রবিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২২

আ ফা লের মা ছ

 ০১

হারানো রোদের গল্প শুনতে শুনতে যাদের দিন যায় তাদের ডান চোখের নিচের সবুজ গাছটির ছায়ায় বসে থাকি আমি

০২

ভাবের সম্পর্ক পরিবর্তন হয় না— ভবের সম্পর্ক প্রয়োজনে আসে আবার প্রয়োজনে চলে যায় 

০৩

চাঁদ দেখবো বলে এক‌টি রাত চেয়েছিলাম, ভোর দেখতে হলে রাতের দরকার হয়

০৪

লেজ নাড়ানো কুকুরের স্বভাব, চোখ এবং মনের বড়ই অভাব

০৫

তার মোড শেন ওয়ার্ন  কিংবা মুরালিধরনের বলের চেয়ে অধিক সোয়িং করে, বল দেখে ব্যাট করো হে হিটার,আউট হলে ক্যারিয়ার চলে যাবে দর্শক গ্যালারিতে

০৬

কবিকে দেখা যায় কবিতার আকাশে— অন্য কোথাও কবি যেনো জলের বাতাস

০৭

ভাইরাসকে আক্রমন নয়, ভাইরাসের আক্রমনের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্যও শক্তিশালী এন্টিবডির প্রয়োজন

০৮

Man at all software not yet hardware and we are the same software and software has no country so called, our country is our working process 


০৯

আরোপিত সব কিছু জোয়ারের মতো দেখায় কিন্তু ভাটার মতো আচরন করে

১০

ঢাকা শহর ইনটেনসিভ কেয়ারে আছে, যেকোন সময় কোমায় চলে যেতে পারে

১১

মানুষের পছন্দবোধ দিয়ে উপলব্ধি করি মানুষের নদী যেখান থেকে সে মাছ ধরে, জল আনে কিংবা যেখানে মানুষ স্নান করে। মানুষের অপছন্দবোধ থেকে অনুধাবন করি মানুষের সাগর যেখান থেকে তার উৎপত্তি।

১২

পরিনতি আর সূচনার ঠিক মাঝখানে আশার আস্ফালন

১৩

সবকিছুকে সন্দেহের চোখে দেখা  মানুষটি শেষমেশ নিজের চোখকেও সন্দেহ করে

১৪

মানুষপাল খেলা করে স্বার্থের মাঠে

১৫

পৃথিবীর গার্ডিয়ান বিপ্লবী, বিপ্লবীদের দীর্ঘশ্বাসে থাকে মানুষ

১৬

দিতে চাইলাম বড়শি, নিতে চাইলে মাছ

১৭

প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেলে তারা মাছ কিংবা সাপ হয়ে যায়

১৮

প্রভু যখন কোনো ব্যক্তির কল্যান চান তখন তার পাশে সঠিক পরামর্শদাতা নিয়োগ করেন, আবার যখন কোনো ব্যক্তির অকল্যান অনিবার্য হয়ে পড়ে তখন তার কাছ থেকে সঠিক পরামর্শদাতা তুলে নেন

১৯

কলিজার ছায়ায় যে সন্তানের জন্ম সেই সন্তানের খাবার কলিজা

২০

মিষ্টি মেয়েটি বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে গেলে পৃথিবী উর্বর হয়ে উঠে

২১

ফ্যানের কত্ত দুঃখ— তাকে কেবল বাতাস দিতে হয়

২২

ভেতরে ভেতরে আমরা সবাই কমবেশি বেশ্যা, বাইরে বাইরে শতভাগ মাওলা আল্লামা

২৩

ভোগের জগতে তারা ডুবে যায়— ভাবের জগতে মিশে যায় মানুষ— ডুবে গেলে মৃত্যু— মিশলে মিলে জীবন

২৪

গরীবের এক চোখে ক্ষুধা, অন্য চোখে যন্ত্রনা,গরীবের মুখে তাই চিৎকার

২৫

চুপ করে থাকো— দেখবে কেউ না কেউ তোমার মনের ভাষায় কথা বলছে

২৬

এখন রুমের বাইরের চেয়ে রুমের ভেতরে খেলা চলে বেশি— সিড়ি দিয়ে নামার সময় সবাই বলুন সোবহানাল্লাহ

২৭

প্রভুর ক্ষমতার নাম দয়া

২৮

বিরহের ফুল গন্ধে ভালো

২৯

গাধাকে আদা খেতে বলবেন না, কারন আদাটা মানুষের খাবার

৩০

রাগের আয়ু বেশী দিন হলে জীবনের আয়ু কমে যায়, অভিমানের আয়ু কৌমার্য হলে সম্পর্কের বন্ধন বৃদ্ধি পায়।

৩১

আকাশে উড়তে গিয়ে দেখলাম প্রচুর বাতাস— আকাশে উড়ার আগে বাতাসকে ব্যবহার করতে শিখতে হয় প্রিয় এমরানুর রেজা ভাই— এখন তাহলে সোলেমান নবীর প্রেমে মগ্ন থাকো কিছুকাল

৩২

চোরের কাজে গিরস্থের চোখ— ডাকাত এখন তৃতীয় মুখ

৩৩

চাবির কাজ কেবল তালার সাথে না— মালিকের সাথেও— তালার কাজ কেবল নিরাপত্তার সাথে না— চাবির সাথেও

৩৪

টেনশন হলো আপনার গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের এক্স, খুব কাছে ডাকলে সংসার ভাঙবে

৩৫

সাপের কাছ থেকে মধু আশা কর কেন রেজা ভাই, মৌমাছির কাছ থেকে মধু আশা না করলেও মধুই পাবে

৩৬

এক ভদ্রলোক বলেছিলেন "মানুষ খাবে এটাই তার প্রকৃতি, তবে মানুষ যখন কেড়ে খায় এটা তার বিকৃতি, আর যখনই মানুষ বন্টন করে খায় এটা তার সংস্কৃতি।"


সমাজের দুর্নীতিবাজ, চোর, সন্ত্রাস বন্টন ব্যবস্থা অত্যন্ত সুষমভাবে মেনে চলে। রেলওয়ে স্টেশনে এক‌টি মোবাইলও যদি চুরি হয় এর ভাগাংশ পাবে টপে যে চোর আছে সে। আর সন্ত্রাসদের ত কার্যালয় বিভাগ এলাকা ডিপার্টমেন্ট ভাগ করা থাকে। কেউ কারো জায়গায় নাক গলানো ত দূরে থাক আঙুলও গলাবে না। অর্থাৎ এরা বন্টন সংস্কৃতি মেনে চলে। ফলে তারা বিরাট বিরাট নেগেটিভ কাজ করেও তারা বিরাট মানুষ। 


সত্যিকারের সত্য মানুষ যারা, যারা আসলেই বিরাট মানুষ তাদের ভালো কথা আছে সুন্দর চিন্তা আছে বেদনা মানিক আছে আরামের কম্বল আছে, নাই কেবল বন্টন, নাই কেবল সংস্কৃতি।

৩৭

ভালোবাসাকে বুঝতে হয় একটা জীবন দিয়ে, জীবনে ভালোবাসা আসে না

৩৮

আশেপাশে প্রচুর অভিধান রেজা ভাই, মাথাটাকে অন্ততপক্ষে অভিধানমুক্ত রেখো। পেস্ট আর ব্রাশ কিন্তু দাঁত খেয়ে ফেলে। রেজা ভাই পেস্ট আর ব্রাশকে নিয়মিত চেক করে নিও।

৩৯

গ্রীষ্মকালে বিরক্ত করার জন্য গরম থাকে, শীতকালে আরাম দেয়ার জন্য বেকারদের জন্য কেউ থাকে না। রাত শেষে বালিশের সাথে একা।

৪০

মরনের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে বেঁচে থাকা

৪১

খেলাধুলা পরাজয় মেনে নেয়ার প্রশিক্ষণ

৪২

ভুলের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যা বাড়ছে

৪৩

কোনো একজন একশ মিটার গতিতে দৌঁড় দিলে অন্যরা চারশ মিটার গতিতে লোকটিকে থামানোর চেষ্টা করে। এটা হলো বাংলাদেশ। অথচ দুইশত মিটার গতিতে দৌঁড় দিয়ে লোকটিকে অতিক্রম করা যায়। আমরা আসলে অতিক্রম করতে চাই না, অতিক্ষতি করতে চাই।

৪৪

তুমি সিনেমার নায়িকাদের মতো অপেক্ষা করো। আর আমি? আমি সিনেমার রিয়েল দর্শকদের মতো পর্দায় চেয়ে থাকি।

৪৫

বিদেশীরা বাংলা বললে আমাদের মন আনন্দে নাচতে থাকে— আমাদের আনন্দের নাচ শেষ করার জন্যেই বিদেশীরা বাংলা বলে— ইতিহাস! ইতিহাস তাই বলে!!

৪৬

তুমি ভেবেছিলে আকাশটা তোমার হবে— তুমি ভাবোনি আকাশে ঝড় তুফান বজ্রপাতের মতো কিছু একটা থাকতে পারে

৪৭

কোনো মানুষ ভালো না খারাপ এটা খুব গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন না। বিবেচ্য বিষয় হলো মানুষটি আমার টাইপের কিনা। অনেক প্রোফেসনাল ডাকাত দেখেছি যাদের একটি ফটোজেনিক হৃদয় রয়েছে, অনেক প্রোফেসনাল ভালো মানুষকে দেখেছি যাদের রয়েছে সুন্দর একটি কদাকার চারিত্রিক দিক। কারোপক্ষে শতভাগ মুন্সি হওয়া সম্ভব নয়, কারন প্রান খেয়ে প্রানী বাঁচে।

৪৮

পাকস্থলী অনেক স্মার্ট। আর স্মার্ট বলেই খাবারকে দুইভাগে বিভক্ত করে। একভাগ পাঠিয়ে দেয় রক্তে, অন্য ভাগ পাঠিয়ে দেয় পায়ুপথে পৃথিবীতে। পাকস্থলী আবর্জনা ধরে রাখে না। অথচ মস্তিষ্ক আবর্জনা ধরে রাখতে পছন্দ করে— হে দয়াল, মস্তিষ্কের কেন একটি পায়ুপথ দিলা না, তাহলে মানুষেরা চৈতন্য নিয়ে ভালো থাকতে পারতো।

৪৯

অন্ধকারকে সরানোর জন্যে মহা শক্তিশালী এক সূর্য কাজ করে— আপনার কাজ না করলেও চলবে

৫০

দৃশ্যগুলো জড়। দৃশ্যের আড়ালে ঘটনা থাকে যেখানে রয়েছে লেনদেন। যদিও সব ঘটনা লেনদেন নয়। সব নয়, কিছু  লেনদেনে লেপ্টে থাকে প্রাণের স্পর্শ। খুবই নগন্য প্রাণ আছে যারা প্রাণের দেখা পায়।


The scene is defunct. There is a light something  beneath the dark where dealings found within the events. Though every episode is not alive yet. Many a little energy is able to touch the ability of episode between the deals within pickle. 

৫১

ভারতবর্ষের মানুষ পরিপূর্ণ ভালোবাসাও নিতে জানে না, আবার ঘৃণাও সহ্য করতে পারে না। তারা পছন্দ করে রহস্য। যে সম্পর্কের মাঝে যতবেশী  রহস্য সেই সম্পর্ক ততবেশী তরতাজা।

৫২

প্রেম এমন এক কুরি যা যেকোনো সাপকে ধরে নিয়ে আসে

৫৩

বিয়ের কিছু দিন পর প্রেমিকাদের স্বামীকে আঙ্কেল আঙ্কেল দেখায়। আমি জানতাম কাঁচা কাঁঠালই কেবল গরম দুধ পেয়ে পেকে যায়, পেকে যেতে বাধ্য থাকে। না। বাস্তবতা ভিন্ন। মানুষের জীবনও অনেক সময় পাখিদের মতো, কাঁঠালের মতো।

৫৪

গ্রামের মানুষ কখনো পুরাতন হয় না— দিনে দিনে হয়ে উঠে নতুন থেকে নতুনভাবে নতুন

৫৫

বিশ্বাসে বিশ্ব মিলে, কৃষ্ণ বহুদূর 

Krishna is sweet afar , earth coalesces at the finger of confidence 

৫৬

পড়ে যাচ্ছে— তারপর হাসতে থাকে এমরানুর রেজা ভাই— কেনো জানেন? হাসি নামক মহা ঔষধটা পড়ে যাওয়া বা উঠার সাথে সম্পর্কিত না— হাসির সম্পর্ক প্রানের সাথে, চৈতন্যের সাথে

৫৭

অর্জন আর বর্জনের মাঝে হাইফেনের মতো ঝুলে থাকে মোহ। এই মোহের আরেক নাম ভয়, আরেক নাম লোভ আরেক নাম অহংকার আরেক নাম হিংসা।

প্রথম অভিজ্ঞতা

 "ও সবচেয়ে ভালো খেলেছে কিন্তু ও মারে না"— কথাটি এমরানুর রেজা ভাই সম্পর্কে বলেছেন ওস্তাদ Abdullah Al Monsur । ওস্তাদের মন্তব্যটিতে আমি অবাক এবং বিস্মিত হয়েছি এবং বুঝতে পেরেছি ওস্তাদদের ফাকি দেয়া যায় না। তাহলে প্রশ্ন করতে পারেন যদি নাই আঘাত করেন তাহলে কেনো উশুর মতো লাইফ থ্রেটিং খেলা খেলতে গেলো এমরানুর রেজা ভাই। উত্তর একটাই অভিজ্ঞতা যুবকের মাধুর্য আর বৃদ্ধের সান্ত্বনা। 


জীবনে প্রথম হেড গিয়ার,চিষ্ট গিয়ার পড়লাম এবং মেটের মতো পাচোরা জায়গায় উঠলাম। হেড গিয়ার পরার পর মনে হচ্ছিল দম বন্ধ হয়ে আসতেছে, তবু সাহস ধরে রেখে পাচোরা মেটে জীবনে প্রথম ফাইটার্স। 


বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকে কারাতে ও জোডো করি কিন্তু উশু ফাইট সম্পুর্ন আলাদা জগৎ। টানা মেট প্রেকটিস না করে কখনো কোনো ন্যাশনাল গেইমে অংশগ্রহণ করা আবশ্যকীয় উপায়ে উচিত না। 


উশু একটা গেইম— মেটে উঠে কেউ সেটা মনে রাখে না— মনে করে বিপরীত খেলোয়াড় যেনো তার হাজার বছরের শত্রু— আরে ভাই দরকার পয়েন্ট— কাউকে ইনজুরি করার কেনো দরকার!?  সেনাবাহিনি, আনসার,বিজিপির খেলা ভালো লেগেছে — কারন তারা যখনই মনে করেছে অপোনেন্ট দুর্বল  তখন তারা কোনো হিট করেনি, জাস্ট পয়েন্ট নিয়েছে— কারন তাদেরকে গেইম কালচার শেখানো হয়। 


এই উশু সানডা মাইর খাওয়া বা মাইর দেওয়ার প্রতিযোগিতা নহে— এটি পয়েন্ট গেইমিং, তবে বাংলাদেশের কিছু প্লেয়ার গেইমরুল না জেনে আন্দাজি কিল-ঘুষি শুরু করে, এমরানুর রেজা  বিপরীত প্রতিযোগির বিরাট মুখ বিরাটভাবে খালি পাওয়া সত্ত্বেও আঘাত করেনি— কারন রেজা ভাই কাউকে আঘাত দিলে নিজে অধিক আঘাত পায়— তারপরও বিপরীত খেলোয়াড়ের মুখে আস্তে একটা পাঞ্চ করেছিলাম,তাতেই তার চোখমুখ বিবর্তন হয়ে যাচ্ছিল, তাই নিজ থেকেই আস্তে করে শেষমেশ সরে আসলাম। তবে এই খেলায় অংশগ্রহণ করে জীবনে এমন এক মূল্যবান অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি যা ভাষায় বলে প্রকাশ করা যাবে না।


Blue সাইডে আমি খেলতে নামি— কোনো প্রকার আঘাত করার মানসিকতা নিয়ে নয়— জাস্ট ডিফেন্স করে পয়েন্ট নিয়ে নেওয়া— দুই তিন বার বিপরীত খেলোয়াড়কে মেটে হুতাই দিছি— সে আমাকে দুর্বল করার জন্যে প্রথম থেকে বাম পায়ে একের পর এক কিক মেরে যাচ্ছিল— দুর্বল করার জন্যে কেনো বললাম — কারন 'নি' জয়েন্টের উপরে হিট করলে পয়েন্ট আছে,সে হিট করতেছিল 'নি' জয়েন্টের নিচে। কিন্তু সে জানেনা আমার 'নি' জয়েন্টের নিচের অংশে সাত আটবার হিট করলে আমার পা লোহা হয়ে যায়— একসময় দেখি ছেলেটা ভয় পেয়ে গেছে, আমার খুব মায়া হলো— এমরানুর রেজা ভাইয়ের মতো মায়াময় মন নিয়া কেউ যেনো উশুর মতো ফাইটিং বক্সিং গেইম খেলতে না নামে। ওস্তাদের কথাটি কানে লেগেছে— ' ও সবচেয়ে ভালো খেলেছে"— ভালোর আগে ওস্তাদ ব্যবহার করেছেন ' সবচেয়ে' নামক বিশেষণ যা আমার মনের ইতিহাসে চির আশীর্বাদ সূচকে চেষ্ট গার্ড বা গিয়ার হয়ে থাকবে।


#বঙ্গবন্ধু১৬জাতীয়উশুচ্যাম্পিয়নশিপ—২০২১

জয় গোবিন্দ জয় রাধে

 — বাসুদেব একটা কথা বলবো?


— মাধব আপনি আমার সাথে কথা বলবেন, তাও আবার অনুমতি নিয়ে!


— না বলছিলাম যে গত রাতে একটা স্বপ্ন দেখলাম। 

— বাহ, আপনারে স্বপ্ন দেখে পুরো সৃষ্টি, আপনাকেও স্বপ্ন দেখতে হয়, বাহ, বাহ, মাধব। 


— আচ্ছা, তাহলে বলুন দেখি আপনার স্বপ্নের ধারা। 


— স্বপ্নে দেখি রাধা মথুরায় চলে এসেছে, তাও আবার বোরখা পরে, রাধার আগমনে আপনার চেহারায় অস্বস্তির মেঘ ☁। 


— মাধব, তুলসী বনের রাধাকে আমি চিনি,সে ছদ্মবেশ জানে না, তাই তাকে আমি দিয়েছি বিরহ, মথুরায় রাধাকে আমি নিয়ে আসতে পারি, মথুরাকে স্থাপন করেছি রাধার মনে, তাইতো আমি মথুরার রাজা।


— বাসুদেবের জয়, জয় গোবিন্দ, আপনি বিরহের শিরোমণি, জয় মুকুট আপনার,আপনি প্রশান্তি আপনি  ধৃষ্টার সম্মান। 


— আরেকটি বিষয় জানতে চাই গোবিন্দ 


— বলুন তবে 


— স্বপ্নে রাধা আমার সাথে কোনো কথা বলেনি,রেগে আছে আমার প্রতি 


— আপনার সাথে কেনো কথা বলবে? আপনার মন রাধাকে বোরখা পরায়, যে মন রাধাকে চিনতে পারে না, সে মনের সাথে রাধা কেনো কথা বলবে?

— জয় গোবিন্দ জয়, আপনি কথার ইশ্বর 

— জয় আপনার মহিমার, জেনে রাখুন, রাধা আমার ইশ্বর

মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২

বাসুদেব অর্জুন

 অর্জুন— আমার কাছে যদি সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার থাকতো! 

কৃষ্ণ— সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার থাকলে কি করতে অর্জুন? 

অর্জুন— মানবজাতির উপকার করতাম বাসুদেব। 

কৃষ্ণ— মানুষের উপকার করার মধ্যে দিয়ে সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার আসে অর্জুন,তুমি সবার হও,দেখবে সব তোমার হয়ে যাবে।

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২২

শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২২

ভালোবাসি

 কেউ একজন আকাশ থেকে নেমে এসে বলবে 'ভালোবাসি'— তখন তাকে নিয়ে জমিনে রোদের মতো ছড়িয়ে যাবো

মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২২

হয় বিপ্লব নয় বিলুপ্ত

 হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু 

মাঝখানে কোনো দাড়ি কমা সেমিকোলন নেই 

হৃদয় থেকে

আত্মা থেকে বলছি মা

বলছি আমার জঠরবাস সত্য থেকে


এমন কথা এখনো বলতে পারিনি মা 

যে কথায় কথারা দাড়িয়ে যাবে কাতারে কাতার 

ঘুম থেকে জেগে উঠবে তোমার সন্তান

তোমার সন্তানেরা তুলে আনবে প্রভাত 

মা জেনে রাখো তুমি— হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু


দেশের মা নদী 

পৃথিবীর মা নদী 

মা মারা যাচ্ছে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত

মায়ের লাশের উপরে উঠছে অট্টালিকা প্রাসাদ

অভিশপ্ত সন্তান 

অভিশপ্ত দেশ 

অভিশপ্ত পৃথিবী 

অভিশপ্ত পৃথিবীর বাতাস 

হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু জেনে রাখো মা 

জেনে রাখো আকাশের স্বাধীন নীলিমা


জনপ্রিয়তা আর পাসওয়ার্ড প্যাটার্ন জীবন দিয়ে কি করবো মা— বউখাওয়া আর স্বামীমারা জীবন বহু দেখেছে পৃথিবী— ঠোঁট থেকে চামচ— চামচ থেকে ঠোঁট— উঠানামা আর উঠানামা— যাওয়া আর যাওয়া— আসা আর আসা— কাকের ঠোঁটের মতো হলুদ আলেয়ার খেলা।


হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু 

মরে যাওয়ার শোকে নয়— সুখে হোক পথচলা


সব হালারা প্রোডাক্ট— বিক্রি হয়ে যায় 

বিক্রি হয় সকালে 

বিকালে বিক্রি হয় 

বিক্রি হয় শেষ রাতের দন্ডিত শিশ্নোদরপরায়ণ রোগে

প্রজেক্ট টেন্ডারের কাছে স্লোগান বিক্রি হয় গতকাল কিংবা আজকে— আজকে অথবা আগামীকাল— কোনো ইজমে আস্থা নেই আমার— জেনে রাখো মা— তোমাকে জানতেই হবে হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু।


আমার সবচেয়ে বড় ইজম আমারই মতো আরেকজন মানুষ— মানুষের রক্ত বহন করে আজ আমি উত্তর নিষাদ— নিষাদপুত্র ডাক দিবে বিপ্লব বিপ্লব চিৎকার— হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু— মাঝখানে নেই কোনো হরিনাম আল্লা মুসলমান।


চোখ দিয়ে রক্ত নামে যখন দেখি বিচারের নামে চলে পৌরহিত্যের প্রহসন— যখন দেখি হাসপাতালের টাকা চলে যায় হইচভরা চালে অন্যদিকে অন্যতম কোনো লকারের গতরে— যখন দেখি সবাই বলে 'জয় বাংলা' ভুল মনে ভুল জায়গায়— আমার হিমোগ্লোবিন ঠান্ডা হয়ে আসে যখন দেখি হিপোক্রেসি কন্ঠ বলে মানুষের জয় হোক— মানুষের জয় অবশ্যই হবে মা— গাছে গাছে প্রেম ফোটবার  কাল অবশ্যই আসবে— তোমার সন্তান অবশ্যই জেগে উঠবে এবং বলবে গুড মর্নিং পৃথিবী গুড মর্নিং সত্য ন্যায় সুন্দরের— হয় বিপ্লব নয় মৃত্যু 

মাঝখানে নেই কোনো হাইফেন জীবন 

নেই 

 একদম নেই কোনোকিছু 

       ভাবলে যা হারায় মানুষ তেমন কিছুও নেই 

           হয় বিপ্লব নয় মৃত্যুর মতো অন্যদিকে অন্যকিছু

যে পথে তোমার প্রিয়জন গ্যাছে

 জুনায়েদ বোগদাদির মামা সাররী সাকতী। সকত থেকে সাকতী। সকত শব্দটির অর্থ হলো ভূমিতে পড়া। ভূমিতে পতিত ফল কুড়িয়ে বিক্রি করে তিনি জীবনযাপন করেন প্রথম জীবনে। তার পীরের নাম মারুফ কারখি। সাররী সাকতী অত্যন্ত উচু মানের একজন সাধক ছিলেন— কথিত আছে দীর্ঘ ৯৮ বছর তিনি কখনো মাটিতে পীঠ লাগাননি— ঘুম পেলে দেয়ালে ঠেশ দিয়ে বসতেন। 


সাকতী অসুস্থ হয়ে পড়ে। মুমূর্ষু। আবহাওয়া খুবই গরম। জুনাইদ বোগদাদি বাতাস করতে চায়লেন।তিনি নিষেধ করেন। তার মতে বাতাস আগুনের তেজ নাকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। জুনাইদ বোগদাদি বাতাস করা বন্ধ করে নছিহত চায়লেন নিজের মামার কাছে নিজের জন্যে।


— জুনায়েদ! মানুষের সাহচর্য বর্জন করে শুধু আল্লাহর ধ্যানমগ্ন হয়ে কালযাপন করো। 


জুনায়েদ মামার কথা শুনে জবাব দিলেন—"এমন কথা যদি আপনি আগে বলতেন তাহলে আমি মানুষ থেকে এমন দূরে থাকতাম যে আপনার সেবা করার জন্যেও আসতাম না।"


সাধক সাররী সাকতী যৌবনে ইয়াকুব নবীকে স্বপ্নযুগে  প্রশ্ন করেছিলেন কেমন করে ইয়াকুব নবী ইউসুফ ও আল্লাহকে একসঙ্গে ভালোবাসতে পারলো। উত্তর মেলেনি— পর্যাপ্ত ধমক পেয়েছিলেন সাররী সাকতী আল্লাহর পক্ষ থেকে। 


আল্লাহ মানুষকে ধমক দেন এমন কথাও আমাদের শুনতে হয়— দেখতে হয় কুয়াশা গলে গলে পড়ে চোখের বিছানায়।