সামনে গাধা
পেছনে গাধা
চলছে গাধা মুলার টানে
ভাবছে গাধা জিতে গেছে আজকাল
জানে না গাধা
জানেনি কখনো
পরাজয়ের পাতায় জয় লিখে সাধু মহাকাল
সামনে গাধা
পেছনে গাধা
চলছে গাধা মুলার টানে
ভাবছে গাধা জিতে গেছে আজকাল
জানে না গাধা
জানেনি কখনো
পরাজয়ের পাতায় জয় লিখে সাধু মহাকাল
বহুদিন আগের কথা। তখন জাহাজ টাহাজ টিভি ফ্রিজের যুগ আসেনি। তখন সাধুরা কম্পিউটারের সামনে বসে সেক্স শিক্ষা লাভের সুযোগও পায়নি। ঠিক তখন এক জঙ্গলে বিশাল এক বন্যা আসে। বিশাল মানে বিশাল।
সেই বন্যায় ডুবতে যাওয়া এক বিচ্ছু এক ব্যাঙের কাছে সাহায্য চায়— আমাকে বাচাও আমাকে বাচাও ব্যাঙ বন্ধু— তোমার পীঠে বসিয়ে আমাকে নদীর পাড়ে নিয়ে যাও।
— তুই তো বিচ্ছু— তুই তো যেকোনো সময় আমাকে কামড় দিতে পারিস। তোকে যদি আমি পীঠে বসাই তাহলে সবার আগে তুই-ই আমাকে কামড় দিবি।
— বন্ধু এ কি বলো! তোমাকে কেনো কামড় দিতে যাবো— তুমি মরে গেলে তোমার সাথে আমিও তো ডুবে যাবো।
ব্যাঙ বিচ্ছুর কথা শুনে মুগ্ধ হলো এবং আশ্বস্ত হলো বটে। কিন্তু! কিন্তু যখনই তারা মাঝনদীতে গেলো তখনই বিচ্ছু ব্যাঙকে বিরাট এক বিষাক্ত কামড় দিয়ে বসলো!
মরতে মরতে ব্যাঙ বিচ্ছুকে জিজ্ঞেস করে— তুই এটা কেন করলি!?আমার সাথে তুইও তো ডুবে যাবি।
বিচ্ছু তখন বলে।
বিচ্ছু তখন কী বলে?
হ্যাঁ— বিচ্ছু তখন বলে 'এটাই আমার নেচার।'
যখন আমি তোমার দেশে
দেখছি তোমায় হেজাবে আজমত
ভুলে গেছি জ্ঞান গরিমা
ভুলে গেছি হাল্কা ভারী মসজিদেরই পথ
গ্রামে বসবাসকারী জনসংখ্যা এখনো বেশি— বাংলাদেশে। একসময় বাংলাদেশের মানুষ হাসপাতালে যেতো না বললেই চলে। কারন তারা পর্যাপ্ত পরিমানে কায়িক শ্রমের সাথে যুক্ত ছিলো। কারন তারা সতেজ ভেজালমুক্ত খাবার গ্রহণ করতো।কারন তারা সতেজ নির্মল বাতাস শরীরে মগজে মেখে নিতো। আর এখন কোনো প্রকার ফর্মালিটি ছাড়াই খাবারে ফর্মালিনসহ আরও আরও ক্ষতিকর কেমিক্যাল জায়গা করে নিয়েছে।
হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার আরেকটি বড় কারণ ভুল চিকিৎসা। ভুল চিকিৎসা যতটা না ভুল কারনে হচ্ছে তারচেয়ে বেশি ভুল উপায়ে হচ্ছে।
এরশাদ সরকার— শুনেছি তিনি নাকি পল্লীবন্ধু। এই পল্লীবন্ধু বাংলাদেশের প্রত্যেক উপজেলায় জেলখানা বানাতে চেয়েছিলেন। তিনার ফর্মুলা এখানে শেষ পর্যন্ত টিকে নাই। এখন বাংলাদেশের প্রত্যেক উপজেলা না শুধু— প্রত্যেকটা পরিবার ঔষধের জেলখানায় বন্দী— এই জেলখানার জেলার হলেন ডাক্তার— যার কাছ থেকে রোগী কেবল জামিনে মুক্তি পান— একেবারে মুক্তি পাওয়া মানে মৃত্যু!
একবার ভেবে দেখুন— শিশুর জন্মে হচ্ছে হাসপাতালে— আবার মানুষ মারা যাচ্ছে হাসপাতালে। কিছুদিনের মধ্যেই আর মাইকে বাজবে না উমুক বা তমুক তিনার 'নিজ বাড়িতে' ইন্তেকাল করেছেন। যমদূত হাসপাতালেই আসবেন।
হাসপাতাল এখন মসজিদ মন্দিরের মতো প্রয়োজনীয় জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মসজিদ মন্দিরের জন্যে চ্যারিটি ফান্ড থাকলেও হাসপাতালের জন্যে কোনো প্রকার চ্যারিটি ফান্ড নাই সেই অর্থে।
কেনো?
কারন খুব সোজা— আমরা সওয়াবের হিসাব সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা রাখি না।
চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়েও আমরা একচোখা নীতি নাযিল করেছি। চিকিৎসা মানে এলোপাথাড়ি এ্যালোপ্যাথি। হোমিওপ্যাথি ইউনানি আয়ুর্বেদিক পাহাড়ি চিকিৎসা পদ্ধতিকে অবৈজ্ঞানিক বলে বেশ শান্তি লাগে আমাদের। অথচ সুস্থ আড্ডা যেখানে চিকিৎসার কাজ করে সেখানে কেমন করে হাজার বছর ধরে চলে আসা চিকিৎসা পদ্ধতিকে খারিজ করে দিচ্ছি!?
ইউনিয়ন পরিষদের হাসপাতালে তেলাপোকার ঘরবসতি— ডাক্তার নাই— ঔষধ যাচ্ছে ঠিকই— ঔষধ খাচ্ছে সিন্ডিকেট। ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি হাসপাতালে হোমিওপ্যাথি আয়ুর্বেদিক ডাক্তার নিয়োগ দিলে বেশ ভালো হতো। সব ভালো আবার এই দেশের মানুষের কাছে ভালো না— আলুর বাজার গরম হলেও আমরা বৈশ্বিক যুদ্ধকে দায়ী করি। দায়ী করা আমাদের মজ্জাগত অধিকার— মৌলিক অধিকারও বলা যেতে পারে।
বাংলাদেশের গ্রামে বসবাসকারী জনসংখ্যা এখনো বেশি।তাদের শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্য ভালো মানে বাংলাদেশ ভালো আছে এবং ভালো থাকবে। আমরা যখন আমাদেরকে ভালো রাখার চেষ্টা করবো তখন আসমানের বৃষ্টি আমাদের ভূমিতে কাজ করবে নতুবা আসমানের বৃষ্টি এখানে এসে দিল্লিকা লাড্ডু হয়ে যাবে।
রাসুল (সঃ) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন-
“হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতের জন্য তুমি নিজের অবসর সময় তৈরী কর ও ইবাদতে মন দাও, তাহলে আমি তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং তোমার দারিদ্র ঘুচিয়ে দেব। আর যদি না কর, তবে তোমার হাতকে ব্যস্ততায় ভরে দেব এবং তোমার অভাব কখনোই দূর করব না।
[তিরমিযী: ২৬৫৪, ইবন মাজাহ: ৪১০৭]
তাহলে আল্লাও কী হুমকি দেন!? তাহলে আল্লা আর আমগো আক্কাসের মধ্যে পার্থক্য থাকলো কোথায়!? আক্কাসও তো বলে— ' আমার কথা না শুনলে সবকিছু বন্ধ করে দিবো, তোমগো রে পাঠাই দিবো ভুট্টো সাহেবের দলে, বাংলাদেশে তোমগো ঠাই নাই'।
এমপি সাহেবের সামনে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে মন নত না করলে এমপি সাহেবও দেখি তদবির টতবির হুনতে চান না— তাহলে আল্লার বৈশিষ্ট্য কী এমপি সাহেবের মধ্যে জন্মগত? আসলে এসব খুব কঠিন ব্যাপার! মাথায় সহজে আইতে চাই না।
হে আল্লাহ আমাকে ধৈর্য দাও— অহনি দাও!
অধিকারে কথা বলি
অভিমানে নয়
সাত পাচে থাকি বেচে
ছয় নয়ে ভয়
বহুদিন আমি মিস্টার আক্কাসের সাথে আড্ডা টাড্ডা দিলাম। মিস্টার আক্কাস টাক্কাসের রসাইয়া রসাইয়া নিন্দা করেন।
আমি বললাম 'ঠিকাছে'।
বহুদিন টাক্কাসের সাথে আড্ডা দিলাম। মিস্টার টাক্কাস আক্কাসের নিন্দা রসাইয়া রসাইয়া করেন।
আমি বললাম 'ঠিকাছে'।
ইদানিং আক্কাসের সাথে আড্ডা দেয়া হয় না এবং টাক্কাসের সাথেও আড্ডা টাড্ডা দেয়া হয় না।
আক্কাস এবং টাক্কাস এখন প্রায় আড্ডা দেন এবং দুজন মিলে আমার নিন্দা টিন্দা করেন।
আমি শুনলাম এবং বললাম ' ঠিকাছে'।