচে আরাম করতে দিলেন। উপকার করলেন অবশ্যই। ইঁদুর আরামও নিবে আবার আরামে আরামে আপনার দামি কম্বলও কেটে কুচিকুচি করবে।
একটি আম গাছ যত্নের অভাবে মারা যাচ্ছে। তাকে যত্ন করে সুস্থ করে তুললেন। অবশ্যই উপকার করলেন। একসময় আম কাছ আপনাকে ফল দিবে।
ইঁদুরকে ক্ষতি করলেও সুযোগ পেলে সে আপনার ক্ষতিই করবে। আম গাছকে উপকার না করলেও সুযোগ পেলে আম গাছ আপনার উপকারই করবে।
তারপর গ্রামীন মানুষ আপনাকে বিভিন্ন উদাহরন দিবে যাদের উপকার তারা করেছিল এবং উপকারের বিনিময়ে তারা পেয়েছে অপকার।
এইবার আসি আসল কথায়। উপকারের কোনো দোষ নাই। উপকার করার মানসিকতা মানুষের মানুষ হয়ে ওঠার প্রাথমিক যোগ্যতা।
ইঁদুর শীতে থরথর করে কাঁপছে। আপনি তাকে আপনার উষ্ণ কম্বলের নিচে আরাম করতে দিলেন। উপকার করলেন অবশ্যই। ইঁদুর আরামও নিবে আবার আরামে আরামে আপনার দামি কম্বলও কেটে কুচিকুচি করবে।
একটি আম গাছ যত্নের অভাবে মারা যাচ্ছে। তাকে যত্ন করে সুস্থ করে তুললেন। অবশ্যই উপকার করলেন। একসময় আম কাছ আপনাকে ফল দিবে।
ইঁদুরকে ক্ষতি করলেও সুযোগ পেলে সে আপনার ক্ষতিই করবে। আম গাছকে উপকার না করলেও সুযোগ পেলে আম গাছ আপনার উপকারই করবে।
বুধবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৯
শব্দঘর
বেছা (becha)~ vend, sell out, sell, encash
বিক্রি > বিহি > বেছা
দুয়ান (doyan) ~ shop, small market, store, hoard
দোকান > দোহান > দুহান > দুয়ান
হস্তা (hosta)~ cheap, common, punk,twopenny, potty, get-at-able, inexpensive
সস্তা > হস্তা
ইলা (ela)~ he/she, subjective form of third person singular number, negligible third person
তিনি > ইনি > ইলা
নুডি (nodi)~ naughty, hussy, slut, Quean, harlot, whore, Trollop
নটী > নুডি
তিতা (tita)~ bitter, sardonic, nippy, pungent, mordant
তিক্ত > তিতা
আইনদার (aiyndar) ~ dark, danger, difficult, gloomy, black, night, morbid, dusky
অন্ধকার > আঁধার > আইনদার
হুগনা (hogna)~ dry, slim, dime, frothy, subtle
শুকনো > শুকনা > হুগনা
ফাল (fal)~ fly, dart, jump, dive
লাফ > ফাল
নাম্বা (namba) ~ long, tall, lofty, hefty
লম্ব > লম্বা > নাম্বা
বিক্রি > বিহি > বেছা
দুয়ান (doyan) ~ shop, small market, store, hoard
দোকান > দোহান > দুহান > দুয়ান
হস্তা (hosta)~ cheap, common, punk,twopenny, potty, get-at-able, inexpensive
সস্তা > হস্তা
ইলা (ela)~ he/she, subjective form of third person singular number, negligible third person
তিনি > ইনি > ইলা
নুডি (nodi)~ naughty, hussy, slut, Quean, harlot, whore, Trollop
নটী > নুডি
তিতা (tita)~ bitter, sardonic, nippy, pungent, mordant
তিক্ত > তিতা
আইনদার (aiyndar) ~ dark, danger, difficult, gloomy, black, night, morbid, dusky
অন্ধকার > আঁধার > আইনদার
হুগনা (hogna)~ dry, slim, dime, frothy, subtle
শুকনো > শুকনা > হুগনা
ফাল (fal)~ fly, dart, jump, dive
লাফ > ফাল
নাম্বা (namba) ~ long, tall, lofty, hefty
লম্ব > লম্বা > নাম্বা
বাঙালি
বাঙালি কারো ভালো দেখলে হিংসা করে, কারো বিপদ দেখলে মজা করে, নিজে বিপদে পড়লে সবাইকে শত্রুজ্ঞান করে। বাঙালি যে নরকে থাকবে সেই নরকে কোনো পাহারাদারের দরকার হবে না।
নরকের পাহারাদার হয়তো বাঙালির কাছ থেকে প্রাথমিক ট্রেনিং নিয়ে থাকে। বাঙালি মনে করে এক কখনো এক কোটি হতে পারে না, কিন্তু বাঙালি মনে করে না এক কোটি থেকে এক বাদ গেলে এক কোটি হয় না।
আজকে একটি হিন্দি কবিতা শুনতে ছিলাম যেখানে কবি বলতেছে "যদি খোদা না থাকে তবে এতো জিকির কেন, খোদা যদি থাকে তবে এতো ফিকির কেন? "
বাঙালি জিকির ও ফিকিরের ফাঁদে আটকা পড়েছে। তাইতো তাদের যুক্তি মুক্তি শক্তি হিংসা আর মজার রেসিপি তৈরি করে।
নরকের পাহারাদার হয়তো বাঙালির কাছ থেকে প্রাথমিক ট্রেনিং নিয়ে থাকে। বাঙালি মনে করে এক কখনো এক কোটি হতে পারে না, কিন্তু বাঙালি মনে করে না এক কোটি থেকে এক বাদ গেলে এক কোটি হয় না।
আজকে একটি হিন্দি কবিতা শুনতে ছিলাম যেখানে কবি বলতেছে "যদি খোদা না থাকে তবে এতো জিকির কেন, খোদা যদি থাকে তবে এতো ফিকির কেন? "
বাঙালি জিকির ও ফিকিরের ফাঁদে আটকা পড়েছে। তাইতো তাদের যুক্তি মুক্তি শক্তি হিংসা আর মজার রেসিপি তৈরি করে।
রবিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৯
বাউলদের কথা
একটা শব্দ আমরা যখন শুনি, আমাদের অনেকেরই ধারনা শব্দটা বাইরে হচ্ছে। বাইরে হয়তবা শব্দটা হয়। কিন্তু শব্দটা আসলে ভেতরে হয়। আমরা শব্দটা শুনি আমাদের ভেতরে। প্রশ্ন আসতে পারে, শব্দ যদি বাইরে না হয় আমরা ভেতরে শুনি কীভাবে? অনেক শব্দ বাইরে হয় আমরা ভেতরে শুনি না। কারন যে শব্দকম্পনগুলোর সাথে আমাদের অভ্যাস হয়েছে, বায়োলজিক্যাল রিদম সম্পূর্ন হয়েছে, ঐ শব্দগুলো আমরা শুনি। কারন কুকুর যে শব্দগুলো শুনে আমরা সেই শব্দগুলো শুনি না। কিন্তু বাইরে তো কুকুরের শোনা শব্দটা ঠিকই রয়েছে।
আমি একটা খাবার খেয়ে খুব স্বাদ পেলাম। কিন্তু এই আমিই যখন অসুস্থ হয়ে যাই তখন কিন্তু এ খাবারের স্বাদটা আর পাই না।
এর মানে কি?
খাবারের মধ্যে স্বাদ নাই?
অবশ্যই খাবারের মধ্যে স্বাদ আছে। আমার মধ্যে নাই। আমার মধ্যে নাই বিধায় আমি ঐ স্বাদ পাচ্ছি না। ফুল দেখতে খুব সুন্দর। কিন্তু আমার চোখে যখন ব্যাথা থাকে, মাথায় যখন ব্যাথা থাকে, পেইন উঠে তখন কিন্তু ফুলটা আর সুন্দর মনে হয় না।
এর মানে কি?
সৌন্দর্যটা ম্লান হয়ে গেছে?
আসলে এই সৌন্দর্যটা নেয়ার মতো ক্যাপাসিটি আমার নাই। এটাকেই সায়েন্স বলে-- ম্যাকানিজম, ফাংশন ফ্যাক্টর।
দুইটা লোক একসাথে বৃষ্টিজলে ভিজলো। একজন লোক ঠান্ডায় আক্রান্ত হলো আর একজন হবে না। যার ডিফেন্স ম্যাকানিজম ভালো সে ঠান্ডায় আক্রান্ত হবে না। আর যার ডিফেন্স ম্যাকানিজম ভালো না সে ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়ে যাবে।
তাহলে বিষয়টি কি বাইরের?
না।
বিষয়টা হলো ভেতরের। এই ভেতরটার দিক বাউল কিংবা সুফি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখে। যেমন:
এক সুফি সাধকের কাছে আইসা এক বুড়ি বললেন, "আমার কুয়ার মধ্যে প্রচন্ড দুর্গন্ধ হচ্ছে। কি করতে পারি?"
সাধু বললেন যে আপনার কুয়ার ভেতরে কোন পঁচা থাকলে পঁচাটাকে ফেলে ৪০ বালতি পানি ফেলে দিবেন।
বুড়ি কানে কম শুনতো। সে শুনে নাই যে, ৪০ বালতি পানি ফেলার আগে পঁচাটাকে ফেলে দিতে হবে। বুড়ি ঠিকই ৪০ বালতি পানি ফেলে দিল। কিন্তু ৪০ বালতি পানি ফেলে দিলে কি হবে দুর্গন্ধ তো যাচ্ছে না। আবার সুফি সাধকের কাছে আসে বুড়ি। আইসা বলে, "দু্র্গন্ধ তো দূর হচ্ছে না। কি করতে পারি?"
তুমি কি পঁচাটা তুলেছো?
না।
আগে পঁচাটা তুলো দ্যান ৪০ বালতি পানি ফেল। দেখবে দুর্গন্ধ থাকবে না। বুড়ি গিয়ে পঁচা তুললো, ৪০ বালতি পানি ফেললো। কুয়ার মধ্যে আর দুর্গন্ধ থাকলো না।
এই উদাহরনটা টেনে সুফি সাধকরা বলেন, আমাদের ভেতরে যে পঁচা আছে, এই পঁচা যদি আমরা দূর করতে পারি দ্যান বাইরের সৌন্দর্য আমাদের কাছে ধরা দিবে। কারন, আমাদের চোখের সীমানার নাম আকাশ। We are imperfect media at all. আমরা যত পারফেকশনের দিকে যাব, পৃথিবীর সৌন্দর্য, মহাকালের সৌন্দর্য, আমাদের কাছে তত উত্তম রূপে ধরা দিবে। তাই বাউলরা এই ভেতরটাকে সংশোধন করার দিকে বরাবরই জোড় দিয়েছেন। বাউলদের কাছে এই ভেতর মানেই পৃথিবী।
পৃথিবী কি?
পৃথিবী মানে বাউলদের কাছে, সুফিদের কাছে ৩ টা জিনিস।
১. খাবারের প্রতি বিলাসিতা দূর করা।
২. বিলাসিতার প্রতি লোভ দূর করা।
৩. নারী বা পুরুষের প্রতি লোভ দূর করা।
বাউল কিংবা সুফি দুজনের উদ্দেশ্য এক। ডেস্টিনেশন এক। যে জল বৃষ্টি হয়ে পৃথিবীতে আসলো সেও মহাসাগরের সাথে মিশতে চায়।যে জল ঝরনা হয়ে পৃথিবীতে আসলো সেও মহাসাগরের সাথে মিশতে চায়। তাই বাউল কিংবা সুফির উদ্দেশ্য হলো-- মহাসাগরের সাথে মিশে যাওয়া।
আমি যে তোমার
তুমি যে আমার
আমি যেন দেহ
তুমি আমার আত্মা
লোকে যেন বলে না
তুমি আর আমি ভিন্ন সত্তা
পৃথিবীতে থেকে পৃথিবীকে দেখা যায় না। যেমনভাবে ট্রেনের ভেতর থেকে ট্রেন দেখা যায় না, বিমানের ভেতর থেকেও বিমান দেখা যায় না। ট্রেনের ভেতর থেকে ট্রেন একটি কক্ষ মাত্র, বিমানের ভেতর থেকে বিমান একটা কক্ষ মাত্র। তাই, পৃথিবীকে জয় করার পরই সম্পূর্ন পৃথিবী তার কাছে ধরা দেয়।"মান লাহুল মাওলা ফালা হুল কুল"। সম্পূর্ণরূপে পৃথিবী তার কাছে ধরা দেয়।
পৃথিবীকে জয় করা মানে কি?
পৃথিবীকে জয় করা মানে হল ৩টা দিক।
১. খাবারের প্রতি লোভ দূর করা।
২. বিলাসিতার প্রতি লোভ দূর করা।
৩. শিব বা শিবানীর প্রতি লোভ দূর করা/ নারী বা পুরুষের প্রতি লোভ দূর করা।
বাউলরা বা সুফিরা যখন সাধনায় নামে তখন প্রথমেই খাবারের প্রতি লোভ ইচ্ছাকৃতভাবে আস্তে আস্তে দূর হয়ে যায়। বিলাসিতার প্রতি লোভটা আরও দ্রুত দূর হয়ে যায়। কিন্তু একটা লোভ দূর করা যায় না। এটা হলো নারী বা পুরুষের প্রতি লোভ। এখানে বাউলরা কি করেন? সূফিদের আরেকটা আলাদা পদ্ধতি আছে। বাউলরা গুরু-শিষ্য পরম্পরার মধ্যদিয়ে নদীতে নামেন। যখন নদীতে নামেন একবার, দুইবার, তিনবার জল খেয়ে ফেলে। পানি খেয়ে ফেলে। যখন জল খেয়ে ফেলে? খাওয়ার পর একসময় আর জল খায় না। ভেসে থাকতে পারে। জলের উপর ভেসে থাকতে পারে। যতক্ষন ভেসে থাকা ততক্ষনই জীবন। জলের উপর ভেসে থাকতে পারে। সবাই যে পারে বিষয়টা এমনও না। অনেকেই ডুবে যায়।
এই যে জলের উপর ভেসে থাকতে পারা এটা হলো বাউলদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন সাধনা। কারন শ্বাস নেয়া ও শ্বাস ছাড়ার মধ্যে, প্রশ্বাস এবং নিশ্বাসের মধ্যে একটা ছোট্ট বিরতি আছে। বাউলদের কাজ হলো এই বিরতিটাকে ধীরে-ধীরে, ধীরে-ধীরে, ধীরে-ধীরে বড় করা। নারী-পুরুষ যখন সাধারনত কাছে আসে শ্বাস-প্রশ্বাস আরও ঘন হয়ে আসে। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে গেলে শ্বাস-প্রশ্বাস আরও ঘন হয়ে আসে। বাউলদের কাজ হলো এই শ্বাস-প্রশ্বাসটা ধীরে-ধীরে, ধীরে-ধীরে,ধীরে-ধীরে দীর্ঘতর করা। দীর্ঘতর করার সাধনায় এরা থাকেন।
এখন এ সাধনা করতে গিয়ে একবার, দুইবার, তিনবার জল খেয়ে ফেলে। মানে বীর্যপাত হয়ে যায়। বাউলরা মনে করে বীর্যপাত করা মহাপাপ। জীবন ক্ষয় করা। বীর্য মানে তাদের কাছে জীবন। জমিতে আমরা কখন ফসল ফলাই? জমিতে আমরা তখনই ফসল ফলাই যখন ফসল ফলানোর প্রয়োজন হয়। ফসল ফলানোর প্রয়োজন যখন হয় তখনই আমরা জমিতে বীজ ফেলি। অন্যথায় বীজ ফেলা অপচয়। ঠিক তেমনি বীজ বা বীর্য তখনই শুক্রানু-ডিম্বানু খেলা খেলতে পারে যখন প্রয়োজন হয়। পৃথিবীতে সন্তান আনার প্রয়োজন হয়। সন্তান আনা ব্যতীত বাউলরা বীজ অপচয় করেন না; সংরক্ষন করেন।
বীজ যদি সংরক্ষন করা হয় তাহলে কি হবে? বীজ যেমন পৃথিবীতে এসে সন্তান উৎপাদন করে ঠিক তেমনি দেহের ভেতরে থেকেও বীজ গাছ উৎপাদন করে। সন্তান উৎপাদন করে। সুফিরা এই সন্তানকে বলে ' তিফফুল মানি'। পবিত্র সন্তান। আর বাউলরা এটাকে বলেন সাঁইরূপে নিজেকে দেখা।(গারমু এহছার বার তার ফরম / ফুরুগে তাজ্জালি বুছুজাত ফরম)।
যতই বীজ সংরক্ষন করতে থাকে, নিজের ভেতরে আরেকটা সত্তার জন্ম হতে থাকে। আরেকটা ভাবের জন্ম হতে থাকে। ভাবটা গুরুত্বপূর্ন। বাউলরা যখন গান গায়, এরা সুর গায় না। ভাব গায়। কোনো কোনো জায়গায় এই ভাবটাকে শখ বলে। শখের বাংলা ইচ্ছা হিসেবে আসে। অনেকে শখকে ইচ্ছা হিসেবে বলে। না। শখটা হলো ভাবেরই ভিন্নরূপ। একটা গান আছে এমন
চিংড়ি মাছের ভেতর কাড়া তাই ডালেছি ঘি
আরে নিজের হাতে ভাব ছাড়েছি ভাবলে হবে কি
চালুর চুলা লম্বা কচা কুলি কুলি যায়
দেখি সামের বিবেচনা কার ঘরে সামায়
বলতেছে যে, ভুল করে আমি ভাব ছেড়ে দিয়েছি। বীর্য ছেড়ে দিয়েছি। বীজ ছেড়ে দিয়েছি। এখন তো ভাবলে কিছুই হবে না। সময় চলে গেছে। তাই, এই বীর্য সংরক্ষনের বিষয়টা বাউল সাধনায় খুব তাৎপর্যপূর্ন। যখন বীজ সংরক্ষণ করে ফেলতে পারে, জলে যখন সাঁতার কাটতে পারে
শ্যাম সায়রে নাইতে যাবি
গায়ের বসন ভিজবে ক্যানে
যখন নদীতে জলে সাঁতার কাটতে পারে গায়ের বসন ভিজে না। কাপড় ভিজে না। বীজ অপচয় হয় না। তখন বাউলরা পৃথিবী জয় করে ফেলে। পৃথিবীকে জয় করার মানে হলো সে মহাকালের পথে যাত্রা শুরু করে। মহাকালের পথে যাত্রা শুরু করার মানেই কিন্তু মহাকালে পৌঁছে যাওয়া না। আমি ফ্রান্সের পথে যাত্রা শুরু করলাম, এর মানে এই না আমি ফ্রান্সে পৌঁছে গেলাম। On the way to France.
মহাকালের পথে যাত্রাপথিকের আরেক ধরনের দায়িত্ব। মহাকালের পথে যাত্রা করতে গিয়ে কেউ কেউ ফিরে আসতে পারে, কেউ কেউ আর ফিরে আসতে পারে না।'ফানাফিল্লাহ'। যেটাকে বলে প্রভুতে ফানাহ হয়ে যাওয়া। লীন হয়ে যাওয়া। ফকির। ফা কাফ র ইয়া। ফানা হয়ে যাওয়া। এখান থেকে কেউ কেউ পৃথিবীতে ফিরে এসে পৃথিবীর মানুষকে চিনতে পারে, কেউ কেউ পৃথিবীর মানুষকে আর চিনতে পারে না। মহাকালের পথে যাত্রা করে। মহাকালের পথে যাত্রা শুরু করার ২টি উপায়।
১. সচেতনভাবে।
২.অচেতনভাবে।
অচেতনভাবে যে মহাকালের পথে যাত্রা করে এটার নাম হলো মৃত্যু। আর সচেতনভাবে যে মহাকালের পথে যাত্রা করে এটাকে বলে ফানাফিল্লাহ। নির্বান লাভ।এটাকে বলে আরশীনগরের দেখা পাওয়া। 'বাড়ির পাশে আরশীনগর/ এক পরশী বসত করে'। পড়শির দেখা পাওয়া। আর এমনিতেই-
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই-- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণগগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে
রহিনু পড়ি--
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
আমি মহাকালের সাথে মিশে যাই।আর আমার দুনিয়ার অর্জন ফসল হিসাবে পৃথিবীতে পড়ে থাকে। আর যখন সচেতনভাবে যায় কেউ, তখন পৃথিবীকে জয় করে যায়। মায়ের পেটে,মায়ের জঠরে আমরা কোথা থেকে আসলাম আমরা যেমন বলতে পারি না। ঠিক তেমনি পৃথিবীর মা থেকে যখন আমরা চলে যাই আমরাও বলতে পারি না। কিন্তু মহাকালের পথে যখন কেউ জেনে যাত্রা করে, তখন সে বলতে পারে সে কোথায় যাচ্ছে। এবং কোথাও যে যাচ্ছে এটা হলো প্রত্যেকের জ্ঞান অনুযায়ী যাওয়া। প্রত্যেকের ভাব অনুযায়ী যাওয়া। প্রত্যেকের শখ অনুযায়ী যাওয়া। যার ভাব যত প্রগাঢ়, যার ভাবের যত স্পেস বেশি, জায়গা বেশি, তার যাওয়ার জায়গাটা তত বেশি।
তাই বাউলদের প্রথম এবং প্রাথমিক সাধনা হলো পৃথিবী জয় করার সাধনা। পৃথিবী জয় করার সাধনা, জয় করার পরে তারা মহাকালের পথে যাত্রা করে।
হুমায়ূন আহমেদ যে হিমু ক্যারেক্টারটা নির্মান করেছেন,এই হিমু মূলত মহাকালের পথে যাত্রা করা এক পথিক। সে মহাপুরুষ না। মহাপুরুষ হলো ঐ লোক যে মহাকালে লীন হয়ে গেছে। প্রশ্ন আসতে পারে, তার তো কোন সাধন সঙ্গী নাই। তারও সাধন সঙ্গী আছে।রূপা।
রূপা তুমি কোথায়?
আমি ঘরেই আছি।
তুমি বারান্দায় এসে দাঁড়াবা?
রাত ৩টা। গভীর রাত। রূপা জানে হিমু আসবে না। তারপরও সে নীল শাড়ি পড়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকে। কেনো? কারন হলো এই - তাদের, ঐ হিমু এবং রূপার মধ্যে একটা সাধনার পর্যায় ছিল। এই সাধনার পর্যায়টা, যেহেতু এই সমাজ বাউলদের সাধন পর্যায়টা নেয় না শুধু মহাকালের পথে যাত্রাটা নেয়। তাই হুমায়ূন আহমেদ এই সাধন প্রক্রিয়া দেখায়নি। কিন্তু সে বিষয়টা দেখাইলো কি? রূপা হল তার ভাবসঙ্গী। দেহসঙ্গী না। তা, ভাবসঙ্গী কখন হয়? দেহ সঙ্গীর পর।
তাহলে বাউল কিংবা সুফি যারাই মহাকালের পথে লীন হতে চায়, মহাকালে নিজেকে রাখতে চায়, তাদেরকে পৃথিবীটাকে জয় করতে হয়।
পৃথিবীটাকে জয় করার পর মহাকালের পথে আদিম অন্ধকার, আদিম অন্ধকার, আদিম অন্ধকারের দিকে তারা এগিয়ে যায়। থাকে শুধু অন্ধকার, থাকে শুধু অন্ধকার, থাকে শুধু অন্ধকার মুখোমুখি বসিবার 'বনলতা সেন'।
আমি একটা খাবার খেয়ে খুব স্বাদ পেলাম। কিন্তু এই আমিই যখন অসুস্থ হয়ে যাই তখন কিন্তু এ খাবারের স্বাদটা আর পাই না।
এর মানে কি?
খাবারের মধ্যে স্বাদ নাই?
অবশ্যই খাবারের মধ্যে স্বাদ আছে। আমার মধ্যে নাই। আমার মধ্যে নাই বিধায় আমি ঐ স্বাদ পাচ্ছি না। ফুল দেখতে খুব সুন্দর। কিন্তু আমার চোখে যখন ব্যাথা থাকে, মাথায় যখন ব্যাথা থাকে, পেইন উঠে তখন কিন্তু ফুলটা আর সুন্দর মনে হয় না।
এর মানে কি?
সৌন্দর্যটা ম্লান হয়ে গেছে?
আসলে এই সৌন্দর্যটা নেয়ার মতো ক্যাপাসিটি আমার নাই। এটাকেই সায়েন্স বলে-- ম্যাকানিজম, ফাংশন ফ্যাক্টর।
দুইটা লোক একসাথে বৃষ্টিজলে ভিজলো। একজন লোক ঠান্ডায় আক্রান্ত হলো আর একজন হবে না। যার ডিফেন্স ম্যাকানিজম ভালো সে ঠান্ডায় আক্রান্ত হবে না। আর যার ডিফেন্স ম্যাকানিজম ভালো না সে ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়ে যাবে।
তাহলে বিষয়টি কি বাইরের?
না।
বিষয়টা হলো ভেতরের। এই ভেতরটার দিক বাউল কিংবা সুফি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখে। যেমন:
এক সুফি সাধকের কাছে আইসা এক বুড়ি বললেন, "আমার কুয়ার মধ্যে প্রচন্ড দুর্গন্ধ হচ্ছে। কি করতে পারি?"
সাধু বললেন যে আপনার কুয়ার ভেতরে কোন পঁচা থাকলে পঁচাটাকে ফেলে ৪০ বালতি পানি ফেলে দিবেন।
বুড়ি কানে কম শুনতো। সে শুনে নাই যে, ৪০ বালতি পানি ফেলার আগে পঁচাটাকে ফেলে দিতে হবে। বুড়ি ঠিকই ৪০ বালতি পানি ফেলে দিল। কিন্তু ৪০ বালতি পানি ফেলে দিলে কি হবে দুর্গন্ধ তো যাচ্ছে না। আবার সুফি সাধকের কাছে আসে বুড়ি। আইসা বলে, "দু্র্গন্ধ তো দূর হচ্ছে না। কি করতে পারি?"
তুমি কি পঁচাটা তুলেছো?
না।
আগে পঁচাটা তুলো দ্যান ৪০ বালতি পানি ফেল। দেখবে দুর্গন্ধ থাকবে না। বুড়ি গিয়ে পঁচা তুললো, ৪০ বালতি পানি ফেললো। কুয়ার মধ্যে আর দুর্গন্ধ থাকলো না।
এই উদাহরনটা টেনে সুফি সাধকরা বলেন, আমাদের ভেতরে যে পঁচা আছে, এই পঁচা যদি আমরা দূর করতে পারি দ্যান বাইরের সৌন্দর্য আমাদের কাছে ধরা দিবে। কারন, আমাদের চোখের সীমানার নাম আকাশ। We are imperfect media at all. আমরা যত পারফেকশনের দিকে যাব, পৃথিবীর সৌন্দর্য, মহাকালের সৌন্দর্য, আমাদের কাছে তত উত্তম রূপে ধরা দিবে। তাই বাউলরা এই ভেতরটাকে সংশোধন করার দিকে বরাবরই জোড় দিয়েছেন। বাউলদের কাছে এই ভেতর মানেই পৃথিবী।
পৃথিবী কি?
পৃথিবী মানে বাউলদের কাছে, সুফিদের কাছে ৩ টা জিনিস।
১. খাবারের প্রতি বিলাসিতা দূর করা।
২. বিলাসিতার প্রতি লোভ দূর করা।
৩. নারী বা পুরুষের প্রতি লোভ দূর করা।
বাউল কিংবা সুফি দুজনের উদ্দেশ্য এক। ডেস্টিনেশন এক। যে জল বৃষ্টি হয়ে পৃথিবীতে আসলো সেও মহাসাগরের সাথে মিশতে চায়।যে জল ঝরনা হয়ে পৃথিবীতে আসলো সেও মহাসাগরের সাথে মিশতে চায়। তাই বাউল কিংবা সুফির উদ্দেশ্য হলো-- মহাসাগরের সাথে মিশে যাওয়া।
আমি যে তোমার
তুমি যে আমার
আমি যেন দেহ
তুমি আমার আত্মা
লোকে যেন বলে না
তুমি আর আমি ভিন্ন সত্তা
পৃথিবীতে থেকে পৃথিবীকে দেখা যায় না। যেমনভাবে ট্রেনের ভেতর থেকে ট্রেন দেখা যায় না, বিমানের ভেতর থেকেও বিমান দেখা যায় না। ট্রেনের ভেতর থেকে ট্রেন একটি কক্ষ মাত্র, বিমানের ভেতর থেকে বিমান একটা কক্ষ মাত্র। তাই, পৃথিবীকে জয় করার পরই সম্পূর্ন পৃথিবী তার কাছে ধরা দেয়।"মান লাহুল মাওলা ফালা হুল কুল"। সম্পূর্ণরূপে পৃথিবী তার কাছে ধরা দেয়।
পৃথিবীকে জয় করা মানে কি?
পৃথিবীকে জয় করা মানে হল ৩টা দিক।
১. খাবারের প্রতি লোভ দূর করা।
২. বিলাসিতার প্রতি লোভ দূর করা।
৩. শিব বা শিবানীর প্রতি লোভ দূর করা/ নারী বা পুরুষের প্রতি লোভ দূর করা।
বাউলরা বা সুফিরা যখন সাধনায় নামে তখন প্রথমেই খাবারের প্রতি লোভ ইচ্ছাকৃতভাবে আস্তে আস্তে দূর হয়ে যায়। বিলাসিতার প্রতি লোভটা আরও দ্রুত দূর হয়ে যায়। কিন্তু একটা লোভ দূর করা যায় না। এটা হলো নারী বা পুরুষের প্রতি লোভ। এখানে বাউলরা কি করেন? সূফিদের আরেকটা আলাদা পদ্ধতি আছে। বাউলরা গুরু-শিষ্য পরম্পরার মধ্যদিয়ে নদীতে নামেন। যখন নদীতে নামেন একবার, দুইবার, তিনবার জল খেয়ে ফেলে। পানি খেয়ে ফেলে। যখন জল খেয়ে ফেলে? খাওয়ার পর একসময় আর জল খায় না। ভেসে থাকতে পারে। জলের উপর ভেসে থাকতে পারে। যতক্ষন ভেসে থাকা ততক্ষনই জীবন। জলের উপর ভেসে থাকতে পারে। সবাই যে পারে বিষয়টা এমনও না। অনেকেই ডুবে যায়।
এই যে জলের উপর ভেসে থাকতে পারা এটা হলো বাউলদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন সাধনা। কারন শ্বাস নেয়া ও শ্বাস ছাড়ার মধ্যে, প্রশ্বাস এবং নিশ্বাসের মধ্যে একটা ছোট্ট বিরতি আছে। বাউলদের কাজ হলো এই বিরতিটাকে ধীরে-ধীরে, ধীরে-ধীরে, ধীরে-ধীরে বড় করা। নারী-পুরুষ যখন সাধারনত কাছে আসে শ্বাস-প্রশ্বাস আরও ঘন হয়ে আসে। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে গেলে শ্বাস-প্রশ্বাস আরও ঘন হয়ে আসে। বাউলদের কাজ হলো এই শ্বাস-প্রশ্বাসটা ধীরে-ধীরে, ধীরে-ধীরে,ধীরে-ধীরে দীর্ঘতর করা। দীর্ঘতর করার সাধনায় এরা থাকেন।
এখন এ সাধনা করতে গিয়ে একবার, দুইবার, তিনবার জল খেয়ে ফেলে। মানে বীর্যপাত হয়ে যায়। বাউলরা মনে করে বীর্যপাত করা মহাপাপ। জীবন ক্ষয় করা। বীর্য মানে তাদের কাছে জীবন। জমিতে আমরা কখন ফসল ফলাই? জমিতে আমরা তখনই ফসল ফলাই যখন ফসল ফলানোর প্রয়োজন হয়। ফসল ফলানোর প্রয়োজন যখন হয় তখনই আমরা জমিতে বীজ ফেলি। অন্যথায় বীজ ফেলা অপচয়। ঠিক তেমনি বীজ বা বীর্য তখনই শুক্রানু-ডিম্বানু খেলা খেলতে পারে যখন প্রয়োজন হয়। পৃথিবীতে সন্তান আনার প্রয়োজন হয়। সন্তান আনা ব্যতীত বাউলরা বীজ অপচয় করেন না; সংরক্ষন করেন।
বীজ যদি সংরক্ষন করা হয় তাহলে কি হবে? বীজ যেমন পৃথিবীতে এসে সন্তান উৎপাদন করে ঠিক তেমনি দেহের ভেতরে থেকেও বীজ গাছ উৎপাদন করে। সন্তান উৎপাদন করে। সুফিরা এই সন্তানকে বলে ' তিফফুল মানি'। পবিত্র সন্তান। আর বাউলরা এটাকে বলেন সাঁইরূপে নিজেকে দেখা।(গারমু এহছার বার তার ফরম / ফুরুগে তাজ্জালি বুছুজাত ফরম)।
যতই বীজ সংরক্ষন করতে থাকে, নিজের ভেতরে আরেকটা সত্তার জন্ম হতে থাকে। আরেকটা ভাবের জন্ম হতে থাকে। ভাবটা গুরুত্বপূর্ন। বাউলরা যখন গান গায়, এরা সুর গায় না। ভাব গায়। কোনো কোনো জায়গায় এই ভাবটাকে শখ বলে। শখের বাংলা ইচ্ছা হিসেবে আসে। অনেকে শখকে ইচ্ছা হিসেবে বলে। না। শখটা হলো ভাবেরই ভিন্নরূপ। একটা গান আছে এমন
চিংড়ি মাছের ভেতর কাড়া তাই ডালেছি ঘি
আরে নিজের হাতে ভাব ছাড়েছি ভাবলে হবে কি
চালুর চুলা লম্বা কচা কুলি কুলি যায়
দেখি সামের বিবেচনা কার ঘরে সামায়
বলতেছে যে, ভুল করে আমি ভাব ছেড়ে দিয়েছি। বীর্য ছেড়ে দিয়েছি। বীজ ছেড়ে দিয়েছি। এখন তো ভাবলে কিছুই হবে না। সময় চলে গেছে। তাই, এই বীর্য সংরক্ষনের বিষয়টা বাউল সাধনায় খুব তাৎপর্যপূর্ন। যখন বীজ সংরক্ষণ করে ফেলতে পারে, জলে যখন সাঁতার কাটতে পারে
শ্যাম সায়রে নাইতে যাবি
গায়ের বসন ভিজবে ক্যানে
যখন নদীতে জলে সাঁতার কাটতে পারে গায়ের বসন ভিজে না। কাপড় ভিজে না। বীজ অপচয় হয় না। তখন বাউলরা পৃথিবী জয় করে ফেলে। পৃথিবীকে জয় করার মানে হলো সে মহাকালের পথে যাত্রা শুরু করে। মহাকালের পথে যাত্রা শুরু করার মানেই কিন্তু মহাকালে পৌঁছে যাওয়া না। আমি ফ্রান্সের পথে যাত্রা শুরু করলাম, এর মানে এই না আমি ফ্রান্সে পৌঁছে গেলাম। On the way to France.
মহাকালের পথে যাত্রাপথিকের আরেক ধরনের দায়িত্ব। মহাকালের পথে যাত্রা করতে গিয়ে কেউ কেউ ফিরে আসতে পারে, কেউ কেউ আর ফিরে আসতে পারে না।'ফানাফিল্লাহ'। যেটাকে বলে প্রভুতে ফানাহ হয়ে যাওয়া। লীন হয়ে যাওয়া। ফকির। ফা কাফ র ইয়া। ফানা হয়ে যাওয়া। এখান থেকে কেউ কেউ পৃথিবীতে ফিরে এসে পৃথিবীর মানুষকে চিনতে পারে, কেউ কেউ পৃথিবীর মানুষকে আর চিনতে পারে না। মহাকালের পথে যাত্রা করে। মহাকালের পথে যাত্রা শুরু করার ২টি উপায়।
১. সচেতনভাবে।
২.অচেতনভাবে।
অচেতনভাবে যে মহাকালের পথে যাত্রা করে এটার নাম হলো মৃত্যু। আর সচেতনভাবে যে মহাকালের পথে যাত্রা করে এটাকে বলে ফানাফিল্লাহ। নির্বান লাভ।এটাকে বলে আরশীনগরের দেখা পাওয়া। 'বাড়ির পাশে আরশীনগর/ এক পরশী বসত করে'। পড়শির দেখা পাওয়া। আর এমনিতেই-
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই-- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণগগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে
রহিনু পড়ি--
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
আমি মহাকালের সাথে মিশে যাই।আর আমার দুনিয়ার অর্জন ফসল হিসাবে পৃথিবীতে পড়ে থাকে। আর যখন সচেতনভাবে যায় কেউ, তখন পৃথিবীকে জয় করে যায়। মায়ের পেটে,মায়ের জঠরে আমরা কোথা থেকে আসলাম আমরা যেমন বলতে পারি না। ঠিক তেমনি পৃথিবীর মা থেকে যখন আমরা চলে যাই আমরাও বলতে পারি না। কিন্তু মহাকালের পথে যখন কেউ জেনে যাত্রা করে, তখন সে বলতে পারে সে কোথায় যাচ্ছে। এবং কোথাও যে যাচ্ছে এটা হলো প্রত্যেকের জ্ঞান অনুযায়ী যাওয়া। প্রত্যেকের ভাব অনুযায়ী যাওয়া। প্রত্যেকের শখ অনুযায়ী যাওয়া। যার ভাব যত প্রগাঢ়, যার ভাবের যত স্পেস বেশি, জায়গা বেশি, তার যাওয়ার জায়গাটা তত বেশি।
তাই বাউলদের প্রথম এবং প্রাথমিক সাধনা হলো পৃথিবী জয় করার সাধনা। পৃথিবী জয় করার সাধনা, জয় করার পরে তারা মহাকালের পথে যাত্রা করে।
হুমায়ূন আহমেদ যে হিমু ক্যারেক্টারটা নির্মান করেছেন,এই হিমু মূলত মহাকালের পথে যাত্রা করা এক পথিক। সে মহাপুরুষ না। মহাপুরুষ হলো ঐ লোক যে মহাকালে লীন হয়ে গেছে। প্রশ্ন আসতে পারে, তার তো কোন সাধন সঙ্গী নাই। তারও সাধন সঙ্গী আছে।রূপা।
রূপা তুমি কোথায়?
আমি ঘরেই আছি।
তুমি বারান্দায় এসে দাঁড়াবা?
রাত ৩টা। গভীর রাত। রূপা জানে হিমু আসবে না। তারপরও সে নীল শাড়ি পড়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকে। কেনো? কারন হলো এই - তাদের, ঐ হিমু এবং রূপার মধ্যে একটা সাধনার পর্যায় ছিল। এই সাধনার পর্যায়টা, যেহেতু এই সমাজ বাউলদের সাধন পর্যায়টা নেয় না শুধু মহাকালের পথে যাত্রাটা নেয়। তাই হুমায়ূন আহমেদ এই সাধন প্রক্রিয়া দেখায়নি। কিন্তু সে বিষয়টা দেখাইলো কি? রূপা হল তার ভাবসঙ্গী। দেহসঙ্গী না। তা, ভাবসঙ্গী কখন হয়? দেহ সঙ্গীর পর।
তাহলে বাউল কিংবা সুফি যারাই মহাকালের পথে লীন হতে চায়, মহাকালে নিজেকে রাখতে চায়, তাদেরকে পৃথিবীটাকে জয় করতে হয়।
পৃথিবীটাকে জয় করার পর মহাকালের পথে আদিম অন্ধকার, আদিম অন্ধকার, আদিম অন্ধকারের দিকে তারা এগিয়ে যায়। থাকে শুধু অন্ধকার, থাকে শুধু অন্ধকার, থাকে শুধু অন্ধকার মুখোমুখি বসিবার 'বনলতা সেন'।
শনিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৯
মানুষ এখন
মানুষ এখন অনেক মানুষ কম মানুষকে চিনে
আসল সোনা বিক্রি করে নকল সোনা কিনে
আসল সোনা বিক্রি করে নকল সোনা কিনে
তুমিও
তুমিও দেখি সুন্দরভরা রোদ
হাসির পাতায় উষ্ণ নরম বুক
হাসির পাতায় উষ্ণ নরম বুক
শুক্রবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৯
আমাদের প্রজা
রাতে দাঁত ব্রাশ করা থেকে সাবধান! আপনার মুখের ভেতর যে পোকারা আছে আপনি তাদের রাজা। আপনি ঘুমিয়ে গেলে প্রজারা ঘুম থেকে জেগে ওঠে এবং দাঁতের ভেতর, মাড়ির আশেপাশে যে খাবার জমা থাকে তা খেয়ে তারা ঘুমিয়ে যায় শান্তিতে। ফলে আপনার দাঁতও থাকে অক্ষত।
আর যদি আপনি ব্রাশ করে দাঁত পরিষ্কার করে ফেলেন তাহলে মহা বিপদ। প্রজারা এসে খাবার পায়না। ফলে তারা বিদ্রোহ করে বসে। রাজ্যের প্রধান প্রাচীরে (দাঁতে) আঘাত আনে। আঘাতে আঘাতে আপনার দাঁত, আপনার মাড়ি ক্ষমতাচূত হয়ে পড়ে। আর একবার ক্ষমতা হারালে আর ক্ষমতা ফিরে আসে না।
তাই রাতে ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন, আপনার মুখের ভেতরের প্রজাদের খাবার নিশ্চিত করুন, তাহলেই আপনি অক্ষত রাজা থাকবেন আমৃত্যু।
আর যদি আপনি ব্রাশ করে দাঁত পরিষ্কার করে ফেলেন তাহলে মহা বিপদ। প্রজারা এসে খাবার পায়না। ফলে তারা বিদ্রোহ করে বসে। রাজ্যের প্রধান প্রাচীরে (দাঁতে) আঘাত আনে। আঘাতে আঘাতে আপনার দাঁত, আপনার মাড়ি ক্ষমতাচূত হয়ে পড়ে। আর একবার ক্ষমতা হারালে আর ক্ষমতা ফিরে আসে না।
তাই রাতে ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন, আপনার মুখের ভেতরের প্রজাদের খাবার নিশ্চিত করুন, তাহলেই আপনি অক্ষত রাজা থাকবেন আমৃত্যু।
মঙ্গলবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৯
আমার মা
আমার জীবনের প্রথম বিদ্যালয় আমার মা, আমার বিদ্যালয়ের আমার প্রথম পাঠ আমার মা, আমার প্রথম পাঠের প্রথম বর্ন আমার মা
রবিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৯
মাটিঘর
মাটিঘর দরজা
একবার বের হই
একবার ঢুকে যাই
একবার জীবিত
একবার মৃত
একবার বের হই
একবার ঢুকে যাই
একবার জীবিত
একবার মৃত
শুক্রবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৯
আমাকে কোনো কারন জিজ্ঞেস করা যায় না
যে কোনো কারনে আকাশে ফাটল দেখা দিতে পারে
যে কোনো কারনে আপনার উঠোনে নামতে পারে মেঘভর্তি আকাশ
যে কোনো কারনে আপনার প্রেমিকা যেতে পারে হোটেলে অনেক রাতে যে কারো সাথে কিংবা ছিমছাম ফ্লাটের হেরাম বিছানে
যে কোনো কারনে রাস্তাঘাট ফুটপাত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা হতে পারে আজ থেকে কিংবা যেকোনো পবিত্র বার থেকে
শবে বরাতের রাতে বৃষ্টির ফোঁটা পরতে পারে অনেকগুলি কোনো কারন ছাড়াই
সকালে সূর্য উঠার আগে আপনার প্রেমিকার বাম স্তনের ঠিক নিচে দেখতে পাবেন পাহাড় থেকে নেমে আসা বিছনাকান্দির পাথর
কোনো কারন জিজ্ঞেস করবেন না
আমাকে কোনো কারন জিজ্ঞেস করা যাবে না
স্কুলের শিক্ষকদের হাতে দেখবেন চক ডাস্টারের পরিবর্তে সেনাবাহিনী সেনাবাহিনী কুচকাওয়াজ
মিছিলে দেখবেন স্লোগানের পরিবর্তে মিডিয়া মিডিয়া টিআরপি
সবচেয়ে কালো মেয়েটা সাগরের দিকে হাঁটা শুরু করবে
হঠাৎ করে মানুষ শুরু করবে একটানা অনেকদিন ঘুমানো কিংবা জেগে থাকার প্রস্তুতি
কোনো কারন জিজ্ঞেস করবেন না
কোনো কারন অন্তত আমাকে জিজ্ঞেস করা যায় না
বিবাহিত পুরুষ ঘর ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসবে আর ঘরে থাকবে পরকীয়া ঠোঁট
চরে নামবে মধ্যরাত্রির জোছনা
ঘরে নামবে সূর্যকালীন আলোচনা
দেবল আলোচনা চলে যাবে দেবারির গোলপোস্টের এক কোনায়
বৃষ্টি হবে
মেঘ হবে
পাহাড় হবে
প্রেগন্যান্সি বাড়বে
সন্তান কমবে
জনগন বাড়বে
মানুষ কমবে
শীতের হাতে দেখা যাবে গর্ভবতী রাতবিতান
হাইড্রোজেন গুহায় গিয়ে সংসার করবে অনেক দিন পর পর
মথুরা বাজারে মিষ্টিসওদা বসবে
রাধা নয়
নয় কৃষ্ণ
সিংহ কিংবা বাঘের বাগানে গন্ধ নিবে মানুষ
'কেন কী ' বলে আমাকে কোনোকিছু জিজ্ঞেস করা যাবে না
আমাকে অন্তত কারন জিজ্ঞেস করা যায় না
যে কোনো কারনে আপনার উঠোনে নামতে পারে মেঘভর্তি আকাশ
যে কোনো কারনে আপনার প্রেমিকা যেতে পারে হোটেলে অনেক রাতে যে কারো সাথে কিংবা ছিমছাম ফ্লাটের হেরাম বিছানে
যে কোনো কারনে রাস্তাঘাট ফুটপাত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা হতে পারে আজ থেকে কিংবা যেকোনো পবিত্র বার থেকে
শবে বরাতের রাতে বৃষ্টির ফোঁটা পরতে পারে অনেকগুলি কোনো কারন ছাড়াই
সকালে সূর্য উঠার আগে আপনার প্রেমিকার বাম স্তনের ঠিক নিচে দেখতে পাবেন পাহাড় থেকে নেমে আসা বিছনাকান্দির পাথর
কোনো কারন জিজ্ঞেস করবেন না
আমাকে কোনো কারন জিজ্ঞেস করা যাবে না
স্কুলের শিক্ষকদের হাতে দেখবেন চক ডাস্টারের পরিবর্তে সেনাবাহিনী সেনাবাহিনী কুচকাওয়াজ
মিছিলে দেখবেন স্লোগানের পরিবর্তে মিডিয়া মিডিয়া টিআরপি
সবচেয়ে কালো মেয়েটা সাগরের দিকে হাঁটা শুরু করবে
হঠাৎ করে মানুষ শুরু করবে একটানা অনেকদিন ঘুমানো কিংবা জেগে থাকার প্রস্তুতি
কোনো কারন জিজ্ঞেস করবেন না
কোনো কারন অন্তত আমাকে জিজ্ঞেস করা যায় না
বিবাহিত পুরুষ ঘর ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসবে আর ঘরে থাকবে পরকীয়া ঠোঁট
চরে নামবে মধ্যরাত্রির জোছনা
ঘরে নামবে সূর্যকালীন আলোচনা
দেবল আলোচনা চলে যাবে দেবারির গোলপোস্টের এক কোনায়
বৃষ্টি হবে
মেঘ হবে
পাহাড় হবে
প্রেগন্যান্সি বাড়বে
সন্তান কমবে
জনগন বাড়বে
মানুষ কমবে
শীতের হাতে দেখা যাবে গর্ভবতী রাতবিতান
হাইড্রোজেন গুহায় গিয়ে সংসার করবে অনেক দিন পর পর
মথুরা বাজারে মিষ্টিসওদা বসবে
রাধা নয়
নয় কৃষ্ণ
সিংহ কিংবা বাঘের বাগানে গন্ধ নিবে মানুষ
'কেন কী ' বলে আমাকে কোনোকিছু জিজ্ঞেস করা যাবে না
আমাকে অন্তত কারন জিজ্ঞেস করা যায় না
বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৯
শব্দের বাড়ি ঘর (২)
বাইত (bait) ~ home, abode, dwelling place, habitat
বাড়ি>বাইত
নিতা(nita)~ take, having something or someone, intransitive verb of taking, take in, take up, reach for and hold, verb of second person
নেওয়া > নেয়া > নিতা
আমি (নিতাম nitam)~ first person
তুমি (নিতা nita)~ second person
সে (নিত nito)~ third person
আত (aot)~ hand
হাত > আত
মাতাত (matat) ~ on head, top, corner of something, margin, head corner of something or someone
মাথা > মাতা > মাতাত
কালহা (kalha)~ tomorrow
কাল > কালকে > কালকা > কালহা
কাহা (kaha)~ uncle
কাকা>কাহা
হেবলা (hebla)~ that time, past time, ago, aforetime , previous to
সেই বেলা > হেই বেলা > হে বেলা > হেবলা
গাঙ (gang)~ river, Ganges, stream
গঙ্গা > গাঙ
গাতা (gata)~ hole, dent, hollow, danger
গর্ত > গাতা
বাড়ি>বাইত
নিতা(nita)~ take, having something or someone, intransitive verb of taking, take in, take up, reach for and hold, verb of second person
নেওয়া > নেয়া > নিতা
আমি (নিতাম nitam)~ first person
তুমি (নিতা nita)~ second person
সে (নিত nito)~ third person
আত (aot)~ hand
হাত > আত
মাতাত (matat) ~ on head, top, corner of something, margin, head corner of something or someone
মাথা > মাতা > মাতাত
কালহা (kalha)~ tomorrow
কাল > কালকে > কালকা > কালহা
কাহা (kaha)~ uncle
কাকা>কাহা
হেবলা (hebla)~ that time, past time, ago, aforetime , previous to
সেই বেলা > হেই বেলা > হে বেলা > হেবলা
গাঙ (gang)~ river, Ganges, stream
গঙ্গা > গাঙ
গাতা (gata)~ hole, dent, hollow, danger
গর্ত > গাতা
বুধবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৯
প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্তত বুদ্ধিমতী, বুদ্ধিমতী প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই ভাবেন না তাঁর জনগন বোকা
মঙ্গলবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৯
নেচার
প্রকৃতির কোনো নিজস্ব আদালত নেই। প্রকৃতির নিজস্ব পুলিশ বাহিনী নেই। প্রকৃতির কোনো নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনীও নেই। প্রকৃতির আছে নিজস্ব চলার গতি বা নিয়ম। প্রকৃতির প্রত্যেক নিয়মে শুরু ও সমাপ্তি রয়েছে, পুরস্কার ও তিরস্কার রয়েছে।
বিপ্রতীপ
নদী ডুবে গেল বালুতে
সূর্য মারা গেল আলোতে
সূর্য মারা গেল আলোতে
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)