কাছে যেতে ভয় হয়
দূরে যেতে আরো
বিনয় মস্তকে ডাকি
আমারে তোমার করো
কাছে যেতে ভয় হয়
দূরে যেতে আরো
বিনয় মস্তকে ডাকি
আমারে তোমার করো
আমার প্রভুকে ডেকে জাগাতে হয় না— তিনি জেগেই থাকেন— আমি বরং প্রায়ই ঘুমিয়ে যাই— ঘুম থেকে জেগে গান ধরি না— কেমনে আমি নিতাই গঞ্জে যাই? আমি নিতাই গঞ্জে যাবো, না নিতাই গঞ্জ আমার কাছে আসবে তা আমার প্রভু ভালোই জানেন— বিশ্বাস করি তিনি উত্তম পরিকল্পনাকারী।
শুনেছি, না কানলে নাকি মাও দুধ দেয় না— মা পৃথিবীতে মানবিক গুন নিয়ে এসেছেন— মানবিক গুনের প্যারামিটার ধরে প্রভুর দয়া মাপতে যাবেন কেনো হে জ্ঞানী!? ডিম পারার পর মুরগির ডাক আপনার কাছে অসহ্য লাগে— আমার কাছেও। সৃষ্টির ডাক বুঝি না যে আমি সেই আমি স্রষ্টার ডাক বুঝে ফেলবো কেমনে বুঝলেন হে বক্তা!?
নীরবে যে ঝিনুক ব্যথা নিয়ে মুক্তা ফলায় তার কাছে বসে থাকি আরও নীরবে।
আমরা একটা নদী পালবো
সকাল বিকাল রাত দুপুরে
দিবো চুমু নিয়ম করে
নদীকে বেড়াতে নিয়ে যাবো
নদীর কান্না পেলে উপহার দিবো
নদীকে উপহার দিবো সূর্য
দিবো আধার রাতের জোছনা
নদীকে উপহার দিবো চৈত্র মাসের আশারি বৃষ্টি
নদীতে ভাসাবো থালার মতো প্রেমারি নৌকা
একটা পাহাড়ও থাকবে আমাদের পোষা নদীর ঘরে
রাতে ঘুম ভেঙে গেলে
গোধূলি নামলে চোখের ডানায়
নদীর চুলে বেড়াতে যাবো তোমাকে নিয়ে
তোমাকে নিয়ে বসে থাকবো জলের পাড়ে অনেকদিন
বসে থাকবো— চোখে চোখে
বসে থাকবো— হাতে হাতে
বসে থাকবো— কথায় কথায়
আমরা জানি
হাসতে গেলেও কাটা লাগে এই সমাজে
আমরা জানি
হাটতে গেলেও মুখে ধরে কথার ভাজে
তুমি আমি ঘর বানাবো সাগর ধরে নদীর পাড়ে
আমি দাড়ি আমি কমা
আমি পাপ আমিই ক্ষমা
আগে ছিলাম আলোর দেশে
এলাম এবার আজব বেশে
দেখতে দেখতে চিনবে না
চিনতে চিনতে দেখবে না
চিনতে গেলে সহজে
কমবে চাপ মগজে
কঠিন করলে জটিল হবে
বাড়বে ধোঁয়া এই ভবে
বরফ যেমন সূর্য পেলে
জলে মিশে আপন বলে
মিশেও যাও দয়াল চালে
দেখবে আকাশ সিজদা করে
সৃষ্টি ডাকে প্রনামভরে
মৃত্যু তোমার জন্ম নামে
পাখি হয়ে বসবে ধ্যানে