বুধবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

জমির মিয়ার বাঘ

জঙ্গলের পাশেই তার বাড়ি। জমির মিয়ার বাড়ি। তাতে সুবিধা আছে অসুবিধাও আছে। জঙ্গলে সাপ আছে বাঘও আছে। জমির মিয়া ছাগল পালে। বাঘ প্রায় তার ছাগল খেয়ে ফেলে। তাতে জমির মিয়ার কষ্ট বাড়ে-- আর্থিক ও মানসিক কষ্ট।

কীভাবে জমির মিয়া ছাগলকে বাঘের নখ থেকে রক্ষা করবে ভাবে,ভাবতে থাকে। কোনো বুদ্ধি তার মাথায় খাবি খায় না। সে পারে একটা একটা করে বাঘ মেরে ফেলতে। কিন্তু সে মৃত্যুবোয়াল হতে চায় না।

একদিনের ঘটনা। সকালে ঘন গভীর কুয়াশা। দুই হাতের সামনে তিন হাত দেখা যায় না। বাঘ আসে। সাথে আসে তার বাচ্চা। বাঘ জমির মিয়া ছাগল খেয়ে চলে যায়। কিন্তু তার বাচ্চা যেতে পারে না। কুয়াশা চলে গেলেও বাচ্চা থেকে যায়।

জমির মিয়া বাঘের বাচ্চাকে অত্যন্ত স্নেহধন্য করে বড় করতে থাকে। ছাগল আর বাঘের বাচ্চাটি একসঙ্গে লালিত পালিত হতে থাকে। যদিও বাঘের বাচ্চাটি এক্সট্রা কেয়ার পায়।

বাঘের বাচ্চা এখন আর বাঘের বাচ্চা না। এখন সে ছাগলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এখন সে অনেক শক্তিশালী এক বাঘ। কিন্তু সে ছাগল খায় না। জমির মিয়া তাকে যে খাবার খেতে শিক্ষা দিয়েছে তাই সে খায়। এখন ছাগলের পাল আর বাঘটি একসঙ্গে মাঠে যায় একসঙ্গে বাড়ি ফিরে আসে। বন থেকে ক্ষুধার্ত বাঘ ছাগলের দিকে তাকায় কিন্তু ছাগলপালে আসার সাহস পায় না।

জমির মিয়ার বাঘ চিনে না বনের বাঘ কারা, বনের বাঘ জানতে পারে না ছাগলপালে বাঘটি কী বনের না মনের!?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন