শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮

পেরেকের দাগ

ফিরোজা বেগম। গ্রামের সহজ সরল মানুষ। তার তিন মেয়ে এক ছেলে। তার একটি মাত্র স্বামী। স্বামী বাইক দুর্ঘটনায় একটি পা হারায়। ছেলেটি পৃথিবীর সার্কাস বুঝার আগেই সংসারের হাল ধরেছে। ফিরোজা বেগম যথেষ্ট সুন্দরীও বটে। সে কোনোদিন স্কুলের বারান্দায় যায়নি। নারী যখন সুন্দরী হয় এবং অশিক্ষিত হয় তখন গ্রামীন জীবনে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। তাছাড়া গরীবের বউ এমনিতেই সবার ভাবী। তাছাড়া সম্পদ যেখানে থাকে সেখানে পিঁপড়ার দলাদলি ভয়ঙ্করভাবে লক্ষ করা যায়। পুরুষতন্ত্র নারীকেও সম্পত্তি মনে করে। সুন্দরী নারী ত শুধু সম্পত্তি নয় সম্পদও বটে।

অশিক্ষার অভিশাপ, সুন্দর দেহের অভিশাপ, দারিদ্র্যের অভিশাপ নিয়ে ফিরোজা বেগমকে অনেক জটিল কুটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। প্রত্যেকটি পরিস্থিতি টেকেল দিতে তার মৃত্যুর মতো যন্ত্রনা সহ্য করতে হয়। মৃত্যু যন্ত্রনা কেমন জানি না কিন্তু যত যন্ত্রনার নাম শুনেছি তার মধ্যে মৃত্যু যন্ত্রনা নাকি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। তাই উপমা হিসাবে মৃত্যু যন্ত্রনার কথা আনলাম।

একদিনের ঘটনা। ফিরোজা বেগম স্নান করে তারে কাপড় নাড়ছে। এমন সময় এক কাপড় ব্যবসায়ী হাক দেয় "কাফর  লাগবে কাফর"। ফিরোজা বেগমের দৃষ্টি কাপড় ব্যবসায়ীর দিকে যায়। কাপড় ব্যবসায়ীর দৃষ্টি ফিরোজা বেগমের চুল থেকে টুপটাপ জল পড়ে যে সেলোয়ার কামিজের কিছু জায়গায় ভিজে গেছে সেই জায়গায়। সুতি কাপড় ভিজে গেলে চামড়ার সাথে লেগে যায় তখন কাপড় আর চামড়া মিলে তৃতীয় মাত্রার ভোগীয় আবেদন নির্মিত হয়।

ফিরোজা বেগম আবার প্রতিদিন রাতে নিয়ম করে চোখে সুরমা দেয়। তার স্বামী সুরমাভরা চোখ দেখতে বেশ আরাম পায়। স্বামীর আরামের জন্যই মূলত সে চোখে সুরমা দেয়।

গ্রামের মানুষ চোখে সুরমা দেয়াকে পুন্যের কাজ মনে করে। তারা মনে করে মুসা নবী আর আল্লার প্রেমে তুর পাহাড় জ্বলে যায়। তুর পাহাড় জ্বলে যে ছাই হয় সেই ছাই থেকে সুরমার সৃষ্টি। তাই সুরমা কোনো পৃথিবীর বিষয় নয় স্বয়ং জান্নাতি নিয়ামত। বেহেশতের হুরদের চোখে সুরমা থাকবে এমন কথাও কোনো কোনো আলেমে দ্বীন প্রচার করে। গভীর রাতে যখন ফিরোজা বেগমের স্বামী নিয়াজ রহমান বউকে বুকে টেনে নেয় তখন হুর গেলমানের স্বাদ অনুভব করতে থাকে এবং তার জন্য অনেকাংশে দায়ী এই তুর পাহাড়ের সুরমা।

স্নান শেষ করে যখন ফিরোজা বেগম উঠানে বের হয় তখন কিন্তু তার চোখে আর সুরমা থাকে না, থাকে সুরমার লেশ। সুরমালেশ চোখে ফিরোজা বেগমকে আর হুর হুর মনে হয় না, মনে হয় পুরি। চোখের সামনে এমন জ্যালজ্যান্ত পুরী দেখে কাপড় ব্যবসায়ী মহব্বত মিয়ার মাথা ঠিক থাকতে চায় না। মহব্বত মিয়া ক্যামনে এই পুরীনৌকায় পেরেক ঢুকাবে এই চিন্তায় অস্থির।

ও মিয়া কী কাফর আছে?

মাগো, আমি মুনিপুরি শাড়ি বিক্রি করি।

হাওয়াই মিঠাই রঙের শাড়ি আর মনিপুরি শাড়ির প্রতি ফিরোজা বেগমের বেশ টান।  মনিপুরি শাড়ি পরে যখন সে পান চিবায় তখন মনে মনে এক অনিন্দ্যনিত্য আনন্দ অনুভব করতে থাকে। মনিপুরি শাড়ি সে একবারই উপহার পেয়েছিল। তাও পাশের গ্রামের করিম মিয়ার কাছ থেকে। করিম মিয়া বিবাহিত পুরুষ। পাঁচ সন্তানের বাপ। লুচ্চা হিসাবে গ্রামের মানুষের কাছে তার বেশ খ্যাতি রয়েছে। লুচ্চা করিম মিয়া কেন ফিরোজা বেগমের ঘরে পেরেক মেরে বসেছিল তার একটা ইতিহাস কিংবা আখ্যান অথবা গল্প ত আছেই।


ইতিমধ্যে তিন সন্তানের বাপ হয়েছে নিয়াজ রহমান। গ্রামে তার মুদির দোকান। সারাদিন দুই তিনশত টাকা পকেটে থাকে।

যে টেহা কামাও হে টেহা দিয়া সংসার চলে ক্যামনে?

তাইলে কি করমু, কও দেহি?

হেরা বারির দিলরুবার বাফ কি বালা টেহা পাটাচ্ছে প্রতি মাসে।

আমারে বিদেস যাইতে কইতাছ?

হ।

এলহা তাকতে ফারবা?

এলহা কিসের, আম্মা আছে না, আমার মাইয়াফুলা আছে না।


বউয়ের কথা শুনে নিয়াজ রহমান দালালের লগে যোগাযোগ করে। গ্রামের দালাল আবার আন্তর্জাতিক মানের টাউট। সে হয়তো একজন লোক বিদেশ নিতে পারবে কিন্তু এমন ভাব দেখায় যেন একশত জন লোক নিতে পারবে। ভাব ত বড় কথা না, সবার কাছ থেকে টাকাও নিবে। টাকা নিয়ে সব জনকেই দুইমাস পর পর ফ্লাইটের ডেইট দিবে।ডেইটের দিন ইয়ারপোর্ট নিবেও, নিয়ে গিয়ে দেড় দুই ঘন্টা বিমানবন্দরের আশেপাশে বসিয়ে রেখে বলবে ফ্লাইট ক্যানসেল-- আবহাওয়া খারাপ, বিমান দুর্ঘটনা হইছে, বিমানের তেল শেষ ইত্যাদি ইত্যাদি।

তখন একটি মজার ঘটনা ঘটে-- লোকটি বিদেশ যাবে বলে বাড়ির ছোট বড় সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়েছে, লোকটির মা বউ এক সপ্তাহ আগে থেকে কান্নাকাটি শুরু করেছে। স্বামীকে বিদায় করে দরজা বন্ধ করে হাউমাউ করে কান্নাকাটি করছে আর ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ে বাড়ির উপর দিয়ে কোনো হেলিকপ্টার গেলেও বউ ভাবে এই বিমান দিয়ে স্বামী তার বিদেশ যাচ্ছে।

বউ সন্তান মা যখন ভাবছে তার স্বামী তার বাপ তার সন্তান বিদেশ চলে গ্যাছে এমন সময় সে বাড়িতে হাজির। বাড়ির কেউ প্রথমে তাদের চোখকে বিশ্বাস করতে চায় না, পরে দালালের উপস্থিতি দেখে আস্তে আস্তে বিশ্বাস করতে শিখে তাদের কর্তা বিদেশ যেতে পারেনি। এইভাবে কয়েকবার ফ্লাইট ক্যানসেল হওয়া পর দালালরে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। তারপর কয়েকবছর পর দেনধরবার করে অর্ধেক টাকা হাসিল করা যায় বাকি অর্ধেক টাকা বিমান খেয়ে ফেলে।

নিয়াজ রহমানের টাকা কিন্তু বিমানে খায়নি। কারন ফিরোজা বেগমকে করিম মিয়ার প্রথম দেখাতেই ভালো লাগে। করিম মিয়াও চাচ্ছিল নিয়াজ রহমান বিদেশে গিয়ে থাকুক কয়েক বছর। নিয়াজ রহমান তাই যথাসময়েই বিদেশ যায়। খুব দ্রুতই চলে যায়। গ্রামের মানুষ বলাবলি করছিল নিয়াজের কফালই বালা। আসলেই নিয়াজের বিদেশী কফাল বালাই ছিল, প্রতিমাসে বিশ চল্লিশ হাজার টাকা পাঠাইত। কিন্তু বিদেশে বেশিদিন থাকতে পারে নাই, এর জন্য দায়ী এই করিম মিয়া।

করিম মিয়া ফিরোজা বেগমরে লইয়্যা মার্কেটে যায়, সিনেমা হলে যায়, পীর ভাইয়ের বাড়ি যায়, বৃষ্টির রাইতে ফিরোজা বেগমের লাইগ্যা কাঁঠাল নিয়া আহে, মিষ্টি কাঁঠাল। এই মিষ্টি কাঁঠালের গন্ধ রিয়াদে অবস্থানরত নিয়াজ রহমানের নাকে গিয়া লাগে। তাই কাউকে নাজানাইয়া নিয়াজ রহমান একদিন  সকাল সকাল বাড়িতে হাজির। বাড়িতে এসে দেখে করিম মিয়ার মাথায় হওরার তেল দিয়ে দিচ্ছে ফিরোজা বেগম, তখনই চিৎকারে বাড়ি কাঁপিয়ে তুলে নিয়াজ রহমান। তারপর থেকে করিম মিয়ার আর দেখা নাই।


আজ মুনিপুরি শাড়িওয়ালাকে দেখে ফিরোজা বেগমের করিম মিয়ার কথা মনে পড়ে, বৃষ্টির রাইতের কথা মনে পড়ে, মিষ্টি কাঁঠালের কথা মনে পড়ে, মনে পড়ে করিম মিয়ার গরম শরীরের কথা। নারীশরীরে যে ঢেউ আছে আর সেই ঢেউ কাজে লাগিয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় এ বিষয়টি ফিরোজা বেগম প্রথমবারের মতো করিম মিয়ার কাছেই জানতে পারে। দুলদুলানি খেলায় ফেনা তুলার কাজটি করিম মিয়া ভালোই পারতো। এতো সব কারনেই লুচ্চা করিম ফিরোজা বেগমের মনে ঠাঁই করে নিয়েছিল। এখন আর করিম মিয়ার কথা ফিরোজা বেগমের মনে তেমন বাতাস কাটে না। গ্রামীন বউয়েরা আসলে চরের লাহান যার দখলে যায় তার কাছেই চাষযোগ্য জমি হয়ে ওঠে।

এ মুনিপুরি সারিডা কত টেহা?

মাগো তুমার লগে দামদর করা যাইব না, নিষেধ।

কেডা নিসেদ করছে?

আমার মাথার ওফরে ছেমার লাহান যিলা তাহে হিলা।

হিলা কেডা?

জ্বিনের বাদসা রাজিবদিন।

রাজিবদিনের নাম শুনে ফিরোজা বেগমের সইললে কাডা দিয়া ওডে। বহুদিন ধরে ফিরোজা বেগম একজন মানুষকে তালাশ করতেছে মনে মনে যার লগে জ্বিনের বিশেষ হাতির আছে। জ্বিন নয় একেবারে জ্বিনের বাদশার লগে হাতির আছে এমন মানুষ তার বাড়ি পর্যন্ত চলে আসবে এমনটা বিশ্বাস করার নয়। তাও ফিরোজা বেগম বিশ্বাস করতে চায়। আল্লার বিশেষ বান্দারা মনের খবর জানে এমন কথা ফিরোজা বেগম অনেকবার শুনেছে হুজুরদের কাছে।

বাজান আফনে আমরার ঘরে আইয়েন।

ঘরে যাওনের অনুমতি নাই মা।

বাজান আমরা কী পাফি, ঘরে কেরে যাইতেন না?

এ বাড়ির অফর দিয়া দেও আসা যাওয়া করে। এ বাড়িতে অনেক আগেই রাজা বাদশার বিল্ডিং ওটে যাইত, শুধু দেওয়ের কুনজরের কারনে কোনো উন্নতি নাই, কুফার পর কুফা লাইগগা তাহে।

অহন কি করা লাগব বাজান?

পানি আন।

পানির মধ্যে প্রায় আধা ঘন্টা তাকায়া থাকে মহব্বত। তারপর হাত রাখে পানিতে। তারপর এই পানি সবাইকে খেতে বলে।

বাজান পানি ত মিডা অইয়্যা গ্যাছে গা।

এডা পানি না, রাজিবদিন জ্বিন তার রাজ্য থেকে কুমকুম গাছের রস নিয়া আইছে এক মিনিট আগে, এই রস পানিতে দিলে পানি আর পানি থাকে না, কুমকুম বিজলি হয়ে যায়।

কুমকুম বিজলির নাম ফিরোজা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা আগে শুনেনি।  শুনে নাই বিধায় কুমকুম বিজলি তাদের কাছে জমজম কূপের পানির চেয়েও পবিত্র ও দেওদূরকারী বলে মনে হচ্ছে।

কুমকুম বিজলির পানি খাওয়ানোর পর বিনা টাকায় মুনিপুরি শাড়ি ফিরোজা বেগমের হাতে দিয়ে বিদায় নেয় মহব্বত।

মহব্বত এখন আর কাপড় ব্যবসায়ী মহব্বত না। এখন সে দরবেশ মহব্বত।
দরবেশ মহব্বতের জন্য এখন ফিরোজা বেগমের মন আনচান করতে থাকে। কত কথা জমা আছে তার মনে। কিন্তু বাড়ি থেকে দেও দূর হওয়ার আগ পর্যন্ত ত দরবেশ বাবা আসবে না।

সকাল থেকে রাত
 রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ফিরোজা বেগমের মনে এখন শুধু অপেক্ষা আর অপেক্ষা। দরবেশ বাবার অপেক্ষা। নিয়াজ রহমানও ইদানিং দরবেশ বাবারে নিয়া নানা রকম খোয়াব দেখা শুরু করেছে। একদিন নিয়াজ রহমানের ছেলে জিম খোয়াবে দেখছে দরবেশ বাবা তারে লয়ে আসমানের উপর দিয়া উড়ে উড়ে জ্বিনদের রাজ্যে যাইতেছে। এই খোয়াব জিম আবার তার মার কাছে কইছে। মা আবার জিমকে এই খোয়াবের কথা কারো কাছে কইতে নিষেধ করছে, তাতে নাকি খোয়াবের বরকত নষ্ট অইবো। জিম কারো কাছে এই বরকতময় খোয়াবের কথা বর্ননা করতে যায়নি। জিমের মাও এই দরবেশ বাবার কথা কারো সাথে শেয়ার করেনি, গর্ভের সন্তানের মতো ধরে রেখেছে মনে।

অন্ধকার রাত। মাঘ মাসের অন্ধকার রাত। গভীর ঘন কুয়াশা, গভীর ঘন অন্ধকার রাত। রাত দশটায় দরজায় কড়া নাড়ে কেউ একজন।

গ্রামের বাড়িতে শীতের মাসে রাত দশটা মানে অনেক রাত। তারপরও বেশি কড়া নাড়তে হয়নি দরবেশ বাবার। সকাল থেকেই একটা কাক ডাকতে ডাকতে বাড়ি প্রায় মাতিয়ে তুলে যা মেহমান আসার ইঙ্গিত বহন করে। তাই নিয়াজ রহমান পরিবারের একটা মানসিক প্রস্তুতি ছিল কেউ একজন আসবে।

দরজা খুলে জিম। দরবেশ বাবাকে দেখেই জিম আনন্দে আত্মহারা। পরিবারের সবাই গোল হয়ে বসে। ফিরোজা বেগম অনেক খাবার আপ্যায়ন করতে চায় কিন্তু রাতে সে কোনো খাবার খায় না, জ্বিনের বাদশার নিষেধ, এক ফোঁটা পানিও খায় না দরবেশ বাবা।

মা তুই মুনিপুরি শাড়িডা পরে এখানে আই, জ্বিনের বাদশার মুনিপুরি শাড়ি অনেক পছন্দ। আজগা জ্বিনের বাদশার লগে তরারে দেখা করামু।

ফিরোজা বেগম মুনিপুরি শাড়ি পরে এসে দরবেশ বাবার মুখোমুখি বসে। দরবেশ বাবার পাশে নিয়াজ রহমান। বাবার আরেকপাশে জিম, জিমের পাশে তার দুই বোন, নিয়াজ রহমানের পাশে তার এক মেয়ে।

ঘরের হগল লাইট নেভানো হয় বাবার আদেশে, বাবার আদেশে এক জগ পানি আনা হয়, দরবেশ বাবার আদেশে কেবল পাঁচটি মোমবাতি টেউ টেউ করে জ্বলতে থাকে। সবাইকে চোখ বন্ধ করতে বলে বাবা। বাবার কথামতো সবাই চোখ খুলে। তারপর দরবেশ বাবা কুমকুম বিজলি পান করতে বলে সবাইকে সহি নিয়তে। সবাই সহি নিয়তে বিসমিল্লাহ বলে কুমকুম বিজলি পান করতে থাকে। নিয়াজ রহমান সবার চেয়ে এক মগ বেশি পান করে কুমকুম বিজলি।
কুমকুম বিজলি পান করে সবাই জ্বিন বাদশার রাজ্যে  চলে যায়, ঘরে থাকে কেবল দরবেশ বাবা।

জ্বিনবাদশার রাজ্য থেকে তারা যখন পৃথিবীতে ফিরে আসে তখন তারা আর ঘরে নাই, তারা তখন হাসপাতালে। হাসপাতাল রুমের সবকটি পাখা ঘুরছে, শুধু ফিরোজা বেগমের বেডের উপরের লাল আর সবুজ রঙের পাখাটি ঘুরছে না, নষ্ট। ফিরোজা বেগমের পাশে বসা তার প্রতিবেশী চান্দামা। চান্দামা ফিরোজা বেগমের কপালে মোলায়েমভাবে আঙ্গুল নাড়ছে। নিয়াজ রহমান বউকে দেখামাত্র চোখ বন্ধ করে বেডের পাশে বসে পড়ে। ফিরোজা বেগমের মাংসে তখন অনেক পেরেকের দাগ!


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন