তিতাস। তিতাস একটি ট্রেনের নাম। তিতাস একটি আনন্দের নামও বটে। তিতাস আছে বলেই অনেক অফিসার বাড়ি থেকে গিয়ে অফিস করতে পারে, ঢাকার মতো ডেড সিটিতে বসবাস করতে হয় না। তবে তিতাস ট্রেনের ভীড় ঢাকার মতোই-- পা রাখতে গেলে হিসাব করতে হয়। কারন পা রাখতে গেলে পা হয় আগুনে পড়বে নয় আরেকটা পায়ের উপর পড়বে।
আমি সিট পেয়েছি কিন্তু ভীড়ে প্রচন্ড মাতন্ড প্রায়। ভীড় কেটে কোনোক্রমে দরজায় পা রাখলাম। টিকেট কাটতে গেলে কাউন্টারে সিটওয়ালা টিকেট নাই। বললাম 'দেখেন না পারেন কিনা'। বলল 'আরেকদিন আইসেন, দেখবো দিতে পারি কিনা'।
মনটা বেজার হয়ে গেল। আমার মন বেজার দেখে আল্লা সাথে সাথে ফেরেশতা পাঠায় দিলেন।
ফেরেশতা বলল 'কই যাবেন'।
ঢাকা যাবো।
দেন টাকা দেন।
টাকা দিলাম এবং সিটওয়ালা টিকেট পেলাম।
টাকা থাকলেই টিকেট পাওয়া যায় না। চাহিদা ও যোগান রেখা যাদের ভালো ধারনায় আছে তারা বিষয়টা ভালো বুঝতে পারবেন। আমি সিট পেলাম চাহিদা ও যোগান রেখার বাইরে ফেরেশতা রেখায়।
সিট ত পেলাম। কিন্তু সিটে যাবো কী রে? তার উপরে আমার সামনে দুজন নারী-- তাদের কাপড়ের চেয়ে শরীর বেশি দেখা যায়। ফলে ভীড় ত আছেই ভীড় নির্মান করে রাখার চেষ্টা আরও বেশি। বুঝতে পারলাম যেমন করেই হোক ভীড় ভাঙতেই হবে।
শুরু করলাম মিশন। মিশন ব্যর্থ হতে পারে না। দুজন নারীর মাঝখানে আমি। আমার সামনে বৃদ্ধ চাচা। চাচার হাতে ব্যাগ। চাচাকে অতিক্রম করতে পারলেই দরজা এলাকার ভীড় নষ্ট হয়ে যাবে।
মেয়ে দুজনের সবপাশে পুরুষ মাঝখানে আমি। মেয়ে দুইজন এমন করে মুখে পাউডার দিছে রীতিমতো কেরাম খেলা যাবে। তাদের মাঝখান থেকে যেতে পারলে আমিও বেঁচে যাই তারাও বেঁচে যায়। চাচাকে অতিক্রম করতে যাবো এমন সময় চাচার প্লাস্টিকের ব্যাগ ছিদ্র হয়ে সাদা সাদা কি যেন আমার শরীরে পড়তে থাকে! দুধ। ট্রেনে আমার দুধস্নান হয়ে গেলো। দুধের কাঁচা গন্ধ সবাই সহ্য করতে পারে না। আস্তে আস্তে কৃত্রিম ভীড় নষ্ট হয়ে গেলো। আমি সিটে গিয়ে বসে গেলাম নারী দুজনও সুন্দর করে সিটে গিয়ে বসে।
কয়েক লিটার দুধ কয়েকজন মানুষের জীবনে আরাম নিয়ে আসে। বুঝতে পারলাম শান্তির জন্য ত্যাগ করতে হয়-- হয় দুধ নয় রক্ত!
আমি সিট পেয়েছি কিন্তু ভীড়ে প্রচন্ড মাতন্ড প্রায়। ভীড় কেটে কোনোক্রমে দরজায় পা রাখলাম। টিকেট কাটতে গেলে কাউন্টারে সিটওয়ালা টিকেট নাই। বললাম 'দেখেন না পারেন কিনা'। বলল 'আরেকদিন আইসেন, দেখবো দিতে পারি কিনা'।
মনটা বেজার হয়ে গেল। আমার মন বেজার দেখে আল্লা সাথে সাথে ফেরেশতা পাঠায় দিলেন।
ফেরেশতা বলল 'কই যাবেন'।
ঢাকা যাবো।
দেন টাকা দেন।
টাকা দিলাম এবং সিটওয়ালা টিকেট পেলাম।
টাকা থাকলেই টিকেট পাওয়া যায় না। চাহিদা ও যোগান রেখা যাদের ভালো ধারনায় আছে তারা বিষয়টা ভালো বুঝতে পারবেন। আমি সিট পেলাম চাহিদা ও যোগান রেখার বাইরে ফেরেশতা রেখায়।
সিট ত পেলাম। কিন্তু সিটে যাবো কী রে? তার উপরে আমার সামনে দুজন নারী-- তাদের কাপড়ের চেয়ে শরীর বেশি দেখা যায়। ফলে ভীড় ত আছেই ভীড় নির্মান করে রাখার চেষ্টা আরও বেশি। বুঝতে পারলাম যেমন করেই হোক ভীড় ভাঙতেই হবে।
শুরু করলাম মিশন। মিশন ব্যর্থ হতে পারে না। দুজন নারীর মাঝখানে আমি। আমার সামনে বৃদ্ধ চাচা। চাচার হাতে ব্যাগ। চাচাকে অতিক্রম করতে পারলেই দরজা এলাকার ভীড় নষ্ট হয়ে যাবে।
মেয়ে দুজনের সবপাশে পুরুষ মাঝখানে আমি। মেয়ে দুইজন এমন করে মুখে পাউডার দিছে রীতিমতো কেরাম খেলা যাবে। তাদের মাঝখান থেকে যেতে পারলে আমিও বেঁচে যাই তারাও বেঁচে যায়। চাচাকে অতিক্রম করতে যাবো এমন সময় চাচার প্লাস্টিকের ব্যাগ ছিদ্র হয়ে সাদা সাদা কি যেন আমার শরীরে পড়তে থাকে! দুধ। ট্রেনে আমার দুধস্নান হয়ে গেলো। দুধের কাঁচা গন্ধ সবাই সহ্য করতে পারে না। আস্তে আস্তে কৃত্রিম ভীড় নষ্ট হয়ে গেলো। আমি সিটে গিয়ে বসে গেলাম নারী দুজনও সুন্দর করে সিটে গিয়ে বসে।
কয়েক লিটার দুধ কয়েকজন মানুষের জীবনে আরাম নিয়ে আসে। বুঝতে পারলাম শান্তির জন্য ত্যাগ করতে হয়-- হয় দুধ নয় রক্ত!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন