ক্ষেতের কিনারে জলেছোঁয়া নদী
মধুপুর গ্রাম
আমাদের নৌকার বাতাস
কলমি শাক হাইচা গাছে মানুষের জীবন
মিনিপ্যাক ঢেউয়ের সারি
দূরে এক বন গাছের ঝুলে থাকা আসন্ন রাত
মাঝি তোমার গাঙ আমার বসে থাকা পাল
মাঝি তোমার জাল আমার পরানের মোড়কে মাছ আর মাছ
নির্জন নিরুপায় গানের সুরের তালে তালে মেঘনা বড় হচ্ছে প্রতি ঢেউয়ে পারিবারিক আবহে পাতামাখা রাত
মেশিনের নৌকা নৌকার প্রাচীন শব্দের আজান
মেঘলা স্বপ্নের দুরারোগ্য দর্বৃষ্টিপাত
সব মিলিয়ে যায় অন্ধকারের মতো দিনের ভেতরে
সব তলিয়ে যায় দিনের মতো অন্ধকারের ভেতরে
বসে থাকা পাখি
গান গাওয়া দিন
কতিপয় আলো
হাসি আর কান্নার রাত একদিন একদিন করে নদী আর আকাশ মিলে যাওয়ার মতো মুহূর্তে চিকন ডাক শুনতে পাচ্ছে সময়
সে আসবে
আমিও যাবো
সে যাবে আমিও আসবো
অনেক নীরব জলে ভেসে থেকে দেখেছি জীবনের গান এক আজব হরফ -- ও এ ক খ
ছায়ার বাড়িতে নেমে আসা রোদ কল্প লতা গান
শীতল জলে গাংচিল নোনায়িত জীবন
আজকাল জাগ্রত আশা পশ্চিমের আকাশে ডুবে যায়
পাতার আড়ালে রোদের কাপড় হয়ে শীতকাল আসে বছর বছর
আমার বছরে তোমার গরম কাল
তোমার শীতকালে ব্যাঙ ডাকে
দূরে আলো দেখা যায় রোম মাপ তাপে
দূরে শ্যামাজলবতী মেঘের ডাক
শুনতে পাই বলতে পারি না তারে
ভালোবাসি কক্ষের ছায়া কোষের প্রেম
প্রেমে মরে না মানুষ
প্রেমে বাঁচে না কোকিল
মরে গেলেও অন্ধকার ঘরে জল ফেলে সময়
সময়ের প্রশ্নে
সময়ের জিজ্ঞাসার কাছে আলোর পাখা বিরতিহীন
তারার পাশে নতজানু আকাশ
তারপর দেখা যাবে দেয়ালের সুখ
আমি তাই গান গেয়ে যাই
তুমি নীরবে বসে বানাও মন ও আলোর ঘর
শেষ হয়ে যায়
শেষ হয়ে যায়
শেষ হয়ে যায় সবকিছু তোমাদের গ্রাম শহর নদী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন